১৯৪৬ সালের ১০ জানুয়ারি ফরিদপুরে জন্ম নেয়া আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন এই কিংবদন্তি ছিলেন বাংলাদেশের অন্যতম বৈচিত্র্যময় ও সম্মানিত শিল্পী।
শিল্পী পরিবার থেকে উঠে আসায় স্বাভাবিকভাবেই কারুশিল্প, অঙ্কন এবং চিত্রকলার প্রতি আকৃষ্ট ছিলেন কালিদাস কর্মকার। শৈল্পিক প্রচেষ্টা শুরু করার জন্য ১৯৬৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে দুই বছরের প্রাথমিক ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি।
আইভিডি বাংলাদেশ স্বেচ্ছাসেবক পুরস্কার পেলেন কালিদাস ও সাথী
১৯৬৯ সালে কলকাতার গভর্নমেন্ট কলেজ অব ফাইন আর্টস অ্যান্ড ক্রাফট থেকে স্নাতক ডিগ্রি নেন কালিদাস।
বরেণ্য এ শিল্পীর প্রথম একক প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয় ১৯৭৬ সালের ৭ আগস্ট বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে। তার বিচিত্র সব শিল্পকর্ম দক্ষিণ এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ব্যাপকভাবে প্রদর্শিত হয়েছে।
চারুকলায় অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে কালিদাস কর্মকার ২০১৬ সালে শিল্পকলা পদক ও ২০১৮ সালে একুশে পদকে ভূষিত হন।
‘কালিদাস’ রাতের আকাশের ধূমকেতু
তিনি ওয়ারশ ইউনিভার্সিটির ওয়ারশ একাডেমি অব ফাইন আর্টসে গ্রাফিক আর্ট বিষয়ে পোল্যান্ড সরকারের বৃত্তি, প্যারিসে আতেলিয়ার-১৭-তে গবেষণার জন্য ফাইন আর্টসে ফরাসি সরকারের উচ্চতর বৃত্তি, টোকিও ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব ফাইন আর্টস অ্যান্ড মিউজিকে জাপানিজ উডব্লক প্রিন্টিং বিষয়ে জাপান ফাউন্ডেশন ফেলোশিপ, পশ্চিমবঙ্গ ললিতকলা একাডেমি স্টুডিওতে গবেষণার জন্য আইসিসিআর বিশেষ বৃত্তি এবং যুক্তরাষ্ট্র এশিয়ান কালচারাল কাউন্সিল নিউইয়র্ক ফেলোশিপ লাভ করেন।
এছাড়া ২০০৬ সালে ব্রুকলিনে পয়েন্টবি ওয়ার্কলজে রেসিডেন্সিতে অংশ নেয়ার জন্য এসিসি ফেলোশিপ পান তিনি।
২০১৯ সালের অক্টোবরে ৭৩ বছর বয়সে মারা যান আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন শিল্পী কালিদাস কর্মকার।
গ্যালারি কসমসের একজন উপদেষ্টা ছিলেন তিনি।