শীত
তাপমাত্রা কমেছে, শীতে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা
এখনও হেমন্তকাল শেষ হয়নি। এরই মধ্যে শীতে জবুথবু চুয়াডাঙ্গাবাসী। গত কয়েকদিন ধরে বিকাল হলেই তাপমাত্রা কমছে।
চুয়াডাঙ্গার আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাদের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ। যা চলতি মৌসুমের জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
রিকশাচালক ঝন্টু মিয়া বলেন, ‘এখনই হাত-পা মনে হচ্ছে বরফ হয়ে আসছে। সন্ধ্যার পর শীত বাড়ে। আর কয়েকদিন পর রিকশা চালানো কষ্টকর হয়ে যাবে।’
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে হঠাৎ ঘন কুয়াশা
চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যৈষ্ঠ পর্যবেক্ষক রকিবুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘গত ১৫ নভেম্বর থেকে চুয়াডাঙ্গা জেলায় তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। আজ এ জেলায় সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
৫ দিন আগে
পঞ্চগড়ে হঠাৎ ঘন কুয়াশা
দেশের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় উত্তরাঞ্চলে আগেই শীত পড়ে। এবার একটু দেরিতে হলেও পঞ্চগড়ে শীতের আমেজ শুরু হয়েছে। গত কদিন ধরেই ভোরের দিকে হালকা কুয়াশা থাকছে কিন্তু শনিবার হঠাৎ করেই জেলাজুড়ে ঘন কুয়াশা দেখা যায়।
হালকা বৃষ্টির মতো কুয়াশা ঝরছে। এ অবস্থা ছিল সকাল ৯টা পর্যন্ত। চারদিক ঘন কুয়াশার কারণে রাস্তাঘাট লোকজনের চলাচল ছিল তুলনামূলক কম। যানবাহন চলছিল হেডলাইট জ্বালিয়ে সাবধানে।
ভ্যান, অটোরিকশাসহ ছোট ছোট যানবাহনগুলো চলাচল করতে দেখা গেছে। যাত্রী না থাকায় কিছু কিছু গাড়িচালককে অলস বসে থাকতে দেখা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, শেষ বিকেলে হালকা কুয়াশা পড়ছে। গভীর রাতে বেশ ঠান্ডা অনুভুত হচ্ছে। কাঁথা কম্বল গায়ে দিতে হচ্ছে।
ভারতের কাছাকাছি হওয়ায় এ জেলায় আগেভাগেই শীত পড়ে। জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শীতের দাপট থাকে।
ভ্যানচালক চৈতু মোহাম্মদ (৭০) বলেন, ‘আইজ ঠান্ডা লাগেছে। কুয়াশায় কিছু দেখা যায় না। যাত্রীও পাই না, ভাড়া নাই বসে আছি।’
পথচারী সাইদুর রহমান বলেন, ‘হালকা কুয়াশা বৃষ্টি হচ্ছে। শরীরের উপরের কাপড় ভিজেছে। ঘন কুাশায় এক হাত দূরের কিছু দেখা যায় না। গাড়িগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে।’
১ সপ্তাহ আগে
পশমিনা শাল আসল না নকল চিনবেন কীভাবে?
আরামদায়ক উষ্ণতা ও নান্দনিক কারুকাজের মেলবন্ধনে চাদর বা শাল প্রতি শীতেই থাকে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে। এগুলোর মধ্যে অভিজাত শ্রেণির আলাদা দৃষ্টি থাকে পশমিনা শালের দিকে। দেহাবরণটির প্রধান উপাদান পশমিনার নমনীয় বৈশিষ্ট্যের জন্য এর রয়েছে জগৎ জোড়া খ্যাতি। কাপড়টি বোনা হয় চাংথাং মালভূমিতে চড়ে বেড়ানো চাংথাঙ্গি নামক পাহাড়ি ছাগলের পশম থেকে। মালভূমিটির অবস্থান ভারতীয় উপমহাদেশের উত্তরের অঞ্চল লাদাখে, আর সেখান থেকেই মূলত এই পশমিনা বস্ত্রের উৎপত্তি। বর্তমানে আসলগুলোর পাশাপাশি নানা বৈচিত্র্যে অনেক আধুনিক সংস্করণও তোলা হয় বাজারগুলোতে। এগুলোর মধ্য থেকে কীভাবে আসল পশমিনা শালটি চিনে নেবেন চলুন, তা জেনে নেওয়া যাক।
আসল পশমিনা শাল চেনার কার্যকরী উপায়
.
