হাসপতাল সূত্র জানায়, দুদিনে হাসপাতালটিতে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছে প্রায় ৫২ জন শিশু রোগী। জায়গা সংকুলান না হওয়ায় বারান্দা, সিড়ি ঘরের নীচে ও মেঝেতে শিশু রোগীদের রেখে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। স্বল্প জনবল নিয়ে চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসক, নার্স ও সুইপার সংকট রয়েছে।
রোগী ও রোগীর স্বজনরা জানায়, মাঝে মাঝে দেখা দিচ্ছে বিদ্যুৎ বিভ্রাট। ফলে প্রচন্ড গরমে আরো অসূস্থ্ হয়ে পড়ছে শিশুরা। নেই পর্যাপ্ত টয়লেট ও ফ্যানের ব্যবস্থা। একজন শিশু বিশেষজ্ঞকেই ওয়ার্ডে ভর্তিরত রোগী ও বর্হিবিভাগের রোগীদের চিকিৎসা দিতে হচ্ছে।
এদিকে সমস্ত ওষুধ বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন রুগীর স্বজনরা।
হঠাৎ হাসপতালে শিশু রোগীর সংখ্যা বাড়ার বিষয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মাঝে মাঝে বৃষ্টি আর ভ্যাপসা গরমের কারণে মেহেরপুরের শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে স্বর্দি, জ্র, নিউমোনিয়া ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগে।
হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডাঃ ওবাইদুল ইসলাম পলাশ বলেন, কোনো প্রকারে যাতে বাচ্চাদের ঠান্ডা না লাগে সেদিকে মায়েদের খেয়াল রাখতে হবে। গরমের কারণে বেশির ভাগ শিশুদের ডায়রিয়ার সমস্যা দেখা দিচ্ছে। শিশুদের কোনো সমস্য দেখা দিলে চিকিৎসকদের পরামর্শ নেয়ার আহবান জানান তিনি।