শনিবার সকাল ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত তদন্তকালে কারাগার ভিতরের বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করে কমিটির সদস্যরা।
পরিদর্শন শেষে তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত আইজি প্রিজন কর্নেল আবরার হোসেন কারা ফটকের সামনে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে তদন্তের কাজ শুরু করা হয়েছে। কাজের অনেকটা অগ্রগতি হয়েছে। তবে, তদন্তের স্বার্থে এ সম্পর্কে এখনই কিছুই বলা যাচ্ছে না। অল্প সময়ের মধ্যে তদন্তের ফলাফল সম্পর্কে জানানো হবে।’
তদন্ত কমিটির অন্য দুই সদস্য ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি প্রিজন এটিএম তৌহিদুল ইসলাম ও মানিকগঞ্জের সিনিয়র জেলার বিকাশ রায়হান এসময় তার সাথে ছিলেন।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কাশিমপুর কারাগার-২ থেকে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি আবু বকর সিদ্দিক নিখোঁজ হয়।
এছাড়া, শনিবার নতুন করে দুজন সাময়িক বরখাস্তসহ দুদিনে প্রধান কারারক্ষীসহ মোট ৮ জনকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে কারা কতৃপক্ষ।
হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আবু বক্কর সিদ্দিক এখনো উদ্ধার বা গ্রেপ্তার হয়নি। তবে নগরের কোনাবাড়ী থানায় এ বিষয়টিতে মামলা দায়েরের পর তাকে গ্রেপ্তারের তৎপরতা চলছে বলে জানিয়েছেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. আনোয়ার হোসেন।
কয়েদি পালানোর ঘটনায় গতকাল শুক্রবার কেন্দ্রীয়ভাবে কারা প্রশাসন ওই কারাগারের প্রধান কারারক্ষীসহ ৬ জনকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে এবং দায়িত্বে থাকা ৬ জনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে। তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং ঘটনার পর কারাগারের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
কাশিমপুর কারাগার সূত্রে জানা গেছে, সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেরার আবাদ চন্ডীপুরের বাসিন্দা হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি আবু বকর সিদ্দিক পালিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় লক আপের পর কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিশ্চিত হয়।
আবু বকর সিদ্দিক ২০১১ সালে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে এসেছিলেন ফাঁসির আসামি হিসেবে। ২০১২ সালের ২৭ জুলাই তার সাজা সংশোধন করে তাকে যাবজ্জীবন দেয়া হয়।
২০১৫ সালের ১৩ মে সন্ধ্যায় তিনি আত্মগোপন করে সেল এলাকায় সেফটি ট্যাংকের ভেতরে লুকিয়ে ছিলেন। অনেক খোঁজাখুজি শেষে পরদিন তাকে একটি ট্যাংকের ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয়।