সাময়িক বরখাস্ত
বরখাস্ত শিক্ষককে পুনর্বহাল দাবিতে ভিকারুননিসার বসুন্ধরা শাখায় বিক্ষোভ
হিজাব পরতে বাধা দেওয়ার অভিযোগে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করার জেরে আন্দোলন শুরু করেছেন প্রতিষ্ঠানটির বসুন্ধরা শাখার সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা। তারা বরখাস্ত শিক্ষক ফজিলাতুন নাহারকে পুনর্বহাল, ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং অপপ্রচারকারীদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছেন।
বুধবার (২৭ আগস্ট) সকাল থেকে ক্লাস বর্জন করে তারা বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তারা মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসের আশপাশের সড়ক প্রদক্ষিণ করেন।
এর আগে মঙ্গলবার ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাজেদা বেগমের সই করা নোটিসে ছাত্রীদের ক্লাস থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগে ওই শিক্ষককে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
আন্দোলনরত নবম শ্রেণির ছাত্রী রোকাইয়া বিনতে মাজহার বলেন, ‘আমাদের আপা হিজাব পরতে নিষেধ করেননি, তিনি সঠিকভাবে হিজাব পরতে বলেছিলেন। প্যানেল শিক্ষার্থীরা যারা স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করছিলেন, তারা শেষ পিরিয়ডে ওই ক্লাসে গেলে আপা তাদের বলেছিলেন বাইরে গিয়ে বিষয়টি মিটিয়ে নিতে। প্যানেল শিক্ষার্থীরা ড্রেসকোড না মানা ছাত্রীদের বাইরে নিয়ে ৮-১০ মিনিট কথা বলেন।
‘এই ১০ মিনিটের জন্য আমাদের শিক্ষকের নামে পরিকল্পিতভাবে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। আমরা আপার পুনর্বহাল এবং অপপ্রচারকারীদের শাস্তি চাই।’
আন্দোলনরত দশম শ্রেণির ছাত্রী মেহের আফরোজ কনক বলেন, ‘আমাদের শিক্ষকের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হচ্ছে। তিনি ছাত্রীদের ড্রেসকোড মানতে বলেছিলেন। তাই তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হচ্ছে।’
প্রতিষ্ঠানটির সাবেক ছাত্রী আনিসা করিম বলেন, ‘আমি ২০০৯ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত এই প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করেছি। শুধু নাহার আপা নয়, অন্যান্য শিক্ষকরাও কখনো আমাদের হিজাব নিয়ে কোনো কথা বলেননি। আমার বিশ্বাস আপার বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলো করা হচ্ছে, সেগুলো ভিত্তিহীন। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চাই। যেসব গণমাধ্যমসহ যারা আপার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ ছড়িয়ে তার মানহানি করার চেষ্টা করছেন, তাদের বিচার চাই।’
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের বসুন্ধরা প্রভাতি শাখার ষষ্ঠ শ্রেণির একটি শ্রেণিকক্ষ থেকে ২২ জন শিক্ষার্থীকে হিজাব পরার কারণে ক্লাস থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এবং অ্যাডহক কমিটির (অস্থায়ী কমিটি) সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ওই শিক্ষককে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের নোটিসে উল্লেখ করা হয়।
তাকে চাকরি থেকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হবে না, তার কারণ সাত কর্মদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে জানাতেও বলা হয়েছে নোটিসে। অভিযুক্ত শিক্ষক তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগকে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট বলে দাবি করেছেন।
অভিযুক্ত শিক্ষক ফজিলাতুন নাহার বলেন, ‘আমি এই কাজটাই করিনি। আর এই ক্লাসে ২২ জন মেয়ে হিজাব পরে না। নয়জন বা ১১ জন পরে। আমি মেয়েদের বলেছি, তোমরা হিজাব পরে স্কুলে আসবে। হিজাব কীভাবে পরতে হবে তার নিয়মও ছাত্রীদের উদ্দেশে বলেছিলাম।’
দেড় দশকের বেশি সময় ধরে প্রতিষ্ঠানটির বসুন্ধরা শাখায় কর্মরত ওই শিক্ষক সেদিনের ঘটনার প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমি যখন ক্লাসে গেলাম, গিয়ে দেখি ভলান্টিয়াররা বাচ্চাদের চেক করছে—পোশাক ঠিক আছে কি না, নখ বড় কি না, চুল বাঁধা ঠিক আছে কি না।
