‘তামাক ও ফুসফুসের স্বাস্থ্য’ প্রতিপাদ্য নিয়ে এবারের দিবসটি তামাক সেবনের স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি এবং এর ব্যবহার কমাতে কার্যকর নীতিমালা প্রণয়নের বিষয়টি তুলে ধরবে।
দিবসটির লক্ষ্য হলো ফুসফুসের স্বাস্থ্যের (ক্যান্সার ও দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসযন্ত্রের রোগ) ওপর তামাকের প্রভাব সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টি করা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ফুসফুস ও শ্বাসতন্ত্র সংক্রান্ত জটিলতা মৃত্যুর প্রথম পাঁচটি কারণের মধ্যে দুটি।
তামাক ব্যবহার এবং পরোক্ষ ধূমপানের ফলে ফুসফুসে ক্যান্সার, ক্রনিক অবস্ট্রাক্টিভ পালমোনারি ডিজিস (সিওপিডি), যক্ষ্মা ও অ্যাজমা হয় বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
সংস্থাটি আরও জানায়, তামাক ব্যবহারের ফলে প্রতি বছর ৮০ লাখেরও বেশি মানুষ মারা যায়। সেই সাথে পরোক্ষ ধূমপানে মৃত্যু হয় আরও ১০ লাখ মানুষের, যাদের বড় একটি অংশ শিশু।
বাংলাদেশে অকালে মারা যাওয়ার পঞ্চম বড় কারণ তামাক। যার প্রভাবে প্রতি বছর মারা যায় ১ লাখ ২৬ হাজার মানুষ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও তাদের অংশীদাররা ১৯৮৭ সালের ৩১ অক্টোবর থেকে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস পালন করে আসছে।