এক মাস ৮ দিন বন্ধ থাকার পর মঙ্গলবার (১৪ মে) থেকে উৎপাদনে ফিরেছে চাঁদপুর ১৫০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র।
সোমবার দিবাগত রাত ১টায় গ্যাস সংকটের মধ্যেই ১০০ মেগাওয়াট ইউনিটের মধ্যে ৫০ মেগাওয়াট উৎপাদনে যেতে সক্ষম হয়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি।
জানতে চাইলে মঙ্গলবার বিকালে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোহাম্মদ নূরুল আবছার ইউএনবিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: সর্বনিম্ন দামে বিদ্যুৎ পেলেও হরিপুর ৩৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুক্তির মেয়াদ বাড়ছে না: সূত্র
মোহাম্মদ নূরুল আবছার বলেন, ‘২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে নিয়মিত পরীক্ষার অংশ হিসেবে দীর্ঘ ১৪ মাস বন্ধ থাকার পর চলতি বছরের ১০ মার্চ চাঁদপুর ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন কেন্দ্রটি ১০০ মেগাওয়াট ইউনিট উৎপাদনে আসে। মার্চ মাস চালু ছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘তবে অপর ৫০ মেগাওয়াট ইউনিট তখনও চালু করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু গত ৫ এপ্রিল জেনারেটর বেয়ারিংয়ে ওয়েল লিকেজ থেকে এক অগ্নিকাণ্ডে আবারও উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।’
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাসের দাম ইউনিট প্রতি ৭৫ পয়সা বাড়াল সরকার
নূরুল আবছার বলেন, ‘বেয়ারিংয়ে ওয়েল লিকেজ মেরামত কাজের জন্য এক মাস ৮ দিন বন্ধ থাকার পর আবারও বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়েছে। তবে গ্যাস সংকটের কারণে এখন ১০০ মেগাওয়াট ইউনিটের ৫০ মেগাওয়াট উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে। গ্যাস কোম্পানির সঙ্গে কথা হয়েছে। গ্যাসের সরবরাহ বাড়লে ১০০ মেগাওয়াট উৎপাদন সম্ভব হবে।’
তিনি জানান, বর্তমানে উৎপাদিত ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রটির দুটি ইউনিট রয়েছে। একটি ১০০ মেগাটওয়াট এবং অপরটি ৫০ মেগাওয়াটের।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ২৫ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শহরের বালুরমাঠে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ২০১২ সালের মার্চ থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করে কেন্দ্রটি। চীনা কোম্পানি চেংদা ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ করেন।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎকেন্দ্রের বকেয়া পরিশোধের জন্য বেসরকারি ব্যাংকের সঙ্গে সরকারের বন্ড চুক্তি সই