বুধবার কসবা থানা পুলিশ নেত্রকোনার শ্যামগঞ্জে অভিযান চালিয়ে শিশু খাদিজাকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় জড়িত থাকায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে শিশু খাদিজার বাবা মঈনুল ও চাচা টেনুকে।
গ্রেপ্তার মঈনুল ও টেনু শিমরাইল গ্রামের মৃত আবদুল মালেকের ছেলে। বুধবার তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
জানা যায়, উপজেলার শিমরাইল গ্রামে মৃত আবদুল মালেকের চার ছেলের মধ্যে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। মঈনুলের বড় ভাই আবুল খায়ের গেদুর সন্তান না থাকায় তার অর্থ সম্পদ গ্রাস করার জন্য অপর তিন ভাই মঈনুল, টেনু ও টুকন মিলে মঈনুলের শিশু মেয়ে খাদিজাকে দিয়ে গুমের নাটক সাজায়। তারা খাদিজাকে গত ১৫ আগস্ট নেত্রকোনা শ্যামগঞ্জে মঈনুলের ভায়েরা ভাই কামালের বাসায় পাঠিয়ে দেয়।
পরে খাদিজা হারিয়ে গেছে গ্রামে এমন মাইকিং করে। খাদিজা হারানোর বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করে ওই তিন ভাই। পরে কসবা থানায় বড় ভাই আবুল খায়ের গেদু এবং তার স্ত্রীকে আসামি করে গুমের মামলা রুজু করে মঈনুল।
তদন্ত শেষে বুধবার ভোরে নেত্রকোনার শ্যামগঞ্জে অভিযান চালিয়ে শিশু খাদিজাকে উদ্ধার করে পুলিশ। খাদিজাকে উদ্ধারের পর রহস্য উন্মোচন হয়ে যায়।
পুলিশ জানায়, গেদুর কোনো সন্তানাদি নেই বিধায় সম্পত্তির লোভে তিন ভাই একযোগ হয়ে তার অর্থ সম্পদ আত্মসাত করতে এই গুম নাটক সাজিয়েছে।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ লোকমান হোসেন জানান, বড় ভাই ও ভাবিকে ফাঁসাতে গুম নাটক সাজিয়ে মিথ্যা মামলা করার দায়ে খাদিজার বাবা মঈনুল ও আরেক ভাই টেনুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ ঘটনায় বড় ভাই আবুল খায়ের গেদু বাদী হয়ে ছোট তিন ভাইয়ের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছেন বলে ওসি জানান।