একুশে পদক
একুশে পদকপ্রাপ্ত অভিনেতা জামাল উদ্দিন হোসেন আর নেই
একুশে পদকপ্রাপ্ত টেলিভিশন ও মঞ্চ অভিনেতা জামাল উদ্দিন হোসেন আর নেই। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার কানাডার ক্যালগেরির একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই বর্ষীয়ান অভিনেতা।
শনিবার যোহরের নামাজের পর সেখানেই তাকে দাফন করা হবে।
আরও পড়ুন: বি চৌধুরীর মৃত্যুতে দেশের রাজনীতিতে এক বিশাল শূন্যতা সৃষ্টি হলো: জি এম কাদের
সত্তরের দশকের মাঝামাঝি সময়ে নাট্যমঞ্চে অভিনয় শুরু করেন নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের সদস্য জামাল উদ্দিন।
পরবর্তীতে তিনি টেলিভিশন নাটক ও চলচ্চিত্রে কাজ করেন।
সাত বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত এই অভিনেতা গত ১৫ বছর ধরে অনিয়মিতভাবে অভিনয় করে আসছিলেন।
আরও পড়ুন: সাবেক রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরী আর নেই
২ মাস আগে
‘একুশে পদক-২০২৪’ পাচ্ছেন ২১ বিশিষ্টজন
দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখায় ২১ জন বিশিষ্ট নাগরিককে ‘একুশে পদক-২০২৪’ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) এ তথ্য জানানো হয়।
এ নিয়ে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আইরীন ফারজানা সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়।
২১ জনের মধ্যে ভাষা আন্দোল বিভাগে পদক পাচ্ছেন দুইজন।
আরও পড়ুন: একুশে পদক পাচ্ছে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনসহ ২টি প্রতিষ্ঠান ও ১৯ ব্যক্তিত্ব
তারা হলেন- মো. আশরাফুদ্দীন আহমদ (মরণোত্তর) ও মুক্তিযোদ্ধা হাতেম আলী মিয়া (মরণোত্তর)। আর শিল্পকলার বিভিন্ন বিভাগে এই পদক পেয়েছেন ১১ জন।
সংগীতে পেয়েছেন- জালাল উদ্দীন খাঁ (মরণোত্তর), বীর মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণী ঘোষ, বিদিত লাল দাস (মরণোত্তর), এন্ড্রু কিশোর (মরণোত্তর) ও শুভ্র দেব।
অভিনয়ে- ডলি জহর ও এমএ আলমগীর, আবৃতিতে খান মো. মুস্তাফা ওয়ালীদ (শিমুল মুস্তাফা) ও রূপা চক্রবর্তী।
আরও পড়ুন: একুশে পদক ২০২৩ বিজয়ী কনক চাঁপাকে গ্যালারি কসমসের সংবর্ধনা
নৃত্যকলায়- শিবলী মোহাম্মদ এবং চিত্রকলায় শাহজাহান আহমেদ বিকাশ।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ ও আর্কাইভিংয়ে কাওসার চৌধুরী, সমাজসেবায় মো. জিয়াউল হক ও আলহাজ রফিক আহামদ।
ভাষা ও সাহিত্যে এবার একুশে পদক পেয়েছেন চারজন।
তারা হলেন- মুহাম্মদ সামাদ, লুৎফর রহমান রিটন, মিনার মনসুর ও রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ (মরণোত্তর)।
এছাড়া শিক্ষায় প্রফেসর ড. জিনবোধি ভিক্ষু রয়েছেন এ তালিকায়।
আরও পড়ুন: একুশে পদকপ্রাপ্ত নৃত্যশিল্পী জিন্নাত বরকতুল্লাহ মারা গেছেন
১০ মাস আগে
খাতা থেকে বাড়ির দেয়াল সবখানেই আঁকাআঁকি করতাম: কনক চাঁপা চাকমা
চলতি বছর শিল্পকলায় অবদানের জন্য একুশে পদক পেয়েছেন চিত্রশিল্পী কনক চাঁপা চাকমা। পদকপ্রাপ্তি উপলক্ষে সম্প্রতি গ্যালারি কসমসের পক্ষ থেকে তাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। তার আঁকা কয়েকটি চিত্রকর্ম নিয়ে একটি প্রদর্শনীরও আয়োজন করা হয় গ্যালারি কসমসে। সেখানে ইউএনবিকে সাক্ষাৎকার দেন এই শিল্পী।
সাক্ষাৎকারটি ইউএনবির পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো:
ইউএনবি: এর আগে দেশে-বিদেশে অনেক পুরস্কার পেয়েছেন। কিন্তু এবার মর্যাদাপূর্ণ রাষ্ট্রীয় একুশে পদক পেয়েছেন। এই অনুভূতি কেমন?
