অস্ত্রোপচার
ফরিদপুরে অস্ত্রোপচারের সময় নবজাতকের পেট কেটে ফেলার অভিযোগ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে
ফরিদপুরের সৌদি বাংলা বেসরকারি হাসপাতালে সিজারিয়ান অপারেশনের সময় নবজাতকের পেট কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে এক গাইনি চিকিৎসকের বিরুদ্ধে।
ওই শিশুকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
জানা যায়, শহরের চর কমলাপুর এলাকার বাসিন্দা নায়েব আলীর স্ত্রী মুরশিদা বেগমের প্রসব বেদনা শুরু হলে শনিবার (২২ জুন) বিকালে বেসরকারি হাসপাতাল সৌদি বাংলায় ভর্তি করেন। সেখানকার গাইনি চিকিৎসক ডা. শিরীন আক্তার সিজারিয়ান অপারেশন করেন। সেখানে কন্যা সন্তানের জন্ম দেন মুরশিদা বেগম।
নবজাতকের বাবা নায়েব আলী বলেন, ‘আমার হাতে আমার সন্তানকে তুলে দেয়। কিছু সময় পর দেখতে পাই নাভির পাশ দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে। নাভির পাশে বেশ খানিকটা কাটা। শরীর নীল হয়ে যাচ্ছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানালে তারা প্রথমে কোনো গুরুত্ব দেয়নি। পরে রক্ত বেশি বের হলে ওই চিকিৎসককে খবর দেওয়া হয়ে তিনি এসে নাভির পাশে কেটে ফেলা অংশে দুইটি সেলাই করে দেন।’
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে মন্দিরে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় পিটুনিতে নিহত নির্মাণ শ্রমিকদের সম্পৃক্ততার প্রমাণ মেলেনি
তিনি আরও বলেন, ‘রাতেই শিশু হাসপাতালে নিয়ে যাই, সেখানকার চিকিৎসকরা ঢাকায় নিয়ে যেতে বলেন। আমার আর্থিক অবস্থা ভালো না। তাই ঢাকায় না নিয়ে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছি। আমার প্রথম সন্তান, কোনোভাবেই এটা মেনে নিতে পারছি না।’
এরপর ওই শিশুটিকে রাতেই ডা. জাহেদ মেমোরিয়াল শিশু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে রবিবার (২৩ জুন) সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে ওই শিশু হাসপাতালটির শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।
সৌদি বাংলা হাসপাতালের গাইনি চিকিৎসক ডা. শিরীন আক্তার জানান, অনাকিাঙ্ক্ষিত ঘটনা। অপারেশন করার সময় দেখতে পাই নবজাতকের অবস্থান ঠিক জায়গায় ছিল না। এছাড়া নাড়িতেও জড়িয়ে ছিল। কিছুটা অংশ ফেটে যায়। পরে সেলাই করে দেওয়া হয়।’
সৌদি বাংলা হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. শহিদুল ইসলাম লিখন বলেন, এটি একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। খবর পেয়ে হাসপাতালে এসে শিশুটির খোঁজখবর নিয়েছি। ওই শিশুটিকে সুস্থ করতে যাবতীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
ফরিদপুর কোতয়ালী থানার এস আই শামীম হাসান বলেন, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে হাসপাতালে গিয়েছিলাম, শিশুটির বিষয়ে খোঁজখবর নিয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগের প্রধান চিকিৎসক পারভেজ জানান, শিশুটিকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে ৭২ ঘণ্টার আগে কিছু বলা যাবে না।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে বাসচাপায় ইজিবাইকের ২ যাত্রী নিহত, আহত ৯
রাতের আঁধারে ‘চন্দনা কমিউটার ট্রেন’ আটকে দিল ফরিদপুরবাসী
৪ মাস আগে
সিঙ্গাপুরে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের অস্ত্রোপচার বুধবার, দেশবাসীর কাছে দোয়া কামনা
আগামীকাল সিঙ্গাপুরে ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের ওপেন হার্ট সার্জারি করা হবে।
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) রাষ্ট্রপতির কার্যালয় থেকে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
