গৃহবধূর লাশ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গৃহবধূর লাশ হাসপাতালে রেখে পালাল শ্বশুরবাড়ির লোকজন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে রুবিনা আক্তার নামে এক গৃহবধূর লাশ হাসপাতালে রেখে পালিয়েছে শ্বশুর বাড়ির লোকজন।
খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাত্রদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের ২ মামলা
রুবিনা উপজেলার ভলাকুট ইউনিয়নে খাগালিয়া গ্রামের আক্কাছ মিয়ার মেয়ে ও একই গ্রামের মাহবুবুর রহমানের স্ত্রী।
নিহতের পরিবার জানায়, ২০১৯ সালে খাগালিয়া গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে মাহবুবুর রহমানের সঙ্গে বিয়ে হয় রুবিনার। বিয়ের পর থেকেই রুবিনার স্বামী তাকে টাকার জন্য মারধর করতেন।
বিষয়টি কয়েকবার পারিবারিকভাবে মীমাংসাও করা হয়। মঙ্গলবার রাতে স্বামীসহ তাদের বাড়ির লোকজন তাকে মেরে তার লাশ নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ফেলে সবাই পালিয়ে যান।
পরে তার বাবাকে ফোনে জানানো হয় তার মেয়ে মারা গেছে। তিনি হাসপাতালে গিয়ে দেখেন তার মেয়ের গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
এ ঘটনায় নিহতের পরিবার দায়ীদের দ্রুত বিচারের দাবি জানান।
নাসিরনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সঞ্জয় কুমার সরকার জানান, এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পানিতে ডুবে ২ বোনের মৃত্যু
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ৩ নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু
লালমনিরহাটে শ্বশুরবাড়ি থেকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার
লালমনিরহাটের কালিগঞ্জে ভালোবেসে বিয়ের মাত্র পাঁচ মাসের মাথায় শ্বশুরবাড়ি থেকে এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে উপজেলার গোড়ল ইউনিয়নের শিবরাম গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত পপি রানি ওই গ্রামের রুহিদাস চন্দ্র রায়ের ছেলে উজ্জ্বল চন্দ্র রায়ের স্ত্রী।
আরও পড়ুন: সোনারগাঁয়ে বাসচালকের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার
স্থানীয়রা জানায়, পাঁচ মাস আগে একই উপজেলার গোড়ল ইউনিয়নের শিবরাম গ্রামের রুহিদাস চন্দ্র রায়ের ছেলে উজ্জ্বল চন্দ্র রায়কে ভালোবেসে বিয়ে করেন পাশ্ববর্তী চন্দ্রপুর ইউনিয়নের উত্তর বালাপাড়া গ্রামের পপি রাণী। বিয়ের পরপরই যৌতুকের জন্য চাপ দিতে থাকে স্বামী উজ্জ্বল। পপির ভ্যানচালক গরিব বাবা যৌতুকের কিছু টাকা দিলেও আরও টাকা দাবী করেন উজ্জল। দাবিকৃত টাকা না পেয়ে স্ত্রীর সাঙ্গে প্রায়ই ঝগড়ায় করতো স্বামী।
