ক্ষতিপূরণ
সাজেকের সড়ক দুর্ঘটনা: নিহতদের ৫ লাখ; আহতদের ২ লাখ ক্ষতিপূরণ
রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেকের ৯০ ডিগ্রি এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের বিআরটিএর পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরীন আক্তার।
তিনি জানান, নিহত প্রতি ৫ লাখ টাকা এবং আহতদের ২ লাখ টাকা করে দেওয়া হবে। এছাড়াও মরদেহ পরিবহনের জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে খাগড়াছড়ি আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে দুর্ঘটনায় আহতদের দেখতে এসে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান তিনি।
এর আগে বৃহস্পতিবার সাজেক থানা থেকে ৫ জনের মরদেহ খাগড়াছড়ি আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে পুলিশ।
নিহত ৯ জনের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে জানিয়েছেন বাঘাইছড়ি পুলিশ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল আওয়াল চৌধুরী।
খাগড়াছড়ি আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতদের মধ্যে আহির উদ্দিন এবং তার ছেলে সামিউলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সকালে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়।
খাগড়াছড়ি আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার রিপল বাপ্পি চাকমা জানিয়েছে, হাসপাতালটিতে বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছে ৪ জন।
উল্লেখ্য, বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিভিন্ন এলাকা থেকে সীমান্ত সড়কের কাজ করতে মালামাল ও শ্রমিকসহ উদয়পুরে যাচ্ছিল। ৯০ ডিগ্রি এলাকার একটি পাহাড়ি সড়ক থেকে নামার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকটি খাদে পড়ে উল্টে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই ৫ জনের মৃত্যু হয়।
স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে ট্রাক ও জিপে করে প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা দূরত্বের খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক ৪ জনকে মৃত ঘোষণা করেন। অন্য ৬ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এর মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আহির উদ্দিন ও তার ছেলে সামিউলকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে হতাহতদের পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ কেন নয়: হাইকোর্ট
রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে অগ্নিকাণ্ডে হতাহতদের কেন পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট) এবং আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) পক্ষ থেকে করা রিটের শুনানি নিয়ে সোমবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: কোন কোন আদালতে লোহার খাঁচা রয়েছে জানতে চান হাইকোর্ট
আদালতের রুলে বহুতল ভবন, কারখানা ও স্থাপনায় অগ্নিনিরোধক কক্ষ ও সিঁড়ি স্থাপনের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং অগ্নিনির্বাপক প্রতিরোধ আইন ও বিল্ডিং কোড আইনে কেন এবিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়। একই সঙ্গে আবাসিক এলাকায় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান পরিচালনা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
এছাড়া হাইকোর্ট তার আদেশে ২০২৩-২৪ বর্ষে বহুতল ভবনে কতটি অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে এবং কী পরিমাণ প্রাণহানি ও সম্পদের ক্ষতি হয়েছে জানাতে রাজউক ও ফায়ার সার্ভিসের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন ও ব্যারিস্টার অনিক আর হক।
এর আগে গত রবিবার জনস্বার্থে মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট), আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) এবং বেইলি রোডের কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্ট ভবনের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মারা যাওয়া তানজিনা নওরিন এসার বড় ভাই ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী নাজমুস সাকিব তুষ্টি রিট আবেদনটি দায়ের করেন। রিটে স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের আইজি, রাজউকের চেয়ারম্যান, ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়রসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়।