আজ সকালে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন রাষ্ট্রপতি।
আগামীকাল বুধবার সকালে কার্ডিয়াক সার্জন অধ্যাপক ডা. কফিদিস থিওডোরোস (Prof. Kofidis Theodoros) এর তত্ত্বাবধানে রাষ্ট্রপতির অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হবে।
আরও পড়ুন: বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তার আশু আরোগ্য কামনায় দেশবাসীসহ সকলের দোয়া চেয়েছেন।
উল্লেখ্য, চিকিৎসার গ্রহণের জন্য সোমবার সিঙ্গাপুর যান রাষ্ট্রপতি।
আরও পড়ুন: সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে রওনা হলেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন
১ বছর আগে
বরিশালে ভুল চিকিৎসায় সংকটাপন্ন প্রসূতি
বরিশালে অস্ত্রোপচারের পর প্রসূতির পেটে গজ কাপড় রেখে সেলাই করার অভিযোগ পাওয় গেছে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। ১৭ দিন পরে দ্বিতীয় দফায় অস্ত্রোপচার করে ওই প্রসূতির পেট থেকে তা বের করা হয়।
বরিশালের বানারীপাড়ার হামিদ মেমোরিয়াল হাসপাতাল নামে একটি বেসরকারি চিকিৎসাকেন্দ্রে ঘটনাটি ঘটেছে। ভুল চিকিৎসার শিকার ওই নারী বর্তমানে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আরও পড়ুন: বরিশালে আরও ৩ ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু, শনাক্ত ৩৩৯
ঘটনার শিকার নারীর স্বজনরা জানান, ভূমিষ্ঠ হওয়া কন্যা সন্তান সুস্থ থাকলেও ভুল চিকিৎসার শিকার নারী শঙ্কামুক্ত হননি।
রোগীর বোন ইসরাত জাহান বলেন, বানারীপাড়া পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডে তাদের বাড়ি। বোন শিল্পী আক্তারের প্রসব বেদনা উঠলে উপজেলা সদরের হামিদ মেমোরিয়াল হাসপাতালে কনসালটেন্ট ডা. মো. লুৎফুল আজিজের অধীনে তাকে ভর্তি করা হয়। স্বাভাবিক প্রসবের চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত না পেরে গত ১৩ সেপ্টেম্বর সিজারিয়ান অপারেশন করলে তার কন্যা সন্তান ভূমিষ্ঠ হয়।
ইসরাত জাহান বলেন, অপারেশনের পর থেকে চার দিন রোগীর প্রস্রাব ও পায়খানা বন্ধ থাকে। আমরা টেনশন করছিলাম। বিষয়টি জটিল দেখে হামিদ মেমোরিয়াল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের ওখানে বেশ কয়েকটি পরীক্ষা করাই। কিন্তু আমাদের কিছুই জানাননি। অথচ আমার বোন দিন দিন অসুস্থ হয়ে পড়ছিল। সেখান থেকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এনে ভর্তি করাই। এখানে পরীক্ষা করে চিকিৎসকরা জানান- আমার বোনের পেটের মধ্যে গজ রেখে দেওয়া হয়েছে। তারা আমাদের ছাড়পত্র দিয়ে ঢাকায় স্থানান্তর করান।
তিনি বলেন, ঝুঁকি বুঝে আমরা সিনিয়র এক চিকিৎসকের রেফারেন্সে ২৯ সেপ্টেম্বর ওই হাসপাতালেই অপারেশন করাই। প্রায় তিন ঘণ্টারও বেশি সময় অপারেশন করে বোনের পেটের মধ্য থেকে দুই হাত লম্বা গজ বের করা হয়।
চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, আর দুই তিন দিন এইভাবে থাকলে আমার বোন মারা যেতেন। আমি চাই হামিদ মেমোরিয়াল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও ভুল চিকিৎসা যিনি দিয়েছেন সেই ডাক্তারের শাস্তি দেওয়া হোক। তাদের অপচিকিৎসায় আমার বোন আজ মৃত্যুপথযাত্রী।
অভিযোগের বিষয়ে হামিদ মেমোরিয়াল হাসপাতালের মালিক অর্পন বলেন, আমি বানারীপাড়াতে নেই। তবে এমন একটি ঘটনা শুনেছি আমার হাসপাতালে ঘটেছে। বিস্তারিত কিছুই জানি না। বিস্তারিত জেনে বলতে পারব আসলে কী ঘটনা ঘটেছিল।
আরও পড়ুন: বরিশালে সড়ক দুর্ঘটনায় একজনের মৃত্যু
বরিশালে বালুবাহী ট্রাকের চাপায় দুই শ্রমিকের মৃত্যু
১ বছর আগে
বিএসএমএমইউতে অস্ত্রোপচারে আলাদা হলো জোড়া শিশু
