গত দুই দিন ধরে এ জেলায় মৃদু থেকে শীতল বাতাসের প্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। দিন দিন তাপমাত্রা হ্রাস পাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এখানকার জনজীবন।
বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
এদিকে কুয়াশা না থাকায় সকালে সূর্যের দেখা মিললেও কমছে না শীতের তীব্রতা। দিনের তাপমাত্রা কিছুটা সহনীয় হলেও হ্রাস পাচ্ছে রাতের তাপমাত্রা। শীতল বাতাস বাড়িয়ে দিচ্ছে মানুষের ভোগান্তি। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে রয়েছে খেটে খাওয়া ছিন্নমূল মানুষ। খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন তারা।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক সামাদুল হক জানান, গত পরশু রাত থেকে চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ কারণে প্রতিদিনই তাপমাত্রা হ্রাস পাচ্ছে। এ পরিস্থিতি আগামী কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে।
এ অঞ্চলে তাপমাত্রার পারদ নামতে শুরু করায় জনজীবনেও শীতের চেনা ছবি ফিরে এসেছে। গত সন্ধ্যার পরে শহরের অলিগলিতে আগুন জ্বেলে শীত নিবারণ করছে মানুষ। রাত একটু গড়াতেই রাস্তা-ঘাট সুনসান হয়ে পড়ে। গত দু’দিন ধরে খুলনায় এমন চিত্র দেখা যাচ্ছে। এদিকে ঠান্ডার কারণে শহরে শীতের পোশাকের বিক্রি বেড়েছে।
খুলনা জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ বলেন, খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বনিম্ন ৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আর খুলনায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্র আরও ২ ডিগ্রি কমতে পারে।
এদিকে শীতে হতদরিদ্র নিম্নআয়ের মানুষজনের আয়-রোজগারে বিরূপ প্রভাব পড়েছে। ছেলে-মেয়ে নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা।
এছাড়া কনকনে শীত ও কুয়াশার কারণে বিশেষ করে শিশু-বৃদ্ধদের দুর্ভোগ বেড়ে গেছে। সর্দি-কাশি, জ্বর, শ্বাসকষ্টজনিত রোগ-ব্যাধির প্রকোপ বেড়েছে।
এ ব্যাপারে খুলনা শিশু হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. আল আমিন রাকিব বলেন, তীব্র শীতে কাবু হচ্ছে শিশুরা। ভাইরাস জ্বর, সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্টসহ নানান রোগে আক্রান্ত হচ্ছে তারা। হাসপাতালে রোগীর চাপ বেড়েছে।