নমনীয়তা যাচাই
পশমিনা কাপড়ের প্রধান ও অনন্য বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এর সুক্ষ্ম কোমলতা। অথচ এর উষ্ণতায় কোনো ঘাটতি পড়ে না। এর উপর আলতো করে হাত বুলিয়ে গেলে পাখির পালকের মতো হাল্কা অনুভূত হবে। একই সঙ্গে পুরো পৃষ্ঠে পাওয়া যাবে মসৃণতার সরব উপস্থিতি।
পুরুষদের ফরমাল পোশাক ও স্যুট বানানোর জনপ্রিয় কিছু দেশি ব্র্যান্ড
অপরদিকে, সিন্থেটিক বা মিশ্রিত উপাদানের শালগুলোর অধিকাংশই থাকে মোটা, অমসৃণ ও তুলনামূলকভাবে স্বল্প নমনীয়।
বুননের কাজ পর্যবেক্ষণ
এই শাল ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতিতে হাতে বোনা হয়, যার ফলে বুননগুলো সামান্য অসমান হয়। মেশিনে তৈরি সিন্থেটিক শালগুলোর বুনন হয় ত্রুটিহীন এবং একই ধরনের। এই সূক্ষ্ম তারতম্যটি বোঝার জন্য কাপড়টি হাতে ধরে ভালোভাবে খুঁটিয়ে দেখতে হবে।
অবশ্য খাঁটি পশমিনার বুননের রেখাগুলোতে অসঙ্গতির নমনীয়তা এবং উষ্ণতার মানে কোনো প্রভাব ফেলে না। বরং তা যুগ যুগ ধরে কারুশিল্পীদের দক্ষতার কথা গর্বের সঙ্গে প্রকাশ করে আসেছে।
গহনায় ব্যবহৃত মূল্যবান কিছু রত্নপাথর
কাপড়ের চকচকে ভাব যাচাই
সরাসরি সূর্যের আলোয় ধরলে যদি কাপড় চকচক করে, তবে বুঝতে হবে এতে সিল্ক, নাইলন বা অন্যান্য কৃত্রিম উপাদানের মিশ্রণ আছে। কারণ চাংথাঙ্গি ছাগলের পশম থেকে বানানো পশমিনা আলোকে প্রতিফলিত করার বদলে শোষণ করে নেয়। তাই সূর্যালোকের সংস্পর্শে এলে এগুলো চকচকে দেখাবে না।
সুক্ষ্ম হলেও এই কাপড় স্বচ্ছ নয় অর্থাৎ সূর্যালোক এতে প্রতিসরিত হয় না। বরং এটি রোদের আলোকে ঢেকে দিতে পারে।
উলের স্থির বিদ্যুৎ সংবেদনশীলতা নিরীক্ষা
শালের প্রান্ত দু’আঙ্গুলে ধরে আলতোভাবে ঘষে দেখতে হবে কাপড়ে থাকা উলের পশম দাঁড়িয়ে যাচ্ছে কি না। কৃত্রিম প্রক্রিয়ায় বানানো কাপড়ে ঘর্ষণের ফলে স্থির বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়। এতে করে উলের ফাইবারগুলো সংবেদনশীলতার কারণে সোজা দাঁড়িয়ে যায়।
হাই হিল কিভাবে পুরুষের পা থেকে নারীর পায়ে এলো?