গত বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত ‘গ্রিন কেজি কটেজ’ ভবনে লাগা আগুনে এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ৪৪ জনের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে পরিবারের কাছে। দুজনের মরদেহ ঢাকা মেডিকেলে রয়েছে। গতকাল তাদের ডিএনএ নমুনা নেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ১৪ জনের মধ্যে বাসায় ফিরেছেন ১১ জন। এখনো ভর্তি আছেন তিনজন। আর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন আরও দুজন।
আরও পড়ুন: বিনোদনে হাতি ব্যবহার বন্ধে হাইকোর্টে রিট
হাইকোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন নুর
প্রবাসে মৃত কর্মীর পরিবারের হাতে ক্ষতিপূরণের চেক বিতরণ
বিদেশে মৃত প্রবাসী কর্মীদের পরিবারের হাতে আর্থিক ক্ষতিপূরণের চেক তুলে দিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ।
সোমবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সিনিয়র সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীনের সভাপতিত্বে মৃত প্রবাসী কর্মীর পরিবারকে ক্ষতিপূরণের চেক বিতরণ করা হয়। ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ১৫টি পরিবারের হাতে প্রায় ৬ কোটি টাকার চেক তুলে দেন। এর মধ্যে একটি পরিবারের হাতে ১০ লাখ টাকার জীবন বিমা ক্ষতিপূরণের চেক তুলে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: মেডিকেল চেকআপ শেষে দেশে ফিরেছেন ওবায়দুল কাদের
প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী বলেন, সরকার প্রবাসীদের কল্যাণ ও অধিকার আদায়ে অঙ্গীকারাবদ্ধ। বিদেশে অবস্থানরত প্রবাসীদের যেকোনো বিপদ-আপদে সরকার পাশে রয়েছে। মন্ত্রণালয় বিদেশের শ্রমকল্যাণ শাখার মাধ্যমে কর্মীর সামগ্রিক নিরাপত্তা ও সব ধরনের সমস্যা সমাধানে কাজ করে যাচ্ছে। বিদেশে মৃত কর্মীদের ক্ষতিপূরণের অর্থ নিয়োগকারী কোম্পানি থেকে আইনগতভাবে আদায় করে তা মৃত কর্মীর ওয়ারিশদের মাঝে বিতরণ করা হয়। ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মাধ্যমে মৃত প্রবাসী কর্মীদের পরিবারের কল্যাণে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ চলমান।
অনুষ্ঠানে সিনিয়র সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে প্রবাসী কর্মীদের অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ দেশে-বিদেশে অবস্থানরত প্রবাসী কর্মীদের পরিবারকে সরকারের তরফ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, মৃত প্রবাসী কর্মীর ক্ষতিপূরণের অর্থ আদায় করে দ্রুত ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আমরা তাদের পরিবারের কাছে পৌঁছে দিচ্ছি। তিনি আরও বলেন, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দেশে-বিদেশে অবস্থানরত প্রবাসী কর্মীদের সেবায় সরকার সর্বদা নিয়োজিত।
অনুষ্ঠানে ছিলেন- ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক মো. হামিদুর রহমান, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সায়মা ইউনুস ও ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের পরিচালক (অর্থ ও কল্যাণ) শোয়াইব আহমাদ খান প্রমুখ।
আরও পড়ুন: বিএসআরএফ'র সদস্যদের ফ্যাক্ট চেকিং বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিলো জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট
বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়াতে চায় চেক প্রজাতন্ত্র
বাসচাপায় পা হারানো শিশুকে ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে রুল
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে বাসচাপায় পা হারানো ৫ বছরের শিশু অগ্ররাজ সিকদারকে ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
অগ্ররাজের জন্য ক্ষতিপূরণ চেয়ে করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বুধবার (৫ জুলাই) বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি এ কে এম রবিউল হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
