চা বাগান
সিলেটে দৈনিক ৫০০ টাকা মজুরির দাবিতে চা বাগান শ্রমিকদের বিক্ষোভ
প্রকাশিত সরকারি প্রজ্ঞাপন বাতিল করে দৈনিক মজুরি ৫০০ টাকা নির্ধারণের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে চা বাগানের শ্রমিকরা।
মঙ্গলবার সিলেটের আমতলায় এই বিক্ষোভ করে চা শ্রমিকরা।
চলতি আগস্টের ১০ তারিখ সরকারের প্রকাশিত একটি প্রজ্ঞাপনের প্রতিবাদে তারা এই বিক্ষোভ করেন। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী চা বাগানের শ্রমিকদের জন্য ন্যূনতম মজুরি এবং সুবিধাগুলোর মধ্যে ১৭০ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
চা শ্রমিকদের ১০-দফা বাস্তবায়ন সংগ্রাম কমিটির সমন্বয়ক এসএম শুভ বলেন, সরকারি প্রজ্ঞাপনে চা-শ্রমিকের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে বাগান মালিকের স্বার্থ রক্ষা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চা শ্রমিকদের ধর্মঘট অব্যাহত, মৌলভীবাজারে সড়ক অবরোধ
তিনি অবিলম্বে বিদ্যমান প্রজ্ঞাপন বাতিল করে দৈনিক মজুরি ৫০০ টাকা নির্ধারণ করে নতুন প্রজ্ঞাপন জারির দাবি জানান।
কমিটি জানিয়ে দেয় যে এই দাবিগুলো যদি সুরাহা না হয়, অন্যথায় চা-শ্রমিকরা আন্দোলনের মাধ্যমে প্রজ্ঞাপন বাতিল করতে সরকারকে বাধ্য করবে।
কমিটির আহ্বায়ক সবুজ তাঁতী তার বক্তব্যে বলেন, চা-শ্রমিকদের স্বার্থের পরিবর্তে সরকার আজ মালিকের স্বার্থ রক্ষা করছেন। চা-শ্রমিকদের পিঠ আজ দেয়ালে ঠেকে গেছে। বাঁচতে হলে চা-শ্রমিকের আজ লড়াই করেই বাঁচতে হবে। আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমেই চা-শ্রমিকদের অধিকার আদায় করে নিতে হবে।
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল সিলেট সদর উপজেলা কার্যালয়ের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
আরও পড়ুন: কাজে ফিরেছেন চা শ্রমিকরা
সেখানে কমিটি সিলেট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে শ্রমমন্ত্রীর কাছে একটি স্মারকলিপি পেশ করে।
১০-দফা বাস্তাবায়ন সংগ্রাম কমিটির উপদেষ্টা- শ্রীবাস মাহালি, সমন্বয়কারী এস এম শুভ, বুরজান চা কারখানার পঞ্চায়েত সভাপতি বিলাস ব্যানার্জি এবং খাদিম চা সহ চা শ্রমিক সম্প্রদায়ের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা সমাবেশে তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
র্যালিতে অন্যান্য ব্যক্তিদের অংশগ্রহণ করেন বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সাধারণ সম্পাদক অমল নায়েক, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আতাউর রহমান শামীম, শিক্ষক বিকাশ বাউরি, বুরজান চা কারখানা পঞ্চায়েত কমিটির কোষাধ্যক্ষ সুশান্ত চাষা, পাশাপাশি চা শ্রমিক নেতা অনিতা বসাক, কুমকুম, নায়েক, ও মধু ভূমিজ।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে ৭ দফা দাবিতে চা শ্রমিকদের মানববন্ধন
১ বছর আগে
সিলেটে চা বাগান থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার
সিলেট নগরী থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২০ জুন) দুপুর ২টার দিকে নগরীর চৌকিদেখির মালনীছড়া চা-বাগান এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত যুবক শামীম কাজি (৩৪) ওই এলাকার মৃত লেহাত উদ্দীন কাজীর ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে এয়ারপোর্ট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আব্দুল আজিজ জানান, কী কারণে, কীভাবে তিনি মারা গেছেন তা জানা যায়নি। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে পাটখেত থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার
ওসমানীনগরে যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
ভৈরবে শোবার ঘর থেকে নারীর লাশ উদ্ধার
১ বছর আগে
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মিনি চা বাগান
টিলাঘেরা সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) সবুজ ক্যাম্পাসের দুটি টিলায় শুরু হয়েছে চা নিয়ে গবেষণা। দুই একর জায়গা নিয়ে বাংলাদেশের অন্যতম এই অর্থকরী ফসলের চাষ ও গবেষণা চলছে। গত তিন বছর ধরে এই চা বাগান গড়ে তুলেছেন কৃষি অনুষদের ফসল উদ্ভিদ বিজ্ঞান ও চা উৎপাদন প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক ড. এ.এফ.এম. সাইফুল ইসলাম।
সকালের সোনালী আলোতে চা বাগানে ঢুকতেই উঁচু নিচু সবুজ ল্যান্ডস্কেপ মনকে তরতাজা করে দেয়। এই ভাদ্র মাসে ছায়াগাছ দিয়ে আবৃত চা বাগান কচি কশিলয়ের ঘ্রাণে মো মো করছে। বোঝাই যাচ্ছে চায়ের পাতার তোলার উপযুক্ত সময় চলছে। ছায়াগাছের গোড়ায় গোড়ায় লাগানো গোলমরিচ ও খুলনা বিভাগের বিখ্যাত চুই ঝাল গাছ লতে বেয়ে উপরে উঠে যাচ্ছে।
শুধু চা নয় কফি গাছেরও দেখা মিলল বিশ্ববিদ্যালয়ের মিনি চা বাগানে। পানীয় ফসলের এই বাগানে আরও রয়েছে লেমন ঘাস ও তুলসি। অধ্যাপক সাইফুল জানিয়েছেন এগুলো চায়ের মূল্য সংযোজন করে। আরও রয়েছে কাজু বাদাম। এন্টি অক্সিডেন্ট উপাদান থাকার কারণে চা নিজেই ওষধি গাছ। তুলসী, বাদাম এবং লেমন ঘাস এর ঘ্রাণ ও মানের সাথে ওষুধি গুণাগুণও বাড়িয়ে দেবে।
চা গাছে যেমন কচি পাতা এসেছে, কফি গাছেও এসেছে থোকায় থোকায় ফল। কফি এরাবিক ও কফি রোবাস্তা এই দুই জাতের কফির গবেষণা চলছে এখানে। পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড় এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠান থেকে কফির চারা সংগ্রহ করা হয়। চাষ ব্যবস্থাপনা, জাত নির্বাচনের তারতম্যে কফি উৎপাদনে কী প্রভাব পড়ছে সেটি দেখাই মূল উদ্দেশ্য। এছাড়াও ফল সংগ্রহের সময় এবং বেকিং টইম কম বেশি করে কফির উৎপাদন ও মান বৃদ্ধি নিয়ে গবেষণা চলছে।
ড. সাইফুল বলেন, ‘পাট শিল্প, চিনি শিল্প ইতোমধ্য নিঃশ্বেষ হয়ে গেছে, চা শিল্পের বিরুদ্ধেও ষড়যন্ত্র চলছে। গ্রাম থেকে শহর আবাল-বৃদ্ধবনিতা প্রিয় পানীয় চা। বাংলাদেশে দিনদিন এর চাহিদা বেড়েছে কিন্তু উৎপাদন সে অনুপাতে বাড়েনি। চাহিদার কথা মাথায় রেখে সরকারকে ২০১৫ সাল থেকে বাইরের দেশ থেকে চা আমদানি করতে হচ্ছে। এর অন্যতম প্রধান কারণ হলো, নভেম্বর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত প্রায় ৫ মাস খরার সময় বাংলাদেশে চা পাতা তোলা যায় না। তাই সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের চা বাগানে ড্রট টলারেন্ট ভ্যারাইটি বা খরা সহিষ্ণু চায়ের জাত উদ্ভাবনের প্রক্রিয়া চলছে।’
পড়ুন: কাজে ফিরেছেন চা শ্রমিকরা