কনক চাঁপা চাকমা: এটা বিশাল একটা ব্যাপার। এটার জন্য আমার সামনে এগিয়ে যাওয়ার যে দায়িত্ব আছে তা আরও বেড়ে গেছে।
ইউএনবি: কাপড়ে মায়ের করা নকশা দেখেই উদ্বুদ্ধ হওয়া। কিন্তু বুনন শিল্পে না গিয়ে রঙ-তুলি বেছে নেওয়ার পেছনে কি কোনো বিশেষ কারণ ছিল?
কনক চাঁপা চাকমা: মাকে দেখেছি ভেজিটেবল ডাই করতে। হলুদ, খয়ের, গাছের বাকল, গাছের পাতা থেকে রং করতেন। এগুলো আমার চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল। হয়তো ছোটবেলায় আমার মনের মধ্যে প্রথিত হয়েছিল এসব রং, ভালোবাসা, অনুপ্রেরণা। সেই ভালো লাগার বহিপ্রকাশ দরকার। তারপর আমি ছবি আঁকা শুরু করলাম। হোম ওয়ার্কের খাতা থেকে বাড়ির দেয়াল সবখানেই আঁকাআঁকি করতাম। স্কুল জীবন শেষে বুঝতে পারলাম ভালোলাগা, স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার এটায় জায়গা। এরপর আমি বাবা-মাকে বলি আমি শিল্পী হব। এভাবেই পথ চলা শুরু।
আরও পড়ুন: একুশে পদক ২০২৩ বিজয়ী কনক চাঁপাকে গ্যালারি কসমসের সংবর্ধনা
১ বছর আগে
একুশে পদক ২০২৩ বিজয়ী কনক চাঁপাকে গ্যালারি কসমসের সংবর্ধনা
২০২৩ সালের একুশে পদক বিজয়ী ও বিশিষ্ট শিল্পী কনক চাঁপা চাকমাকে সংবর্ধনা প্রদান করেছে বাংলাদেশের শিল্প ও শিল্পীদের সমর্থনকারী প্ল্যাটফর্ম গ্যালারি কসমস।
ঢাকার বারিধারার গার্ডেন গ্যালারিতে গ্যালারি কসমস আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
গ্যালারি কসমসের পরিচালক তেহমিনা এনায়েতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রখ্যাত শিল্পপতি ও শিল্পকলার পৃষ্ঠপোষক অঞ্জন চৌধুরী, একুশে পদকপ্রাপ্ত শিল্পী-শিক্ষাবিদ জামাল উদ্দিন আহমেদ, কসমস ফাউন্ডেশনের পরিচালক দিলশাদ রহমানসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
রাঙ্গামাটির দুর্গম পার্বত্য এলাকা তবলছড়িতে জন্ম নেওয়া কনক চাঁপা ১৯৮৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ থেকে মাস্টার্স অব ফাইন আর্টস ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর তিনি ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করেন, যেখানে তিনি মিড-আমেরিকা আর্টস অ্যালায়েন্স ফেলোশিপ লাভ করেন।
আরও পড়ুন: এসএম সুলতানের ২৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শিল্পকলায় আয়োজন
ডিগ্রী শেষ করে তিনি বাংলাদেশে ফিরে আসেন, তার শৈল্পিক যাত্রা অব্যাহত রাখেন এবং দেশের সমসাময়িক শিল্পপটের অন্যতম সফল শিল্পী হয়ে ওঠেন।
অনুষ্ঠানে গ্যালারি কসমসের পরিচালক তেহমিনা এনায়েত বলেন, ‘শিল্প আমাদের আবেগ, চিন্তাভাবনা, অনুপ্রেরণা ও আকাঙ্ক্ষার প্রকাশ। শিল্পের এই দর্শনগুলো কনক চাঁপা চাকমার কাজের মাধ্যমে আরও জাঁকজমকপূর্ণ হয়ে ওঠে, যিনি আমার বোনের মতো।’
তিনি আরও বলেন, ‘কনক চাঁপাকে আজ বাংলাদেশের অন্যতম বিশিষ্ট শিল্পী হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং তার শিল্প বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি অর্জন করেছে। তার অনেক চিত্রকর্ম চাকমা সম্প্রদায়ের প্রাণবন্ত জীবনকে প্রতিফলিত করে।’
তেহমিনা বলেন, ‘আধা-বাস্তববাদী এবং বিমূর্ত শৈল্পিক শৈলীর সংমিশ্রণে, কনক তার সম্প্রদায়ের জীবনকে চিত্রিত করেছেন, বিশেষত নারীদের; এবং অনেক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরষ্কার জয়ের মাধ্যমে তিনি দেখিয়েছেন- একজন শিল্পী এখনো একই সময়ে সামাজিকভাবে সচেতন ও ব্যাপকভাবে সফল হতে পারেন।’
আরও পড়ুন: শরৎ নাচে শুভ্র কাশে
১ বছর আগে
কবি আসাদ চৌধুরী আর নেই
একুশে পদকপ্রাপ্ত কবি আসাদ চৌধুরী নেই। বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) কানাডার অন্টারিওর লেকরিচ হেলথ ওশাওয়ায় ৮০ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
