শীত
যশোরে জেঁকে বসেছে শীত, গরম কাপড়ের দোকানে ভিড়
যশোরাঞ্চলে জেঁকে বসেছে শীত। শীতের সঙ্গে বইছে মৃদু বাতাস। গত শনিবার থেকে শীতের তীব্রতা বাড়তে শুরু করেছে।
রাতে ও সকালে প্রচণ।ড ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। ঠান্ডা থেকে পরিত্রাণ পেতে গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে ভিড় জমাচ্ছেন ক্রেতারা।
যশোর শহরের মুজিব সড়কের ফুটপাতের দোকান, জেলা পরিষদের পুরোনো কাপড়ের মার্কেট, কালেক্টরেট মার্কেটে শীতের পোশাক বিক্রি শুরু হয়েছে। সম্প্রতি শহরের মুজিব সড়কের ফুটপাতের দোকান, জেলা পরিষদের পুরাতন কাপড়ের মার্কেটের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের প্রচুর ভিড় দেখা গেছে।শহরের ফুটপাত, জেলা পরিষদ পুরাতন কাপড়েরর মার্কেটে সকাল থেকে ক্রেতাদের উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে। তারা বিভিন্ন দোকান ঘুরে নিজেদের ও পরিবারের সদস্যদের জন্য পছন্দ মতো শীতের পোশাক কিনছেন।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দোকানে সাজিয়ে রাখা হয়েছে সোয়েটার, হুডি, জ্যাকেট, পায়জামা, ফুলহাতা গেঞ্জিসহ বিভিন্ন ধরনের পোশাক।
আরও পড়ুন: শীতে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা
সোয়েটার ২৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা, হুডি ২৫০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা, টুপিয়ালাগেঞ্জি ১৫০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকা, জ্যাকেট ৩০০ টাকা থেকে ৭০০ টাকা, জগাজ পায়জামা ১০০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা, ফুলহাতা গেঞ্জি ৬০ টাকা ১০০ টাকা দারে বিক্রি হচ্ছে।মুজিব সড়কের ফুটপাতের দোকানদার আরিফ হোসেন বলেন, বাচ্চাদের হুডি, পায়জামা ও ফুলহাতা গেঞ্জি বেশি বিক্রি হচ্ছে। বেশি শীত অনুভূত হওয়ার কারণে শীতের পোশাক বেচাকেনা শুরু হয়েছে। বিক্রিও খারাপ হচ্ছে না।
একই কথা জানান সিয়াম নামে আরেক দোকানদার। তিনি বলেন, গত শনিবার থেকে বেচাবিক্রি বেড়েছে।
ক্রেতাদের নজর কাড়তে বিভিন্ন ধরনের শীতের পোশাক সাজিয়ে রেখেছেন দোকানদাররা।জেলা পরিষদ মার্কেটে গিয়েও দেখা গেছে ক্রেতাদের বেশ ভিড় ছিল। এ মার্কেটের ব্যবসায়ী হারুন গাজী বলেন, এখন বেশি শীত অনুভূত হওয়ার কারণে বাচ্চাদের সোয়েটার, জ্যাকেট, হুডি বেশি বিক্রি হচ্ছে। বড়দের পোশাক তেমন বিক্রি হচ্ছে না।
অপর দোকানদার আরমান হোসেন বলেন, শীত একটু বেশি পড়ায় শীতের পোশাক বেচাকেনা শুরু হয়েছে। সামনের পৌষ মাসে বেশি শীত পড়তে পারে,ওই সময় বেচাকেনা আরও বাড়তে পারে। গত বছরের তুলনায় এবারে বেচাকেনা ভালো।বাজারে শীতের কাপড় কিনতে আসেন সায়েরা খাতুন নামে এক নারী। তিনি বলেন, ‘শীত বেশি পড়ছে। আমার মেয়ের জন্য শীতের পোশাক কিনতে এসেছি। মেয়ের জন্য একটি সোয়েটার ও টুপি কিনেছি।’শমসের আলী নামে এক ক্রেতা জানান, বাড়িতে ছোট্ট ছেলে মেয়ে ও নাতিপুতি আছে। তাদের জন্য শীতের পোশাক কিনেছেন।
পপি খাতুন ও আসমা বেগম নামে আরও দুই ক্রেতা জানান, তারা তাদের ছেলেমেয়েদের জন্য শীতের পোশাক কিনেছেন। তবে পুরোনো কাপড়ের দাম খুব বেশি না হলেও নতুন পোশাকের দাম গত বছরের তুলানায় বেশি।
আরও পড়ুন: শীতে বিপর্যস্ত মেহেরপুরবাসী, হাসপাতালে ভর্তি ১৩৫০ রোগী
৫ দিন আগে
শীতে কাহিল কুড়িগ্রামের মানুষ, ১২ ডিগ্রিতে তাপমাত্রা
তাপমাত্রা কমায় শীতের তীব্রতা বেড়ে কাহিল হয়ে পড়েছেন কুড়িগ্রামের মানুষ। শীতের দাপটে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল ৭টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা গতকাল ছিল ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অফিস জানায়, আকাশে ঘন মেঘ থাকায় আগামী ২৪ ঘণ্টা সূর্যের দেখা না মেলার সম্ভাবনা রয়েছে।
