শিকারি
কুড়িগ্রামে সৌখিন মাছ শিকারির খোঁচায় ১৬ কেজির বোয়াল!
কুড়িগ্রামে সৌখিন মাছশিকারির খোঁচায় (মাছ ধরার উপকরণ) ধরা পড়েছে ১৬ কেজি ওজনের একটি বোয়াল মাছ। সোমবার কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পাঁচগাছী ইউনিয়নের গারুহাড়া এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদের শাখা নদীতে মাছটি ধরা পড়ে।
রবিবার রাতে মাছটি শিকার করেন ওই ইউনিয়নের ছত্রপুর এলাকার কামরুজ্জামান ও আব্দুল হাই নামের দুই ব্যক্তি।
আরও পড়ুন: তিস্তায় ধরা পড়লো ১৭ কেজি ওজনের বোয়াল
স্থানীয়রা জানান, সৌখিন মাছশিকারি কামরুজ্জামান ও আব্দুল হাই রাতে খোঁচা দিয়ে মাছ ধরতে যান গারুহারা এলাকায়। টচ লাইটের আলোয় মাছটি দেখতে পেয়ে খোঁচা দিয়ে আটক করা হয় মাছটিকে। পরে তারা বাড়িতে খবর দিলে বাড়ির লোকজন গিয়ে মাছটিকে নিয়ে আসে। পরে তারা মাছটিকে কেটে ভাগ করে নিয়েছেন।
সৌখিন মাছ শিকারি কামরুজ্জামান ভেজাল বলেন, আমরা মাঝে মধ্যেই বিভিন্ন এলাকায় মাছ শিকার করতে যাই। রাতে টর্চ লাইট জ্বালিয়ে খোঁচা দিয়ে মাছ ধরি। এর আগে এত বড় মাছ আমি পাইনি। জীবনের প্রথম ১৬ কেজির এ বোয়াল মাছটি ধরতে পারলাম। মাছটি দেখে পরিবারসহ সন্তানরা অনেক খুশি হয়েছে। পাশাপাশি মাছটিকে এক নজর দেখতে ভিড় জমিয়েছেন স্থানীয়রা।
কুড়িগ্রাম জেলা মৎস্য কর্মকর্তা কালিপদ রায় বলেন, এই সময়টা মাছের ডিম দেওয়ার সময়। এ কারণেই বিভিন্ন প্রজাতির মাছ অনেক স্থানে ছোটাছুটি করছে।
তিনি আরও বলেন, বোয়ালমাছ ধরা যাবে, তবে বাঘাআইর মাছ ধরা আইনত নিষিদ্ধ।
আরও পড়ুন: এক বোয়ালের দাম ৪৫ হাজার টাকা
পদ্মায় ধরা পড়ল ১১ কেজির বোয়াল
১ বছর আগে
সুন্দরবনে হরিণের মাংস-গুলিসহ এক ‘শিকারি’ আটক
খুলনার সুন্দরবনের নীলকমল অভয়ারণ্য এলাকা থেকে হরিণের মাংস, বন্দুকের গুলিসহ এক ‘শিকারি’কে আটক করেছে বন বিভাগ।
বুধবার সন্ধ্যায় একটি ট্রলারসহ হিরু আকন (২৫) নামে ওই ব্যক্তিকে আটক করা হয় এবং বৃহস্পতিবার তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
হিরু আকন বরগুনা জেলার তালতলা গ্রামের মালেক আকনের ছেলে।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে হরিণের পা’সহ ২ শিকারি আটক
এ সময় ট্রলার থেকে প্রায় ২০ কেজি হরিণের মাংস, একটি হরিণের চামড়া, বন্দুকের ১৯ রাউন্ড গুলি, লাইসেন্সের ফটোকপি, একটি চাপাতি, হরিণ ধরার ফাঁদ উদ্ধার করা হয়।
সুন্দরবনের নীলকমল অভয়ারণ্য কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম জানান, বুধবার বিকালে অভয়ারণ্য এলাকার পুটনীর দ্বীপে টহল দেয়ার সময় চরে হরিণ ধরার ফাঁদ দেখতে পাই। কিছু দূরে অবস্থান নিয়ে আমরা অপেক্ষা করি। কিছু সময় পর দেখা যায়, চার থেকে পাঁচ জন ব্যক্তি ফাঁদের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। তাদের একজনের হাতে বন্দুক এবং একজনের হাতে রাম দা।
বনরক্ষীদের উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের কয়েকজন বনের ভেতরে, একজন ট্রলার নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় স্পিডবোড নিয়ে ট্রলারকে ধাওয়া করে হিরু আকনকে আটক করা হয়।
তিনি আরও জানান, জিজ্ঞাসাবাদে হিরু আকন জানিয়েছে, বন্দুকধারী ব্যক্তির নাম আবদুল মালেক। তার বাড়ি খুলনা নগরীর মুসলমানপাড়া এলাকায়, রামদা ধারী ব্যক্তির নাম মো. মামুন।
তাদের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে হরিণের মাংস ও দু’টি চামড়াসহ ২ শিকারি আটক