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) অস্ত্রোপচারে আলাদা করা হয়েছে পেটে ও বুকে জোড়া লাগানো ৭৮ দিন বয়সী দুই শিশু আবু বকর ও ওমর ফারুককে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অর্থায়নে সফল অস্ত্রোপচারে দুই শিশুকে আলাদা করা হয়েছে। অস্ত্রোপচারে নেতৃত্ব দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশু সার্জারি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. একেএম জাহিদ হোসেন।
বুধবার সকালে (২০ সেপ্টেম্বর) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেবিন ব্লকের অপারেশন থিয়েটারে এ অস্ত্রোপচার করা হয়।
আরও পড়ুন: বিএসএমএমইউতে এনটি-প্রো বিএনপি পরীক্ষা চালু
বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর অর্থায়নে দুই শিশুর দেহে সফলভাবে অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে। অস্ত্রোপচারের আগে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল, শিশু দুজনের মা-বাবার সঙ্গে দেখা করে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।
জানা গেছে, গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার চায়না বেগম এবং তার স্বামী আল আমিন শেখের ঘরে গত ৪ জুলাই পেটে জোড়া লাগা দুই নবজাতক জন্মগ্রহণ করে। জন্মগ্রহণের পর তাদের শরীরে জটিলতা দেখা দিলে ৫ জুলাই তাদের বিএসএমএমইউয়ের শিশু সার্জারি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. একেএম জাহিদ হোসেনের অধীনে ২০১ নম্বর কেবিনে ভর্তি করা হয়। পেটে জোড়া লাগানো যমজ এ দুই নবজাতকের চিকিৎসার সমস্ত দায়িত্বভার গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এরপর বিএসএমএমইউয়ের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল আবু বকর ও ওমর ফারুকের নানান পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে বুধবার সকাল সাড়ে ৮টায় তাদের শরীরে অস্ত্রোপচার করার সিদ্ধান্ত নেন।
অস্ত্রোপচারে নেতৃত্ব দিয়েছেন শিশু সার্জারি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. একেএম জাহিদ হোসেন। এ ছাড়াও অস্ত্রোপচারে ছিলেন শিশু সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা. রুহুল আমিন, সহকারী অধ্যাপক ডা. কেএম সাইফুল ইসলাম, মেডিকেল অফিসার ডা. উম্মে হাবিবা দিলশান মুনমুন, নার্সিং অনুষদের ডিন ও অ্যানেসথিয়া বিভাগের অধ্যাপক ডা. দেবব্রত বনিক, এনেসথিয়া বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. দেবাশীষ বণিক ও নার্সিং ইনচার্জ মেহেরুন্নেসাসহ অন্যান্য চিকিৎসকরা।
চিকিৎসকরা জানান, আবু বকর ও ওমর ফারুকের লিভার ও বুকের হাড় সংযুক্ত ছিল। অস্ত্রোপচারের পর তারা শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দলের নিবিড় তত্ত্বাবধানে রয়েছে। দুই শিশু সংকটমুক্ত। তাদের বাবা-মা ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল তাদের পূর্ণ সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।
জটিল এই অস্ত্রোপচার প্রসঙ্গে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, আমাদের দেশের সার্জনরা এ ধরনের জটিল রোগের চিকিৎসা সেবা দিতে সক্ষম। এরকম জটিল রোগের চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার কোনো দরকার নেই। স্বল্প খরচে দেশেই বিশ্বমানের চিকিৎসা সেবা দেওয়া সম্ভব।
আরও পড়ুন: বিএসএমএমইউ কোষাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে পদ পেতে জালিয়াতির অভিযোগ
বিএসএমএমইউ-তে সফল লিভার প্রতিস্থাপন
১ বছর আগে
বরিশালে অস্ত্রোপচার করে সুঁই বের করার সময় শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ
বরিশাল নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ৬ মাস বয়সী শিশুর অস্ত্রোপচার করে সুঁই বের করার সময় তার মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (১ আগস্ট) বিকালে নগরীর বান্দ রোডের রাহাত আনোয়ার হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশু তানজিম পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার ডাউকা গ্রামের ফিরোজ খানের ছেলে।
আরও পড়ুন: নড়াইলে পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু
শিশুর মামা রাকিব জানান, তানজিমের নিতম্বে ছোট একটি সুঁই ঢোকে। গলাচিপা উপজেলায় এক্সরে করে বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে পটুয়াখালীতে আসি।
তিনি জানান, সেখানকার চিকিৎসক বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক তৌহিদুল ইসলামের কাছে গিয়ে অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দেন।
রাকিব আরও জানান, গলাচিপা থেকে সোমবার তারা প্রথমে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শেবাচিম) আসেন। সেখানে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি হওয়ায় চিকিৎসক তৌহিদুল ইসলামের পরামর্শে তারা নগরীর আগরপুর রোডের মিড টাউন হাসপাতালে ভর্তি করান।
ডা. তৌহিদুল ইসলাম তাদের জানান, মিডটাউনে অস্ত্রোপচারের ভালো ব্যবস্থা নেই। রাহাত আনোয়ার হাসপাতালে সব ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে জানিয়ে সেখানে পাঠান তিনি।
তিনি আরও বলেন, মঙ্গলবার সকালে অপারেশন করতে রাহাত আনোয়ার হাসপাতালে এসে ভর্তি করা হয় তানজিমকে।
তানজিমের বাবা ফিরোজ খান বলেন, ডা. তৌহিদুল ইসলাম নিজে বলেছেন যে শিশুটির নিতম্বে একটি সুঁই ঢুকেছে। এটা মেশিনে অপারেশন হবে। এটা কোনো বিষয়ই নয়। ২০ হাজার টাকা জমা দেন।
ঘটনাস্থলে এসে পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার ফজলুল করিম বলেন, আমরা ৯৯৯-এ সংবাদ পেয়ে এখানে ছুটে এসেছি। তানজিমের অপারেশন হয়েছিল। বাবা-মার সঙ্গে কথা বলেছি।
তিনি বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হবে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শিশুর অস্ত্রোপচার করেছেন ডা. তৌহিদুল ইসলাম। তাকে অজ্ঞান করেছেন ডা. মনিরুল ইসলাম।
শিশুকে অ্যানেস্থেসিয়া দেওয়া চিকিৎসক মনিরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি অনাকাঙ্ক্ষিত, হৃদয়বিদারক। ৬ মাস বয়সী একটি শিশুকে অজ্ঞান করা ঝুঁকিপূর্ণ। কিন্তু শিশুটির জরুরি অস্ত্রোপচারও প্রয়োজন। তাই ঝুঁকি নিতে হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এজন্য আমার ১৬ বছরের চিকিৎসা পেশায় সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। কিন্তু অস্ত্রোপচারের শেষ মুহূর্তে এসে শিশুর হৃৎস্পন্দন বন্ধ হয়ে যায়। আমরা হৃৎস্পন্দন ফিরিয়ে আনার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। কিন্তু পারিনি। এখানে আমাদের চেষ্টার কোনো ঘাটতি ছিল না।
ডা. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, অপারেশন সাকসেসফুল হয়েছিল। অ্যানেস্থেসিয়ায় প্রবলেম হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লার বিজয়পুরে ট্রেনে কাটা পড়ে নারী ও শিশুর মৃত্যু
চুয়াডাঙ্গায় মাছভর্তি বালতির পানিতে ডুবে প্রাণ গেল শিশুর
১ বছর আগে
ফরিদপুরে অস্ত্রোপচারের ৬ দিনেও জ্ঞান ফেরেনি রোগীর
ফরিদপুরের একটি ক্লিনিকে এক নারীর অস্ত্রোপচারের ছয় দিনেও জ্ঞান ফেরেনি বলে অভিযোগ করেছেন রোগীর স্বজনরা।
বর্তমানে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সিসিইউতে চিকিৎসাধীন ওই নারীর ছেলে মো. শাহ আলম শেখ জানান, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) তার মা লাকী বেগমের পড়ে গিয়ে পা ভেঙে গেলে ওই দিনই ফরিদপুর শহরের দেশ ক্লিনিকে এনে ভর্তি করেন। পরদিন ২৬ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ডা. অনাদি রঞ্জন মন্ডল অস্ত্রোপচার করেন।
আরও পড়ুন: মাগুরায় ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি মা ও নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ
তার দাবি, অস্ত্রোপচারের পর থেকে তার জ্ঞান না ফেরায় এবং অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরদিন ২৭ ফেব্রুয়ারি সকালে তড়িঘড়ি করে ক্লিনিক থেকে রিলিজ করে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। এখন পর্যন্ত তার জ্ঞান ফেরেনি।
অভিযোগের বিষয়ে অস্ত্রোপচারকারী চিকিৎসক ডা. অনাদী রঞ্জন মন্ডল জানান, অস্ত্রোপচারকালে ওই রোগীর শারীরিক অবস্থার কোনো অবনতি হয়নি, যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে অস্ত্রোপচার করা হয়।
রোগীর বর্তমান অবস্থার কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, ওই রোগী ব্রেইন ও হার্ট স্ট্রোক করে থাকতে পারে। তবে কেনো এমন হলো তা তিনি বলতে পারেননি। তবে পায়ের হাড়ভাঙা অপারেশনের কারণে এমনটি হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে দাবি করেন তিনি।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় ভুল চিকিৎসায় নবজাতক মৃত্যুর অভিযোগ
এ ব্যাপারে দেশ ক্লিনিকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহামেদুল বারী বাবু জানান, রোগী অস্ত্রোপচার করার পরেও ঠিক ছিলেন। তবে, অস্ত্রোপচারের কিছু সময় পরে ওই রোগীর ভাইয়ের মৃত্যুর সংবাদ আসে, যা শোনার পর থেকে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং স্ট্রোক করেন বলে ধারণা করছি।
২ বছর আগে
পেটে কাঁচি রেখেই সেলাই, ২০ বছর পর অপসারণ!
অস্ত্রোপচারের সময় পেটে সার্জিক্যাল আর্টারি (কাঁচি) রেখে সেলাই করে দেয়ার ২০ বছর পর এক নারীর পেট থেকে সেই কাঁচি অপসারণ করা হয়েছে। সোমবার দুপুর ১২টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সেই কাঁচি অপসারণ করা হয়েছে।
বিষয়টি ইউএনবিকে নিশ্চিত করেছেন চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের সার্জারি সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. ওয়ালিউর রহমান নয়ন। তার তত্ত্বাবধায়নেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন ওই নারী।
ভুক্তভোগী নারীর নাম বাচেনা খাতুন। তিনি চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার চিৎলা ইউনিয়নের হাপানিয়া গ্রামের আব্দুল হামিদের স্ত্রী।
জানা যায়, ২০০২ সালের ২৫ মার্চ মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার রাজা ক্লিনিকে পিত্তথলির পাথর অস্ত্রোপচার করিয়েছিলেন বাচেনা খাতুন। অস্ত্রোপচার করেছিলেন সার্জারি বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মিজানুর রহমান। তার সঙ্গে সহকারী হিসেবে ছিলেন রাজা ক্লিনিকের পরিচালক ডা. পারভিয়াস হোসেন রাজা ও বাচেনার অ্যানেস্থেসিয়া করেন ডা. তাপস কুমার।
অস্ত্রোপচারের এক সপ্তাহ পর বাচেনা খাতুনকে প্রেসক্রিপশন দিয়ে ছাড়পত্র দেয়া হয়। কিন্তু সুস্থ হতে পারেননি বাচেনা খাতুন। অস্ত্রোপচারের সময় পেটের মধ্যে সার্জিক্যাল আর্টারি রেখেই সেলাই করে দিয়েছিলেন চিকিৎসক। পুনরায় ডা. রাজার শরণাপন্ন হলে তিনি ঠিক হয়ে যাওয়ার কথা বলে ফেরত পাঠান।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় কলেজছাত্র নিহত