শীতের তীব্রতায় বিপাকে পড়েছে কৃষি শ্রমিক ও স্বল্প আয়ের খেটে খাওয়া মানুষজন। তীব্র ঠান্ডায় অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টাও করছেন। এদিকে দিনের বেলা তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও সন্ধ্যার পর থেকে তাপমাত্রা কমতে থাকে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত শীতের তীব্রতা বেশি অনুভূত হয়। শীতে সবচেয়ে বেশি কষ্টে পড়েছেন জেলার ১৬টি নদ-নদী তীরবর্তী চর ও দ্বীপ চরের দরিদ্র মানুষজন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে শীতের দাপটে জনজীবনে ভোগান্তি, শীতবস্ত্রের দাবি নিম্ন আয়ের মানুষের
কুড়িগ্রাম সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের ঘোড়ার গাড়ি চালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘কয়েকদিন থেকে খুব ঠান্ডা। আজ আরও বেশি ঠান্ডা। হাত পা বরফ হয়ে যায়। কাজ করতে খুব সমস্যা হচ্ছে।’
একই ইউনিয়নের ধরলার পাড় এলাকার সাইফুল বলেন, ‘বোরো বীজতলা তৈরির কাজ করছি। পানিতে হাত দেওয়া যায় না, এতো ঠান্ডা। তার পরেও হামারগুলার কাজ ছাড়া উপায় নাই।’
কুড়িগ্রাম আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, ‘গত দুই সপ্তাহ থেকে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ থেকে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস উঠা-নামা করছে। এ মাসের ১৫ তারিখের পর শৈত্যপ্রবাহ এ জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এছাড়াও আগামী ২৪ ঘণ্টা সূর্যের দেখা না মেলার সম্ভাবনাও রয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘন কুয়াশায় ঢেকেছে কুড়িগ্রামের জনপদ, তাপমাত্রা ১৫. ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস
১ সপ্তাহ আগে
কুয়াশায় আচ্ছন্ন নওগাঁ, তাপমাত্রা বাড়লেও কমেনি শীত
ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে আছে নওগাঁর পথঘাট। কুয়াশার কারণে সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহনগুলো।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এর আগে গত শনিবার দেশে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল নওগাঁয় ৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল রবিবার জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত দুই দিনের তুলনায় আজ তাপমাত্রা বাড়লেও কুয়াশা আর হিমেল বাতাসে অব্যাহত রয়েছে শীতের তীব্রতা।
স্থানীয়রা জানায়, কয়েক দিন ধরেই সন্ধ্যার পর শীতের প্রকোপ বাড়ছে। রাত থেকে ভোর পর্যন্ত কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুতই কুয়াশা ভেদ করে দেখা মিলেছে সূর্যের। তবে সোমবার বেলা গড়ানোর পরও কুয়াশায় কাটছে না। বৃষ্টির মতো টপ টপ করে ঝরছে কুয়াশা। সেই সঙ্গে উত্তরের হিমেল বাতাস যোগ হওযায় শীতের তীব্রতা বাড়ছে। এতে দিনমজুর, কৃষি শ্রমিকসহ খেটে খাওয়া মানুষের দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বেলা ১২টা পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলেনি।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে ফুটপাতে জমে উঠেছে শীতের পোশাক বিক্রি
সদর উপজেলার ঠাংভাঙ্গা মোড়ে এলাকার আফছার আলী বলেন, ‘গত দুই দিন ধরে খুব ঠান্ডা পড়েছে। তবে সকাল ৯টা দিকে সূর্য উঠলেও আজকে সূর্যের দেখা নাই। বৃষ্টির মতো ঝির ঝির করে কুয়াশা পড়ছে। শুরুতেই যদি এত ঠান্ডা পড়ে তাহলে সামনের দিনে তো আরও বেশি ঠান্ডা হবে। এমনিতেই ঠান্ডায় কোনো কিছু করা যাচ্ছে না। হাত-পা নিস্তেজ হয়ে যায়।’
