মঙ্গলবার রাতে কিশোরগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মো. মুজিবুর রহমান জানান, শুক্রবার সকালে (২৪ এপ্রিল) ১৪৯ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছিল। এর মধ্যে ৪টি নমুনা বাতিল হয়ে যায়। বাকি ১৪৫ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট মঙ্গলবার রাতে পাওয়া যায়। এতে একজনের কোভিড-১৯ পজেটিভ এবং বাকি ১৪৪ জনের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।
নতুন করোনা শনাক্ত হওয়া একমাত্র ব্যক্তি (নারী) কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার। নিকলী উপজেলার স্বামীর বাড়ি থেকে অসুস্থ হয়ে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার যশোদলে বাবার বাড়িতে আসার পর তার করোনা শনাক্ত হয়।
সিভিল সার্জন আরও জানান, সোমবার পর্যন্ত কিশোরগঞ্জ জেলায় ১৭৬ জন করোনা শনাক্ত ছিল। ফলে নতুন করে আরও একজন শনাক্ত হওয়ায় এই ভাইরাসে কিশোরগঞ্জ জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে এখন ১৭৭ জনে দাঁড়িয়েছে।
তবে এর বাইরে আগে আরও তিনজনের করোনাভাইরাস পজেটিভ অন্যত্র শনাক্ত হয়েছে। এই তিনজনের মধ্যে একজন হোসেনপুর উপজেলা ও বাকি দুজন তাড়াইল উপজেলার। এই তিনজন নিয়ে কিশোরগঞ্জ জেলায় মোট করোনা শনাক্তের সংখ্যা ১৮০।
এদিকে জেলায় তিনজন করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হয়েছেন। এর মধ্যে মঙ্গলবার করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হয়েছেন ভৈরব থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. চাঁন মিয়া। রাজধানী ঢাকার উত্তরাস্থ কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে গত ১০ এপ্রিল থেকে চিকিৎসাধীন থাকা এসআই চাঁন মিয়া ১৮ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর করোনাভাইরাস মুক্ত হওয়ায় মঙ্গলবার তাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
জেলায় করোনাভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে তৃতীয় ব্যক্তি হিসেবে এসআই চাঁন মিয়া করোনাভাইরাসমুক্ত হয়েছেন।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মঙ্গলবার পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫৫ জনে। এছাড়া এ পর্যন্ত মোট ৬ হাজার ৪৬২ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছে সরকার।