কিন্তু আসল পশমিনা প্রাকৃতিক পশম দিয়ে তৈরি হওয়ায় ঘর্ষণ কোনো স্থির বিদ্যুতের সৃষ্টি করতে পারে না। তাই ঘর্ষণের জায়গায় উলের সূক্ষ্ম পশম না দাঁড়িয়ে যথাস্থানে অপরিবর্তিত অবস্থায় থাকে।
শিখা পরীক্ষা
অন্যান্য পদ্ধতিগুলো প্রয়োগের পরে সন্দেহ থাকলে তবেই এই পরীক্ষাটি ব্যবহার করা উচিত। অন্যথায় এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। খাঁটি পশমিনা শাল যাচাইয়ের জন্য একটি সর্বাপেক্ষা কার্যকর পদ্ধতি। তবে পরীক্ষাটি করার সময় সতর্ক থাকা জরুরি।
খুব সতর্কতার সঙ্গে শাল থেকে একটি ছোট সুতা টেনে বের করে আগুনে পোড়াতে হবে। প্রকৃত পশমিনা পোড়ার সময় চুল পোড়ার মতো গন্ধ ছড়াবে। ধীরে ধীরে পুড়ে সুক্ষ্ম সুতাটি গুঁড়া ছাইতে পরিণত হবে। অন্যদিকে সিন্থেটিক ফাইবারগুলো পোড়ালে সেগুলো ধীরে ধীরে গলে যাওয়া শুরু করবে। এ সময় গলতে থাকা অংশগুলো থেকে প্লাস্টিকের মতো গন্ধ বের হবে।
নতুন পোশাক কেনার আসক্তি কমানোর উপায়
শেষাংশ
পশমিনা শাল আসল না নকল তা চেনার জন্য স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যগুলোর দিকে খেয়াল দেওয়াই যথেষ্ট। কেননা সুক্ষ্ম নমনীয়তা, সূর্যালোক শুষে নেওয়া এবং স্থির বিদ্যুতের প্রতি অসংবেদনশীলতা উপাদানগত দিক থেকে একে অতুলনীয় করে তোলে। আর এই বিশেষত্বটিই ফুটে উঠে উপরোক্ত পদ্ধতিগুলোর মাধ্যমে কাপড় যাচাইয়ের সময়। মূলত প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ার বাইরে যেয়ে কৃত্রিমতা সংযোজনের ফলে কাপড়ে চাংথাঙ্গি ছাগলের পশমের স্বকীয়তা লোপ পায়। আর এই বিষয়টি যাচাই করার মাধ্যমে শালের উপাদান সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
৩ সপ্তাহ আগে
উদ্যোক্তাদের মিলনমেলা ফরিদপুরে হিম উৎসব, বাহারি পণ্যের সমাহার
শীত মানেই পিঠা-পুলির আয়োজন। আর এখন পিঠা-পুলি তৈরি বাড়ির রান্নাঘেরের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। ব্যবসায়িকভাবেও তৈরি করছে উদ্যোক্তারা। এরকম উদ্যোক্তাদের আয়োজনে পিঠা-পুলি নিয়ে ফরিদপুরে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী হিম উৎসব।
ফরিদপুর জেলা শহরের অম্বিকা মেমোরিয়াল প্রাঙ্গণে ‘ওয়ার্কহলিক ফরিদপুরিয়ান’ নামে একটি সংগঠনের উদ্যোগে এই হিম উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। শীতকালীন উৎসব হলেও নির্বাচনের কারণে এবারের উৎসবটি দেরিতে আয়োজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।
উৎসবে নিজেদের তৈরি পিঠা-পুলির পাশাপাশি আচার, পোশাক ও কুটির শিল্পের বাহারি পণ্য নিয়ে হাজির হয়েছেন উদ্যোক্তারা। ৩৫টি স্টলে হাতে তৈরি বাহারি পণ্যের সম্ভার দেখা যায়।
