আইসোলেশন
রাজশাহীতে জ্বর হয়ে ৪ দিনে দুই বোনের মৃত্যু, মা-বাবা আইসোলেশনে
রাজশাহীতে জ্বর হয়ে ৪ দিনের ব্যবধানে ২ বোনের মৃত্যু হয়েছে।
তাদের মধ্যে বড় মেয়ে শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে মারা যায় এবং ৪ দিন আগে বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ছোট মেয়েকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
শিশু ২ জনের নাম মুনতাহা মারিশা (১ বছর ১১ মাস) ও মুফতাউল মাশিয়া (৪ বছর ৯ মাস)।
তাদের বাবা মনজুর রহমান রাজশাহী ক্যাডেট কলেজের গণিত বিভাগের প্রভাষক। তার স্ত্রী পলি খাতুন গৃহিণী। তাদের গ্রামের বাড়ি রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার চুনিয়াপাড়া গ্রামে। তবে তারা রাজশাহীর চারঘাটের সারদায় ক্যাডেট কলেজের কোয়ার্টারেই থাকতেন।
ভাইরাসজনিত কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণ করছেন চিকিৎসকরা। তবে কোন ভাইরাসে তারা আক্রান্ত হয়েছিল তা নিশ্চিত হতে পারেননি। এমন অবস্থায় দুই শিশুর মা ও বাবাকে কোথাও যেতে না করে দিয়ে হাসপাতালেই আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কালাজ্বর নির্মূলে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছে ডব্লিউএইচও: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) বিভাগের চিকিৎসক আবু হেনা মোস্তফা কামাল জানান, ‘ধারণা করা হচ্ছে- বাচ্চা দুটো নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিল। যদিও তাদের বাবা-মা জানিয়েছেন, তারা খেজুরের রস খায়নি। তবে কুড়িয়ে পাওয়া বরই না ধুয়ে খেয়েছিল। এটা নিপাহ ভাইরাস হতে পারে, আবার অন্য কোনো ভাইরাসও হতে পারে। হাসপাতালে মারা যাওয়া মারিশা এবং তার বাবা-মায়ের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।’
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, শনিবার বিকাল ৫টার দিকে আইসিইউতে মারা যায় বড় মেয়ে মাশিয়া। এরপর শিশুদের বাবা-মাকে আর হাসপাতাল থেকে যেতে দেননি চিকিৎসকরা। তাদের রামেক হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি রাখা হয়েছে।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে শিশুদের মা পলি খাতুন বলেন, ‘১৩ ফেব্রুয়ারি সকালে গৃহকর্মী কলেজ ক্যাম্পাসের গাছ থেকে বরই কুড়িয়ে এনে দুই মেয়েকে খেতে দেয়। না ধুয়েই তারা খেয়েছিল। সে দিন তারা ভালোই ছিল, খেলাধুলা করেছে।’
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ, নির্ণয়ের প্রক্রিয়া, চিকিৎসা ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা
তিনি আরও বলেন, পরদিন বুধবার বেলা ১১টার দিকে ছোট মেয়ে মারিশার জ্বর আসে। বার বার পানি খাচ্ছিল। দুপুরের পর শুরু হয় বমি। তখন মেয়েকে নিয়ে তারা একটি মাইক্রোবাসে করে রাজশাহীর সম্মিলিত সামরিক হাসাপাতালে (সিএমএইচ) যাচ্ছিলেন। সিএমএইচে নেওয়ার পর চিকিৎসকরা জানান, সে আর নেই।
পলি খাতুন বলেন, ‘শুক্রবার সকালে দুর্গাপুরের বাড়িতে মাশিয়ারও জ্বর আসে। শুরু হয় বমি। দ্রুতই তাকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে রাজশাহীতে সিএমএইচে আনা হয়। রাতে মাশিয়ারও পুরো শরীরে ছোট কালো দাগ উঠতে শুরু করে। তা দেখে সিএমএইচের চিকিৎসকেরা মাশিয়াকে রামেক হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন। রাত ৯টায় তাকে রামেক হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসকেরা তাকে দ্রুতই আইসিইউতে ভর্তি নেন। বিকালে মাশিয়াও মারা যায়।’