তিনি জানান, একজন পিএইডি ছাত্র তার সাথে বৈজ্ঞানিক গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে গবেষক দলটি দেশ বিদেশের বিভিন্ন বাগানের সেরা সেরা চায়ের চারা সংগ্রহ করেছে। সেচের পরিমাণ কমিয়ে প্রাকৃতিক পরিবেশে চা গাছ টেকানো যায় কি না, তা পরীক্ষা করা হচ্ছে। পাশাপাশি মাইট (পাতার রস খেয়ে ফেলে এক ধরণের ক্ষুদ্র পোকা) এবং অন্যান্য পোকা চা পাতার কি কি ক্ষতি করছে সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং মাইট ও পোকা সহিষ্ণু চায়ের জাত উদ্ভাবনের চেষ্টা চলছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাংলাদেশে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে দুই প্রকার চায়ের চাষ হয়। একটি চীনের চা বা ক্যামেলিয়া সাইনেসিস, আরেকটি আসামের চা বা ক্যামেলিয়া আসামিকা। সিলেট এক সময় ভারতের আসাম অঞ্চলেরই অংশ ছিল। সিলেট ও আসামের ভূপ্রকৃতি এবং আবহাওয়া প্রায় একই রকম। তাই সিলেটের উপত্যকায় আসামিকা চায়েরই উৎপাদন বেশি। স্ট্রং মল্ট ফ্লেভার এবং বড় দানার জন্য এর চাহিদা ব্যাপক। আসামের টোকলাই চা গবেষণা কেন্দ্র থেকে আনা হয়েছে বিশেষ প্রজাতির ৯টি জাত। তবে গবেষক ড. সাইফুল মানের দিক দিয়ে বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত বিটি-২ চা কে এগিয়ে রেখেছেন।
তিনি বলেন, বিটি-২ এর পপুলেশন ডেনসিটি (স্থান অনুযায়ী গাছের আধিক্য) সামান্য বাড়িয়ে দিলেই মোট উৎপাদন বেড়ে যায়। তিনি প্লান্ট স্পেসিং (এক গাছের থেকে আরেক গাছের দূরত্ব) কমিয়ে বিটি-২ চাষ করতে চা বাগান মালিকদের পরামর্শ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, পাতা বড় দেখে অনেকে আসামিকা জাত চাষ করে থাকেন। কিন্তু মানের দিকে বাংলাদেশি জাতগুলোই সেরা।
উৎপাদন বাড়াতে তিনি একশ বছরের বুড়ো চা গাছগুলোকে রিপ্লেস করার জন্য টি স্টেটগুলোকে অনুরোধ করেছেন। সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের চা বাগানে ৯ প্রজাতির ভারতীয় টোকলাই প্রজাতির চা গাছ ছাড়াও, বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত বিটি-১ থেকে বিটি-২২ পর্যন্ত ক্লোনগুলো চাষাবাদ হচ্ছে। সাথে রয়েছে একটি বাইক্লোনাল ভ্যারাইটি ও ৪টি বাংলাদেশি বাগানের ক্লোন। ল্যাটিন স্কয়ার ডিজাইনের এই গবেষণা মাঠ থেকে প্রতিদিন ২৪টি প্যারামিটারে তথ্য সংগ্রহ চলছে।
পড়ুন: পেঁয়াজ সংরক্ষণে আলোর মুখ দেখাচ্ছে ‘এয়ার ফ্লো মেশিন’
চা শিল্পের বেহাল দশা নিয়ে গবেষক ড. সাইফুলের কিছু আক্ষেপ রয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমি প্রায় ৩০টিরও বেশি বাগান পরিদর্শন করে দেখেছি, চা উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনায় চা বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন এমন লোক নেই। বাগানগুলোতে দক্ষ জনশক্তি নিয়োগ হচ্ছে না বিধায় আজ চা শিল্পের বেহাল দশা। চা উৎপাদনশীলতা, চা গাছের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ও মান নিয়ন্ত্রণের জন্য অবশ্যই কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করা গ্রাজুয়েট লাগবে।’
সঠিক জায়গায় সঠিক মানুষ না থাকলে একসময় এ শিল্পটি মুখ থুবরে পড়তে পারে বলে এই গবেষক আশঙ্কা প্রকাশ করেন। বিশেষ করে বাংলাদেশের প্রতিটি চা বাগানের সহকারী ব্যবস্থাপক পদে উপযুক্ত সুযোগ-সুবিধা দিয়ে কৃষিবিদ নিয়োগ দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
