তারা বলছেন, এটা রোগীদের পরীক্ষা করার একটা ভালো উপায় হতে পারে।
ভাইরাস সংক্রমণ গন্ধ নেয়ার ক্ষমতা হ্রাস করে দেয় এ ধারণা নতুন নয়। শ্বাস-প্রশ্বাসের ভাইরাল সংক্রমণ গন্ধ নষ্ট হওয়ার একটি সাধারণ কারণ। কেননা তা বায়ুপ্রবাহ এবং গন্ধ শনাক্ত করার ক্ষমতায় হস্তক্ষেপ করতে পারে। সংক্রমণ সমস্যা সমাধানের পরে গন্ধ নেয়ার অনুভূতি সাধারণত ফিরে আসে। তবে খুব কম সংখ্যক ক্ষেত্রে সংক্রমণের অন্যান্য লক্ষণগুলো অদৃশ্য হওয়ার পরেও বজায় থাকতে পারে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এটি স্থায়ীও হতে পারে।
সংক্রমিত লোকদের গন্ধ নেয়ার ক্ষমতা হ্রাস পাওয়ার ক্ষেত্রে দক্ষিণ কোরিয়া, চীন এবং ইতালি থেকে ‘ভাল প্রমাণ’ পাওয়া গেছে বলে ব্রিটিশ রাইনোলজিকাল সোসাইটির সভাপতি এবং ইএনটি ইউকের একটি যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
কান, নাক এবং গলা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের প্রতিনিধিত্বকারী এ ব্রিটিশ দলটি বলছে, দক্ষিণ কোরিয়ায় ভাইরাস সংক্রমণের পরীক্ষা করা প্রায় ৩০ শতাংশ লোকের গন্ধের নেয়ার ক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে এবং কিছু ক্ষেত্রে সামান্য হ্রাস পেয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন তারা।
তারা বলছেন নতুন করোনাভাইরাস সম্পর্কে অন্যান্য লক্ষণগুলো- জ্বর, কাশি এবং শ্বাসকষ্ট হওয়া ছাড়াও সংক্রমিত লোকদের চিহ্নিত করার উপায় হিসেবে এটি কার্যকর হতে পারে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডাব্লিউএইচও) মহামারির প্রাদুর্ভাব বিশেষজ্ঞ মারিয়া ভেন কেরখাব সোমবার সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থা গন্ধ বা স্বাদের ক্ষমতা কমে যাওয়া করোনাভাইরাসের পরিক্ষিত বৈশিষ্ট্য কিনা তা নিয়ে কাজ করছে।’