নওগাঁর বদলগাছী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, সোমবার সকাল ৯টায় জেলায় ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গেলো ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে এ জেলার তাপমাত্রা বেড়েছে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। উত্তর দিক থেকে বয়ে আসা হিমেল হাওয়া শীতের তাপমাত্রা আগামীতে বাড়তে পারে বলেও জানান তিনি।
নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্ববধায়ক জাহিদ নজরুল ইসলাম বলেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে শিশু ও বৃদ্ধরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
শীত বাড়ায় শিশু ও বয়স্কদের ঘরের বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। ঠান্ডা পানি ব্যবহার না করে গরম ভাইয়ের পানি ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছেন।
এদিকে নওগাঁ জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল আল জানান, ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়কে নওগাঁয় শীতার্ত মানুষের জন্য গরম কাপড় বরাদ্দ দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। কিন্তু শনিবার পর্যন্ত নওগাঁয় সরকারিভাবে কোনো গরম কাপড় বরাদ্দ দেওয়া হয়নি।
তিনি জানান, একটি বেসরকারি সংস্থা বিতরণের জন্য আজ পর্যন্ত ৪০০টি কম্বল জেলা প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করেছে।
এছাড়া তিনি জানান, গত বছর তিন ধাপে ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয় থেকে নওগাঁতে ৭৬ হাজার গরম কাপড় অসহায় ছিন্নমূল মানুষের মধ্যে বিতরণ করার জন্য সরকারিভাবে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এবছর এখন পর্যন্ত সরকারিভাবে অসহায় দরিদ্র মানুষের মধ্যে বিতরণের জন্য কোনো গরম কাপড় বরাদ্দ দেওয়া হয় নাই।
তিনি এ বছরের জন্য নওগাঁর দুস্থ অসহায় মানুষের শীত নিবারণে এক লাখ গরম কাপড়ের বরাদ্দ চেয়ে ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়ে আবেদন জানান এবং সেগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে সরবরাহ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরের শুরুতেই শীতে কাঁপছে নওগাঁ, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা
২ সপ্তাহ আগে
শীতে রুম হিটার: জনপ্রিয় ব্র্যান্ড, মডেল, ধরন ও দাম
শীতের প্রকোপ যত বাড়তে থাকে, বাসা-বাড়ির প্রতিটি ঘরের তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পেতে অস্বস্তিকর মাত্রায় পৌঁছে যেতে শুরু করে। বিশেষ করে ভোরবেলা এবং গভীর রাতে অতিরিক্ত গরম কাপড় ছাড়া থাকাটা মুশকিল হয়ে পড়ে। নানা প্রতিকূল আবহাওয়ায় পরম আশ্রয়ের জায়গাটি রীতিমতো হিমঘরে পরিণত হয়। এমন পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য একটু আরামপ্রদ উষ্ণতা অপরিহার্য হয়ে ওঠে। আর এখানেই আসে রুম হিটার, যা মাঘের শীতেও ঘরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা বজায় রাখতে পারে। চলুন, বর্তমান সময়ের কয়েকটি রুম হিটারের দাম ও ফিচারের পাশাপাশি জেনে নিই, গৃহস্থালি যন্ত্রটি কেনার সময় কোন বিষয়গুলো যাচাই করা উচিত।
রুম হিটার কেনার সময় যে বিষয়গুলোতে গুরুত্ব দেওয়া জরুরি
.
উষ্ণায়নের ক্ষমতা