জেলার ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের একত্রিত করতে এই উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। জেলার নারী ও পুরুষ উদ্যোক্তাদের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে উৎসব। প্রথম দিনেই বেশ ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) তৃতীয়বারের মতো তিন দিনব্যাপী হিম উৎসবের উদ্বোধন করেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার। উদ্বোধন শেষে বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন তিনি।
এ সময় জেলা প্রশাসক বলেন, উদ্যোক্তাদের সব ধরনের সহযোগিতা করবে জেলা প্রশাসন। যারা এরই মধ্যে উদ্যোক্তা হয়েছেন তাদের ব্যবসা প্রসারে সহযোগিতা চাইলে আমরা সহযোগিতা করব। এছাড়া নতুন কেউ যদি উদ্যোক্তা হতে চান তাহলে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।
তরুণ প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, অনেকেই সামান্য বেতনের জন্য চাকরির পেছনে ছুটে। তারা যদি চাকরির পেছনে না ছুটে উদ্যোক্তা হয়, তাহলে তারা কিন্তু দ্রুতই একটা অবস্থানে যেতে পারে।
নারী উদ্যোক্তা উপমা দত্ত জানান, হিম উৎসবে জেলার নারী ও পুরুষ উদ্যোক্তারা তাদের নিজ হাতে তৈরি পণ্য নিয়ে মেলায় স্টল দিয়েছেন। সারা বছরই এই সব উদ্যোক্তারা অনলাইনে তাদের পণ্য বিক্রি করে থাকেন। এই উৎসবে সবাইকে একত্র করতেই এই উদ্যোগ।
এছাড়াও কবিতা আবৃত্তি, গান পরিবেশনসহ লোকজ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজনও রাখা হয়েছে এ উৎসবে।
আরও পড়ুন: নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য ডেলিভারি সার্ভিস নির্বাচনে ১০ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
৯ মাস আগে
চুয়াডাঙ্গায় আবারও শীত বেড়েছে, তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রি
চুয়াডাঙ্গায় আবারও শুরু হয়েছে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এছাড়া একই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়াতে।
আরও পড়ুন: মাঘের শীতে কাবু কুড়িগ্রামের মানুষ, তাপমাত্রা ৬.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস
সকাল থেকে সূর্যের দেখা মিললেও শৈত্যপ্রবাহের কারণে কমেনি শীতের দাপট।
শহরের মুরগি বিক্রেতা ইয়ারুল আলি বলেন, কয়েকদিন পর শুক্রবার সকালে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। গ্রাম থেকে খুব সকালে শহরে মুরগি বিক্রি করতে হয়। প্রচণ্ড ঠান্ডার কারণে লোকজনের দেখা মিলছে না।
দিনমজুরেরা বলেন, কনকনে শীত পড়ছে সঙ্গে বাতাসে আরও শীতের তিব্রতা বাড়িয়ে দিচ্ছে। ভোরে কৃষি কাজের জন্য মাঠে এসেছি। ঠান্ডায় হাত চলছে না।
এদিকে, শীতজনিত কারণে রোটাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে শিশু ডায়রিয়া রোগী সদর হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। এছাড়া নিউমোনিয়ার রোগীও বাড়ছে।
আরও পড়ুন: তীব্র শীতে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস
সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. ওয়াহিদ মাহমুদ রবিন জানিয়েছেন, প্রতিদিন শীতজনিত কারণে ৭০০-৮০০ রোগী বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান হক বলেন, শুক্রবার সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গা ও পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়াতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
তিনি আরও জানান, এছাড়া মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাছে। শনিবারও একই রকম আবহাওয়া থাকতে পারে। এরপর তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকবে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে তীব্র শীতে বোরোর বীজতলা নষ্টের আশঙ্কা
তিনি জানান, আগামী ১৫-১৬ তারিখের দিকে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
৯ মাস আগে
তীব্র শীতে পোষা প্রাণীর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় করণীয়
তীব্র শীত গৃহপালিত পশুপাখির জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। এমনকি রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো পশুপাখিরাও পড়তে পারে স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে। যারা পশুপাখি পালনে আগ্রহী তাদের শীতকালে নিজের পাশাপাশি তাদের পোষা প্রাণীটির দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। চলুন, জেনে নেই, কীভাবে শীতকালীন অসুস্থতা থেকে পোষা প্রাণীদের মুক্ত রাখবেন।
পোষা প্রাণীর শীতকালীন সুরক্ষার উপায়
পোষা প্রাণীকে ঘরের ভেতরে রাখা
ঠান্ডা থেকে পোষা প্রাণীদের নিরাপদ রাখার সবচেয়ে সহজ উপায় হল দিনের বেশির ভাগ সময় এবং সারারাত ঘরের ভেতরে রাখা। কুকুর বা বিড়ালের রাতে বাইরে বের হবার প্রবণতা থাকে। তারা প্রায় সময়ই রাস্তার বেওয়ারিশ পশুগুলোর সংস্পর্শে যেয়ে নানা ধরনের জীবাণুবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়। বিশেষ করে খুব বেশি সংবেদনশীল বিড়াল এবং কুকুরের ক্ষেত্রে হাইপোথার্মিয়ার ভয় থাকে।
তাই পোষা পশুপাখিদের রাতের পুরোটা সময় ঘরের ভেতরে রেখে দিনের কিছুটা সময় সঙ্গে নিয়ে বের হওয়া যেতে পারে শারীরিক অনুশীলনের জন্য। কেননা শীতের সময় দৌড়ঝাপ, খেলাধুলা, বা কিছু সময় হেঁটে বেড়ানো এদের শরীর গরম রাখতে পারে।
আরো পড়ুন: শীতে কীভাবে চুলের যত্ন নেবেন
থাকার জায়গাগুলোকে উষ্ণ রাখা
ঘরে উপযুক্ত উষ্ণতা না পেলে পোষা প্রাণীরা স্বাভাবিকভাবেই ঘরের ভেতর থাকতে চাইবে না। এছাড়া অনেক গৃহপালিত পশুপাখি আছে যারা বাড়ির বাইরেই রাখতে হয়। এদের থাকার জায়গাটিকে শুষ্ক রাখতে হবে এবং এমনভাবে মজবুত ঘেরযুক্ত করে দিতে হবে যাতে এরা ভালোভাবে বসতে এবং শুতে পারে।
