সিলেটের ওইসব বাগানে স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলে কাজ করেন ২০ হাজারের মতো শ্রমিক। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত তারা কাজে যোগ না দেয়ারও ঘোষণা দিয়েছেন।
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন সিলেট ভ্যালির সভাপতি রাজু গোয়ালা বলেন, ‘চা শ্রমিকদের কেউ কাজে গিয়ে করোনাভাইরাস সংক্রমিত হলে পুরো বাগানে এ রোগ ছড়িয়ে পড়বে। এজন্য শ্রমিকদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে সোমবার শ্রমিকরা কর্মবিরতি শুরু করেছেন। দুর্যোগকালীন এই সময়ে মালিকপক্ষ অসহায় শ্রমিকদের কথা চিন্তা করে মজুরি ও রেশন প্রদান অব্যাহত রাখবেন বলে আমরা আশাবাদী।’
প্রসঙ্গত, দেশের ১৬৬টি চা বাগানের মধ্যে সিলেট জেলায় রয়েছে ২৭টি চা বাগান।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে গত ২৬ মার্চ থেকে ১০ দিনের সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করলেও শ্রম অধিদপ্তরের নির্দেশে চালু রাখা হয় সিলেটসহ সারাদেশের চা বাগান।
এদিকে, চা শ্রমিকরা শুরু থেকেই বাগান বন্ধের দাবি জানিয়ে আসলেও তাদের সেই দাবি উপেক্ষা করে শ্রম অধিদপ্তর ও মালিক পক্ষ বাগান চালু রাখেন।