মূল উদ্দেশ্য যেহেতু ঘর গরম করা, তাই প্রথমেই যন্ত্রটির ক্ষমতা কতটুকু, তা বোঝা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত প্রতি বর্গফুট গরম করার জন্য ন্যূনতম ১০ ওয়াট ক্ষমতার দরকার হয়। সে অনুযায়ী ছোট একটি ঘরের জন্য ন্যূনতম ৬০০ ওয়াট হিটারের প্রয়োজন হবে।আর বড় জায়গাগুলোর জন্য ২ হাজার ওয়াটের মডেলগুলো উপযুক্ত হবে। সুতরাং কিনতে যাওয়ার আগে ঘরের ক্ষেত্রফলটি ভালোভাবে মাপা জরুরি।জায়গার তুলনায় কম ক্ষমতার হিটার নিলে সঠিক মাত্রায় উষ্ণতা পাওয়া যাবে না,আবার অতিরিক্ত হয়ে গেলে বিদ্যুৎ অপচয় হবে।
নিরাপত্তা
বাজেট যেমনি হোক না কেন, এ ধরনের গৃহস্থালি যন্ত্র কেনার ক্ষেত্রে নিরাপত্তার ব্যাপারে কখনই আপস করা উচিত নয়। অত্যধিক তাপ সুরক্ষা, টিপ-ওভার সুইচ এবং অন্তর্নির্মিত থার্মাল ফিউজ থাকা হিটারগুলো যান্ত্রিক ত্রুটি বা আগুন লাগার ঝুঁকি হ্রাস করে। অ্যান্টি-ফায়ার প্লাস্টিক বা অটো শাট-অফ মেকানিজম অতিরিক্ত নিরাপত্তার সংযোজনের মাধ্যমে নির্ভরযোগ্যতা বাড়ায়। এই ফিচারগুলোর মাধ্যমে যন্ত্রকে সার্বক্ষণিক সতর্ক নজরে রাখার বিড়ম্বনা থেকে মুক্তি মেলে।
আরো পড়ুন: নারীর নিরাপত্তা ও ব্যক্তিগত সুরক্ষায় মোবাইল অ্যাপ
বিদ্যুতের পূর্ণাঙ্গ ব্যবহারের কার্যকারিতা
সর্বোচ্চ মাত্রার উষ্ণতা দেওয়ার জন্য যন্ত্রটি কতটুকু বিদ্যুৎ শক্তি খরচ করছে, তা ভালো মানের হিটার বাছাইয়ের অত্যাবশ্যকীয় একটি নির্ধারক। এনার্জি-এফিশিয়েন্ট হিটারগুলো বিদ্যুৎ বিল সংরক্ষণ করে। থার্মোস্ট্যাট এবং ইকো-এনার্জি মোড সঠিকভাবে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে, যাতে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ শক্তি নষ্ট না হয়। সিরামিক হিটিং উপাদান ঘরের সর্বত্র সমানভাবে এবং দ্রুত তাপ বিতরণ করে, শক্তির অপচয় রোধ করে। এই বিষয়গুলোর প্রতি নজর রাখার ফলে একদিকে যেমন দীর্ঘ মেয়াদে বাজেট বাঁচানো যায়, অন্যদিকে পরিবেশকেও ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মুক্ত রাখা যায়।
পোর্টেবিলিটি এবং ডিজাইন
যাদের ঘন ঘন বাসা বদলের প্রয়োজন হয় তাদের জন্য তাৎপর্যবহুল একটি ব্যাপার হচ্ছে গৃহস্থালি যন্ত্রপাতির ওজন। কাঠামোগত দিক থেকে সহজে বহনযোগ্য হলে স্থানান্তর ও পুনরায় স্থাপনের কাজগুলো সহজ হয়ে যায়। বিশেষ করে ক্যারি-হ্যান্ডেল সমেত হাল্কা মডেলগুলো বহন করা সুবিধাজনক। লম্বা কমপ্যাক্ট ডিজাইনেরগুলো ঘরের মেঝেতে জায়গা বাঁচায়। কিছু হিটার দেয়ালেও সেট করা যায়। নান্দনিক ও সুবিধাজনক নকশা ব্যবহারযোগ্যতার পাশাপাশি ঘরের সৌন্দর্য্যও বাড়ায়।
শব্দের মাত্রা
হিটার নির্বাচনের সময় আরও একটি উল্লেখযোগ্য দিক হলো এর শব্দ। সিরামিক প্রযুক্তি বা সাইলেন্ট অপারেশন মুডের মডেলগুলো ঘরের মধ্যে শান্ত পরিবেশ বজায় রাখার জন্য যথেষ্ট উপযোগী। অবশ্য পুরাতন ডিজাইনের ফ্যান হিটারগুলোর আওয়াজ থেকে রেহাই পাওয়ার উপায় থাকে না। এদিক থেকে অত্যাধুনিক ডিজাইনগুলো অনেকটা এগিয়ে। একেবারে পিন-পিতম নিরবতা না দিতে পারলেও এগুলো প্রশান্তিদায়ক উষ্ণতা প্রদানে কোনো ঘাটতি রাখে না।
আরো পড়ুন: কীভাবে বুঝবেন ছবিটি এআই দিয়ে বানানো কিনা
স্থায়িত্ব এবং ওয়ারেন্টি
ঘন ঘন মেরামত বা প্রতিস্থাপনের ঝামেলা থেকে দূরে থাকতে অবশ্যই হিটারের ওয়ারেন্টি দেখে নেওয়া উচিত। পরপর কমপক্ষে দুটি শীত কাটানোর জন্য কাঠামোগত উপাদান হিসেবে অগ্নিরোধী প্লাস্টিক, সিরামিক উপাদান বা মজবুত ধাতব উপাদানগুলোর প্রতি অগ্রাধিকার দিতে হবে। অন্তত এক বছরের ওয়ারেন্টি থাকলে আকস্মিক যান্ত্রিক ত্রুটি রক্ষণাবেক্ষণের সুবিধা পাওয়া যায়। বিক্রয় পরবর্তী সার্ভিস ওয়ারেন্টি দীর্ঘ মেয়াদে খরচ বাঁচায় বিধায় কোম্পানির প্রতি গ্রাহকদের নির্ভরতা বাড়ে।
বর্তমানে বাজারের সেরা কয়েকটি রুম হিটার
.
