এরইমধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণে হটস্পট হিসেবে পরিচিত এ জেলায় হাট বাজার খোলা মাঠে স্থানান্তর এবং সপ্তাহে দুই থেকে তিনদিন নির্দিষ্ট সময়ে হাট বাজার বসানোর জন্য প্রশাসনের প্রতি দাবি করছেন তারা।
এদিকে, গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা, মালেকের বাড়ি, চেরাগআলী, টঙ্গী বাজার, সালনা, মাস্টারবাড়ি, কোনাবাড়িসহ শ্রমিক অধ্যূষিত এলাকায় লকডাউন মানছেন না সাধারণ মানুষ। এসব এলাকার হাট, বাজার ও অলিগলিতে মানুষের ভিড় দেখে তা বুঝারও উপায় নেই। জেলায় লকডাউন অমান্য করেই চলছে নির্মাণ কাজ ও চায়ের দোকানে বসছে আড্ডা।
লোকসমাগমের এসব স্পটে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্বের নিয়ম নীতি না মানার কারণে করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার বেড়ে যাচ্ছে বলে মনে করছেন সাধারণ মানুষ।
গত মঙ্গলবার আইইডিসিআরের রিপোর্ট অনুযায়ী শুধুমাত্র জেলার গাছা থানায় ২১ জন পুলিশ সদস্যের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। এছাড়া বিভিন্ন হাসপাতাল, মেডিক্যাল কলেজ ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নার্স, চিকিৎসক ও মেডিকেল কর্মীরাসহ সাধারণ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন।
করোনাভাইরাসের নতুন হটস্পট গাজীপুরে এ পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছেন ২৭৯ জনের। আইইডিসিআরের দেয়া তথ্যমতে এ জেলার সংক্রমণের হার প্রায় ২০ শতাংশ।