তাদের শরীরের তাপ ধরে রাখার জন্য ঘরটি যথেষ্ট ছোট হতে হবে। ঘরে মেঝে মাটি থেকে কয়েক ইঞ্চি উঁচু হবে এবং ছাদ খড় দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। ঘরটি এমন স্থানে হতে হবে যেখানে বাতাসের ঝাপটা কম এবং সহজেই খাবার ও পানীয় পেতে পারে।
বাড়ির ঠান্ডা মেঝে থেকে পোষা প্রাণীদের বাঁচানোর জন্য গরম মাদুর বিছিয়ে দেওয়া ভালো উপায়। আর ঘুমানোর জায়গাটিতে দেওয়া যেতে পারে ছোট গরম বিছানা ও পশুদের জন্য নির্ধারিত কম্বল।
তবে খুব অল্প বয়স্ক অথবা অধিক বয়স্ক পশুগুলোর অতিরিক্ত গরম অনুভূত হতে পারে, তাই সতর্ক থাকতে হবে। এদের জন্য হিটিং প্যাড বেশ কাজে দিতে পারে। এগুলো মূলত প্রাণীদের জয়েন্টের ব্যথা হওয়া থেকে দূরে রাখে।
আরো পড়ুন: মাঙ্কিপক্স: পোষা প্রাণী থেকে সতর্ক থাকার আহ্বান
পোষা প্রাণীর শীতের পরিধেয়
পশুপাখিদের অধিকাংশেরই প্রকৃতি প্রদত্ত লোমের আবরণ থাকলেও এটি কখনই মনে করা ঠিক নয় যে, তাদের ঠান্ডাতে কোনো সমস্যাই হবে না। পাতলা লোমযুক্ত পূর্ণ বয়স্ক পশু এমনকি অধিক লোমশ পশুগুলোর মধ্যে যারা বেশি সংবেদনশীল, তারা সঠিক সুরক্ষা ছাড়া বেশিক্ষণ বাইরে থাকলে হাইপোথার্মিয়াতে আক্রান্ত হতে পারে। শরীরের বেশিরভাগ অংশকে ঢেকে রাখা সুন্দর একটি সোয়েটার দিতে পারে এই সমস্যার দীর্ঘস্থায়ী সমাধান।
অধিকাংশ ক্ষেত্রে লোমশ ছোট আকৃতির পশুগুলোর বেলায় এই পরিধেয়ের দরকার পড়ে না।
ঠান্ডার মধ্যে শীত থেকে আপনার আদরের পোষ্যটির পা বাঁচাতে এক জোড়া বুটি হতে পারে দারুণ একটি উপায়। বুটিগুলো পশুর থাবাগুলোতে ময়লা জমা হওয়া থেকে রক্ষা করে।
আরো পড়ুন: ব্লু জোন রহস্য: রোগহীন দীর্ঘজীবী সম্প্রদায়ের খোঁজে
শরীরের উন্মুক্ত জায়গাগুলো পরিষ্কার রাখা
বাইরে থেকে ঘরে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে নিজে পরিষ্কার হওয়ার পাশাপাশি পোষ্য প্রাণীটিকেও পরিষ্কার করা জরুরি।
ঠান্ডার সময় বাইরে ধূলো-ময়লা পায়ের আঙুলগুলোর মাঝে ঢুকে জ্বালা করতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে সেগুলো জিহ্বা দিয়ে চাটতে দেখা যায়। এখানে ক্ষতিকর কোনো রাসায়নিক উপাদান থাকলে তা তাদের মুখে জ্বালা হওয়ার কারণ হতে পারে। তাই ঘরে ঢুকেই প্রথমে একটি আর্দ্র তোয়ালে দিয়ে পোষা প্রাণীটির পা মুছতে হবে। এছাড়া কুয়াশায় পশম ভিজে দীর্ঘক্ষণ স্যাঁতসেঁতে অবস্থায় রেখে দিলে শুষ্ক ত্বকসহ পোষা প্রাণীটির অন্যান্য অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এ সময় হালকা গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে মৃদু শুকিয়ে পোষ্যটির শরীর মুছে দিয়ে শুকিয়ে নেওয়া উচিত।
সবচেয়ে ভালো বিকল্প হচ্ছে বুটি আর সোয়েটার থাকলে ব্যবহার করা। তাহলে পোষা প্রাণীদের কান, নাক, পা ও লেজ কুয়াশায় ভিজে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আরো পড়ুন: কাঁসা, পিতল ও তামার তৈজসপত্র ব্যবহার কতটুকু স্বাস্থ্যসম্মত, বিজ্ঞান কী বলে?