ভিশন ইজি-হোয়াইট / ১ হাজার ৪৮৫ টাকা
বরাবরের মতো এবারও সাশ্রয়ী মূল্যের বিপরীতে চমৎকার সব ফিচার পাওয়া যাচ্ছে ভিশনে। মডেলটির দুই ধরণের (১ হাজার ওয়াট/২ হাজার ওয়াট) তাপমাত্রা সেটিং-এ তাপ বিতরণের জন্য রয়েছে পিটিসি হিটিং উপাদান। অপারেশন চলাকালীন নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রয়েছে টিপ-ওভার সুইচ, অতিরিক্ত হিটিং সুরক্ষা ও একটি ফিউজ। এর তাপমাত্রা কমবেশি করার নব এবং একাধিক এয়ার মোড (ফ্যান/লো/উচ্চ) যন্ত্রের উপর অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণ ও আরামদায়ক অনুভূতির সঞ্চার করে।
হাল্কা ওজন এবং ইন্টিগ্রেটেড হ্যান্ডেল হিটারটিকে সহজে বহন করার জন্য উপযোগী করে তুলেছে। ১২০ বর্গফুট জায়গার জন্য উপযুক্ত যন্ত্রটি সংকীর্ণ স্থানেও স্থাপনযোগ্য।
আরো পড়ুন: মোবাইল ফোন বিস্ফোরণ: কারণ ও বাঁচার উপায়
ভিগো কজি / ১ হাজার ৬৫০ টাকা
২ হাজার ওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন এই হিটারে রয়েছে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণকারী থার্মোস্ট্যাট ও তাপীয় ফিউজ। এগুলো অতিরিক্ত তাপ সরবরাহে সুরক্ষা মাত্রা নিশ্চিত করে। এক স্থান থেকে অন্যস্থানে সহজে স্থানান্তর এবং স্থাপনে সুবিধার জন্য রয়েছে সহায়ক ক্যারি হ্যান্ডেল। ব্যবহারযোগ্যতায় আলাদা মাত্রা যোগ করে এর পাওয়ার ইন্ডিকেটর লাইটটি। মাঝারি আকারের কক্ষগুলোর জন্য বেশ ভালো একটি পছন্দ এই হিটারটি।
নোভা এনএইচ-১২০১এ / ১ হাজার ৮৯৯ টাকা
টেকসই অ্যান্টি-ফায়ার প্লাস্টিক বডির এই হিটারটি নিরাপত্তার দিক থেকে যথেষ্ট নির্ভরতা প্রদান করে। কেননা ২ হাজার ওয়াট দ্বারা চালিত এই যন্ত্রে আছে তাপীয় ফিউজ ও অতিরিক্ত উত্তাপ সুরক্ষা। রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে ফ্যানের গতি কমবেশি করার সুবিধা এর প্রধান আকর্ষণ। উপরন্তু, এই সামঞ্জস্যতার নেপথ্যে সুদূরপ্রসারি নিয়ন্ত্রক হিসেবে রয়েছে থার্মোস্ট্যাট।
মডেলটিতে দেওয়া হচ্ছে ২ বছরের সার্ভিস ওয়ারেন্টি এবং ১ বছরের স্ট্যান্ডার্ড ওয়ারেন্টি।
আরো পড়ুন: টপ লোড বনাম ফ্রন্ট লোড ওয়াশিং মেশিন: জেনে নিন সুবিধা ও অসুবিধা সমূহ
ওয়াল্টন ডব্লিউআরএইচ-পিটিসি০০৭ / ২ হাজার ৬১ টাকা
ব্র্যান্ডের ঐতিহ্যবাহী সহজ ডিজাইনের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে ওয়াল্টনের এই হিটারটি বেশ জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। অতিরিক্ত তাপ সুরক্ষায় এতে অংশ নেয় পিটিসি হিটিং প্রযুক্তি, যা এর নিরবচ্ছিন্ন কার্যকারিতাকে অটুট রাখে। ৫০০/১ হাজার ওয়াট রেটিং ক্ষমতার সঙ্গে সামঞ্জস্যযোগ্য তাপ সেটিংয়ের জন্য যন্ত্রটি যেকোনো ছোট বা সংকীর্ণ জায়গার জন্য উপযুক্ত।
এলজি ব্লু ম্যাজিক কেপিটি-৬০২এম / ২ হাজার ৫০০ টাকা
নজরকাড়া ডিজাইন সমৃদ্ধ এই হিটারটিতে প্রথমেই চোখে পড়ে ডিজিটাল ডিসপ্লে। চিত্তাকর্ষক বেশভূষার সঙ্গে সিরামিক প্রযুক্তি দ্রুত এবং সামঞ্জস্যপূর্ণ হিটিং নিশ্চিত করে। অপসারণযোগ্য ডাস্ট ফিল্টারের পরিবর্তে পাওয়া যায় পরিস্কার বায়ু সঞ্চালন। এক্সট্রা হিটিং সেফ্টি এবং টিপ-ওভার সুইচ থাকায় সৌন্দর্য্যের সঙ্গে এর নির্ভরযোগ্যতাও বৃদ্ধি পেয়েছে। বিদ্যুৎ ক্ষমতার মাত্রা ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ ওয়াট পর্যন্ত ওঠা-নামা করতে পারে। এই পরিবর্তন প্রয়োজনীয়তার স্বাপেক্ষে হিটিং সেটিংসের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিচালিত হয়।
কনিয়ন বিই-৫০০এন / ২ হাজার ৬০০ টাকা
সাশ্রয়ী মূল্যে উচ্চমানের ক্ষমতা ও সার্বিক ফাংশন পাওয়ার ক্ষেত্রে কনিয়নের এই মডেলটিকে অনেকটা এগিয়ে রাখা যেতে পারে। এর নিরাপত্তার দিকটা দেখে থার্মাল কাট-আউট সুরক্ষা ব্যবস্থা এবং কুলিং মুড। এটি বছর জুড়ে যন্ত্রটিকে ব্যবহারযোগ্য করে তোলে। টেকসই গঠনের বডিতে হিটারটির সর্বোচ্চ ক্ষমতা ২ হাজার ওয়াট। কোম্পানির পক্ষ থেকে ১ বছরের সার্ভিস ওয়ারেন্টি এর নির্ভরযোগ্যতা আরও বাড়িয়ে দেয়।