‘তখন আমি ওদের (ভলান্টিয়ারদের) বললাম, তোমরা সারাদিন কী করলে? বলে, আপা আমরা সময় পাইনি। তখন বললাম, তাই বলে লাস্ট পিরিয়ডে চেক করবে? তা ঠিক আছে, যাও, তোমাদের যা যা কাজ তোমরা বাইরে নিয়ে যাও এদের, বাইরে নিয়ে তোমাদের দায়িত্ব পালন করো। এটা বলেছি, মেয়েদের বেরও করিনি।’
তাকে সাময়িক বরখাস্ত করার আগে কোনো শোকজ করা হয়নি দাবি করে তিনি বলেন, ‘আমি আইনি পদক্ষেপ নেব।’
প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাজেদা বেগম বুধবার দুপুরে বলেন, ‘অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। আমরা একটি তদন্ত পরিচালনা করছি। আমাদের বিশ্বাস, তদন্তে সত্য ঘটনা উঠে আসবে। সে অনুসারে আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাব।’
১০০ দিন আগে
সাবেক ডিবিপ্রধান হারুনসহ পুলিশের ১৮ কর্মকর্তা বরখাস্ত
দায়িত্ব থেকে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সাবেক প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদসহ ১৮ কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে সরকার।
সোমবার (১৮ আগস্ট) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে প্রকাশিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হয়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
সাময়িক বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে তিনজন ডিআইজি, ছয়জন অতিরিক্ত ডিআইজি, চারজন পুলিশ সুপার, চারজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবং একজন সহকারী পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কর্মকর্তা রয়েছেন।
সাময়িক বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তা হলেন— ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ও সাবেক ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন-অর-রশিদ, ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার সঞ্জিত কুমার রায়, চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ের অতিরিক্ত ডিআইজি রিফাত রহমান শামীম, একই কার্যালয়ের পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজিম, খুলনার পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসান আরাফাত, সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলাম, বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান, খাগড়াছড়ির এপিবিএন ও স্পেশালাইজড ট্রেনিং সেন্টারের অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ জায়েদুল আলম, চট্টগ্রাম পার্বত্য জেলাসমূহের এপিবিএনের অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন, রাজশাহী রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ের অতিরিক্ত ডিআইজি শ্যামল কুমার মূখার্জি এবং একই কার্যালয়ের অতিরিক্ত ডিআইজি (সংযুক্ত) আয়েশা সিদ্দিকা।
আরও পড়ুন: চোর সন্দেহে দুজনকে পিটিয়ে হত্যা: ৮ পুলিশ বরখাস্ত, তদন্তে কমিটি
তালিকায় আরও রয়েছেন, কক্সবাজারে ৮ এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজন কুমার দাস, ঢাকার পুলিশ স্টাফ কলেজের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মির্জা সালাউদ্দিন, একই প্রতিষ্ঠানের সহকারী পুলিশ সুপার মো. হাবিবুল্লাহ দালাল, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার রাশেদুল ইসলাম, ঢাকা ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মনিরুজ্জামান, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক উপকমিশনার ও বর্তমানে ঢাকায় অ্যান্টি-টেররিজম ইউনিটে (এটিইউ) কর্মরত মো. আবু মারুফ হোসেন এবং ডিআইজি (কমান্ড্যান্ট) মহা. আশরাফুজ্জামান।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, এই ১৮ জন কর্মকর্তাকে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর ৩(গ) অনুযায়ী পলায়নের শাস্তিযোগ্য অপরাধে অভিযুক্ত হওয়ায় বিধি ১২ উপবিধি (১) অনুযায়ী তাদের নামের পাশে উল্লিখিত তারিখ থেকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।
সাময়িক বরখাস্তকালীন তারা খোরপোষ ভাতা পাবেন বলে জানানো হয়েছে।
১০৯ দিন আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে জাবিতে হামলা: ২৮৯ শিক্ষার্থী বহিষ্কার, ৯ শিক্ষক সাময়িক বরখাস্ত