ছোট মেয়ে মাশিয়ার শরীরেও ছোপ ছোপ কাল দাগ উঠছিল জানিয়ে পলি খাতুন বলেন, ‘মারিশার একই রকম কাল দাগ উঠতে শুরু করে মৃত্যুর আগের রাতে। এ রকম দাগ আমি আগে কখনও দেখিনি। গরম তেল শরীরে পড়লে যে ধরনের দাগ হয়, তা অনেকটা সে রকমের। অসুস্থ হওয়ার পরে দুই বোনই বার বার পানি খাচ্ছিল।’
রামেক হাসপাতালের চিকিৎসক মোস্তফা কামাল বলেন, ‘এ বছর এ পর্যন্ত রাজশাহীতে কেউ নিপাহ ভাইরাসে মারা গিয়েছেন এ রকম প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে এটা সঠিক যে বাচ্চা দুটো কোনো একটা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েই মারা গেছে। অসুস্থ হওয়ার আগে এটা বোঝা যায়নি।’
তিনি আরও বলেন, অসুস্থ হওয়ার পর চিকিৎসার জন্য খুব বেশি সময়ও পাওয়া যায়নি। তাই বাচ্চা দুটোর বাবা-মাকে বাসায় যেতে দেওয়া হয়নি। হাসপাতালে তাদের আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ঢাকা টেস্ট থেকে বাদ সাইফ হাসান
৯ মাস আগে
করোনাভাইরাস শনাক্ত: ঢাকা বিমানবন্দর থেকে ৪ চীনা নাগরিক আইসোলেশনে
কোভিড -১৯ শনাক্ত হওয়ায় চীন থেকে ফিরে আসা চারজনকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।
সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকালে তারা ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান।
বিমানবন্দরের স্বাস্থ্য বিভাগের সহকারী পরিচালক ডা. শাহরিয়ার সাজ্জাদ ইউএনবিকে বলেন, ‘চার যাত্রীর মুখ লাল হওয়ায় তাদের অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করা হয় এবং রিপোর্ট পজিটিভ আসে। পরে তাদের আইসোলেশনে রাখার জন্য মহাখালী ডিএনসিসি হাসপাতালে পাঠানো হয়।’
চীন ও ভারতসহ বিভিন্ন দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণের নতুন সাব-ভেরিয়েন্ট (ওমিক্রন বিএফ.৭) বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার সকল বিমানবন্দর, স্থলবন্দর ও সারা দেশে নদী বন্দরে স্বাস্থ্য নির্দেশিকা বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলেছে।
আরও পড়ুন: করোনা: শনাক্ত ৭, মৃত্যু নেই
দেশে করোনায় মৃত্যু ১, শনাক্ত ৬
করোনা: দেশে মৃত্যু নেই, শনাক্ত ৮
১ বছর আগে
করোনা পজিটিভ হলে ১০ দিনের আইসোলেশন: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
যাদের করোনা পজিটিভ হয়েছে, তাঁদের ১০ দিনের জন্য আইসোলেশনে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার লাইন ডিরেক্টর ও মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম।
তিনি আরও বলেন, ১০ দিন পর জ্বর ভালো হয়ে গেলে, উপসর্গ চলে গেলে তিনি আবার তাঁর কাজে ফিরে যাবেন। কাজে ফিরে যাওয়ার শর্ত হিসেবে আগে আরটিপিসিআর সনদ নিয়ে যেতে হতো, সেটিকে আপাতত স্থগিত রাখা হচ্ছে।
রবিবার দেশের করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে অধিদপ্তরের নিয়মিত ভার্চুয়াল স্বাস্থ্য বুলেটিনে তিনি এসব তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: করোনায় আরও ৩৪ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১২ হাজার ১৮৩
নাজমুল ইসলাম বলেন, আমরা দেখছি দেশে করোনা সংক্রমণ প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। এই অবস্থায় সরকার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে স্কুল-কলেজসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে। কিন্তু আমরা দেখছি এই সুযোগে অনেক অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের বিনোদন, পর্যটন কেন্দ্রে ঘুরতে নিয়ে যাচ্ছেন। এসব কারণেই কিন্তু সংক্রমণ থামানো যাচ্ছে না, দিনদিন বেড়েই চলেছে।
