অগ্নিকাণ্ডের পর মঙ্গলবার সকাল থেকে বিদ্যুতহীন হয়ে পড়ে সিলেট। এর প্রায় ৩১ ঘণ্টা পর বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে নগরের কিছু এলাকায় বিদ্যুত সরবরাহ স্বাভাবিক হলেও এখনও অন্ধকারে রয়েছে জেলার বেশিরভাগ এলাকা।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার মধ্যে সিলেটের বিদ্যুত ব্যবস্থা পুরো স্বাভাবিক হতে পারে বলে জানিয়েছেন সিলেটের বিদ্যুত বিভাগের কর্মকর্তারা।
এদিকে, বিদ্যুত না থাকায় অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সিলেটের বাসিন্দাদের। নগরজুড়ে দেখা দিয়েছিলে তীব্র পানি সঙ্কট।
বিদ্যুত বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাত পর্যন্ত বিদ্যুত বিতরণ বিভাগ-১, ২ ও ৪ এর আওতাধীন কিছু এলাকায় বিদ্যুত সরবরাহ শুরু হয়েছে। বাকী এলাকাগুলো বিদ্যুত সরবরাহ শুরু করতে কাজ চলছে। তবে পুরো স্বাভাবিক হতে আরও কিছুটা সময় লাগবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নগরীর জল্লারপাড়, মির্জাজাঙ্গাল, দাড়িয়াপাড়া, লামাবাজার, রিকাবিবাজার, দক্ষিণ সুরমা বিভিন্ন এলাকায় এখনও বিদ্যুত সরবরাহ শুরু হয়নি। বিদ্যুত বিচ্ছিন্ন রয়েছে নগরের উপকণ্ঠের এলাকাগুলো ও বিভিন্ন উপজেলা।
তবে নগরের বেশিরভাগ এলাকায় এরমধ্যে বিদ্যুত সরবরাহ সচল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুত বিভাগের কর্মকর্তারা। তারা বলেন, যেহেতু মেরামত কাজ এখনও শেষ হয়নি। একসাথে সব জায়গায় বিদ্যুত সরবরাহ সচল রাখা যাচ্ছে না। আপাতত রেশনিং পদ্ধতিতে নগরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে বিদ্যুত প্রদান করা হচ্ছে।
বিদ্যুত উন্নয়ন ও বিতরণ বিভাগ সিলেটের প্রধান প্রকৌশলী খন্দকার মোকাম্মেল হোসেন বলেন, অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত যন্ত্রপাতি মেরামত ও পুনঃস্থাপন শেষে বুধবার সন্ধ্যা থেকে আমরা সীমিত আকারে বিদ্যুত সবরাহ শুরু করেছি। এখনও আমাদের কর্মীরা গ্রিড লাইনে মেরামত কাজ করছেন। দুর্ঘটনার পর থেকে টানা কাজ করে যাচ্ছেন সবাই। আশা করছি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা নাগাদ বিদ্যুত ব্যবস্থা পুরো সচল করা সম্ভব হবে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে সিলেটের কুমারগাওয়ে বাংলাদেশ পাওয়ার গ্রিড (পিজিসিবি)-এর নিয়ন্ত্রণাধীন জাতীয় গ্রিড লাইনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুনে দু’টি উচ্চ ক্ষমতার ট্রান্সফরমার, সার্কিট ব্রেকার, কন্ট্রোল প্যানেল পুড়ে যায়। এতে বিদ্যুতহীন হয়ে পড়ে সিলেট ও সুনামগঞ্জের প্রায় সাড়ে ৪ লাখ গ্রাহক।