বিগত জুলাই আন্দোলনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীসহ সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর নিন্দনীয় হামলার অভিযোগে ২৮৯ জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার এবং পুলিশি হামলায় সরাসরি মদদ দেওয়ার অভিযোগে ৯ জন শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পর্ষদ (সিন্ডিকেট)। বহিষ্কৃত সকল শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলো।
সোমবার (১৭ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবন (রেজিস্ট্রার বিল্ডিং)-এ সকাল ১১ টা থেকে রাত ৩টা পর্যন্ত চলা সিন্ডিকেট সভার এক রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে দিবাগত রাত সোয়া ৩টায় সাংবাদিকদের সাথে ব্রিফিং কালে এসব তথ্য জানান উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামরুল আহসান।
আরও পড়ুন: জাবির প্রাণিবিদ্যা বিভাগ: শিক্ষকদের গ্রুপিংয়ে কম নম্বর পেলেন শিক্ষার্থী
সাময়িক বরখাস্ত হওয়া শিক্ষকরা হলেন, সাবেক উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) মোহাম্মদ মোস্তফা ফিরোজ,সাবেক প্রক্টর অধ্যাপক আলমগীর কবির, সরকার ও রাজনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান, সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক বশির আহমেদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সাবেক প্রাক্টর অধ্যাপক ইস্রাফিল আহমেদ, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মেহেদী ইকবাল, ইতিহাস বিভাগের অধ্যপক হোসনে আরা, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের সাবেক প্রক্টর নাজমুল হাসান তালুকদার এবং পাবলিক হেলথ এন্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ তাজউদ্দীন সিকদার
জানা গেছে, প্রাথমিক তদন্তে আরও ১০ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে জুলাই বিপ্লবে শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশি হামলায় মদদ দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাঁদের সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করতে অনুষদভিত্তিক ছয়টি স্ট্রাকচারাল কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
স্ট্রাকচারাল কমিটির আওতায় অভিযুক্ত শিক্ষকরা হলেন, অধ্যাপক কানন কুমার সেন, পলাশ বাহা, শফি মোহাম্মদ তারেক, জহিরুল ইসলাম খন্দকার, মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, মনির উদ্দিন শিকদার, সাইদুর রহমান, আনোয়ার খসরু পারভেজ, মুহিবুর রউফ শৈবাল, এ এ মামুন।
এছাড়াও শিক্ষকদের পাশাপাশি আরও ২ জন অফিসারকে (রাজিব, নাহিদুর) এবং ১ জন কর্মচারীকে (মুজিব হল) সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
সিন্ডিকেট সভায় আরও যেসব গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হলোঃ
শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশি হামলায় মদদ দেওয়ার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নুরুল আলম এবং তৎকালীন রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. আবু হাসান অবসরে চলে যাওয়ায় তাদের অবসরকালীন ভাতা (পেনশন) সুবিধা বাতিলের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের গত কয়েক মাস ধরে দাবির পরিপ্রেক্ষিতে শেখ পরিবারের নামে জাবিতে থাকা বিভিন্ন স্থাপনার নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শেখ মুজিব হল, শেখ হাসিন হল ও শেখ রাসেল হলের নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং পরবর্তীতে নতুন নামকরণের বিষয়ে একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এদিজে, গত বছর ১৮ সেপ্টেম্বর সাবেক শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা শূট্যার শামীম মোল্লা হত্যাকান্ডের ঘটনায় ৬ শিক্ষার্থীকে ছয় মাসের বহিষ্কারাদেশ প্রদান করা হয়েছে। তাদের শাস্তি পূর্বের সিন্ডিকেট সভার দিন থেকে শুরু হবে। সেই হিসাবে অভিযুক্তদের শাস্তির মেয়াদ আগামীকাল বুধবার (১৯ মার্চ) থেকে শেষ হবে। সেইসাথে সাবেক আরও ২ শিক্ষার্থীর সনদ ছয় মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।
