সোমবার সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রট দ্বিতীয় আদালতের বিচারক সাইফুর রহমান এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে, অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বেলা ১১টা থেকে আদালত এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পরে পুলিশি পাহারায় প্রিজনভ্যানে করে ১১টা ৪০ মিনিটে সাইফুর ও অর্জুনকে আদালতে নিয়ে আসা হয়।
আদালতে সাইফুর ও অর্জুনকে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহপরাণ থানার ওসি (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালতের বিচারক পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বলে জানান সিলেট মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) অমূল্য কুমার চৌধুরী।
রবিবার সকালে সাইফুর ও অর্জুনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সাইফুরকে সুনামগঞ্জের ছাতক সীমান্ত এলাকা থেকে এবং অর্জুনকে হবিগঞ্জের মাধবপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত শুক্রবার রাত ৮টার দিকে এমসি কলেজের ফটকের সামনে বেড়াতে যাওয়া এক তরুণী ও তার স্বামীকে জোরপূর্বক কলেজের ছাত্রাবাসে নিয়ে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণ করেন একদল তরুণ। এ ঘটনায় ওই দিন রাতেই ধর্ষণের শিকার তরুণীর স্বামী বাদী হয়ে সিলেটের শাহ পরান থানায় ছয়জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত তিনজনকে আসামি করে একটি দায়ের করেন। তারা হলেন সাইফুর রহমান (২৮), শাহ মাহবুবুর রহমান রনি (২৫), অর্জুন লস্কর (২৫), মাহফুজুর রহমান মাসুম (২৫), রবিউল ইসলাম (২৫) ও তারেকুল ইসলাম (২৮)।
এদিকে, সংঘবদ্ধ ধর্ষণের এ মামলায় গ্রেপ্তার আসামির সংখ্যা বেড়ে পাঁচজনে দাঁড়িয়েছে।
ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার কচুয়া নয়াটিলা এলাকা থেকে রবিবার রাত ১টার দিকে মামলায় অজ্ঞাত হিসেবে থাকা রাজন নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে, রাত ১০টার দিকে হবিগঞ্জ ডিবি পুলিশের অভিযানে নবীগঞ্জ উপজেলা থেকে আসামি রবিউল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন।
এছাড়া, হবিগঞ্জ সদর থেকে মামলার দ্বিতীয় আসামি শাহ মাহবুবুর রহমান রনিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। রাত ৯টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৯-এর মিডিয়া অফিসার এএসপি ওবাইন।