সিকৃবির জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তর জানায়, ক্যাম্পাসের এই ছোট্ট চা বাগানটি প্রাথমিক অবস্থায় এনএটিপির প্রজেক্ট ছিল। পরবর্তীতে কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের (কেজিএফ) আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় এখন বড় একটি জার্মপ্লাজম স্থাপিত হলো। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফসল উদ্ভিদ বিজ্ঞান ও চা উৎপাদন প্রযুক্তি বিভাগ ও কীটতত্ত্ব বিভাগ এই গবেষণায় সরাসরি যুক্ত হয়েছে। প্রধান গবেষক প্রফেসর ড. এ.এফ.এম. সাইফুল ইসলাম ছাড়াও এই গবেষণায় যুক্ত রয়েছেন প্রফেসর ড. মো. আব্দুল মালেক এবং রশীদুল হাসান।
পড়ুন: রাজধানীতে বাস মালিকদের অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ে যাত্রীদের দুর্ভোগ
২ বছর আগে
মজুরি বৃদ্ধি নিয়ে শনিবার চা বাগান মালিকদের সঙ্গে বসবেন প্রধানমন্ত্রী
দেশের ১৬৭টি চা বাগানের শ্রমিকদের মজুরি ১২০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা করার দাবিতে শুক্রবার ১৮তম দিনের মতো অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট অব্যাহত থাকায় শনিবার চা বাগান মালিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দেওরাছড়া চা বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি সুবোদ কুর্মি বলেন, শ্রমিকরা আজ কাজে যোগ দেননি, তবে তারা কোনো বিক্ষোভ দেখায়নি।
আরও পড়ুন: মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে সিলেটে ২৩ চা বাগানে কর্মবিরতি পালন
তিনি বলেন, শুক্রবার জেলার ৯২টি বাগানে পঞ্চায়েত কমিটি নিজ নিজ বাগানের নাচঘরে বৈঠকে বসবেন। ওই বৈঠকে মজুরি ও পরবর্তী শ্রমিক আন্দোলনের বিষয়ে আলোচনা হবে।
২ বছর আগে
সিলেটে চা বাগান শ্রমিকদের কর্মবিরতি অব্যাহত
সিলেট ভ্যালির সকল বাগানের চা শ্রমিকদের কর্মবিরতি অব্যাহত রয়েছে। বুধবার (২৪ আগস্ট) পূর্ণদিবস ধর্মঘটের ১৬তম দিনে শ্রমিকরা বিভিন্ন বাগানে সভা-সমাবেশ ও মানববন্ধন পালন করছে।
বিভিন্ন বাগান ঘুরে দেখা গেছে, বাগানগুলোতে চা উত্তোলন বন্ধ রয়েছে। বাগানের বিভিন্ন স্থানে দলে দলে বিক্ষোভ করছে শ্রমিকরা।
এর আগে মঙ্গলবার চা-শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের সাথে বৈঠক শেষে কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন পঞ্চায়েত প্রতিনিধিরা। তাদের সাথে ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে একমত পোষণ করেন ইউনিয়নের নেতারাও।
আরও পড়ুন: মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে সিলেটে ২৩ চা বাগানে কর্মবিরতি পালন
প্রসঙ্গত, ৩০০ টাকা মজুরি আদায়ে ৯ থেকে ১১ আগস্ট পর্যন্ত দৈনিক দুই ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করে শ্রমিকরা। পরে ১১ আগস্ট সন্ধ্যায় শ্রীমঙ্গলে অবস্থিত বিভাগীয় শ্রম দপ্তরে কর্মকর্তারা বৈঠকে বসলেও আলোচনা ফলপ্রসূ হয়নি।
পরে ১৩ আগস্ট থেকে টানা ধর্মঘটের ডাক দেয় শ্রমিকরা। এর মধ্যে দফায় দফায় সভা ও বৈঠক হয়েছে। অবশেষে ১২০ টাকায় কাজ যোগা দেয়ার কথা হলেও শ্রমিকরা তা মেনে নেয়নি। পরিবর্তে তারা ধর্মঘট অব্যাহত রেখেছে।
আরও পড়ুন: চা শ্রমিকদের অবরোধে সারাদেশের সঙ্গে সিলেটের রেল যোগাযোগ বন্ধ
২ বছর আগে
সিলেটে চা বাগানে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা
সিলেটে চা বাগানে এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। শনিবার রাত ১০টার দিকে নগরীর বিমানবন্দর এলাকার মালনীছড়া চা বাগানের বাংলোর রাস্তা সংলগ্ন প্রধান সড়কের পাশ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত মনির হোসেন (৪১)নগরীর খাসদবির এলাকার একটি ওয়ার্কশপের মালিক এবং বিমানবন্দর থানাধীন নয়াবাজার এলাকার নুরুল মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় ও পুলিশসূত্রে জানা গেছে, মনির হোসেন একজন ব্যবসায়ী। নগরীর খাসদবির এলাকায় তার ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপ রয়েছে। প্রতিদিনের মতো শনিবার রাত আনুমানিক ৯টায় দোকান লাগিয়ে নিজের ব্যবহৃত হিরো হোন্ডা মোটরসাইকেলে চড়ে বাসার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন তিনি। পথে মালিনীছড়া চা বাগান এলাকায় আসার পর তার ওপর কে বা কারা হামলা করে। প্রাণে বাঁচার জন্য রাস্তা থেকে নেমে পূর্ব পাশে চা বাগানের দিকে দৌঁড় দেন মনির। কিন্তু তার ভাগ্য সুপ্রসন্ন ছিল না। রাস্তা থেকে ১০-১২ হাত দূরেই তাকে ধরে ফেলে ছুরিকাঘাতে খুন করা হয়। পরবর্তীতে স্থানীয়রা তার লাশ চা বাগানে দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। রাত ১০টায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন এসএমপির উত্তর বিভাগের ডিসি আজবাহার আলী শেখ এবং এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মোহাম্মদ মাইনুল জাকির খান। খবর পেয়ে ছুটে আসেন মনির হোসেনের স্বজনেরা। সিআইডি টিম এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আলামত সংগ্রহ করে। তবে ঘটনাস্থলে ছিলো না মনিরের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও মুঠোফোন। কিন্তু তার পকেটে টাকা ছিল।
পুলিশের ধারণা, পূর্বশত্রুতার জেরেই হতে পারে এই খুন।
ওসি মাইনুল জানান, নিহতের শরীরের ধারালো অস্ত্রের কোপ রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, দুর্বৃত্তরা মনিরুলকে কুপিয়ে হত্যা করে। তিনি বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ওসমানী হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এই হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি। ময়নাতদন্ত শেষে আজ রবিবার তার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে জুয়ায় হেরে ব্যবসায়ীকে হত্যা, প্রধান আসামি আটক
প্রেমিকার ঋণ শোধ করতেই নাটোরে ব্যবসায়ীকে হত্যা
নাটোরে ব্যবসায়ীকে হত্যার পর ৩ লাখ টাকা ছিনতাই
২ বছর আগে
হযরত শাহজালাল (রহ.) এর লাকড়ি তোড়া উৎসব শনিবার
হযরত শাহজালাল (রহ.) এর লাকড়ি তোড়া উৎসব ২৮ মে শনিবার অনুষ্ঠিত হবে। সুফি সাধক হযরত শাহজালাল (রহ.) এর স্মৃতি বিজড়িত এ উৎসব প্রতি হিজরী বর্ষের ২৬ শে শাওয়াল পালন করা হয়।
শ্রমের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা ও আভিজাত্যের গৌরব ধ্বংসের শিক্ষা নিয়ে প্রায় ৭শ’ বছর ধরে সিলেটে এ উৎসব উদযাপন করা হয়।
এ উৎসব উপলক্ষে দরগা-ই-হযরত শাজালাল প্রাঙ্গন থেকে জাতি-ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে হাজার হাজার শাহজালাল ভক্তের বর্ণাঢ্য মিছিল লাক্কাতোড়া চা বাগানের নির্দিষ্ট পাহাড়ের দিকে ছুটে যায়। সেখান থেকে সংগ্রহ করা হয় লাকড়ি। সেই লাকড়ি কাঁধে নিয়ে পুনরায় মিছিল নিয়ে দরগাহ প্রাঙ্গনে ফিরে আসা হয়। যা এ উৎসবের ২১ দিন পর অনুষ্ঠিতব্য হযরত শাহজালাল (রহ)-এর বার্ষিক উরশ শরীফের শিরনি রান্নায় ব্যবহার করা হয়।
