মঙ্গলবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ মো. আব্দুল মান্নান এই রায় দেন। এ মামলায় অপর ছয় আসামিকে অব্যাহতি দিয়েছে আদালত।
মামলার বিবরণে জানা যায়, কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের বাইমমারী গ্রামে ক্রয় সূত্রে ৫৮ শতক জমি ১৮ বছর ধরে মালিকানা ভোগ করে আসছিলেন ওই গ্রামের মৃত বন্দে আলী দেওয়ানীর ছেলে সামছুল হক (৫৫)। ২০১০ সালের ৮ নভেম্বর প্রতিবেশী মৃত বাহেজ হাজীর ছেলে আব্দুস ছালাম (৬০) জমির মালিকানা দাবি করে লোকজনকে নিয়ে এসে পাকা ধান কেটে নিয়ে যায়। এ সময় শ্যালো মেশিন নিতে গেলে সামছুল হকের স্ত্রী লাইলী বেগম বাধা দিলে আসামি আব্দুস ছাত্তার শাবল দিয়ে তার মাথায় আঘাত করে। আশপাশের লোকজন তাকে রৌমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার ১০ মিনিট পরেই তার মৃত্যু হয়।
এ ব্যাপারে নিহতের স্বামী সামছুল হক রৌমারী থানায় ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ শুনানির পর আদালত আসামি আব্দুস ছাত্তারকে মৃত্যুদণ্ড এবং অপর ছয় আসামিকে অব্যাহতির আদেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট আব্রাহাম লিংকন এবং আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. আমির আলী।
আব্রাহাম লিংকন বলেন, ‘আমরা রাষ্ট্রপক্ষ এই রায়ে সন্তষ্ট। এই রায় সমাজের জন্য অনেক কার্যকরী হবে। অপরাধীরা এ ধরনের ঘৃণ্য অপরাধ থেকে বিরত থাকবে।’