সম্প্রতি স্থানীয় এক অষ্টপ্রহরের অনুষ্ঠানে যাওয়াকে কেন্দ্র করে কথাকাটিও হয়েছিলো দুজনের। গত সোমবার রাতে স্বামীর বাড়ীর বিছানায় পড়ে থাকা পপির লাশের খবর পায় পুলিশ। খবর পেয়ে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ বিষয়ে কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এটিএম গোলাম রসুল জানান, রাতেই লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারী) লাশ ময়নাতদন্তের জন্য লালমনিরহাটের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: উল্লাপাড়ায় নিজের ঘর থেকে বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার
ফরিদপুর নারীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার
উত্তরায় গৃহবধূর লাশ উদ্ধার: স্বামী ৩ দিনের রিমান্ডে
রাজধানীর উত্তরার উত্তরার ১৫নং সেক্টরের দিয়াবাড়ি এলাকার ৩নং ব্রিজের নিচ থেকে বৃহস্পতিবার ভোরে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার এ মামলায় স্বামী রাশেদ শরীফকে তিন দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
অভিযুক্ত রাশেদ শরীফ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার এবং সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার তামাই গ্রামের মো. শামসুল হকের ছেলে । তবে এ মামলার বাকি দুই আসামি পলাতক রয়েছে।
নিহত সায়মন পারভিন নিপুন (৩৬) সিরাজগঞ্জ জেলা শহরের কালীবাড়ি মহল্লার মাহমুদুল হাসান বাবলু মুন্সির মেয়ে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে নিজ বাসা থেকে শিশুর লাশ উদ্ধার
তুরাগ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শরিফুল ইসলাম মামলার বরাতে এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, রাশেদ শরীফের সঙ্গে ২০০৯ সালে পারিবারিক ভাবে সায়মন পারভিন নিপুনের বিয়ে হয়। তাদের ঘরে তিনটি পুত্র সন্তান রয়েছে। এ বিয়ের পর থেকেই স্বামী রাশেদ শরীফ যৌতুকের টাকা দাবী করে নিপুনকে মারপিট ও শারীরিক নির্যাতন করে আসছিল।
এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে স্বামী রাশেদ শরীফ তার মেজো ভাই ও বোন জামাই মিলে নিপুনকে হত্যা করে তুরাগ নদীর উল্লেখিত স্থানে লাশ ফেলে দেয়া হয়। এরপর নিপুনের বাবাকে মোবাইল ফোনে তার মেয়ে কোন এক ছেলের সঙ্গে পালিয়ে গেছে বলে জানানো হয়। এ খবর পেয়ে পরদিন নিপুনের বাবা তার মেয়েকে খুঁজতে ঢাকায় এসে মেয়ের বাসায় গেলে মেয়ে জামাই রাশেদ শরীফ তার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে বাসা থেকে বের করে দেয়। এ সময় তার মা-বাবা ভাই-বোন ও বোনের জামাইসহ বাসার সবাইকে হাসিখুশি দেখা গেছে।
তিনি জানান, এ ব্যাপারে নিহত নিপুনের বাবা বাদী হয়ে তুরাগ থানায় তিন জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এদিকে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর ও নিপুনের স্বামীকে অধিকতর জিজ্ঞাবাদ ও তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে ইউএনবিকে জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে নিখোঁজের দু'দিন পর শিশুর লাশ উদ্ধার
শিশু আয়াতকে ৬ টুকরা করে হত্যা, লাশ উদ্ধারে সাগরে অভিযান পিবিআই’র
চট্টগ্রামে বাড়ির ছাদের ট্যাংকে গৃহবধূর লাশ!
