জামিনে বের হবার পর একজনের মোবাইলের মাধ্যমে সাংবাদিক আরিফুলের সাথে কথাগুলো বলেছেন সদ্য সাবেক হওয়া কুড়িগ্রামের সেই জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন।
তিনি আরও বলেন,‘যাই হোক যা ঘটে গেছে তুমিও ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেইখো। তুমি একটু রেস্ট টেস্ট নাও। একটু নিরিবিলি থাকো।’
গত শুক্রবার মধ্যরাতে জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীনের নির্দেশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (আরডিসি) নাজিমউদ্দীনের নেতৃত্বে কুড়িগ্রামের সাংবাদিক আরিফুল ইসলামের বাসার দরজা ভেঙে ঢুকে তাকে মারধর করে এনকাউন্টার দেয়ার হুমকি দেয়া হয়।
সেখান থেকে তাকে তুলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নিয়ে চোখ বেঁধে বিবস্ত্র করে নির্যাতন করা হয়। এরপর সাজানো মামলায় ৪৫০ এমএল দেশি মদ ও ১০০ গ্রাম গাঁজা দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতে এক বছরের সাজা প্রদান করা হয়।
মোবাইলে ফোনালাপের ব্যাপারে আরিফুল ইসলাম জানান,‘কারাগার থেকে বের হওয়ার পর জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন এক ব্যক্তির মাধ্যমে আমার সাথে যোগাযোগ করেন। এসময় আমি তার সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেন নি। তিনি আমাকে মামলা প্রত্যাহার করে নেয়ার আশ্বাস দিয়ে চুপচাপ থাকতে বলেন।
আরিফুল জেলা প্রশাসকের কাছে চোখ বাঁধা অবস্থায় স্বাক্ষর নেয়া চারটি কাগজ ফেরত চান। জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন বলেন,‘আচ্ছা ঠিক আছে, আমি তোমাকে ফেরত দেবো।
আরিফুলের এনকাউন্টার প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসককে প্রশ্ন করলে তিনি জানান, আসলে এনকাউন্টারের মানসিকতা আমাদের ছিল না। ওইভাবে ছিল না।
আমি আমার ভবিষ্যত নিয়ে খুবই চিন্তিত প্রশ্নের উত্তরে ডিসি বলেন,‘তোমার ভবিষ্যত নিয়ে এতটা চিন্তিত হওয়ার কিছু নাই। ভালো থাকবা ইনশাল্লাহ।’
রিগ্যানের মামলা প্রসঙ্গে ডিসি বলেন,‘তোমার মামলা প্রত্যাহার করে দেবো, সমস্যা নাই। একটু সময় দিও। একটা দুইটা শুনানির সময় লাগবে। তোমার চাকরির (একটি বেসরকারি কলেজে) ব্যাপারেও আমি দেখবো। চাকরির ব্যাপারে কোনও টেনশন করো না।