তার জামাতা নাদিম ইকবাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন এই কবি। তিনি ২০২২ সালের নভেম্বর থেকে ক্যানসারে ভুগছিলেন। এরপরে তাকে বেশ কয়েকবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
তার মৃত্যুতে দেশের সাহিত্যিক সমাজে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তার আচার-অনুষ্ঠান সম্পর্কে বিস্তারিত এখনো জানানো হয়নি।
কবি আসাদ চৌধুরী ১৯৪৩ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মেহেন্দিগঞ্জের উলানিয়ার জমিদার নামে পরিচিত এক সম্ভ্রান্ত বাঙালি মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
১৯৬৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর ১৯৭৩ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কলেজে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে প্রভাষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের উত্তাল সময়ে তিনি কলকাতার স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কন্ট্রিবিউটর ও উপস্থাপক হন। তিনি ১৯৭৩ সালে ঢাকা থেকে প্রকাশিত জয়বাংলা (কলকাতা থেকে প্রকাশিত) এবং দৈনিক জনপদ পত্রিকার সহকারী সম্পাদক ছিলেন।
সাংবাদিক হিসেবে তিনি ১৯৬৮ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত দৈনিক পূর্বদেশ পত্রিকার সংবাদদাতা হিসেবে কাজ করেন এবং অবসর গ্রহণের পর ডয়চে ভেলের বাংলা সার্ভিসের সম্পাদক হিসেবে কাজ করেন।
কবি আসাদ চৌধুরী বাংলা একাডেমির পরিচালক ও ফেলো এবং বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির আজীবন সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি দেশের রেডিও ও টিভি শিল্পী সমিতির সাবেক সহসভাপতিও ছিলেন।
তিনি বাংলাদেশ রাইটার্স ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ও সহসভাপতি, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সহযোগী সদস্য এবং ঢাকায় বাংলা-উর্দু সাহিত্য ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন।
'তবক দেওয়া পান', 'বিত্ত নাই বেসাতি নাই', 'এক্কা দোক্কা', 'জলের মাধ্যে লেখাজোখা', 'যে পারে পারুক', 'মধ্য মাঠ থেকে', 'মেঘের জুলুম পাখির জুলুম', 'নদীও বিবস্ত্র হয়', 'প্রেমের কবিতা', 'বাতাশ যেমন পরীক্ষিত', 'বৃষ্টি সংসারে আমি কেও নই' তার প্রকাশিত ও প্রশংসিত কয়েকটি কাব্যগ্রন্থ।
টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব হিসেবে আসাদ চৌধুরী অনেক অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন, বিশেষ করে 'রাত বিরাত' যা দর্শকদের মধ্যে জনপ্রিয়তা অর্জন করে।
দেশের সাহিত্যে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ সরকার ২০১৩ সালে কবি আসাদ চৌধুরীকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পদমর্যাদা একুশে পদকে ভূষিত করে। তিনি ১৯৮৭ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন।
১ বছর আগে
একুশে পদকপ্রাপ্ত নৃত্যশিল্পী জিন্নাত বরকতুল্লাহ মারা গেছেন
বাংলাদেশি নৃত্যশিল্পী ও অভিনেত্রী জিন্নাত বরকতুল্লাহ বুধবার বিকালে মারা গেছেন। বিভিন্ন স্বাস্থ্য জটিলতায় জিন্নাত বিকাল ৪টা ৪৫ মিনিটে তার ধানমন্ডির বাসায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বলে জানিয়েছে তার মেয়ে ও অভিনেত্রী বিজরী বরকতুল্লাহ।
প্রখ্যাত নৃত্যশিল্পী এই বছরের মার্চ মাসে ফুসফুসের সংক্রমণ এবং মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন এবং পাঁচ দিন নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (আইসিইউ) ছিলেন।
এর আগে ২০২০ সালে কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হওয়ার পর তিনি বেশ কয়েকটি জটিলতায় ভুগছিলেন। যার মধ্যে তিনটি ব্রেন স্ট্রোক, স্লিপ অ্যাপনিয়া, উচ্চ ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ ছিল।
