জেলা পুলিশের নির্দেশনায় রবিবার থেকে এ ব্যবস্থা কার্যকর করা হয়েছে।
সোমবার জেলা শহরের বিভিন্ন হাটবাজার স্থানান্তরিত বিভিন্ন স্থানে বসতে দেখা গেছে। তবে জেলা শহরের বাইরে বিভিন্ন উপজেলায় এখনো কিছু স্থানে বাজার বসছে। তবে নতুন স্থানান্তরিত স্থানে পানি ও বাথরুম-টয়লেট না থাকায় কাঁচা বাজারের ব্যবসায়ীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, শহরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হাজি শরিয়তুল্লাহ বাজার স্থানান্তর করা হয়েছে মহিম ইনস্টিটিউশন মাঠে। আর চকবাজার ও তিতুমীর বাজার স্থানান্তর করা হয়েছে রাজেন্দ্র কলেজের মাঠে। টেপাখোলা কাঁচা বাজারকে সরিয়ে অদুরেই পশু হাটের পূর্ব পাশে স্থানান্তর করা হয়েছে।
ফরিদপুরের পুলিশ সুপার আলিমুজ্জামান (পিপিএম সেবা) জানান, বিভিন্ন হাটবাজারে আসা ক্রেতারা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখছেন না বলে অভিযোগ ছিল। এজন্যই এসব বাজারকে স্বল্প পরিসরের স্থান থেকে বড় এবং উন্মুক্ত স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
ফরিদপুরের পৌর কাউন্সিলর নাফিজুল ইসলাম তাপস বলেন, বিভিন্ন হাটবাজার স্বল্প পরিসরে ছিল। এসব স্থানে আসা ক্রেতারা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে পারছিলেন না। এখন হাটবাজারগুলো প্রশস্ত স্থানে নেয়ায় জনগণ ঝুঁকিমুক্ত থাকতে পারবেন বলে আশা করছি।
এ বিষয়ে শহরের হাজি শরিয়তুল্লাহ বাজারের ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম মোল্যা বলেন, এই বাজারের কাঁচা অংশ মহিম স্কুলের মাঠে নেয়া হয়েছে। তবে অন্যান্য দোকানপাট বাজারেই থাকছে। আমরা ক্রেতাদের সুবিধার্থে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি রোধে আলিমুজ্জামান বেইলি ব্রিজের মাঝে বাঁশ দিয়ে বাজারে যাতায়াতের জন্য ওয়ান ওয়ে রোড করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
এদিকে স্থানান্তরিত কাঁচা বাজারের টোল আদায় নিয়ে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। বাজারের ইজারাদারের পক্ষে খাজনা আদায় করার সময় রবিবার কয়েকজনকে আটকও করা হয়। পরে ব্যবসায়ী নেতাদের তদবিরে তাদের ছেড়ে দেয় পুলিশ।
ফরিদপুরের পৌর মেয়র শেখ মাহতাব আলী মেথু বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার স্বার্থে জেলার হাটবাজারগুলো স্থানান্তরিত করা হয়েছে। স্বল্প সময়ে এসব স্থানান্তরিত কাঁচা বাজারে পানি ও বাথরুম-টয়লেটের ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়নি। পরিস্থিতি দীর্ঘ হলে হয়তো সেসব সমস্যা সমাধান করতে হবে।