হাসপাতালের চিকিৎসকরা শাহ আলমকে ছাড়পত্র আর ফুল উপহার দিয়ে বিদায় জানান। এ সময় তিনিও যারা চিকিৎসা দিয়েছেন তাদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, গত ২৯ মার্চ ট্রাকে করে ঢাকা থেকে রংপুরে ফিরছিলেন শাহ আলম। পথে তার কাশি ও শ্বাসকষ্ট দেখে দিলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে ট্রাকচালক তাকে বগুড়ার মহস্থানগড় এলাকায় ফেলে দিয়ে চলে যায়। পরে পুলিশের সহায়তায় প্রথমে শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। পরে চিকিৎসকরা তার করোনার উপসর্গ দেখে ৩০ মার্চ মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল আইসোলেশন কেন্দ্রে ভর্তি করে। সেখান চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হলে করোনা পজেটিভ পাওয়া যায়। তারপর থেকেই তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তার চিকিৎসায় এগিয়ে আসা চিকিৎসক, অ্যাম্বুলেন্স চালক, পুলিশ ও স্বাস্থ্য কর্মীসহ ২৪ জনকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়। পরে তাদের নমুনা পরীক্ষায় নেগেটিভ পাওয়া যায়। শাহ আলমের স্ত্রী সাজেদা বেগম সেবা করলেও তার নমুনাও নেগেটিভ আসে।
বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল আইসোলেশন কেন্দ্রের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শফিক আমিন কাজল জানান, গত ১ ও ৫ এপ্রিল শাহ আলমের নমুনা পজেটিভ আসে। তারপর থেকে তাকে নিবিড় পরিচর্যায় রাখা হয়। পরে ১৩ এপ্রিল নমুনা রাজশাহীতে পাঠানো হলে ফলাফল নেগেটিভ পাওয়া যায়। এরপর ২১ ও সর্বশেষ ২২ এপ্রিল নমুনার পরীক্ষা নেগেটিভ আসলে তাকে ছাড়পত্র দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
করোনা জয়ী শাহ আলম বলেন, ‘বগুড়ায় চিকিৎসা ভালো হয়েছে। চিকিৎসকসহ অন্য সবাই খবর নিয়েছেন। বাড়িতে মানুষ যেন আমাকে অন্য চোখে না দেখে এটাই চাই।’
সামাজিকভাবে যেন কেউ তাকে হয়রানি না করে সে বিষয়ে তিনি সবার সহযোগিতা কামনা করেন।