এছাড়া, চারুকলা অনুষদের নতুন ভবন নির্মাণের জন্য জায়গা পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এটি হবে ক্যাম্পাসের প্রান্তিক গেইট এলাকায়। সেইসাথে এই অনুষদে ক্যালিগ্রাফি এ্যান্ড টাইপোগ্রাফি, ইসলামিক আর্ট অ্যান্ড আর্কিটেকচার নামের নতুন দুইটি বিভাগ চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছে। পাশাপাশি ধর্মতত্ত্ব অনুষদ চালুর ব্যাপারে পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামরুল আহসান বলেন, বিগত জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনায় ২৮৯ জন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এরা তিনটি ক্যাটাগরিতে শাস্তি ভোগ করবে। যাদের ছাত্রত্ব শেষ তাদের সনদ বাতিল করা হবে। যারা পরীক্ষা বা ভাইবা দিয়েছে তাদের ফলাফল স্থগিত করা হবে এবং নিয়মিত শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশি হামলায় সরাসরি মদদ দেওয়ার অভিযোগে ৯ জন শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে এবং আরও ১০জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তের জন্য অনুষদভিত্তিক ছয়টি স্ট্রাকচারাল কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
আরও পড়ুন: জাবিতে শিশু আছিয়ার গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত
উল্লেখ্য, ১৫ই জুলাই সন্ধ্যায় জাবি শিক্ষার্থীদের উপর ছাত্রলীগের ঘৃণ্য হামলা এবং মধ্যরাতে ছাত্রলীগ-টোকাই-পুলিশের ত্রিমুখী সশস্ত্র হামলায় সাংবাদিকসহ অসংখ্য শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়।
সেই দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতেই ১৫ জুলাইকে জাবির কালোরাত হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
২৬২ দিন আগে
কুড়িগ্রামের উলিপুরের থেতরাই ইউপি চেয়ারম্যান বরখাস্ত
কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার থেতরাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আতাউর রহমান আতাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব জেসমিন প্রধানের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: ফুলগাজীতে ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত চেয়ারম্যান বরখাস্ত
বুধবার (২৭ সেপ্টম্বর) স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের ওয়েব সাইটে সাময়িক বরখাস্তের প্রজ্ঞাপনটি প্রকাশ করে মন্ত্রণালয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জেলার উলিপুর উপজেলার থেতরাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আতাউর রহমান আতার বিরুদ্ধে জিআর মামলা ৩৩২/২২ এর দণ্ডবিধির ৪৪৭/৪৪৮/৩৫৩/৩৩২ ধারায় বিজ্ঞ আদালত তার অপরাধ আমলে নেন। এরপর ইউনিয়ন পরিষদ আইন অনুযায়ী কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছেন। কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার থেতরাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আতাউর রহমান আতার অপরাধমূলক কার্যক্রম ইউনিয়ন পরিষদসহ জনস্বার্থের পরিপন্থী। এই বিবেচনায় তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব জেসমীন প্রধানের সই করা পত্রে জানানো হয়।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে নৌকা বাইচ, হাজারো মানুষের ভিড়
এ বিষয়ে থেতরাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আতাউর রহমান আতা বলেন, আমি প্রজ্ঞাপন পেয়েছি এবং সাময়িকভাবে বরখাস্ত হওয়ার বিষয়টি জানি। ২০২২ সালে তহসিলদারকে মারার কারণে আমার নামে মামলা করা হয়েছিল। এ কারণে আমাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ জানান, আমরা এখনো অফিসিয়ালি প্রজ্ঞাপনটি পাইনি। পেলে এ বিষয়ে বলতে পারব।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে পাকিস্তান আমলে নির্মিত সেতুর মেরামত হয়নি, ভোগান্তিতে ৬ গ্রামের মানুষ
৭৯৯ দিন আগে
পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীর সঙ্গে ছেলের বিয়ে, সেই শিক্ষিকা সাময়িক বরখাস্ত
