ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) বুধবার তার অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়।
সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মোঃ শফিকের তত্ত্বাবধানে কাজী নাজিব হাসান চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এর আগে বুধবার সকাল ১১টার দিকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকায় পৌঁছে কাজী নাজিবকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি। পরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাকে সিএমএইচের অস্ত্রোপচার কক্ষে নেয়া হয়। প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী চলে তার অপারেশন।
কাজী নাজিব হাসানের বাবা কাজী গোলাম মহিউদ্দিন তসলিম জানান, আমরা এখন ঢাকার সিএমএইচে রয়েছি। ভালোভাবেই অপারেশন সম্পন্ন হয়েছে। নাজিব সুস্থ আছে।
গত ২৯ মার্চ ঝিকরগাছায় করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে হোম কোয়ারেন্টাইন ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার অভিযান পরিচালনার সময় একটি বেপরোয়া মোটরসাইকেলের ধাক্কায় গুরুতর আহত হন এসিল্যান্ড নাজিব। মোটসাইকেলের আঘাতে তার ডান পায়ের হাড় ভেঙে যায়। এ সময় তাকে যশোর পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে সোমবার রাতে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যাপক অনাদি রঞ্জন মন্ডল বলেন, ৩১ মার্চ দিনভর সব ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। এসিল্যান্ড নাজিবের পা ভাঙার সমস্যাকে আমরা ততটা গুরুতর হিসেবে দেখছি না। অস্ত্রোপচার করলে এটা ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু সেদিনের আঘাতে শরীরে অগ্নাশয়ে প্রদাহ দেখা দিয়েছে, যা খুব ঝুঁকিপূর্ণ। প্রচণ্ড পেটে ব্যথা হচ্ছে তার। যেকোনও সময় সিসিইউ বা আইসিইউ দরকার হতে পারে, তাই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, কাজী নাজিব হাসান ফরিদপুর শহরের ঝিলটুলী দক্ষিণ কালীবাড়ি এলাকার আওয়ামী লীগ নেতা কাজী গোলাম মহিউদ্দিন তসলিমের ছেলে ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা কাজী সালাউদ্দিনের ভাতিজা। তিনি ৩৩তম বিসিএসে চিকিৎসক হিসেবে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে কর্মজীবন শুরু করেন। পরে ৩৫তম বিসিএসে তিনি প্রশাসন ক্যাডারে যোগ দেন।