আরো পড়ুন: রয়্যাল এনফিল্ড ৩৫০ সিসির নতুন চারটি মোটরবাইক মডেলের আকর্ষণীয় সব ফিচার
মিয়াকো পিটিসি-১০এম / ৩ হাজার ৮০ টাকা
৪০০ বর্গফুটের বৃহৎ এলাকার জন্য তৈরি হয়েছে মিয়াকোর এই হিটার। ১ দশমিক ৫ কিলোওয়াট উষ্ণতায়ন ক্ষমতা এবং ৯০-ডিগ্রি ঘূর্ণন ফাংশন আবদ্ধ কক্ষের সমস্ত জায়গা জুড়ে উষ্ণতা ছড়াতে সক্ষম। কার্যকর থার্মোস্ট্যাটের পাশাপাশি কমপ্যাক্ট বডি যত্ন সহকারে ব্যবহারের ভিত্তিতে দীর্ঘস্থায়িত্বের প্রতিশ্রুতি রাখে। মূল্য সহ পণ্যের যাবতীয় ফিচারগুলো পূর্ণতা পেয়েছে অতিরিক্ত সংযোজন হিসেবে ১ বছর সার্ভিস ওয়ারেন্টির মাধ্যমে।
শাওমি ডুহি ডেস্কটপ ইলেক্ট্রিক হিটার / ৩ হাজার ৮০ টাকা
প্রযুক্তি-বান্ধব পণ্যশ্রেণিতে শাওমির খ্যাতি রয়েছে দীর্ঘদিনের। এই ইলেক্ট্রিক হিটারটিও তার ব্যতিক্রম নয়। যন্ত্রটির প্রধান আকর্ষণ হচ্ছে অপারেটিংয়ের জন্য টাচ প্যানেল এবং ওয়াইড-এঙ্গেল ঘূর্ণন প্রক্রিয়া। স্মার্ট ফিচারগুলোতে আরও অন্তর্ভূক্ত রয়েছে দ্রুত উষ্ণতায়নের পিটিসি প্রযুক্তি।
কমপ্যাক্ট ডেস্কটপ গঠন ও ডিজাইন নিমেষেই এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় বহনে সহায়ক হয়। সাধারণ বৈশিষ্ট্যের মধ্যে রয়েছে টিপ-ওভারের অতিরিক্ত সুরক্ষা বেষ্টনী। ৬০০ ওয়াটের পাওয়ার রেটিং সম্পন্ন হিটারটি ছোট জায়গায় ব্যবহারের জন্য উত্তম।
আরো পড়ুন: আইফোন চুরি প্রতিরোধে অ্যাপলের গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা
ডানাজ ডিএএন-আরএইচ২৫০ইসি / ৩ হাজার ৯০০ টাকা
সিরামিক ফ্যান প্রযুক্তি এবং অটো-রোটেশনের মত প্রিমিয়াম সুবিধার বেশ কম পাওয়া রেটিং-এর মধ্যে দিচ্ছে ডানাজ। অবশ্য রেটিংটি ৭৫০ ওয়াট এবং ১ হাজার ৫০০ ওয়াটের দুটি হিটিং গ্রেডেশনে বিভক্ত। এটি সরাসরি অংশগ্রহণ করে থার্মোস্ট্যাটের তাপমাত্রা পরিচালনায়। অন্যান্য হিটারগুলোর সঙ্গে এর সুরক্ষা ক্যাটাগরির ভিন্নতা হলো এক্সট্রা হিটিং সেফ্টির পাশাপাশি এর আছে অ্যান্টি ওভারটার্নিং সুরক্ষা। সঙ্গে ১ বছরের সার্ভিস ওয়ারেন্টি মূল্যের পরিমিত ন্যায্যতা প্রদান করে।
রোওয়া কেপিটি-০৯১৮জি / ৪ হাজার ৪৫৯ টাকা
১ হাজার ৮০০ ওয়াট হিটিং পাওয়ারের এই হিটারটির বিশেষ দিক হচ্ছে অসিলেটিং সিরামিক প্রযুক্তি। এটি থার্মোস্ট্যাটের সঙ্গে সমন্বয় করে তাপমাত্রার সঠিক নিয়ন্ত্রণ অব্যাহত রাখে। বড় কক্ষগুলোর জন্য উপযুক্ত এই যন্ত্র টিপ-ওভার সুইচ, অতিরিক্ত তাপ সুরক্ষা, এবং স্বয়ংক্রিয় শাট-অফ ব্যবস্থা সমৃদ্ধ। ওজন ২ দশমিক ৫ কেজি এবং ডিজাইন কমপ্যাক্ট হওয়ায় হিটারটিকে স্থানান্তর এবং পুনঃস্থাপন করা সহজ।
শেষাংশ
উপরোক্ত ১০টি রুম হিটারের যেকোনোটি পৌষ-মাঘের মৌসুমের প্রতিটি দিনকে আনন্দদায়ক এবং স্বাস্থ্যকর করে তুলতে সহায়ক হতে পারে। তন্মধ্যে স্বল্প বাজেটের জন্য দেখা যেতে পারে ভিশন ইজি-হোয়াইট এবং ভিগো কোজি মডেল দুটি। অপরদিকে, রোওয়া এবং ডানাজের মতো প্রিমিয়াম মডেলগুলোতে মিলবে ফ্যানের নিখূঁত ঘূর্ণন এবং সিরামিক হিটিংয়ের মতো উন্নত ফিচার। নোভা এবং এলজি ব্লু ম্যাজিক মিড-রেঞ্জার হিসেবে যথেষ্ট কার্যক্ষমতার অধিকারি এবং সেই সঙ্গে নির্ভরযোগ্য। আর প্রযুক্তিপ্রেমিদের জন্য রয়েছে চমকপ্রদ ডিজাইনের শাওমি ডুহি। সর্বপরি, ক্রয়ের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে যাওয়ার আগে কর্মক্ষমতা ও নিরাপত্তামূলক ফিচারগুলোতে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত।
আরো পড়ুন: শীতকালে গরম পানির গিজার: জনপ্রিয় ব্র্যান্ড, মডেল, ধরন ও দাম
২ সপ্তাহ আগে
ডিসেম্বরের শুরুতেই শীতে কাঁপছে নওগাঁ, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা
উত্তরের জেলা নওগাঁয় জেঁকে বসেছে শীত।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় নওগাঁর বদলগাছি উপজেলা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে ৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা চলতি বছরে এখন পর্যন্ত এই জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