তিনি বলেন, আমরা দেখেছি যে, পুরো বাংলাদেশে গত ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের প্রভাব ছিল প্রবল, কিন্তু সেই সময়ে প্রভাব বেশি থাকা সত্ত্বেও শতকরা হিসাবে শনাক্তের হার এবং মোট রোগীর সংখ্যা কম ছিল। কিন্তু ডিসেম্বরের শেষ এবং জানুয়ারির শুরু থেকে আমরা দেখেছি কিভাবে ক্রমাগত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। তাই করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টকে কোনক্রমেই হালকাভাবে নেয়ার সুযোগ নেই।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় মৃত্যু সাড়ে ৫৬ লাখ ছাড়িয়েছে
অধিদপ্তরের মুখপাত্র বলেন, ওমিক্রনের কারণে দেশে সংক্রমণ কয়েকগুণ বেড়েছে। আমরা যদি মৃত্যুর সংখ্যাটি দেখি, তাহলে দেখা যায় ডিসেম্বর পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা ৩/৪ জনে ছিল। এখন মৃতের সংখ্যা কয়েকগুণ বেড়ে প্রতিদিন গড়ে ২০/২৫ জন মারা যাচ্ছে। কাজেই আমাদের আত্মতুষ্টিতে ভুগার কোন সুযোগ নেই।
তিনি আরও বলেন, দেশে করোনা সংক্রমণের হার যেমনটি বেড়েছে, তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আমাদের টিকা কর্মসূচিও বেগবান হয়েছে। যারা দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন এবং বুস্টার ডোজের জন্য যোগ্য বিবেচিত হয়েছেন, এমনকি যারা টিকার বার্তাও পেয়েছেন। কিন্তু করোনা সংক্রমণের কারণে টিকা নিতে পারেননি, তারা সুস্থ হওয়ার ছয় সপ্তাহ পর বুস্টার ডোজ নিতে পারবেন।
আরও পড়ুন: করোনায় মৃত্যু বেড়েই চলছে
২ বছর আগে
আইসোলেশন থেকে পালাল ভারত ফেরত যাত্রী!
আবুল কালাম আজাদ (৪৫) নামে ভারত ফেরত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এক ব্যক্তি চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আইসোলেশন থেকে পালিয়েছেন। তার সন্ধান পাওয়ার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার সকালে আবুল কালাম আজাদ হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে বসে খাবার খেলেও, দুপুরের খাবার দেয়ার সময় থেকে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। হাসপাতালের খাবার পরিবেশনকারী বিষয়টি বুঝতে পেরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানান। এরপর থেকেই আইসোলেশনে থাকা আজাদকে খোঁজা হচ্ছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ধারণা আজাদ তার নিজ বাড়িতে যাওয়ার জন্যই হয়তো পালিয়ে গেছেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, আইসোলেশন থেকে পালানো আবুল কালাম আজাদ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট উপজেলার নন্দনি গ্রামের মৃত সিজার আলীর ছেলে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল বন্দরে বিস্ফোরক বোঝাই ট্রাক থেকে ভারতীয় হেলপারের লাশ উদ্ধার
জানা যায়, আইসোলেশন থেকে পলাতক আবুল কালাম আজাদ চলতি মাসের ৯ তারিখ দর্শনা চেকপোস্ট দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। দর্শনা চেকপোস্টের হেলথ স্কিনিং সেন্টারে তার নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়। আবুল কালাম আজাদ বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী যাত্রী হওয়ায় তাকে দেশে প্রবেশ করতে দেয়া হলেও, সরাসরি চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ডেডিকেটেড করোনা ওয়ার্ডের আইসোলেশন ইউনিটে (রেড জোনে) রাখা হয়। এখানেই চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় গতকাল দুপুরে তিনি পালিয়ে যান।
তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, গতকালই আজাদের নমুনার র্যাপিড এন্টিজেন টেস্ট করা হলে তার রিপার্ট নেগেটিভ আসে। হাসপাতাল থেকে না পালালেও তিনি হয়তো দু-একদিনের মধ্যেই ছুটি পেতেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ওয়াহিদ মাহমুদ রবিন বলেন, ‘দুপুরে জানতে পারি হাসপাতালের আইসোলেশন থেকে ভারত ফেরত করোনা আক্রান্ত এক রোগী পালিয়ে গেছেন। এরপর থেকেই ওই রোগীকে খোঁজার চেষ্টা করা হয়। কিন্ত রাত ৯টার পরে জানতে পারি সকালে তিনি হাসপাতালের করোনা পরীক্ষা কেন্দ্রে নমুনা পরীক্ষার জন্য দেন। তাঁর নমুনার ফলাফল নেগেটিভ আসায় কাউকে কিছু না বলেই তিনি হাপসাতাল থেকে চলে যান। তিনি হয়তো এখান থেকে সরাসরি নিজ বাড়িতে চলে যেতে পারেন বলে আমরা ধারণা করছি। তবে তার সঙ্গে পরবর্তীতে আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’
আরও পড়ুন: ভারতে অনুপ্রবেশের সময় মহেশপুর সীমান্তে নারী-শিশুসহ আটক ২২
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় পাতার বিড়ি জব্দ, আটক ১
২ বছর আগে
বিএনপি নেতা বরকতুল্লাহ বুলু করোনায় আক্রান্ত
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতুল্লাহ বুলু করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
ইউএনবির সাথে আলাপকালে তিনি জানান, বৃহস্পতিবার তিনি কোভিড-১৯ পরীক্ষা করেন এবং তার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে।
বিএনপি নেতা বলেন, গত কয়েকদিন ধরে আমি কাশি ও হাঁচিতে ভুগছি। এখন বাসায় আইসোলেশনে থেকে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নিচ্ছি।
তিনি তার দ্রুত সুস্থতার জন্য সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে ২ হাজার বিএনপি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা
বুলু জানান, নোয়াখালীতে তাদের দলের সমাবেশে যোগ দেয়ার কথা থাকলেও করোনা সংক্রমণের কারণে তিনি এখন সেখানে যেতে পারছেন না। অনুষ্ঠান সফল করতে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের ফোনে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিচ্ছেন বলেও জানান তিনি।
দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করেছে নোয়াখালী জেলা বিএনপি।
আরও পড়ুন: সমাবেশে হামলা: হবিগঞ্জের এসপি ও দুই ওসির প্রত্যাহার দাবি বিএনপির
২ বছর আগে
যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশি ভ্রমণকারীদের থাকতে হবে না আইসোলেশনে
সম্পূর্ণরূপে যুক্তরাজ্য অনুমোদিত টিকা দেয়া বাংলাদেশি নাগরিকদের সোমবার থেকে দেশটিতে যাওয়ার পর আর আইসোলেশনে থাকতে হবে না।
কারণ ব্রিটিশ সরকার বাংলাদেশকে কোভিড ভ্যাকসিনেশনের অনুমোদিত প্রমাণ সহ দেশের তালিকায় যুক্ত করেছে যা ১১ অক্টোবর থেকে কার্যকর হবে।
যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম বলেন,‘এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে উষ্ণ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের প্রতিফলন’।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে ২ লাখ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা উপহার দিচ্ছে মালদ্বীপ
তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা, পর্যটন এবং অপরিহার্য ভ্রমণের ক্ষেত্রে অবশিষ্ট বাধা দূর করার জন্য হাই কমিশনের ক্রমাগত কূটনৈতিক প্রচেষ্টার ফলও এই সিদ্ধান্ত।
‘সোমবার (১১ অক্টোবর) ভোর চারটা থেকে, যুক্তরাজ্য অনুমোদিত ভ্যাকসিন নেয়া বাংলাদেশি নাগরিকদের আর ১০ দিনের হোটেল বা হোম কোয়ারেন্টাইন এবং প্রস্থান-পূর্ব কোভিড পরীক্ষার প্রয়োজন হবে না।’
তবে প্রাসঙ্গিক বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত ভ্যাকসিনেশন সার্টিফিকেট সকল ভ্রমণকারীদের জন্য প্রমাণ হিসাবে প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: ম্যালেরিয়ার টিকা অনুমোদন দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
