মঙ্গলবার ময়নাতদন্তের জন্য উপজেলার পৈয়াপাথর উত্তর পাড়া কবরস্থান থেকে ওই গৃহবধূর লাশ উত্তোলন করা হয়।
লাশ উত্তোলনের সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুরাদনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইফুল ইসলাম কমল, পিবিআইয়ের পরিদর্শক হিলাল উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
মামলার অভিযোগে জানা যায়, প্রায় ১০ বছর পূর্বে জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার ষাইটশালা গ্রামের জীবন মিয়ার কন্যা লাইলী আক্তারের সাথে মুরাদনগর উপজেলার পৈয়াপাথর গ্রামের সাবেক মেম্বার হারুনুর রশীদের ছেলে রুবেল মিয়ার বিয়ে হয়। এ দম্পতির দুটি কন্যা এবং একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। পারিবারিক কলহের জের ধরে চলতি বছরের ২০ মে রুবেল মিয়া তার দুই ভাইসহ কয়েকজনকে নিয়ে লাইলী আক্তারকে মারধর করে। এক পর্যায়ে ওই গৃহবধূর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়া হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ২৬ মে চিকিৎসাধীন অবস্থায় লাইলীর মৃত্যু হয়। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই তড়িঘড়ি করে ওই গৃহবধূর লাশ দাফন করা হয়।
এ ঘটনায় নিহতের মা ৭ জুলাই আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি তদন্ত করার জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেন।
পিবিআই মামলার প্রধান আসামি রুবেল মিয়াকে গ্রেপ্তার করে। জিজ্ঞাসাবাদে রুবেল পিবিআইয়ের কাছে গুরুত্বপূর্ণ ও চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন বলেন, আদালতের নির্দেশে ময়নাতদন্তের জন্য গৃহবধূ লাইলী আক্তারের লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।