স্থানীয়রা জানান, সন্ধ্যার পর তাপমাত্রা বাড়ছে। সেই সঙ্গে বয়ে যাচ্ছে হিমেল হাওয়া। আর এ হাওয়া শীতের তীব্রতা বাড়িয়ে দিচ্ছে কয়েকগুণ। সন্ধ্যার পর থেকেই গরম কাপড় পরে চলাফেরা করছে মানুষ। রাত থেকে ভোর পর্যন্ত কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকছে চারপাশ। তবে দ্রুতই কুয়াশা ভেদ করে দেখা মিলছে সূর্যের।এদিকে শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ছিন্নমূল মানুষ ও খেটে খাওয়া মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে।
সদর উপজেলার সামনে কুরবার আলী নামে এক রিকশাচালক বলেন, ‘দিন যখন তাপমাত্রা একটু বেশি থাকে থাকে তখন যাত্রী পাওয়া যায়। রিকশাও ভালোভাবে চালানো যায়। কিন্তু সন্ধ্যার পর কিংবা খুব সকালে যাত্রী তেমন পাওয়া যায় না। শীতের কারণে রিকশা ঠিকভাবে চালানোও যায় না। ফলে আয় উপার্জন কমে গেছে।’
নওগাঁর বদলগাছী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, শনিবার সকাল ৯টায় জেলায় ৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে, শুক্রবার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেই হিসেবে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে এ জেলার তাপমাত্রা কমেছে ২ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
উত্তর দিক থেকে বয়ে আসা হিমেল হাওয়ায় শীতের তাপমাত্রা আগামীতে আরও বাড়তে পারে বলেও জানান তিনি।
২ সপ্তাহ আগে
তাপমাত্রা কমেছে, শীতে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা
এখনও হেমন্তকাল শেষ হয়নি। এরই মধ্যে শীতে জবুথবু চুয়াডাঙ্গাবাসী। গত কয়েকদিন ধরে বিকাল হলেই তাপমাত্রা কমছে।
চুয়াডাঙ্গার আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাদের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ। যা চলতি মৌসুমের জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
রিকশাচালক ঝন্টু মিয়া বলেন, ‘এখনই হাত-পা মনে হচ্ছে বরফ হয়ে আসছে। সন্ধ্যার পর শীত বাড়ে। আর কয়েকদিন পর রিকশা চালানো কষ্টকর হয়ে যাবে।’
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে হঠাৎ ঘন কুয়াশা
চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যৈষ্ঠ পর্যবেক্ষক রকিবুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘গত ১৫ নভেম্বর থেকে চুয়াডাঙ্গা জেলায় তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। আজ এ জেলায় সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
১ মাস আগে
পঞ্চগড়ে হঠাৎ ঘন কুয়াশা
দেশের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় উত্তরাঞ্চলে আগেই শীত পড়ে। এবার একটু দেরিতে হলেও পঞ্চগড়ে শীতের আমেজ শুরু হয়েছে। গত কদিন ধরেই ভোরের দিকে হালকা কুয়াশা থাকছে কিন্তু শনিবার হঠাৎ করেই জেলাজুড়ে ঘন কুয়াশা দেখা যায়।
হালকা বৃষ্টির মতো কুয়াশা ঝরছে। এ অবস্থা ছিল সকাল ৯টা পর্যন্ত। চারদিক ঘন কুয়াশার কারণে রাস্তাঘাট লোকজনের চলাচল ছিল তুলনামূলক কম। যানবাহন চলছিল হেডলাইট জ্বালিয়ে সাবধানে।
ভ্যান, অটোরিকশাসহ ছোট ছোট যানবাহনগুলো চলাচল করতে দেখা গেছে। যাত্রী না থাকায় কিছু কিছু গাড়িচালককে অলস বসে থাকতে দেখা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, শেষ বিকেলে হালকা কুয়াশা পড়ছে। গভীর রাতে বেশ ঠান্ডা অনুভুত হচ্ছে। কাঁথা কম্বল গায়ে দিতে হচ্ছে।
ভারতের কাছাকাছি হওয়ায় এ জেলায় আগেভাগেই শীত পড়ে। জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শীতের দাপট থাকে।
ভ্যানচালক চৈতু মোহাম্মদ (৭০) বলেন, ‘আইজ ঠান্ডা লাগেছে। কুয়াশায় কিছু দেখা যায় না। যাত্রীও পাই না, ভাড়া নাই বসে আছি।’
পথচারী সাইদুর রহমান বলেন, ‘হালকা কুয়াশা বৃষ্টি হচ্ছে। শরীরের উপরের কাপড় ভিজেছে। ঘন কুাশায় এক হাত দূরের কিছু দেখা যায় না। গাড়িগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে।’
১ মাস আগে
পশমিনা শাল আসল না নকল চিনবেন কীভাবে?