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা শামসুন্নাহারকে অবশেষে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) তাকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশে সই করেন নিয়োগকারী কর্মকর্তা চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, নিজ ছেলের সঙ্গে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীর বিয়ের বিষয়টি গণমাধ্যম থেকে আমার নজরে আসে। এরপর সোমবার সকালে সরজমিনে একজন সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে সরজমিনে পাঠানো হয়। তদন্তকারী কর্মকর্তা ঘটনার সত্যতা পেয়েছেন। মঙ্গলবার সকালে শিক্ষিকা বেগম শামসুন্নাহারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
এর আগে ২৮ মার্চ বার্তা সংস্থা ইউএনবিসহ গণমাধ্যমে এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নড়েচড়ে বসে।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার উত্তম কুমার কুণ্ডু বলেন, ‘গণমাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরে সোমবার সকালে সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মাসুমা আক্তার সরজমিনে গিয়ে ঘটনার সত্যতার জন্য ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। পরে ওই শিক্ষিকা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে লিখিত বক্তব্য দিয়েছেন। এরপর আমি তাৎক্ষণিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং নিয়োগকারী কর্মকর্তা জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার অনুরোধ জানিয়ে পত্র দিয়েছিলাম। মঙ্গলবার তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।’
উল্লেখ্য, গত ২০ মার্চ চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের ছোটশলুয়া গ্রামের বিলপাড়ার দিনমুজুর অসোক আলীর মেয়ে (১১) বেগমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী একই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা শামসুন্নাহার তার ছেলে যদুপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র আব্দুর রহমানের বিয়ে দেন । প্রথম কয়েকদিন বিষয়টি গোপন থাকলেও নব বিবাহিতা স্ত্রীকে নিয়ে ঘটা করে শশুর বাড়ী ছোটশলুয়া গ্রামে বেড়াতে আসলে তা জানাজানি হয়ে যায়। এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে নানা সমালোচনা শুরু হয়।
পড়ুন: পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীর সঙ্গে ছেলের বিয়ে দিলেন স্কুলশিক্ষিকা
পাঠ্যক্রমে বাল্যবিয়ের কুফল অন্তর্ভূক্ত করা হবে
১৩৪৭ দিন আগে
হবিগঞ্জে ৩ পুলিশ সদস্য সাময়িক বরখাস্ত
আসামি পালিয়ে যাওয়া র ঘটনায় একজন এসআইসহ হবিগঞ্জ সদর থানার তিন পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে।
বরখাস্ত হওয়া পুলিশ সদস্যরা হলেন- উপপরিদর্শক (এসআই) শুভ্র, কনেস্টবল জসিম ও আশিক নূর।
মঙ্গলবার হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুক আলী বরখাস্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: যুবকের মৃত্যু: সিলেটের বন্দরবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জসহ ৪ পুলিশ বরখাস্ত, প্রত্যাহার ৩
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মাদকের সম্পৃক্ততার অভিযোগ রয়েছে বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলি জানান, একজন মাদক ব্যবসায়ী অভিযুক্তদের হাত থেকে পালিয়ে যাওয়ায় এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। বর্তমানে তাদেরকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে আসামি পালিয়ে যাওয়ায় ৪ পুলিশ বরখাস্ত
১৩৬৭ দিন আগে
দেওয়ানগঞ্জের সাময়িক বরখাস্ত মেয়র ঢাকায় আটক
বিজয় দিবসের কর্মসূচিতে শিক্ষা কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জের পৌরসভার সাময়িক বরখাস্ত মেয়র শাহনেওয়াজ শাহানশাহকে বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর একটি হোটেল থেকে আটক করা হয়েছে।
র্যাব সদর দপ্তরের সহকারী পরিচালক (আইনি ও মিডিয়া উইং) এএসপি ইমরান খান ইউএনবিকে বলেন, র্যাবের একটি দল ঢাকার উত্তরায় হোটেল ডি মেরিডিয়ানে অভিযান চালিয়ে শাহনেওয়াজকে আটক করে।
শিক্ষা কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে এর আগে শাহনেওয়াজ শাহানশাহকে সাময়িকভাবে মেয়র পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়।