চার সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র সচিব, চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার, এস আলম পরিবহন কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: শীর্ষ মাদক চোরাকারবারিদের তালিকা দাখিলের নির্দেশ হাইকোর্টের
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন- অ্যাডভোকেট তুষার রায়। পরে তিনি রুল জারির বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন।
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি বাঁশখালীর নাপোড়া বাজার এলাকায় স্কুলের গেটে দাঁড়িয়ে ছিল তার ছেলে অগ্ররাজ সিকদার। সে সময় চট্টগ্রাম অভিমুখী এস আলম পরিবহনের বাসটি একটি অটোরিকশাকে ওভারটেক করতে গেলে তার ছেলের পায়ের ওপর উঠে যায়। এই অবস্থায় বাসটি তাকে কিছুদূর টেনেও নিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে তার বাম পা কেটে ফেলতে হয় এবং ডান পায়ে প্লাস্টার করা হয়।
গত ১২ এপ্রিল চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে অগ্ররাজের মা পূর্ণিমা দে বলেন, বাসচাপায় তার ছেলের এক পা কেটে ফেলতে হয়েছে। ছেলের চিকিৎসায় সাত লাখ টাকা খরচ হয়েছে, তারা আর চিকিৎসার খরচ জোগাড় করতে পারছেন না। শিশু অগ্ররাজের বাবা একজন কাঠমিস্ত্রি। পরে এ ঘটনায় ক্ষতিপূরণ চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়।
আরও পড়ুন: সেন্ট্রাল হাসপাতালের ডা. মিলিকে আত্মসমর্পণে হাইকোর্টের নির্দেশ
জাহাঙ্গীরকে মেয়র পদ থেকে বরখাস্ত আইনানুগ ছিল না: হাইকোর্ট
সিইসির পদত্যাগ ও ৫০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে আইনি নোটিশ ফয়জুল করিমের
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের পদত্যাগ ও সাংবিধানিক পদে দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্যের জন্য ৫০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মো. ফয়জুল করিমের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ আবদুল বাসেত এই আইনি নোটিশ পাঠান।
এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের দিন ফয়জুল করিম ভোট কেন্দ্র পরিদর্শনে গেলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রায় ৩০ থেকে ৪০ নেতাকর্মী তার ওপর হামলা চালায়।
আরও পড়ুন: কেসিসি নির্বাচন: এজেন্টদের ভোটকেন্দ্রে প্রবেশে বাধা দেওয়া হচ্ছে, জাপা মেয়র প্রার্থীর অভিযোগ
তবে প্রিজাইডিং অফিসার ও স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে অবহিত করা সত্ত্বেও এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘পরে সাংবাদিকরা প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালকে প্রশ্ন করলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।
এতে বলা হয়েছে, এই বক্তব্যের কারণে তিনি রাষ্ট্রের একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালনের নৈতিক ও আইনগত অধিকার হারিয়েছেন।
নোটিশে বলা হয়েছে, ‘মুফতি সৈয়দ মো. ফয়জুল করিমের ওপর পরিকল্পিত আক্রমণ সম্পর্কে একজন সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে আপনার উপরোক্ত বক্তব্যটি দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং অবৈধ, যার ফলে আমার মক্কেলের অপূরণীয় শারীরিক, মানসিক, সামাজিক এবং রাজনৈতিক ক্ষতি হয়েছে (এর জন্য আপনি দায়ী)। তাছাড়া, তার খ্যাতি এবং ভাবমূর্তিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে... তার ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক ৫০০ কোটি টাকা।’
আরও পড়ুন: বরিশাল সিটি নির্বাচন: হাতপাখার প্রার্থীর ওপর হামলা, নৌকার কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ
এতে বলা হয়েছে, ‘এমন পরিস্থিতিতে, আপনি, নোটিশ প্রাপক, উপরোক্ত দায়িত্বজ্ঞানহীন, অনৈতিক বিবৃতি প্রত্যাহার করবেন এবং নোটিশ প্রাপ্তির ৭ দিনের মধ্যে জাতীয় দৈনিক--প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়াতে প্রকাশ করবেন।’
‘এছাড়াও, আপনি 'প্রধান নির্বাচন কমিশনার' পদ থেকে পদত্যাগ করবেন এবং আমার মক্কেলকে ক্ষতিপূরণ হিসাবে৫০০ কোটি টাকা দেবেন।’