২০-২৫ দিন আগে রাজশাহীর একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এক্স-রে পরীক্ষা করালে তার পেটে কাঁচির উপস্থিতির কথা জানা যায়।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের সার্জারি কনসালটেন্ট (সিনিয়র) ডা. ওয়ালিউর রহমান বলেন, গত ৪ জানুয়ারি থেকে বাচেনা খাতুনকে আমরা নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেছি। তার অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিকসের জন্য অস্ত্রোপচার পিছিয়ে যাচ্ছিল। ডায়াবেটিক নিয়ন্ত্রণ থাকায় আজ তার অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। তার পেটে থাকা দীর্ঘদিনের সার্জিক্যাল আর্টারি (কাঁচি) অপসারণ করা হয়েছে।
এদিকে এ ঘটনায় গত ৫ জানুয়ারি তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মেহেরপুর সিভিল সার্জন ডা. জাওয়াহেরুল ইসলাম।
তিনি জানান, কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর গাংনীর সেই রাজা ক্লিনিকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় আড়াই কোটি টাকা মূল্যের স্বর্ণের বার উদ্ধার
চুয়াডাঙ্গায় বছরের সর্বনিম্ন ৭ ডিগ্রি তাপমাত্রা, জনজীবন বিপর্যস্ত
২ বছর আগে
বিকালে হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরছেন খালেদা জিয়া
বিভিন্ন স্বাস্থ্য জটিলতায় ২৭ দিনের চিকিৎসা শেষে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে আজ রবিবার বিকেলে বাড়ি ফিরবেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
তার মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান ইউএনবিকে বলেন,ম্যাডামের (খালেদা) অবস্থার উন্নতি হওয়ায় চিকিৎসকরা তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
তিনি জানান, বিকেলে গুলশানের বাসার উদ্দেশে হাসপাতাল ছাড়বেন খালেদা জিয়া।
গত ১২ অক্টোবর জ্বর ও অন্যান্য কিছু স্বাস্থ্য সমস্যা নিয়ে খালেদা জিয়াকে দ্বিতীয়বার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আরও পড়ুন: আইসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে খালেদা জিয়াকে
২৫ অক্টোবর, বিএনপি চেয়ার এভারকেয়ার হাসপাতালে একটি অস্ত্রোপচার ও বায়োপসি পরীক্ষা করিয়েছিলেন।পরে,তার বায়োপসি রিপোর্ট পর্যালোচনার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে পাঠানো হয়েছিল।
এর আগে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের অধীনে চিকিৎসাধীন ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন। তার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তিনি রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, চোখ ও দাঁতের জটিলতায় ভুগছেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ নেয়ার প্রয়োজন আছে কি না, প্রশ্ন তথ্যমন্ত্রীর
উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশ নেয়ার অনুমতি চেয়ে তার পরিবার চলতি বছরের মে ও আগস্ট মাসে দুবার সরকারের কাছে আবেদন করেছিল। কিন্তু সরকার তা প্রত্যাখ্যান করে জানায়, কোনো দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তির এ ধরনের সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা নেই।
এর আগে ২৭ এপ্রিল খালেদাকে করোনা সংক্রমণ নিয়ে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কোভিড-পরবর্তী জটিলতা এবং অন্যান্য কিছু অন্তর্নিহিত স্বাস্থ্য সমস্যার জন্য তিনি ১৯ জুন পর্যন্ত সেখানে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ল
২ বছর আগে
জোড়া মাথার যমজ রাবেয়া, রোকেয়া সফল অস্ত্রোপচারের পর বাড়ি ফিরল
জোড়া মাথার যমজ শিশু রাবেয়া ও রোকেয়া সফল অস্ত্রোপচার শেষে রবিবার ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) থেকে বাড়ি ফিরেছে।
৩ বছর আগে
মেয়ের কোল ভরিয়ে দিতে হাসপাতাল থেকে শিশু চুরি করলেন মা
মেয়ের কোল ভরিয়ে দিতে ফরিদপুর মেডিকেল হাসপাতাল থেকে সদ্যজাত শিশু চুরির অভিযোগে এক মাকে আটক করেছে পুলিশ।
৪ বছর আগে