যে ভ্রমণকারীরা যুক্তরাজ্য অনুমোদিত টিকার পুরোপুরি ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন নি, তাদের ১০ দিনের জন্য কোয়ারেন্টাইনে অবস্থান করতে হবে, এবং তাদের দুই দিন এবং চার দিনে করোনা পরীক্ষা করা উচিত।
৩ বছর আগে
বরিশালে একদিনে ২৩ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১৯৫
বরিশাল বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে ও উপসর্গ নিয়ে ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে করোনায় আটজন ও উপসর্গ নিয়ে ১৫ জন মারা গেছেন।একই সময়ে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ১৯৫ জন। যা গত দুই সপ্তাহের মধ্যে সর্বোনিম্ন।
শনিবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস।
আরও পড়ুনঃ করোনায় রামেক হাসপাতালে আরও ১২ মৃত্যু
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে ১৫ জন এবং করোনা ওয়ার্ডে করোনায় আক্রান্ত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া বিভাগের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া আটজনের মধ্যে বরিশালে তিনজন,ভোলায় তিনজন ও ঝালকাঠিতে দুইজন রয়েছেন। সব মিলিয়ে বরিশাল বিভাগে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৩৬ জনে।
একই সময় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৯৫ জন। এ নিয়ে বিভাগে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৭ হাজার ৮১৭ জনে। তাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ হাজার ৬১৮ জন।
আরও পড়ুনঃ করোনা ও উপসর্গে কুষ্টিয়ায় আরও ৯ মৃত্যু
আক্রান্তদের মধ্যে বরিশাল জেলায় নতুন ৭১ জন নিয়ে মোট ১৫ হাজার ৬০৬ জন, পটুয়াখালীতে নতুন ৯ জন নিয়ে মোট ৫ হাজার ১৪০ জন, ভোলায় নতুন ১০৮ জনসহ মোট ৪ হাজার ৮৫১ জন, পিরোজপুরে নতুন ৫ জনসহ মোট ৪ হাজার ৬৮৭ জন, বরগুনায় নতুন শনাক্ত না থাকায় মোট ৩ হাজার ২৪৯ জন ও ঝালকাঠিতে নতুন ২ জন নিয়ে মোট ৪ হাজার ২৮৪ জন রয়েছেন।
এদিকে, শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালকের দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় শুধু বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে পনেরজনের এবং করোনা ওয়ার্ডে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। যা নিয়ে শুধু শেবাচিম হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডেই উপসর্গ নিয়ে ৮৬০ জন এবং করোনা ওয়ার্ডে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৩৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করা ৮৬০ জনের মধ্যে ১৬০ জনের কোভিড টেস্টের রিপোর্ট এখনও হাতে পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুনঃ বিশ্বজুড়ে করোনায় মৃত্যু পৌনে ৪৩ লাখ ছাড়াল
হাসপাতাল পরিচালক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় (শনিবার) সকাল পর্যন্ত শেবাচিমের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে ২৪ জন ও করোনা ওয়ার্ডে ১১ জন ভর্তি হয়েছেন। করোনা ও আইসোলেশন ওয়ার্ডে এখন ২৭৭ জন চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে ৯৭ জন করোনা ওয়ার্ডে এবং ১৮০ জন আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আরটি পিসিআর ল্যাবে মোট ১৯২ জন করোনা পরীক্ষা করান। এর মধ্যে ৩১ দশমিক ২৫ শতাংশ পজিটিভ শনাক্তের হার।
এদিকে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে অক্সিজেন সংকট,আইসিইউ সংকট এবং চিকিৎসকদের সময়মতো না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন রোগীদের স্বজনরা।
৩ বছর আগে
চাঁদপুরে নারী করোনা রোগীর ‘আত্মহত্যার’ চেষ্টা!