এতে বলা হয়, ‘অন্যথায়, নোটিশের মেয়াদ শেষে আমার মক্কেল দেশের প্রচলিত আইনের অধীনে যথাযথ আদালতে নোটিশ প্রাপকের বিরুদ্ধে সমস্ত প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবেন।’
আরও পড়ুন: সিলেট ও রাজশাহী সিটি নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা ইসলামী আন্দোলনের
বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দুই হাত হারানো শিশুকে দেড় কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ কেন নয়: হাইকোর্ট
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুই হাত হারানো ঢাকার ধামরাইয়ের বর্ণমালা স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র মো. শেখ সাদিকে কেন ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
এক রিটের প্রাথমিক শুনানি করে সোমবার (১২ জুন) বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মো. শওকত আলী চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
এছাড়া সাত দিনের মধ্যে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডসহ সরকারের সংশ্লিষ্টদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কারাগারে ‘চিকিৎসক নিয়োগ বিধিমালা’ চূড়ান্তে ১ মাস সময় দিলেন হাইকোর্ট
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।
আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, মো. শেখ সাদি ধামরাই বর্ণমালা স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত ছিল। গত বছরের ১৫ জুলাই দুপুর ১২টার সময় মো. শেখ সাদি ধানসিঁড়ি আবাসিক এলাকায় অবস্থিত একটি পুকুরে গোসল করতে যায়। সে গোসল করার জন্য পুকুরে ঝাঁপ দেয়, এসময় পানির ওপর ঝুলন্ত বিদ্যুতের তারে স্পৃষ্ট হয়ে তার উভয় হাতে আগুন ধরে যায়। তার চিৎকারে আশপাশে থাকা লোকজন তাকে উদ্ধার করে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানকার চিকিৎসক তাকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে পাঠান।
তিনি বলেন, শারীরিক অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তার জীবন বাঁচাতে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটের চিকিৎসক শেখ সাদির উভয় হাত কাঁধ থেকে কেটে ফেলে দেয়। দুর্ঘটনাস্থলে ও তার আশপাশে বিভিন্ন সময় পল্লী বিদ্যুতের তার ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল। স্থানীয় লোকজন অনেকবার বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ধামরাই জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজারকে ওই এলাকার ঝুঁকিপূর্ণ তার সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু তিনি কোনো ব্যবস্থা নেননি।
আরও পড়ুন: অর্পিত সম্পত্তির তদারকি-লিজের ক্ষমতা ডিসিদের: হাইকোর্ট
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ধামরাইয়ের অবহেলায় শেখ সাদি তার উভয় হাত হারিয়েছে। এ অবস্থায় বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড কোনোভাবেই ঘটনায় দায়দায়িত্ব অস্বীকার করতে পারে না।
মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, গত ২ মার্চ শেখ সাদির বাবা বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের কাছে ক্ষতিপূরণ চেয়ে একটি আবেদন করে। কিন্তু কোনো জবাব না পেয়ে গত ২ মে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড বরাবর ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান।
নোটিশের জবাব না পেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।
রিটে শেখ সাদির চিকিৎসা খরচ বাবদ বিশ লাখ টাকা, দুর্ঘটনার কারণে যন্ত্রণা ও দুভোর্গের জন্য দশ লাখ টাকা, কর্মক্ষমতা হারানো বাবদ এক কোটি বিশ লাখ টাকা বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের কাছে ক্ষতিপূরণ হিসেবে দাবি করা হয়েছে। এছাড়া ভবিষ্যতে শেখ সাদির চিকিৎসার সকল খরচ বহন এবং ভবিষ্যতে অঙ্গ প্রতিস্থাপনের ব্যবস্থা করতে হবে। পড়াশুনার জন্য বিশেষায়িত সুবিধা এবং ভবিষ্যতে শেখ সাদিকে পুনবার্সনের ব্যবস্থা করারও দাবি করা হয়েছে এই রিটে।
আরও পড়ুন: তাফসির আউয়ালকে বিদেশ যেতে বাধা না দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ
ব্যাংক আমানতকারীদের ক্ষতিপূরণ দ্বিগুণ করতে জাতীয় সংসদে বিল উত্থাপন
আমানতকারীদের ক্ষতিপূরণের পরিমাণ দ্বিগুণ করার লক্ষ্যে রবিবার সংসদে ব্যাংক আমানত বীমা বিল (সংশোধনী) ২০২৩ পেশ করা হয়েছিল।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বিলটি উত্থাপন করলে তা পরবর্তী পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট স্ক্রুটিনি কমিটিতে পাঠানো হয়। কমিটিকে এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
বর্তমান আইন অনুযায়ী, কোনো তফসিলি ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান অবসানে গেলে ৯০ দিনের মধ্যে একজন আমানতকারী সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ পান।
সংশোধিত আইনে এই ক্ষতিপূরণ ১ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে দুই লাখ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
বাংলাদেশে ১৯৮৪ সালে আমানত বীমা চালু করা হয়েছিল, যখন বীমা কভারেজের পরিমাণ ছিল ৬০ হাজার টাকা যা পরবর্তীতে ১ লাখ টাকায় বাড়ানো হয়।
পূর্ববর্তী আইনে শুধুমাত্র ব্যাংকগুলোর কথা উল্লেখ করা হয়েছিল, যদিও প্রস্তাবিত আইনে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের আমানতকারীদের জন্য সীমা বাড়ানোর জন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নতুনভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে হয়রানির কোনো মামলা নয়: সংসদে আইনমন্ত্রী
জাতীয় সংসদে বিদায়ী অর্থবছরের সম্পূরক বাজেট পাস
সংসদে দেশের সবচেয়ে বড় বাজেট পেশ করলেন অর্থমন্ত্রী
ডেইলি স্টারকে মেয়র তাপসের ১০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের নোটিশ
মানহানির অভিযোগে ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারের কাছে ১০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। বুধবার তার আইনজীবী ব্যারিস্টার মেজবাহুর রহমান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
মেজবাহুর রহমান জানান, গত ৫ জুন রেজিস্ট্রি ডাকযোগে ডেইলি স্টারের সম্পাদক ও প্রকাশক মাহফুজ আনাম, নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হক ও লেখক নাজিবা বাশারকে পাঠানো হয়েছে। নোটিশ প্রাপ্তির ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অনলাইনে থাকা সংশ্লিষ্ট রিপোর্ট অপসারণ এবং সাত দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মেয়র তাপসের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা: শুনানি ১৪ আগস্ট
আইনজীবী মেজবাহুর রহমান বলেন, ডেইলি স্টার পত্রিকা এবং অনলাইন ভার্সনে রিপোর্ট বা কলাম প্রকাশ করা হয়। বাংলায় অনুবাদ করলে কলামের লেখাটা ছিল এই রকম ‘বাতাস প্রবাহের জন্য গাছ কর্তন’, আরেকটি টাইটেল ছিল যেখানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নামকে বিকৃতি করে লিখেছেন, ‘ধোকা সাউথ টাউন করপোরেশন পরিবেশবাদীর চেয়ে একধাপ এগিয়ে আছে।’ শুধু তাই নয় মেয়র ফজলে নূর তাপসের নামকেও বিকৃতি করে লেখা হয়েছে।
এই ধরনের বক্তব্যগুলো আমাদের প্রচলিত ফৌজদারি আইন অনুযায়ী মানহানির পর্যায়ে পড়ে। এই রিপোর্ট দেখে মেয়র মহোদয় আমাকে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন। তার আলোকে আমরা নোটিশ পাঠিয়েছি। নোটিশে আমরা দুটি জিনিস চেয়েছি- একটি হলো অনলাইনে ভার্সনে থাকা লেখা অপসারণ এবং একটা বিবৃতি দিতে। পাশাপাশি ১০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য। সাত দিন সময় দেওয়া হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে তারা কোনো পদক্ষেপ না নিলে পরবর্তী কী সিদ্ধান্ত, সেটা মেয়র তাপসের নির্দেশে নেওয়া হবে বলে জানান এই আইনজীবী।
আরও পড়ুন: মেয়র তাপসের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা
মার্কেট ঝুঁকিমুক্ত করতে সম্মিলিত-দীর্ঘমেয়াদী উদ্যোগ নেওয়া হবে: মেয়র তাপস
বিদ্যুৎস্পৃষ্টে হাত হারানো শিশুটিকে ৪ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হাইকোর্টের রুল
