বুধবার কারাগার থেকে তাদের মুক্তির নির্দেশ দেয় আদালত।
পরে জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে বাংলাদেশে ভারতীয় দূতাবাসের কর্মকর্তাদের কাছে তাদের হস্তান্তর করে কারা কর্তৃপক্ষ। পুলিশ প্রহারায় তাদেরকে যাত্রীবাহী বাসে মোংলায় বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে সমুদ্রপথে ভারতীয় জেলেরা তাদের নিজ দেশে ফিরে যাবেন।
মুক্তি পাওয়া ওই জেলেদের বাড়ি ভারতের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বিভিন্ন এলাকায় বলে জানা গেছে।
কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বাগেরহাট জেলা কারাগারে বন্দি থাকা আরও ৫৪ জন ভারতীয় জেলে মুক্তি পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন।
গত অক্টোবরে বাংলদেশে নৌ বাহিনীর সদস্যরা বঙ্গোপসাগরের বাংলাদেশ জলসীমার ফেয়ারওয়ে বয়া এলাকায় টহল দেয়ার সময় চার দফায় পাঁচটি ট্রলারসহ ৬৩ জন ভারতীয় জেলেকে আটক করে। পরে তাদেরকে বাগেরহাটের মোংলা থানায় হস্তান্তর করে পৃথক চারটি মামলা দায়ের করে নৌ বাহিনী। পুলিশ ভারতীয় জেলেদেরকে বাগেরহাট চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠালে বিচারক তাদেরকে জেলা কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহিনুজ্জামান জানান, ভারতীয় ৬৩ জন জেলে বাগেরহাট জেলা কারাগারে বন্দি ছিলেন। আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অনুমতি সাপেক্ষে তাদেরকে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। মোংলা থানায় জব্দ করে রাখা পাঁচটি ট্রলার নিয়ে মোংলা বন্দর হয়ে সমুদ্রপথে তারা দেশে ফিরে যাবেন।
বাগেরহাট জেলা কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক (জেল সুপার) গোলাম দস্তগীর জানান, গত বছর ২ থেকে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত চার দফায় আদালতের মাধ্যমে ৬৩ জন ভারতীয় নাগরিক কারাগারে আসেন। বাগেরহাট চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভারতীয় ওই জেলেদের মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দিলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় থেকে ভারতীয় ওই জেলেদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের আদেশ দেয়।
মুক্তি পাওয়া ভারতীয় জেলেরা জানান, তাদের ট্রলার ভাসতে ভাসতে বাংলাদেশের জলসীমায় ঢুকে পড়ে। সীমারেখা বুঝতে না পারার কারণে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সদস্যরা তাদের আটক করে। পরে তারা বাগেরহাট জেলা কারাগারে বন্দি ছিল। প্রায় সাড়ে তিন মাস তাদের কারাগারে কাটানোর পরে নিজ দেশে ফিরে যেতে পারায় তারা আনন্দিত।