শীতে পোষা প্রাণীর ত্বকের যত্ন
ঠান্ডার তীব্রতা থেকে পোষা প্রাণীদের ত্বক বাঁচাতে ঘন ঘন গোসল করানো যাবে না। অতিরিক্ত আর্দ্রতা প্রদানের জন্য উপযুক্ত হচ্ছে খাদ্যে নারিকেল তেল ব্যবহার করা। শুধুমাত্র পোষ্য পশু-পাখিদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি কিছু নিরাময় মলম আছে, সেগুলো ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়াও পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করা যেতে পারে। এগুলো প্রয়োগ করতে হয় নাক ও পায়ের আঙুলের আশেপাশে লাল দাগযুক্ত জায়গাতে।
ত্বকের যত্নে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো শীতের সময় পশুগুলোর পশম বাড়তে দেওয়া। এটি প্রাকৃতিকভাবেই তাদের শরীরে উষ্ণতার একটি অতিরিক্ত স্তরের সংযোজন করে। তবে নষ্ট বা মরা পশম ঝরাতে প্রাণীদের শরীরে নিয়মিত ব্রাশ করতে হবে।
আরো পড়ুন: ডেঙ্গু সম্পর্কে ১০টি প্রচলিত ধারণা: জেনে নিন সঠিক তথ্য
৯ মাস আগে
হাড় কাঁপানো শীতে সীমাহীন ভোগান্তিতে নওগাঁবাসী
কুয়াশার দাপট কম থাকলেও সোমবার সকাল থেকেই মেঘলা আকাশ ও কনকনে শীতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে নওগাঁর বাসিন্দাদের।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় নওগাঁয় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
এটাই এই মৌসুমে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এর আগে রবিবার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আজ সকালে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকেই কুয়াশা কম থাকলেও আকাশ মেঘলা রয়েছে। সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত দেখা মেলেনি সূর্যের।
আরও পড়ুন: তীব্র শীতে রাজশাহীর মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা
স্থানীয়রা জানান, গত দুই দিন থেকে দুপুরের পর একটু সূর্যের দেখা পাওয়া গেলেও উত্তাপ ছড়াতে না পারায় বিকাল হতেই তাপমাত্রা আবারও নিম্নগামী হতে শুরু করে। আর দিনভর থাকছে হিমেল বাতাস। সন্ধ্যার পর থেকে শীতের মাত্রা বেড়ে যাচ্ছে। রাত বাড়তে থাকলে শীতও বাড়ে সমানতালে।
এদিকে হাড় কাঁপানো কনকনে শীতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের লোকজন। জীবিকার তাগিদে সকাল হলেই এসব মানুষ মোটা গরম কাপড় পরে কেউ সাইকেল নিয়ে আবার কেউ হেঁটে কর্মস্থলের উদ্দেশে বেরিয়ে পড়েন।
শহরের ডিগ্রি কলেজ মোড় এলাকার রিকশাচালক সোলায়মান বলেন, যে শীত পড়েছে এতে করে রিকশা চালাতে খুব কষ্ট হয়। কিন্তু কিছুই করার নেই। রিকশা না চালালে সংসার চলবে না।
আরও পড়ুন: তীব্র শীতে বগুড়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা
বালুডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকার আরেক রিকশাচালক জব্বার বলেন, সোমবার সকাল থেকে কুয়াশা কম। তবে আকাশ পরিষ্কার নয় আবার বাতাসও অনেক। এই কারণে শীত বেশি লাগে। এত শীত হলে আমাদের মতো গরিব মানুষের সংসার চালানো সমস্যা হয়ে যাবে।
নওগাঁর বদলগাছী আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক হামিদুল হক জানান, সোমবার সকাল ৬টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কুয়াশার সঙ্গে উত্তরের হিমেল বাতাস প্রবাহিত হওয়ায় কয়েকদিন ধরেই শীত বেশি পড়ছে। এ রকম তাপমাত্রা আরও দুই থেকে একদিন অব্যাহত থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে তীব্র শীতে প্রাথমিক-মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা
১০ মাস আগে
শীতের সকালে আড়াই ঘণ্টার বৃষ্টিতে চরম বিপাকে চুয়াডাঙ্গাবাসী
জেঁকে বসেছে তীব্র শীত। হাড় কাঁপানো শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন। বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। এর মধ্যে ভোর থেকে টানা প্রায় আড়াই ঘণ্টা ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। যা দিনব্যাপী গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিপাতে রূপ নেবে বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।
এদিকে, জেলায় ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) ভোর ৫টা থেকে থেকেই মেঘের গর্জন শোনা যায়। উষ্ণতার চাদর মুড়িয়ে মানুষ যখন ঘুমে মগ্ন, ঠিক ভোর পৌনে ছয়টায় শুরু হয় বৃষ্টি। যা পরে ভারী বৃষ্টিতে রূপ নেয়। বৃষ্টি চলে প্রায় আড়াই ঘণ্টা।
চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক তহমিনা নাছরিন এ্যানি বলেন, আজ সকাল ৬ ও ৯টায় ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
তিনি আরও বলেন, ভোর ৫টা ৪৫ মিনিট থেকে বৃষ্টি শুরু হয়ে সকাল ৮টা ১০মিনিটে থেমেছে। এই ২ ঘণ্টা ২৫ মিনিটে ১৯ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চলমান মৃদ্যু শৈত্যপ্রবাহের মধ্যে ঢাকায় কবে বৃষ্টি হবে?