ফেনীর ছাগলনাইয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বাম হাত হারানো ১১ বছরের শিশু ও তার পরিবারকে কেন চার কোটি ২২ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে এ ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের অবহেলা, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে নিস্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
ওই শিশুর বাবার করা এক রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ রবিবার এ রুল জারি করেন।
আরও পড়ুন: রকেটের গতিতে মামলা তদন্ত: সেই কর্মকর্তাকে বরখাস্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
সোমবার শিশুর পক্ষে রিটকারীর আইনজীবী মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম মিয়া সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, চার সপ্তাহের মধ্যে বিদ্যুৎ সচিব, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান, ফেনী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির চেয়ারম্যান ও মহাব্যবস্থাপক, ছাগলনাইয়া জোনের উপ মহাব্যবস্থাপক এবং সংশ্লিষ্ট বাড়ির মালিক শেখ আজিজুল হক নিশানকে হাইকোর্টের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
জানা যায়, ২০২২ সালের ৩১ জুলাই বিকাল ৪টায় ওই ভাড়া বাসায় রেজাউল করিম সোহাগ সরকারের ১১ বছরের ছেলে রাফি বারান্দায় খেলা করছিল। এ অবস্থায় তার হাতে থাকা ‘দৈর্ঘ্য পরিমাপের কাজে ব্যবহৃত একটি স্টিলের টেপ’ বারান্দা ঘেঁষা কাভারবিহীন বৈদ্যুতিক তারের ওপর পড়ে। বৈদ্যুতিক শকের কারণে রাফির বাম হাত, পাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে পুড়ে গুরুতর জখম হয়।
বৈদ্যুতিক শকের পর শিশুটিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসার্থে তার বাম হাতের কব্জি কেটে ফেলা হয়।
এখন তার কৃত্রিম হাত সংযোজনে ৪০ লাখ টাকা লাগবে। এ ছাড়া এ পর্যন্ত ২২ লাখ টাকা চিকিৎসা বাবদ খরচ হয়েছে।
বিকলাঙ্গ হওয়ায় ভবিষ্যৎ ক্ষতিপূরণ তিন কোটি ৬০ লাখ টাকা। সর্বমোট চার কোটি ২২ লাখ টাকা ক্ষতি দেখিয়েছে শিশুটির বাবা।
এ বিষয়টি জানিয়ে ছাগলনাইয়া জোনের উপ-মহাব্যবস্থাপক বরাবর জানানো হয়েছে। কিন্তু তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। পরে শিশুর বাবা বাদী হয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।
ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার দক্ষিণ মোটুয়ার শেখ আবুল হোসেন মাস্টারের ছেলে শেখ আজিজুল হক নিশানের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন রেজাউল করিম সোহাগ সরকার।
আরও পড়ুন: সাবেক জিসিসি মেয়র জাহাঙ্গীরের মনোনয়ন বাতিল চ্যালেঞ্জে করা রিট খারিজ হাইকোর্টের
বঙ্গবন্ধুর দুর্নীতি বিরোধী ভাষণগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে রুল জারি হাইকোর্টের
বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ড: ৭০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি দোকান মালিক সমিতির
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সরকারের প্রতি প্রাথমিকভাবে ৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দের আহ্বান জানিয়েছে।
বঙ্গবাজার পরিদর্শন শেষে মঙ্গলবার সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, অগ্নিকাণ্ডে প্রায় পাঁচ হাজার দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার অধিকাংশই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুরে অগ্নিকাণ্ড: ২ ভাইবোনের মৃত্যু
তিনি বলেন, এদিকে ঈদের উৎসব সামনে থাকায় সব দোকানে কাপড়-চোপড়সহ অন্যান্য পণ্য আগুনে পুড়ে প্রায় ছাই হয়ে গেছে।
এছাড়া অগ্নিকাণ্ডে আড়াই হাজার কোটি টাকার মালামালের ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তিনি।
হেলাল উদ্দিন বলেন, এসব ব্যবসায়ীর পুঁজি হচ্ছে দোকানের মালামাল। মালামাল পুড়ে যাওয়ায় এখন তাদের ব্যবসার কোনো সম্পদ অবশিষ্ট নেই।
তিনি আরও বলেন, এখন তাদের (ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ী) জন্য আমরা সরকারের কাছে প্রাথমিকভাবে ঈদের ক্ষতিপূরণের জন্য ৭০০ কোটি টাকা দাবি করছি।
আরও পড়ুন: বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ড: ১২ জন আহত
বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ড: চোখের সামনে আগুনে পুড়ল শহিদুল ও মঈনুদ্দিনের স্বপ্ন