চট্টগ্রাম মহানগরীর ইপিজেড এলাকায় এক বাড়ির ছাদের পানির ট্যাংক থেকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার রাতে ইপিজেড থানার বন্দরটিলার খলিল হুজুর ভবনের পানি ট্যাংক থেকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করেছে।
মৃত মর্জিনা আক্তার (২১) পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কেশবপুর এলাকার ওয়াহিদুল গাজীর মেয়ে। তার স্বামী পেশায় একজন নির্মাণ শ্রমিক। স্বামী-সন্তান নিয়ে ওই ভবনের পাঁচ তলায় ভাড়া থাকতেন তিনি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামের ‘ফুসফুস’ সিআরবিতে হাসপাতাল হচ্ছে না, আন্দোলন সমাপ্তি ঘোষণা
পুলিশ জানায়, এর আগে স্ত্রীকে খুঁজে না পেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে স্বামী মো. হাসান।
এদিকে, লাশ উদ্ধারের পর থেকেই আত্মগোপনে রয়েছেন তার স্বামী। গৃহবধূকে তার স্বামী খুন করে পালিয়ে গেছেন বলে পুলিশের ধারণা।
ইপিজেড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল করিম বলেন, ভবনের ভাড়াটিয়ারা ছাদে উঠে পানির ট্যাংক থেকে দুর্গন্ধ ছড়ানোর বিষয়টি খেয়াল করলে ভবন মালিককে জানানো হয়। পরে ওই ভবন মালিক ট্যাংক খুলে লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ট্যাংক থেকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
তিনি বলেন, আমারা সন্দেহ করছি মর্জিনার মৃত্যুর সঙ্গে তার স্বামী জড়িত। কারণ লাশ উদ্ধারে পর সে আত্মগোপন করেছে।পুলিশ জানায়, গত বৃহস্পতিবার ওই গৃহবধূর স্বামী তার সাত মাস বয়সী শিশু সন্তানকে বাড়িওয়ালার কাছে রেখে বলে তার স্ত্রী ফিরলে যেন সন্তানকে তার কাছে দিয়ে আসে। এর একদিন পর শুক্রবার ইপিজেড থানায় স্ত্রী নিখোঁজের জিডি করেন নিজেই।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে আড়াই লাখ দিরহাম জব্দ, বিদেশগামী যাত্রী আটক
পার্বত্য চট্টগ্রামবাসীর প্রতি প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত আন্তরিক: উশৈ সিং
পুকুরে মিলল গলায় পাটা বাঁধা অবস্থায় গৃহবধূর লাশ!
সিলেটের কানাইঘাটে পুকুর থেকে গলায় পাটা বাঁধা অবস্থায় এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার সকালে বাড়ির পুকুর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত মুসলিমা বেগম কানাইঘাট উপজেলার বীরদল আগফৌদ গ্রামের সৌদি প্রবাসী হেলাল আহমদের স্ত্রী।
আরও পড়ুন: নাটোরে এসএসসি পরীক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
পরিবার সূত্র জানায়, রবিবার রাতে শিশুসন্তান আরিফ আফসারকে নিয়ে নিজের কক্ষে ঘুমাতে যান মুসলিমা বেগম। ভোরে আরিফের কান্না শুনতে পেয়ে পরিবারের লোকজন মুসলিমাকে ডাকতে গিয়ে দেখেন বাইরে থেকে রুম বন্ধ করে দেয়া। ভেতরে ঢুকে তারা শিশু আরিফকে হাত বাঁধা অবস্থায় দেখতে পান। মুসলিমাকে ঘরে না পেয়ে পরিবারের লোকজন খুঁজতে থাকেন। একপর্যায়ে তারা বাড়ির পুকুরঘাটে তার জুতা দেখতে পান।
কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত তাজুল ইসলাম বলেন, রহস্যজনক এই নিখোঁজের খবর পেয়ে পুলিশ ওই বাড়িতে গিয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় পুকুরে তল্লাশি চালায়। এসময় গলায় পাটা বাঁধা অবস্থায় মুসলিমার লাশ উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এটাকে আত্মহত্যা মনে করা হলেও ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
আরও পড়ুন: উঠানের আম গাছে ঝুলছিল যুবকের লাশ!
খুলনায় কলেজছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
নিখোঁজের ১০ দিন পর বিলে মিলল গৃহবধূর লাশ, স্বামী নিখোঁজ
নিখোঁজের ১০ দিন পর সদর উপজেলার দক্ষিণ রামনগরের পাশে তেতুল বিল থেকে শনিবার বিকালে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বগুড়ায় ডোবা থেকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার, স্বামী আটক
বগুড়ার নন্দীগ্রামে পানির ডোবা থেকে বুধবার সকালে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
যশোরে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে স্বামী আটক
যশোরের মণিরামপুরে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
কুমিল্লায় সাড়ে চার মাস পর গৃহবধূর লাশ উত্তোলন
কুমিল্লা, ১৫ অক্টোবর (ইউএনবি)-কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় আদালতের নির্দেশে প্রায় সাড়ে চার মাস পর গৃহবধূ লাইলী আক্তারের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।