কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনার পর সোমবার ভোর থেকে এ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) বিশেষ শাখার (সিটিএসবি) বিশেষ পুলিশ সুপার রাশিদা বেগম বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, প্রেস ক্লাব, বাংলাদেশ বেতার কেন্দ্র ও জেলা পরিষদসহ মহানগরীর ১৭ স্থানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য, ম্যুরাল ও স্মারক স্থাপনায় নিরবচ্ছিন্নভাবে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এসব স্পর্শকাতর এলাকায় পুলিশ মোতায়েনের পাশাপাশি সাদা পোশাকে ও গোয়েন্দা পুলিশ নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছে।
খুলনার পুলিশ সুপার (এসপি) এসএম শফিউল্লাহ বলেন, খুলনার নয় উপজেলায় নয়টি মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স এবং কয়রা, দাকোপ ও রূপসায় তিনটি ভাস্কর্য নিয়ে ১২টি স্থানে জাতির জনকের ভাস্কর্য, ম্যুরাল ও প্রতিকৃতি রয়েছে। এসব স্থানে পুলিশের সাথে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও মুক্তিযোদ্ধাদের সমন্বয়ে টিম গঠন করা হয়েছে। এসব টিম পর্যায়ক্রমে নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে। এছাড়া জেলা পুলিশ সব টিমের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করছে।
পুলিশের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য, ম্যুরাল ও প্রতিকৃতি রক্ষায় স্থানের গুরুত্ব বুঝে নিরাপত্তায় তিন থেকে পাঁচজন পোশাকধারী পুলিশ সদস্য রয়েছেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন বলেন, ‘জাতির পিতার ভাস্কর্য, ম্যুরাল ও প্রতিকৃতি স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তার জন্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকের গোয়েন্দা পুলিশও দায়িত্ব পালন করছে।’