রায়হানের দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার তিনি এ তথ্য জানান।
শামসুল ইসলাম বলেন, ‘রায়হানের শরীরে অনেকগুলো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তাকে প্রচণ্ড মারধর করা হয়েছে। এসব কারণেই তার মৃত্যু হতে পারে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে এ ব্যাপারে বিস্তারিত বলা যাবে।’
নিহত রায়হান নগরীর আখালিয়ার নেহারিপাড়া এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি স্টেডিয়াম মার্কেট এলাকায় এক চিকিৎসকের চেম্বারে সহকারী হিসেবে কাজ করতেন।
গত ১১ অক্টোবর ভোরে রায়হান মারা যান। পুলিশের পক্ষ থেকে প্রথমে প্রচার করা হয়, ছিনতাইয়ের দায়ে নগরীর কাষ্টঘর এলাকায় গণপিটুনিতে নিহত হন রায়হান। তবে বিকালে পরিবারের বক্তব্য পাওয়ার পর ঘটনা অন্যদিকে মোড় নিতে থাকে।
পরিবারের দাবি, সিলেট মহানগর পুলিশের বন্দরবাজার ফাঁড়িতে পুলিশের নির্যাতনে প্রাণ হারান রায়হান। ওই রাতেই পুলিশকে অভিযুক্ত করে সিলেটের কোতোয়ালি থানায় হেফাজতে মৃত্যু আইনে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন নিহতের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নি।
পরদিন এ ঘটনায় সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (উত্তর) শাহরিয়ার আল মামুনকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ হেফাজতে রায়হানের মৃত্যু ও নির্যাতনের প্রাথমিক সত্যতা পায় তদন্ত কমিটি।
দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টার দিকে রায়হানের লাশ আবার দাফন করা হয়।
এর আগে, ওই দিন সকালে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সজিব আহমেদ ও মেজবাহ উদ্দিন, পিবিআইর তদন্ত কর্মকর্তা মাহিদুল ইসলাম এবং স্থানীয় কাউন্সিলর মখলেছুর রহমান কামরানের উপস্থিতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) একটি দল আখালিয়া এলাকার নবাবী মসজিদের পঞ্চায়েতি গোরস্থান থেকে রায়হানের লাশ উত্তোলন করে।
এরপর ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ওসমানী মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়। রায়হানের দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের জন্য ফরেনসিক বিভাগের প্রধান, ওসমানী মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ডা. শামসুল ইসলামকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি বোর্ড গঠন করা হয়। বোর্ডের অন্য সদস্যরা হলেন- প্রভাষক ডা. দেবেস পোদ্দার ও প্রভাষক ডা. আবদুল্লাহ আল হেলাল।