১০ মাস আগে
কুড়িগ্রামে ওঠানামা করছে তাপমাত্রা, কমেনি শীতের দাপট
টানা শীত ও কনকনে ঠান্ডায় বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রামের জনজীবন। এর প্রভাব পড়েছে জেলার কৃষি ক্ষেত্রেও।
তাপমাত্রা ওঠানামা করলেও কমেনি শীতের দাপট। কনকনে ঠান্ডায় যবুথবু হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সুর্যের দেখা মিলছে না। দিনের অধিকাংশ সময় থাকছে মেঘাচ্ছন্ন।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল ছিল ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তীব্র ঠান্ডায় গরম কাপড়ের অভাবে খড়কুটো জ্বালিয়ে উষ্ণতা নিচ্ছে শীত কাতর মানুষগুলো। ঠান্ডায় কাহিল হয়ে পড়েছে গৃহপালিত পশু-পাখিরাও।
শীত ও কনকনে ঠান্ডায় হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, সর্দি কাশিসহ ঠান্ডাজনিত রোগ।
সরেজমিনে এসব চিত্র দেখতে পান ইউএনবির কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি।
গত ১ সপ্তাহে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন ৪৪৫ জন। আক্রান্তদের মধ্যে অধিকাংশ শিশু। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন ৭০ জন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে তীব্র ঠান্ডায় বীজতলা ও ফসল নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষকরা
১০ মাস আগে
শীতে দরিদ্রদের দুর্ভোগ কমাতে বিত্তবানদের প্রতি আহ্বান বিজিএমইএ সভাপতির
শীতে দরিদ্রদের দুর্ভোগ কমাতে এবং অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়াতে বিত্তবানদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) ঠাকুরগাঁওয়ের দেবীপুরে সফিউদ্দিন আহমেদ ফাউন্ডেশন প্রাঙ্গণে সুবিধাবঞ্চিত ব্যক্তিদের গরম কাপড় বিতরণকালে ফারুক হাসান এ আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: দেশ-অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর কর্মসূচি থেকে বিরত থাকার অনুরোধ বিজিএমইএ সভাপতির
তিনি বলেন, যদিও আমরা অনেকেই সৌভাগ্যবান যে আমরা শীতের দিনগুলোতে গরম পোশাক পরিধান করে শীতকালের সৌন্দর্য উপভোগ করি, এমন অনেকেই আছেন, যারা প্রচণ্ড ঠান্ডায় পর্যাপ্ত পোশাকের অভাবে তীব্র কষ্টে রয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, এসব হতদরিদ্র শীতার্ত মানুষেরা যাতে করে এই তীব্র ঠান্ডায় কষ্ট না পান, তা নিশ্চিত করা আমাদের সবার দায়িত্ব।
আরও পড়ুন: তৈরি পোশাক শিল্পে মূল্য সংযোজনের ওপর জোর দিতে হবে: বিজিএমইএ সভাপতি
তিনি সমাজের সামর্থ্যবান, বিত্তশালী, ব্যবসায়ীসহ জনসাধারণকে আহ্বান জানিয়ে বলেন, তারা তাদের স্বল্প ব্যবহৃত বা নতুন গরম কাপড় সুবিধাবঞ্চিত, দরিদ্রদের দান করে আর্তমানবতার সেবায় অবদান রাখতে পারেন।
আরও পড়ুন: ২০২৪ সালে ‘প্রত্যাশিত’ চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও তৈরি পোশাক পণ্যের আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা বাড়তে পারে: বিজিএমইএ পরিচালক
১০ মাস আগে