আরও পড়ুন: মাইকেল জ্যাকসনের বিরুদ্ধে আনা যৌন নির্যাতনের মামলার শুনানি শুরু আপিল বিভাগে
তার স্বামী ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের প্রখ্যাত প্রযোজক মো. বরকতুল্লাহ ২০২০ সালে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
বর্ণাঢ্য কর্মজীবনে জিন্নাত বরকতুল্লাহ ২০০২ সাল থেকে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে (বিএসএ) প্রযোজনা বিভাগের পাশাপাশি নৃত্য ও সংগীত বিভাগের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের পর তিনি পারফর্মিং আর্ট একাডেমিতে যোগ দেন এবং বুলবুল ললিতকলা একাডেমি থেকে ছয় বছরের ডিপ্লোমাও অর্জন করেন।
আরও পড়ুন: পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান মারা গেছেন
একজন দক্ষ নৃত্যশিল্পী হিসেবে তিনি কত্থক, ভারতনাট্যম, মণিপুরি ও লোকনৃত্যের ফর্ম্যাটে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। ১৯৮০ সালে বিটিভি নাটক ‘মারিয়া আমার মারিয়া’ দিয়ে আত্মপ্রকাশের পর তিনি বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলের জন্য ৮০টিরও বেশি নাটকে অভিনয় করেন।
নৃত্য ও অভিনয়ের ক্ষেত্রে তার অবদানের জন্য তিনি ইউনেস্কো পুরস্কার, নাট্যসভা পুরস্কার, বাচসাস পুরস্কার এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি পুরস্কারসহ মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার লাভ করেন।
নৃত্যে অসামান্য অবদানের জন্য জিন্নাত বরকতুল্লাহকে ২০২২ সালে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার একুশে পদক দিয়ে সম্মানিত করা হয়।
আরও পড়ুন: ‘ঘুড্ডি’ পরিচালক সৈয়দ সালাহউদ্দিন জাকি মারা গেছেন
১ বছর আগে
কবি মোহাম্মদ রফিক আর নেই
একুশে পদক বিজয়ী কবি ও মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ রফিক রবিবার (৬ আগস্ট) রাতে মারা গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।
সোমবার (৭ আগস্ট) বাগেরহাটে বাবা-মায়ের কবরের পাশে তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করার কথা রয়েছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, কবি বিভিন্ন স্বাস্থ্য জটিলতায় ভুগছিলেন। রবিবার রাত ৯টার দিকে বরিশাল থেকে ঢাকায় আনার পথে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
তারা গণমাধ্যমকে জানান, তিন দিন আগে রফিক নিজ বাড়ি বাগেরহাটে যান। রবিবার তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রথমে তাকে বরিশাল শহরের স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নেওয়া হয়। সেখানে গেলে চিকিৎসকরা তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
কবি মোহাম্মদ রফিক ১৯৪৩ সালের ২৩ অক্টোবর বাগেরহাট সদর উপজেলার বেমরাতা ইউনিয়নের বাইতপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
ম্যাট্রিকুলেশন পাস করার পর তিনি ঢাকার নটরডেম কলেজের বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন। তবে, তিনি তারপর ঢাকা কলেজে মানবিক বিভাগে ভর্তি হন।
সেখানে বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের সঙ্গে তার বন্ধুত্ব হয়। এটি তার সাহিত্যিক চেতনায় গভীর ছাপ ফেলে।
আরও পড়ুন: কবি মোহাম্মদ রফিকের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
ঢাকা কলেজের পর রফিক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইংরেজি বিভাগে ভর্তি হন। ১৯৬৭ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক হন।
মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি ১ নম্বর সেক্টরে এবং পরে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে কাজ করেন এবং তার সাহিত্যকর্মের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রাণিত করেন।
স্বাধীনতার পর রফিক প্রথমে কলেজ শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। এরপর তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ইংরেজি বিভাগে যোগদান করেন।
তিনি তার কবিতার মাধ্যমে সমাজের নিপীড়নের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছিলেন। সামরিক স্বৈরশাসক হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদের বিরুদ্ধে তার রচিত ‘খোলা কবিতা’ শিরোনামের একটি কবিতা ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল।
তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘বৈশাখী পূর্ণিমা’ ১৯৭০ সালে প্রকাশিত হয়েছিল।
তার অন্যান্য উল্লেখযোগ্য রচনাগুলোর মধ্যে রয়েছে- ‘ধুলোর সংসারে এই মাটি’, ‘কীর্তিনাশা’, ‘কপিলা’, ‘স্বদেশী নিঃশ্বাস তুমিময়’, ‘মৎস্যগন্ধা’, ‘বিশখালীর সন্ধ্যা’, ‘কালাপানি’ ও ‘ত্রয়ী’।
সাহিত্যে তার অসামান্য অবদানের জন্য কবি মোহাম্মদ রফিক ২০১০ সালে একুশে পদকে ভূষিত হন।
তার অন্যান্য স্বীকৃতি ও পুরস্কারের মধ্যে রয়েছে- বাংলা একাডেমি পুরস্কার, প্রথম আলো বর্ষসেরা বই পুরস্কার এবং জেমকন সাহিত্য পুরস্কার।
আরও পড়ুন: অধ্যাপক পান্না কায়সার আর নেই
প্রবীণ সাংবাদিক এম শাহজাহান মিয়া মারা গেছেন
১ বছর আগে
একুশে পদক পাচ্ছে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনসহ ২টি প্রতিষ্ঠান ও ১৯ ব্যক্তিত্ব
বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব এবং দুটি প্রতিষ্ঠান এ বছর দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার একুশে পদক পাচ্ছেন।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় রবিবার তাদের নাম ঘোষণা করেছে।
আরও পড়ুন: একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক রণেশ মৈত্র মারা গেছেন
ভাষা আন্দোলনে অবদানের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন-খালেদা মনযুর-এ-খুদা, মুক্তিযোদ্ধা একেএম শামসুল হক (মরণোত্তর) এবং হাজী মোহাম্মদ মজিবর রহমান।
এছাড়া অভিনয়ে অবদানের জন্য-মাসুদ আলী খান ও শিমূল ইউসুফ এবং সঙ্গীতে মনোরঞ্জন ঘোষাল, গাজী আব্দুল হাকিম ও ফজল-এ-খোদা (মরণোত্তর) নির্বাচিত হয়েছেন।
অন্যদিকে, একুশে পদকের জন্য জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় (শিল্পী), নওয়াজীশ আলি খান (শিল্পী) এবং কনক চাঁপা চাকমা (শিল্পী)।
মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য- মমতাজ উদ্দিন (মরণোত্তর), সাংবাদিকতার জন্য শাহ আলমগীর (মরণোত্তর), গবেষণার জন্য আব্দুল মজিদ, শিক্ষার জন্য অধ্যাপক ড. মযহারুল ইসলাম (মরণোত্তর), সমাজসেবায় সাইদুল হক, অ্যাডভোকেট মঞ্জুরুল ইমাম (মরণোত্তর) নির্বাচিত হয়েছেন। রাজনীতির জন্য (মরণোত্তর), রাজনীতির জন্য আকতার উদ্দিন মিয়া (মরণোত্তর) এবং ভাষা ও সাহিত্যে অবদানের জন্য ড. মনিরুজ্জামান।
এছাড়া পুরস্কারের জন্য বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর এবং সমাজসেবার জন্য বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন-এ দুটি প্রতিষ্ঠানকে বাছাই করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: একুশে পদকপ্রাপ্ত নৃত্যশিল্পী গোলাম মোস্তফা মারা গেছেন
একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক রণেশ মৈত্রের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
১ বছর আগে
একুশে পদকপ্রাপ্ত নৃত্যশিল্পী গোলাম মোস্তফা মারা গেছেন