বাঘ শিকারি ‘বাঘ হাবিব’ আটক
১ বছর আগে
বাগেরহাটে হরিণের মাংস ও দু’টি চামড়াসহ ২ শিকারি আটক
সুন্দরবন এবং বনসংলগ্ন লোকালয়ে পৃথক অভিযান চালিয়ে ১৫ কেজি হরিণের মাংস এবং দু’টি হরিণের চামড়াসহ শিকারিচক্রের দুই সদস্যকে আটক করা হয়েছে। সোমবার বিকালে ও রবিবার সন্ধ্যায় বাগেরহাট জেলার শরণখোলা উপজেলাধীন সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের ডিমের চর এবং বনসংলগ্ন পানিরঘাট এলাকায় একটি বসত বাড়িতে অভিযান চালায় সুন্দরবন পূর্ব বিভাগ। এঘটনায় পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আটক দুই শিকারি হলেন- বরগুনা জেলার পাথরঘাটার পদ্মা গ্রামের মো. ইদ্রিস (৪০) এবং একই উপজেলার চরলাঠিমারা গ্রামের মো. নিজাম (৪৫)।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের সহকারি বন সংরক্ষক (এসিএফ) মো. সামছুল আরেফিন জানান, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বন বিভাগের সদস্যরা সোমবার বিকালে শরণখোলা উপজেলার পানির ঘাট গ্রামের হরিণ শিকারি তানজের আলীর বাড়ির টিনের চাল থেকে হরিণে দু’টি চামড়া উদ্ধার করে। সুন্দরবন থেকে হরিণ শিকার করার পর ওই দু’টি চামড়া টিনের চালে রোদে শুকানো হচ্ছিল। বন বিভাগের সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে বাড়ির লোকজন এসময় পালিয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: শরণখোলায় ২ হরিণের চামড়া উদ্ধার
১ বছর আগে
বাগেরহাটে ৭ শতাধিক শালিক পাখি উদ্ধার, পালিয়ে গেছে শিকারি
বাগেরহাটের মোল্লাহাটে একটি গোয়াল ঘর থেকে সাত শতাধিক শালিক পাখি উদ্ধার করা হয়েছে। শিকারিরা বিভিন্ন খাল-বিল থেকে ওই পাখি শিকার করে গোয়াল ঘরে আটকে রেখেছিল। শনিবার গভীর রাতে মোল্লাহাট থানা পুলিশ পাখি উদ্ধার করতে রাজপাট গ্রামের কাকা মিয়ার বাড়িতে অভিযান চালায়। তবে পাখি শিকার ও বিক্রির সঙ্গে যারা যুক্ত তাদের কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। রবিবার দুপুরে পাখিগুলো অবমুক্ত করা হয়েছে। পাখির ঝাঁক ফিরে গেছে আপন ঠিকানায়।
মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোমেন দাশ জানান, রাজপাট গ্রামের কাকা মিয়ার বাড়িতে বিপুল সংখ্যক পাখি শিকার করে আটকে রাখা হয়েছে গোপন সূত্রে এমন-খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালায়। এসময় একটি গোয়ালঘর থেকে সাত শতাধিক শালিক পাখি উদ্ধার করা হয়। জাল দিয়ে ওই সব পাখি আটকে রাখা ছিল। পাখি শিকারের কাজে ব্যবহৃত বেশকিছু জাল জব্দ করা হয়েছে। অভিযানের খবর পেয়ে ওই বাড়ির সব লোকজন অন্যত্র পালিয়ে গেছে।ি
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে মুদি দোকানিকে পিটিয়ে হত্যা, যুবক গ্রেপ্তার
বাগেরহাটে বন বিভাগের সদস্যদের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা
বাগেরহাটে মঞ্চস্থ হলো গণহত্যা বিষয়ক নাটক ‘ডাকরা ও তারপর’
২ বছর আগে
বাগেরহাটে বন বিভাগের সদস্যদের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা
বাগেরহাটে বন বিভাগের সদস্যদের ওপর সুন্দরবনের হরিণ শিকারিদের হামলা ও অস্ত্র ভাঙচুরের ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়েছে। নয়জনের নাম উল্লেখসহ আরও অজ্ঞাত পরিচয়ের ১৫ থেকে ২০ জনকে ওই মামলায় আসামি করা হয়েছে।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের জিউধরা স্টেশন কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় মোড়েলগঞ্জ থানায় ওই মামলা করেন। তবে এখন পর্যন্ত পুলিশ ওই মামলার কোন আসামি আটক করতে পারেনি।
