এলাকাবাসী জানায়, শুক্রবার দুপুরের দিকে কুমারখালী উপজেলার পদ্মা নদী তীরের মহেন্দ্রপুর পূর্বপাড়ার স্কুল পড়ুয়া শিশুরা খেলাধুলা করার সময় বেড়ি বাঁধের ঢালুতে আহত ওই বাজ পাখিটি দেখতে পায়।
এসময় কয়েকজন মিলে আহত পাখিটিকে নিয়ে খেলায় মত্ত হয়ে উঠলেও, বাকিরা সেটিকে বাঁচাতে পথচারীদের কাছে সাহায্য চায়। এক পর্যায়ে পথচারীদের সহায়তায় প্রায় ১৮ ঘণ্টা আগে শিকারীর গুলিতে আহত বাজ পাখিটিকে উদ্ধার করা হয়।
পরে ঘটনাস্থল থেকে স্থানীয় জগন্নাথপুর পুলিশ ক্যাম্পের কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তদন্ত কেন্দ্রের এক কর্মকর্তা আহত পাখিটিকে বন বিভাগের কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করার পরামর্শ দেন। এসময় উদ্ধার করা আহত পাখিটির দায়িত্ব নেয়া নিয়ে পথচারীরা বিপাকে পরে যান। অবশেষে শিকারীর ছেলে রানা অসুস্থ পাখিটিকে চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করে তোলার প্রতিশ্রুতি দেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গ্রামের স্কুলের পাশের একটি গাছে বিরল প্রজাতির এই বাজ পাখিটি বাসা বেঁধেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে শামসুল ওরফে শামসের বন্দুক দিয়ে গুলি চালালে পাখিটি আহত হয়। পরে ডান পাখায় গুলিবিদ্ধ পাখিটিকে পদ্মা নদী এলাকায় ফেলে দেয়া হয়।
পাখি শিকারীর ছেলে রানা জানান, পাখিটি গ্রামের মধ্যে মৌমাছির চাকে হানা দেয়ায় গ্রামবাসী হুমকির মুখে পড়ে যায়। এজন্য বাধ্য হয়ে তার বাবা পাখিটিকে মারার উদ্যোগ নেয়।
জগন্নাথপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের কর্মকর্তা মকুল উদ্ধার হওয়া আহত পাখিটি বন বিভাগের কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করার পরামর্শ দেন।
তবে আহত পাখিটি যাদের কাছে রয়েছে তারা যোগাযোগ করলে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজিবুল ইসলাম খান।