এদিকে, লাকড়ি তোড়া উৎসব উপলক্ষে বাংলাদেশ হযরত শাহ জালাল (রহ.) ও ৩৬০ আউলিয়া ভক্তবৃন্দ পরিষদ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। সংগঠনের সভাপতি ও দরগাহ-ই-হযরত শাহজালাল (রহ.) এর মোতাওয়ালী সরেকওম ফতেহ উল্লাহ আল আমান, মাজারের সেক্রেটারী সামুন মাহমুদ খান ও সাধারণ সম্পাদক আলহাজ শেখ মো. মকন মিয়া কর্মসূচি সফল করতে সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে বন্যায় মৎস্য সম্পদের ক্ষতি ২ হাজার ১৭৩ কোটি টাকা
নদীর পানি কমায় সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি
২ বছর আগে
মৌলভীবাজারে র্যাবের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ২
মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার মিরতিংগা চা বাগানে র্যাব-৯ ক্যাম্পের সদস্যদের সাথে বন্দুকযুদ্ধে দুইজন নিহত হয়েছেন। রবিবার ভোর রাতে মাইজদিহি পাহাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
র্যাব অজ্ঞাতনামা পরিচয় বললে ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায় নিহতরা হলেন ব্যবসায়ী নাজমুল হাসান হত্যা মামলার আসামি চৈত্রঘাটের প্রতাপী এলাকার তোফায়েল আহমেদ (২৮) ও চৈত্রঘাটের শহীদ (৩৫)।
আরও পড়ুন: বাঁশখালীতে র্যাবের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ১
র্যাব-৯ শ্রীমঙ্গল ক্যাম্পের কমান্ডার (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার) বসু দত্ত চাকমা জানান, তাদের কাছে তথ্য ছিল মিরতিংগা চা বাগান ও কমলগঞ্জ মরিতিংগা চা বাগানের সীমানার পাহাড়ি এলাকায় একদল সন্ত্রাসী অবস্থান করছে। খবর পেয়ে রবিবার ভোর রাতে মাইজদিহি চা বাগানের পাহাড়ি এলাকায় টহলকালে র্যাবের গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে র্যাবের পক্ষ থেকেও পাল্টা গুলি ছোড়া হয়। এ সময় র্যাবের তিন জন সদস্য আহত হয়েছেন। তিনি জানান,তাদের সাথে আরও কিছু সন্ত্রাসী ছিল বলে মনে হচ্ছিল। তাদের কাছ থেকে কিছু অস্ত্র, গুলি ও রাম দা উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও জানান, গোলাগুলি বন্ধের কিছুক্ষণ পর ঘটনাস্থল থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ের দুইজন কে উদ্ধার করে শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় র্যাবের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মাদক কারবারি নিহত
শ্রীমঙ্গল থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ জামাল জানান, র্যাব-৯ শ্রীমঙ্গল ক্যাম্প থেকে দুটি লাশ পাঠানো হয়েছে। তবে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
২ বছর আগে
চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ৫০০ করার দাবি
চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ৫০০ টাকা করার দাবি উঠেছে। চা শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা আবু জাফর এই দাবি করেন। তিনি বলেন, দৈনিক মজুরি ১১৭ টাকা নির্ধারণ করে দেয়া মজুরি বোর্ডের খসড়া সুপারিশের বিষয় অযৌক্তিক। দৈনিক মজুরি ৫০০ টাকা করা হোক।