মোড়েলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার চৌধুরী জানান, বন বিভাগের সদস্যদের ওপর হামলা, সরকারি কাজে বাঁধা, অস্ত্র ভাঙচুর, গুলি ছিনিয়ে নেয়া এবং মারধরের অভিযোগ এনে বন বিভাগ এজাহার দায়ের করে। মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়েছে। আসামিদের ধরতে পুলিশের একাধিক টিম বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালাচ্ছে। শিগগিরই আসামিরা ধরা পরবে বলে তিনি আশাবাদী।
আরও পড়ুন: বন বিভাগের অনুমতির আগেই ২০০ গাছ কেটে ফেলল সিসিক
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারি বন সংরক্ষক (এসিএফ) এনামুল হক জানান, বন বিভাগের সদস্যদের ওপর যারা হামলা চালিয়েছে তারা সবাই সুন্দরবনের হরিণ শিকারি চক্রের সদস্য। এ ঘটনায় বন বিভাগের পক্ষ থেকে থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার ভোরে বাগেরহাট জেলার মোড়েলগঞ্জ উপজেলার জিউধরা গ্রামে হরিণের মাংস উদ্ধার করতে গেলে একদল হরিণ শিকারি বন বিভাগের সদস্যদের উপর হামলা চালায়। হামলায় বন বিভাগের দুজন নৌকা চালক আহত হয়। হামলাকারীরা এসময় বন প্রহরীদের একটি চাইনিজ রাইফেল ভাঙচুর করে এবং পাঁচ রাউন্ড গুলি লুট করে। এরপর বন বিভাগের সদস্যদের তারা একটি ঘরে আটকে রাখে। পরে পুলিশ এবং বন কর্মকর্তারা সেখানে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর চরে হবে বন বিভাগের টহল ফাঁড়ি
২ বছর আগে
সুন্দরবনে হরিণের মাংস ও মাথাসহ শিকারি আটক
সুন্দরবন থেকে হরিণের মাংস ও মাথাসহ এক শিকারিকে আটক করেছে কোস্টগার্ড। এসময় তার কাছ থেকে ১২ কেজি হরিণের মাংস এবং একটি মাথা উদ্ধার করে কোস্টগার্ড।
আরও পড়ুনঃ বাগেরহাটে ২২ কেজি হরিণের মাংসসহ শিকারি আটক
শুক্রবার বিকালে খুলনা জেলার দাকোপ উপজেলাধীন নলীয়ান এলাকা থেকে ওই হরিণ শিকারিকে আটক করা হয়।
আটক মো. আক্তার গাজী (৩০) খুলনা জেলার দাকোপ উপজেলার নলিয়ান গ্রামের বকস গাজীর ছেলে।
আরও পড়ুনঃ বাগেরহাটে হরিণের পা’সহ ২ শিকারি আটক
শনিবার কোস্টগার্ড মোংলা পশ্চিম জোনের লেফটেন্যান্ট এম মামনুর রহমান প্রেরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোনের বিসিজি আউটপোস্ট নলিয়ানের একটি দল বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান চলাকালে হরিণের মাংস এবং মাথাসহ হরিণ শিকারি মো. আক্তারকে আটক করা হয়।
আরও পড়ুনঃ বাগেরহাটে হরিণ শিকারি আটক
উদ্ধারকৃত হরিণের মাংস ও মাথাসহ শিকারিকে নলিয়ান ফরেস্ট অফিসে হস্তান্তর করা হয়েছে।
৩ বছর আগে
বাঁশি ব্যবহার করে অতিথি পাখি শিকার!
শীতের শুরুতেই অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে উঠছে খুলনার নয় উপজেলার বিভিন্ন খাল-বিল ও জলাশয়। এসব পাখির মধ্যে বালি হাঁস, বক, জলপিপি, কোম্বডাক, সরালী, কাস্তেচাড়া, পাতাড়ি হাঁস, পানকৌড়ি, কাদাখোঁচা, হুরহুর, খয়রা ও সোনা রিজিয়া অন্যতম।
৩ বছর আগে
বাগেরহাটে ৩৬ কেজি হরিণের মাংসসহ শিকারি আটক
সুন্দরবন থেকে শিকার করে লোকালয়ে ফেরার সময় ৩৬ কেজি হরিণের মাংসসহ এক শিকারিকে আটক করা হয়েছে।
৪ বছর আগে
আহত বাজ পাখিটির দায়িত্ব নিল শিকারীর ছেলে!
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার পদ্মা নদীর তীর থেকে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা বিরল প্রজাতির এক বাজ পাখির দায়িত্ব নিয়েছে শিকারীর ছেলে রানা।
৪ বছর আগে