২১ ডিসেম্বর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পৌর মেয়র শাহনেওয়াজ শাহানশাহের বিরুদ্ধে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. মেহের উল্লাহ যে অভিযোগ করেছেন, তা শিষ্টাচার বহির্ভূত, অসদাচরণ এবং ক্ষমতার অপব্যবহার ও অপশাসনের শামিল যা প্রশাসনের দৃষ্টিকোণ থেকে সমীচীন নয় এবং জনস্বার্থের পরিপন্থী বলে সরকার মনে করে। এ অবস্থায় স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন অনুযায়ী স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইনের প্রদত্ত ক্ষমতাবলে পৌর মেয়র শাহনেওয়াজ শাহানশাহকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।
আরও পড়ুন: শিক্ষা কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত: দেওয়ানগঞ্জের মেয়র সাময়িক বরখাস্ত
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) ভোরে দেওয়ানগঞ্জ সরকারি হাইস্কুল মাঠে উপজেলা প্রশাসন বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ওই অনুষ্ঠানের উপস্থাপকের দায়িত্ব পালন করেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মেহের উল্লাহ।
ভোর থেকে ওই মাঠের শহীদ মিনারে উপজেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করছিলেন। এ সময় দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভার মেয়র শাহনেওয়াজ শ্রদ্ধা নিবেদন করতে যান। উপস্থাপক শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য মাইকে প্রশাসন ও বিভিন্ন সংগঠনের নাম ঘোষণা করছিলেন।
পৌরসভার নাম ৫ নম্বরে ঘোষণা করার কারণে মেয়র প্রকাশ্যে ওই শিক্ষা কর্মকর্তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও থাপ্পড় মারেন। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতেই মামলা করেন মেহের উল্লাহ।
আরও পড়ুন: দেওয়ানগঞ্জের মেয়রকে জেলা আ.লীগ থেকে বহিষ্কার
বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, ঢাকায় কাটাখালীর মেয়র আটক
১৪৪৩ দিন আগে
এমসি কলেজে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: অধ্যক্ষ ও হোস্টেল সুপারকে সাময়িক বরখাস্তের নির্দেশ
সিলেটের এমসি কলেজে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার জন্য কলেজের অধ্যক্ষ সালেহ আহমেদ ও হোস্টেল সুপার জীবন কৃষ্ণ আচার্যক সাময়িক বরখাস্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সাথে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২ জুন) এ বিষয়ে জারি করা রুল আংশিক মঞ্জুর করে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কমরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন। রায়ের কপি হাতে পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে এই বিভাগীয় কার্যক্রম শুরু করতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ মিসবাহ উদ্দিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।
এর আগে মঙ্গলবার (১ জুন) সিলেটের এমসি কলেজে গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনায় জারি করা রুলের শুনানি করে রায়ের জন্য মঙ্গলবার দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট।
গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে এমসি কলেজে বেড়াতে আসেন এক গৃহবধূ। এসময় ক্যাম্পাস থেকে কয়েকজন ছাত্র ওই গৃহবধূকে স্বামীসহ কলেজ ছাত্রাবাসে তুলে নিয়ে যায়। পরে তারা স্বামীকে বেঁধে মারধর করে গৃহবধূকে ধর্ষণ করে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: এমসি কলেজে ধর্ষণ: ধর্ষণ ও চাঁদাবাজির বিচার একসাথে চলবে
ভুক্তভোগী গৃহবধূর স্বামী ঘটনার দিন ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে বাদী হয়ে শাহপরাণ থানায় মামলা করেন। মামলায় এজাহার নামীয় আসামি করা হয় ৬ জনকে। সেই সঙ্গে অজ্ঞাতপরিচয় আরও ২-৩ জনকে আসামি করা হয়। আসামিরা হলেন- এম. সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, তারেক আহমদ, অর্জুন লস্কর, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান। তারা সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আসামিদের মধ্যে তারেক ও রবিউল বহিরাগত, বাকিরা এমসি কলেজের ছাত্র। এরইমধ্যে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সব আসামিকে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এমসি কলেজে স্বামীর কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে গৃহবধূ ধর্ষণের ঘটনায় কলেজ কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় ব্যবস্থা চেয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন হাইকোর্টের নজরে আনেন আইনজীবী মোহাম্মদ মেসবাহ উদ্দিন
সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ওই ঘটনার পর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর গত বছরের সেপ্টেম্বরে আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ মিসবাহ উদ্দিন।
শুনানি নিয়ে গত ২৯ সেপ্টেম্বর বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়ার নেতৃত্বাধীন হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত রুলসহ আদেশ দেন।
রুলে এমসি কলেজে গৃহবধূ ধর্ষণের ঘটনায় কলেজ কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে তাদের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে না, তা তা জানতে চাওয়া হয়।
একইসাথে ধর্ষণের ঘটনায় অনুসন্ধানে যৌথ কমিটি গঠন করেন হাইকোর্ট। চার সদস্যের অনুসন্ধান কমিটিতে সিলেটের জেলা ও দায়রা জজ মো. বজলুর রহমান, অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মমিনুন নেসা, চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবুল কাশেম ও সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শারমিন সুলতানা ছিলেন।
কমিটিকে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে অনুসন্ধান প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। এর ধারাবাহিকতায় গত ২০ অক্টোবর ওই কমিটি আদালতে প্রতিবেদন জমা দেয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সিলেটের এমসি কলেজে গৃহবধূ ধর্ষণের ঘটনায় হোস্টেল সুপার ও প্রহরীদের দায়িত্বে অবহেলা ছিল। তাই প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসেবে এমসি কলেজের অধ্যক্ষও কোনোভাবেই ওই ঘটনার দায় এড়াতে পারেন না। গণধর্ষণের পেছনে মূলত হোস্টেলের বর্তমান তত্ত্বাবধায়কেরা, হোস্টেলের মূল গেটের ডে গার্ড, ৫ নম্বর ব্লকের ডে গার্ড ও নাইট গার্ড (নৈশপ্রহরী) এবং ৭ নম্বর ব্লকের ডে গার্ড ও নাইট গার্ডের দায়িত্বে অবহেলা ছিল।
আরও পড়ুন: এমসি কলেজে ধর্ষণ: ৮ আসামির বিচার শুরুর আদেশ
এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ধর্ষণ: আবারও পেছাল সাক্ষ্যগ্রহণ
প্রতিবেদেনে আরও বলা হয়, ঘটনার সময় কলেজ বন্ধ থাকার পরও কয়েকজন ছাত্র ও প্রাক্তন ছাত্র হোস্টেলে অবস্থান করেন। একজন প্রাক্তন ছাত্র ৫ নম্বর ব্লকের হোস্টেল সুপারের বাসভবন দখল করে থাকেন। প্রাক্তন ওই ছাত্ররা অবৈধভাবে কলেজ হোস্টেলের সিট দখল করে থাকার কারণে এবং প্রাক্তন ছাত্র সাইফুর রহমান হোস্টেল সুপারের বাসভবন জোর করে দখল করে থাকার কারণেই তারা কলেজের হোস্টেল এলাকায় গণধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধ করার সাহস পান। ফলে ঘটনার তারিখে হোস্টেল ক্যাম্পাসে ওই ঘটনার নেপথ্যে মূলত হোস্টেল সুপারদের তদারকির ঘাটতি ও দায়িত্বে অবহেলাই দায়ী। তবে প্রতিষ্ঠান প্রধান হিসেবে কলেজের অধ্যক্ষের ওপরও এ দায়ভার চলে আসে।
প্রতিবেদনে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে ১৫ দফা সুপারিশ করে বলা হয়েছে, কলেজের নিয়মিত শিক্ষার্থীদের চাহিদার ভিত্তিতে হোস্টেলে আসন নিশ্চিত করতে হবে এবং অছাত্র বা প্রাক্তন ছাত্রদের হোস্টেলে বসবাস কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
পরে গত ১১ মার্চ এ বিষয়প শুনানি শেষে আদালত বিষয়টি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন। রুল আংশিক মঞ্জুর করে ওই নির্দেশসহ আজ বুধবার রায় দেয়া হলো।
১৬৪৭ দিন আগে
দুদকের মামলায় ওসি প্রদীপের জামিন দ্বিতীয়বারের মতো নামঞ্জুর
মেজর সিনহা মো. রাশেদ হত্যা মামলায় কারাগারে আটক টেকনাফের সাবেক ওসি (সাময়িক বরখাস্ত) প্রদীপ কুমার দাশের জামিন হয়নি।
১৭৯০ দিন আগে
ডিআইজি প্রিজন বজলুর রশিদের জামিন বাতিল চেয়ে রুল
প্রায় সোয়া তিন কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় কারা অধিদপ্তরের উপমহাপরিদর্শক (সাময়িক বরখাস্ত) বজলুর রশিদের জামিন কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
১৮১৮ দিন আগে