গাইবান্ধা সদরের লক্ষীপুর ইউনিয়নের উজীর ধরনী বাড়ি গ্রামে বৃহস্পতিবার রাতে আটকে থাকা এক যুবককে উদ্ধার করছে ফায়ার সার্ভিস।
উদ্ধার হওয়া যুবক শিপন ওই গ্রামের নুরুজ্জামান মিয়ার ছেলে।
আরও পড়ুন: ৯৯৯ এ কল: সমুদ্রে বিকল ট্রলার থেকে ১৫ মৎস্যজীবী উদ্ধার
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হঠাৎ শিপন বাড়ির আম গাছের মগডালে ওঠে গান গাইতে থাকে। রাত যতোই বাড়তে থাকে অন্ধকারও বাড়তে থাকে। বাড়ির লোকজন ও তার পরিবার স্বজনরা যুবক শিপনকে গাছ থেকে নামতে বলেন। কিন্তু শিপন কথা না শুনে গাছের এ ডাল থেকে ওডালে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়াতে থাকে।
বাড়ির লোকজন ও শিপনের বাবা-মা বলেন, ‘তাদের ছেলের ওপর জ্বীনের আছর হয়েছে। সে কারণে যে অন্ধকারের মধ্যে গাছের ডালে ঝুলে আছে।’
আরও পড়ুন: ১০ ঘণ্টা পর স্কুলের টয়লেট থেকে বাকপ্রতিবন্ধী ছাত্রী উদ্ধার
তারা জানান, গ্রামের লোকজন তাকে নামানোর জন্য গাছে বাঁশ বেঁধে নামানোর চেষ্টা করে। কিন্তু শিপন এ ডাল থেকে ও ডালে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়াতে থাকে। এই অবস্থায় কয়েকজন ওঝা ও ঝাড়ফুকে কবিরাজকে খবর দেন। তারা বলেন, শিপনকে জ্বীনের আছর করেছে। তাই তারা চারদিক থেকে মন্ত্র পড়ে জ্বিন ছাড়ানোর চেষ্টা করেন এবং গাছ থেকে নামানের জন্য ঝাঁড়ফুক করতে থাকেন। কিন্তু কোল লাভ না হওয়ায় বাধ্য হয়ে গাইবান্ধা ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশনে খবর দেয়া হয়। তারা এসে সাত ঘণ্টা ধরে চেষ্টা করে একপর্যায়ে রাত দেড়টার দিকে গাছের চারদিক থেকে রশি দিয়ে বেধে ফেলেন গাছে ওঠা যুবক শিপনকে। তারপর তাকে গাছের মগডাল থেকে নামিয়ে আনেন। এরপর যুবক শিপন জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। জরুরিভাবে তাকে গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালে নেয়া। তবে জ্ঞার ফেরার পর শুক্রবার সকালে শিপনকে এবিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি কিছুই বলতে পারে না বলে জানায়।
আরও পড়ুন: ৯৯৯ এ কল: ৩০ কেজি ওজনের অজগর উদ্ধার
এব্যাপারে গাইবান্ধা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ম্যানেজার নাসিম রেজা মিলু জানান, ঘটনাটি ভৌতিক বলেই মনে হলো। কারণ ছাড়াই তিনি গাছে উঠে বসে ছিল।