বাদী পক্ষের আইনজীবী হারুন অর রশীদ সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সোমবার যুগ্ম জেলা জজ প্রথম আদালতের বিচারক নুসরাত জেবিন শুনানি শেষে মামলাটি গ্রহণ করে বিবাদীদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন।
হারুন অর রশীদ জানান, মামলাটি গত ১৩ আগস্ট দাখিল হয়। বিচারক আগামী ৫ নভেম্বর বিবাদীদের লিখিত জবাব দেয়ার জন্য সমন জারি করেছেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, মেসার্স সুন্দরবন সি ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ২০০১ সালের আগে বিভিন্ন সময়ে কৃষি ব্যাংক খুলনা কর্পোরেট শাখা থেকে নয় কোটি ৪৬ লাখ টাকা ঋণ গ্রহণ করে। পরবর্তীতে ঋণ শোধ করতে না পারায় কৃষি ব্যাংক ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে খুলনার অর্থ আদালতে অর্থঋণ মামলা দায়ের করে ২১ কোটি ৫৬ লাখ টাকা দাবি করে।
মামলায় কৃষি ব্যাংকের পক্ষে ডিক্রি হয়। পরে ২০০৩ সালে কৃষি ব্যাংক একই আদালতে অর্থজারি মামলা করে এবং তা ২০০৯ সালে নিষ্পত্তি হয়। সে সময় মেসার্স সুন্দরবন সি ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ আদালতের মাধ্যমে এক কোটি ৭০ লাখ টাকা ব্যাংককে প্রদান করে ও তাদের বন্ধকী সম্পত্তি ছাড়িয়ে নেয়।
এরপর ২০১৫ সালে কৃষি ব্যাংক পুনরায় ২০০৩ সালের মামলাটি পুনরুজ্জীবিত করে, যেটি ২০১৬ সালে আদালত খারিজ করে দেয়। আবার ২০১৭ সালে কৃষি ব্যাংক অর্থঋণ মামলা করে, যেটি একই বছর আদালত খারিজ করে দেন। সর্বশেষ, ২০১৮ সালে কৃষি ব্যাংক দুদকে মেসার্স সুন্দরবন সি ফুড ইন্ডাস্ট্রিজের বিরুদ্ধে ১৬ কোটি টাকার আত্মসাৎ মামলা করে, যা ২০১৯ সালে খারিজ করে দেয় আদালত।
এভাবে আদালতের মাধ্যেমে নিষ্পত্তিকৃত বিষয়ে একের পর এক মামলা করে পরাজিত হওয়ার পরও কৃষি ব্যাংক পুনরায় ১৬ কোটি টাকা দাবি করে চিঠি ইস্যু করে ২০১৯ সালে। এর বিপরীতে বারবার ব্যাংক কর্তৃক হয়রানির স্বীকার হয়ে তাদের বিরুদ্ধে এ ক্ষতিপূরণ মামলা করেছে মেসার্স সুন্দরবন সি ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ।