বরিশাল বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় এক দিনে সর্বোচ্চ ২৮৬ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। আর সর্বশেষ আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে বিভাগে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৭ হাজার ৮৮৬ জন।
এছাড়া একই সময়ে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসাপাতালের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে ৬ জনের এবং বরিশাল জেলায় ১, পটুয়াখালীত জেলায় ১ ও পিরোজপুর জেলায় ৪ জনসহ বিভাগে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা নিয়ে বরিশাল বিভাগে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৩১১ জনে গিয়ে দাড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক।
আরও পড়ুনঃ করোনা: খুলনার তিন হাসপাতালে ১০ মৃত্যু
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডাঃ বাসুদেব কুমার দাস জানান, মোট আক্রান্ত ১৭ হাজার ৮৮৬ জনের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৫ হাজার ৫৫ জন।
এদিকে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকের দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় শুধুমাত্র বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসাপাতালের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে ছয় জনের এবং করোনায় আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। যা নিয়ে শুধুমাত্র শেবাচিম হাসপাতালেই করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২০৭ জন এবং আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে ৫৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু হওয়া ৫৩৩ জনের মধ্যে ৩৭ জনের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট এখনো হাতে পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুনঃ সাতক্ষীরায় করোনায় আরও ১৪ জনের মৃত্যু, অক্সিজেন সংকট
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিচালকের তথ্য সংরক্ষক জাকারিয়া খান স্বপন জানিয়েছেন, বিগত ২৪ ঘণ্টায় (বৃহষ্পতিবার) সকাল পর্যন্ত শেবাচিমের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে ৩৭ জন ও করোনা ওয়ার্ডে পাঁচজন ভর্তি হয়েছেন। উপসর্গ নিয়ে আইসোলেশনে ভর্তি ছয়জন মারা গেছেন। করোনা ও আইসোলেশন ওয়ার্ডে এখন ১৪৮ জন রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। যাদের মধ্যে ২৪ জনের করোনা পজেটিভ এবং ১২৪ জন আইসোলেশনে রয়েছে। এছাড়া আরটি পিসিআর ল্যাবে মোট ১৮৯ জনের করোনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্তের হার ৪১.৭৯ শতাংশ পজিটিভ ।
প্রসঙ্গত, গত মে মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে জুনের মাঝামাঝি পর্যন্ত সংক্রমণ অনেকটা স্থিতিশীল থাকলেও ১৬ জুনের পর তা বাড়তে থাকে।
আরও পড়ুনঃ করোনা: খুলনা বিভাগে রেকর্ড ৩৫ জনের মৃত্যু, ১২৪৫ শনাক্ত
বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল বলেন, ‘এ বিভাগে ১০ দিনের বেশি সময় ধরে সংক্রমণ পরিস্থিতি প্রতিদিনই অবনতি হচ্ছে। পিরোজপুরে ডেল্টা ধরণ শনাক্ত হওয়ার পর থেকেই সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা ছিল। এ নিয়ে আমাদের উদ্বেগের কথা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে জানানো হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, সংক্রমণ ঠেকাতে ইতোমধ্যে বিভাগে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।