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মানসকি চাপ ও যন্ত্রণা সয্য করতে না পেরে চাঁদপুরে এক নারী কোভিড রোগী আত্মহত্যার চেষ্টা করে। বিউটি বেগম (৩৫) নামে ওই নারী চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপতালের দ্বিতীয় তলা (কোভিড আইসোলশেন ইউনটি) থেকে হঠাৎ লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
শনিবার বিকেল ৬টার দিকে হাসপাতালে করোনা ইউনিটের করিডোরে এ ঘটনা ঘটে। এতে ওই নারীর ডান পা টি কয়েক ভেঙে যায় এবং মেরুদণ্ডে আঘাত প্রাপ্ত হয়ে গুরুতর আহত হন।
হাসপাতালে থাকা অন্যান্য রোগীর স্বজনরা জানান, বিকেলে হাসপাতালে করিডোরের দ্বিতীয় তলা থেকে এক নারী হঠাৎ করে নিচে লাফিয়ে পড়েন। আশাপাশে থাকা লোকজন তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: করোনায় আরও ২১৮ প্রাণহানি, শনাক্ত ৩০.২৪ শতাংশ
হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে জানায়, বিউটি বেগম করোনা পজিটিভ হয়ে হাসপাতালে দ্বিতীয় তলায় আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছেন।
আহত ওই নারীর শাশুড়ি জানান, তাদের বাড়ি হাইমচর উপজেলার আলগী গ্রামে। বিউটির স্বামীর নাম খোকন মিয়া। গত ১১ দিন পূর্বে করোনা পজেটিভ হলে তিনি তার ছেলের বউকে নিয়ে হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি হন। চিকিৎসা চলাকালীন আক্রান্ত নারীকে বিছানায় রেখে তিনি বাথরুমে যান। বাথরুম থেকে বের হয়ে এই ঘটনার কথা জানতে পারেন।
আরও পড়ুন: সপ্তাহে এক কোটি মানুষকে টিকা দেবে সরকার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ওমর ফারুক রূপক বলেন, ‘ঘটনার সম্পর্কে আমিও প্রথমে কিছুই বুঝতে পারেনি। ওর্য়াডে রোগী দেখার ফাঁকে জানতে পারি এক নারী রোগী দ্বিতীয় তলা থেকে লাফ দিয়েছেন। আমি যতটুকু জানি সে করোনায় আক্রান্ত হলেও তাঁর শারীরিক অবস্থা অনেকটা ভালো।’
ডা. ওমর ফারুক জানান, করোনার বিভিন্ন প্রভাব থাকতে পারে। হয়তো সে করোনার প্রভাবেই মানসিকতা সমস্যার কারণে এমনটা করতে পারেন ওই রোগী। ওই ঘটনার পর তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
৩ বছর আগে
সিলেটে করোনায় শনাক্ত ৩৪১, মৃত্যু ২
সিলেট বিভাগে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে বিভাগে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৫৫৭ জনে। একই সময়ে বিভাগে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে আরও ৩৪১ জনের শরীরে। এছাড়া এই সময়ে সিলেটে হাসপাতালে ও বাড়িতে চিকিৎসাধীন আরও ১০৯ জন রোগী সুস্থ হয়েছেন।শনিবার সকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. সুলতানা রাজিয়া স্বাক্ষরিত কোভিড-১৯ কোয়ারান্টাইন ও আইসোলেশনের দৈনিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুনঃ খুলনা বিভাগে করোনায় ৪০ জনের মৃত্যুপ্রতিবেদনে বলা হয়, বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৪১ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এদের নিয়ে সিলেট বিভাগে মোট করোনা প্রমাণিত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ৩২ হাজার ৩৫৪ জনে। যাদের মধ্যে সিলেট জেলায় ১৮ হাজার ৩৯০ জন, সুনামগঞ্জে ৩ হাজার ৫৫৬ জন, হবিগঞ্জ জেলায় ৩ হাজার ৬৫৯ জন, মৌলভীবাজারে ৪ হাজার ১১৪ জন ও সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২ হাজার ৬৩৫ জন।এদিকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ১৭ জন রোগীর করোনা শনাক্ত হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ফরিদপুরে করোনার তাণ্ডব বাড়ছে, আরও ২১ মৃত্যুগত ২৪ ঘণ্টায় সিলেট বিভাগে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪৭ জন। এর মধ্যে সিলেটের বিভিন্ন হাসপাতালে ২৯ জন, মৌলভীবাজারে একজন ও ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৭ জন। সব মিলিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৪৫৫ জন।
একইদিনে সিলেট বিভাগে নতুন করে আরও ১০৯ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে বিভাগে করোনা থেকে সুস্থ হওয়া রোগীর সংখ্যা ২৬ হাজার ২৪৭ জন। হাসপাতালে ২২ জন।