সোমবার দুপুর ১টায় সিলেট সদর উপজেলার খাদিম চা বাগানে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ফেডারেশন সিলেট জেলার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এক সভায় তিনি এই দাবি করেন।
আরও পড়ুনঃ পঞ্চগড়ে চা বাগান ও জঙ্গল কেটে খোঁজা হচ্ছে বাঘ
আবু জাফর বলেন, ১৮৫৪ সালে সিলেটের মালিনীছড়া চা-বাগান প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে এই উপমহাদেশে চা শিল্পের যাত্রা শুরু। সেই হিসেবে এই অঞ্চলে চা শিল্পের বয়স ১৭২ বছর। অথচ চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি এখনো ১৭২ টাকা হয়নি। ন্যায্য মজুরি থেকে বঞ্চিত চা শ্রমিকেরা ক্ষুব্ধ হয়ে ন্যায্য মজুরি নির্ধারণে মজুরি বোর্ড গঠনের দাবি তুলেছিলেন। শ্রমিকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৯ সালে চা শ্রমিকদের নিম্নতম মজুরি পুণনির্ধারণে মজুরি বোর্ড গঠিত হয়।মজুরি বোর্ড গঠনের পর চা-শ্রমিকেরা আশা করেছিলেন, মজুরি বোর্ড জীবনযাপনের ব্যয়, জীবনযাপনের মান, উৎপাদনশীলতা, মুদ্রাস্ফীতিসহ সব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে নতুন মজুরি হারের সুপারিশ করবে।
আরও পড়ুনঃ করোনা আতঙ্কে হবিগঞ্জে ২৩ চা বাগানের শ্রমিকরা স্বেচ্ছা ছুটিতে
শ্রম আইনের ১৩৯(২) ধারা অনুযায়ী, মজুরি বোর্ড গঠনের ছয় মাসের মধ্যে নতুন সুপারিশ দেয়ার কথা। কিন্তু প্রায় এক বছর ৮ মাস পর গত ১৪ জুন চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ১১৭ টাকা নির্ধারণের সুপারিশ করে নিম্নতম মজুরি বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে মুদ্রাস্ফীতি, দ্রব্যমূল্য, জীবনযাপনের মানকে গুরুত্ব দেয়া হয়নি, যা অগ্রহণযোগ্য।
চা শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা আবু জাফর আরও বলেন, দেশের ১০ লক্ষাধিক চা জনগোষ্ঠীর পক্ষ থেকে প্রত্যাশা করে চা শ্রমিকদের নিম্নতম মজুরি নির্ধারণে গঠিত মজুরি বোর্ড এই আপত্তিপত্র বিবেচনায় নিয়ে জারিকৃত প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার করবে। চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি নূন্যতম ৫০০ টাকা নির্ধারণ, অতিরিক্ত উৎপাদনের জন্য দ্বিগুণ মজুরি প্রদান, রেশনের পরিমাণ বৃদ্ধি, কৃষিভূমির জন্য রেশন কর্তন বন্ধ, চিকিৎসা ও বাসস্থানের মানোন্নয়ন এবং তিন মাসের অধিককাল কর্মরত চা শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী বিবেচনার নির্দেশনা দিয়ে নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে।
আরও পড়ুনঃ চট্টগ্রামে বন মামলায় চা বাগানের ২ ম্যানেজার কারাগারে
রত্না বসাকের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য আরও দেন চা শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা আবু জাফর, ফেডারেশনের সন্দীপ রঞ্জন, রহিমা বেগম, অজিতা ন নায়েক ,সবিতা, কলি, চামনি রায় প্রমুখ।
৩ বছর আগে
করোনা আতঙ্কে কর্মবিরতিতে সিলেটের ২০ হাজার চা শ্রমিক
করোনাভাইরাস সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে চা বাগান বন্ধের দাবিতে মালিক পক্ষের ইতিবাচক সাড়া না পেয়ে সোমবার থেকে স্বেচ্ছায় কর্মবিরতি শুরু করেছেন সিলেট জেলার ২৭টি বাগানের শ্রমিকেরা।
৪ বছর আগে