তবে চলমান কোভিড-১৯ মহামারির কারণে হুমায়ূনের এবারের জন্মবার্ষিকীর বিভিন্ন অনুষ্ঠান সীমিত করার পাশাপাশি এগুলোর বেশিরভাগই আয়োজন করা হয়েছে ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে।
হুমায়ূন (১৩ নভেম্বর ১৯৪৮-১৯ জুলাই ২০১২) ছিলেন একাধারে লেখক, ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, ছোটগল্পকার, চিত্রনাট্যকার, চলচ্চিত্র নির্মাতা, গীতিকার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক।
১৯৭২ সালে প্রথম উপন্যাস ‘নন্দিত নরকে’ প্রকাশের পরপরই খ্যাতি লাভ করেন তিনি।
বাংলাদেশে পাঠকপ্রিয় এই লেখক দুই শতাধিক ফিকসন ও নন-ফিকসন বই লেখেন। ১৯৯০ ও ২০০০ দশকে তার বইগুলো একুশে বইমেলায় সর্বাধিক বিক্রি হয়।
তাকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী শ্রেষ্ঠ লেখকদের মধ্যে অন্যতম গণ্য করা হয়। বাংলা কথাসাহিত্যে তিনি সংলাপপ্রধান নতুন শৈলীর জনক।
বাংলা সাহিত্যে অসামান্য অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ হুমায়ূন আহমেদকে বাংলা একাডেমি পুরস্কার ও একুশে পদক দেয়া হয়।
নব্বই দশকের শুরুতে চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে আবির্ভাব ঘটে তার। নিজের উপন্যাসের ওপর ভিত্তি করে হুমায়ূনের পরিচালিত চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে আগুনের পরশমণি, শ্যামল ছায়া, শ্রাবণ মেঘের দিন, দুই দুয়ারী, চন্দ্রকথা, নয় নম্বর বিপদ সংকেত, ঘেটুপুত্র কমলা। আগুনের পরশমণি, দারুচিনি দ্বীপ ও ঘেটুপুত্র কমলা চলচ্চিত্রের জন্য বাংলাদেশ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন তিনি।
বাংলা সাহিত্যের বিশিষ্ট লেখকের জন্মদিন উপলক্ষে তার পরিবারের সদস্যরা, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন ও টিভি চ্যানেলগুলো বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে।
হুয়ায়ূন আহমেদের স্মরণে ২০১৫ সালে প্রবর্তিত হয় ‘হুমায়ূন আহমেদ সাহিত্য পুরস্কার’। এক্সিম ব্যাংকের সহযোগিতায় পুরস্কারটি প্রবর্তন করেছে জনপ্রিয় পাক্ষিক ‘অন্যদিন’। শুক্রবার সেই জননন্দিত লেখকের জন্মদিন সামনে রেখে বৃহস্পতিবার বিকালে প্রদান করা হয় ‘এক্সিম ব্যাংক-অন্যদিন হুমায়ূন আহমেদ সাহিত্য পুরস্কার-২০২০।’
এবার সাহিত্যে সামগ্রিক অবদানের জন্য এ পুরস্কার পেয়েছেন কথাসাহিত্যিক হাসনাত আবদুল হাই। আর ‘পুরুষপাঠ’ শীর্ষক গল্পগ্রন্থের জন্য নবীন সাহিত্যশ্রেণিতে এ পুরস্কার পেয়েছেন গল্পকার নাহিদা নাহিদ।