একুশে পদক বিজয়ী কোরিওগ্রাফার ও নৃত্যশিল্পী গোলাম মোস্তফা খান মারা গেছেন। রবিবার রাতে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মারা যান তিনি।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট নৃত্য শিল্পী গোলাম মোস্তফা খান নিউমোনিয়া ও বার্ধক্যজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান। গত ২৮ অক্টোবর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ‘মার্ডার শি রোট’ তারকা অ্যাঞ্জেলা ল্যান্সবেরি মারা গেছেন
মৃত্যুকালে খান তার স্ত্রী ও তিন কন্যা রেখে গেছেন।
বাংলাদেশে একজন নৃত্যের পথিকৃৎ হিসেবে তার সফল কর্মজীবনের পাশাপাশি খান ১৯৮০ সালে তার নৃত্য প্রতিষ্ঠান বেনিকা ললিতকলা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন।
এই আইকনের মৃত্যুতে শোক ও গভীর শোক প্রকাশ করেছেন সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
খালিদ প্রয়াত ব্যক্তির আত্মার চির শান্তি কামনা করেন এবং তার পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানান।
তিনি বলেন,বেনুকা ললিতকলা কেন্দ্রের মাধ্যমে গোলাম মোস্তফা খান বাংলাদেশে নৃত্যের বিকাশে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছিলেন।
খান ২০২০ সালে একুশে পদক এবং ২০১৬ সালে শিল্পকলা একাডেমি পদক পেয়েছিলেন।
এই অর্জনগুলো ছাড়াও তিনি নৃত্যে বিশেষ অবদানের জন্য বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পুরষ্কার পেয়েছিলেন। তার অনেক শিষ্য দেশ-বিদেশে সফল নৃত্যশিল্পী হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
তার জনপ্রিয় নৃত্যনাট্যগুলো হলো- ‘বেনুকর সুর,’ ‘তিন সুরে গাঁথা,’ ও ‘রক্তলাল অহংকার’।
আরও পড়ুন: বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা সাবিহ উদ্দিন মারা গেছেন
সাংবাদিক রায়হান চৌধুরী মারা গেছেন
২ বছর আগে
অভিনেতা মাসুম আজিজ আর নেই
মারা গেলেন অভিনেতা ও নাট্যকার মাসুম আজিজ। সোমবার বেলা ৩টার দিকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন একুশে পদকপ্রাপ্ত এই সাংস্কৃতি ব্যক্তিত্ব। অভিনেতার ছেলে উৎস জামান গণমাধ্যমে খবরটি নিশ্চিত করেছেন।
রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন মাসুম আজিজ। এ বছরে জানুয়ারিতে এই অভিনেতার শরীরে ক্যান্সার ধরা পড়ে। পরবর্তীতে তাকে ক্যামো দেয়া শুরু হয়। কিন্তু ২৪ সেপ্টেম্বর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে যান মাসুম আজিজ। সেদিনই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এরপর চিকিৎসায় উন্নতি হলে বাসায় নেয়া হলেও, কয়েকদিন পর শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে আবার হাসপাতালে নেয়া হয়। রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন মাসুম আজিজ।
আরও পড়ুন: অভিনেতা মাসুম আজিজ লাইফ সাপোর্টে
উৎস জামান জানান, কেন্দ্রিয় শহীদ মিনারে নেয়া হবে মাসুম আজিজের মরদেহ। যেখানে তাকে রাষ্ট্রীয় ও সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা রাখা হবে। এরপর নিয়ে যাওয়া হবে গ্রামের বাড়ি পাবনায়। সেখানে পারিবারিক কবরস্থানে সমাহিত করা হবে বরেণ্য এই অভিনেতাকে।
উল্লেখ্য, অভিনয়ের পাশাপাশি চিত্রনাট্যকার ও নাট্যনির্মাতা হিসেবেও বেশ পরিচিত ছিলেন মাসুম আজিজ। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালীন তিনি থিয়েটারে কাজ করা শুরু। এরপর ১৯৮৫ সালে তিনি প্রথম টিভি নাটকে অভিনয় করেন।
‘ঘানি’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য ২০০৬ সালে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা হিসেবে রাইসুল ইসলাম আসাদের সঙ্গে যুগ্মভাবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন মাসুম আজিজ।
আরও পড়ুন: জগজিৎ সিং স্মরণে মেসবাহর একক সঙ্গীতানুষ্ঠান
আবারও আসিফ-লগ্নজিতার মেলবন্ধন
২ বছর আগে