আরও পড়ুনঃ রামেক হাসপাতালে করোনায় আরও ১৬ মৃত্যুবিভাগে মৃত্যুবরণ করা মোট রোগীর সংখ্যা ৫৫৭ জন। এর মধ্যে সিলেট জেলার ৪৪৭ জন, সুনামগঞ্জে ৪১ জন, হবিগঞ্জে ২৬ জন, মৌলভীবাজারের ৪২ জন ও সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একজন।
৩ বছর আগে
করোনাঃ বরিশালে ২৪ ঘন্টায় শনাক্ত ২৮৬, উপসর্গসহ মৃত্যু ১২
বরিশাল বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় এক দিনে সর্বোচ্চ ২৮৬ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। আর সর্বশেষ আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে বিভাগে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৭ হাজার ৮৮৬ জন।
এছাড়া একই সময়ে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসাপাতালের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে ৬ জনের এবং বরিশাল জেলায় ১, পটুয়াখালীত জেলায় ১ ও পিরোজপুর জেলায় ৪ জনসহ বিভাগে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা নিয়ে বরিশাল বিভাগে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৩১১ জনে গিয়ে দাড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক।
আরও পড়ুনঃ করোনা: খুলনার তিন হাসপাতালে ১০ মৃত্যু
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডাঃ বাসুদেব কুমার দাস জানান, মোট আক্রান্ত ১৭ হাজার ৮৮৬ জনের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৫ হাজার ৫৫ জন।
এদিকে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকের দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় শুধুমাত্র বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসাপাতালের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে ছয় জনের এবং করোনায় আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। যা নিয়ে শুধুমাত্র শেবাচিম হাসপাতালেই করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২০৭ জন এবং আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে ৫৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু হওয়া ৫৩৩ জনের মধ্যে ৩৭ জনের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট এখনো হাতে পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুনঃ সাতক্ষীরায় করোনায় আরও ১৪ জনের মৃত্যু, অক্সিজেন সংকট
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিচালকের তথ্য সংরক্ষক জাকারিয়া খান স্বপন জানিয়েছেন, বিগত ২৪ ঘণ্টায় (বৃহষ্পতিবার) সকাল পর্যন্ত শেবাচিমের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে ৩৭ জন ও করোনা ওয়ার্ডে পাঁচজন ভর্তি হয়েছেন। উপসর্গ নিয়ে আইসোলেশনে ভর্তি ছয়জন মারা গেছেন। করোনা ও আইসোলেশন ওয়ার্ডে এখন ১৪৮ জন রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। যাদের মধ্যে ২৪ জনের করোনা পজেটিভ এবং ১২৪ জন আইসোলেশনে রয়েছে। এছাড়া আরটি পিসিআর ল্যাবে মোট ১৮৯ জনের করোনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্তের হার ৪১.৭৯ শতাংশ পজিটিভ ।
প্রসঙ্গত, গত মে মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে জুনের মাঝামাঝি পর্যন্ত সংক্রমণ অনেকটা স্থিতিশীল থাকলেও ১৬ জুনের পর তা বাড়তে থাকে।
আরও পড়ুনঃ করোনা: খুলনা বিভাগে রেকর্ড ৩৫ জনের মৃত্যু, ১২৪৫ শনাক্ত
বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল বলেন, ‘এ বিভাগে ১০ দিনের বেশি সময় ধরে সংক্রমণ পরিস্থিতি প্রতিদিনই অবনতি হচ্ছে। পিরোজপুরে ডেল্টা ধরণ শনাক্ত হওয়ার পর থেকেই সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা ছিল। এ নিয়ে আমাদের উদ্বেগের কথা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে জানানো হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, সংক্রমণ ঠেকাতে ইতোমধ্যে বিভাগে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।
৩ বছর আগে