আরামদায়ক উষ্ণতা ও নান্দনিক কারুকাজের মেলবন্ধনে চাদর বা শাল প্রতি শীতেই থাকে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে। এগুলোর মধ্যে অভিজাত শ্রেণির আলাদা দৃষ্টি থাকে পশমিনা শালের দিকে। দেহাবরণটির প্রধান উপাদান পশমিনার নমনীয় বৈশিষ্ট্যের জন্য এর রয়েছে জগৎ জোড়া খ্যাতি। কাপড়টি বোনা হয় চাংথাং মালভূমিতে চড়ে বেড়ানো চাংথাঙ্গি নামক পাহাড়ি ছাগলের পশম থেকে। মালভূমিটির অবস্থান ভারতীয় উপমহাদেশের উত্তরের অঞ্চল লাদাখে, আর সেখান থেকেই মূলত এই পশমিনা বস্ত্রের উৎপত্তি। বর্তমানে আসলগুলোর পাশাপাশি নানা বৈচিত্র্যে অনেক আধুনিক সংস্করণও তোলা হয় বাজারগুলোতে। এগুলোর মধ্য থেকে কীভাবে আসল পশমিনা শালটি চিনে নেবেন চলুন, তা জেনে নেওয়া যাক।
আসল পশমিনা শাল চেনার কার্যকরী উপায়
.
নমনীয়তা যাচাই
পশমিনা কাপড়ের প্রধান ও অনন্য বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এর সুক্ষ্ম কোমলতা। অথচ এর উষ্ণতায় কোনো ঘাটতি পড়ে না। এর উপর আলতো করে হাত বুলিয়ে গেলে পাখির পালকের মতো হাল্কা অনুভূত হবে। একই সঙ্গে পুরো পৃষ্ঠে পাওয়া যাবে মসৃণতার সরব উপস্থিতি।
পুরুষদের ফরমাল পোশাক ও স্যুট বানানোর জনপ্রিয় কিছু দেশি ব্র্যান্ড
অপরদিকে, সিন্থেটিক বা মিশ্রিত উপাদানের শালগুলোর অধিকাংশই থাকে মোটা, অমসৃণ ও তুলনামূলকভাবে স্বল্প নমনীয়।
বুননের কাজ পর্যবেক্ষণ
এই শাল ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতিতে হাতে বোনা হয়, যার ফলে বুননগুলো সামান্য অসমান হয়। মেশিনে তৈরি সিন্থেটিক শালগুলোর বুনন হয় ত্রুটিহীন এবং একই ধরনের। এই সূক্ষ্ম তারতম্যটি বোঝার জন্য কাপড়টি হাতে ধরে ভালোভাবে খুঁটিয়ে দেখতে হবে।
অবশ্য খাঁটি পশমিনার বুননের রেখাগুলোতে অসঙ্গতির নমনীয়তা এবং উষ্ণতার মানে কোনো প্রভাব ফেলে না। বরং তা যুগ যুগ ধরে কারুশিল্পীদের দক্ষতার কথা গর্বের সঙ্গে প্রকাশ করে আসেছে।
গহনায় ব্যবহৃত মূল্যবান কিছু রত্নপাথর
কাপড়ের চকচকে ভাব যাচাই
সরাসরি সূর্যের আলোয় ধরলে যদি কাপড় চকচক করে, তবে বুঝতে হবে এতে সিল্ক, নাইলন বা অন্যান্য কৃত্রিম উপাদানের মিশ্রণ আছে। কারণ চাংথাঙ্গি ছাগলের পশম থেকে বানানো পশমিনা আলোকে প্রতিফলিত করার বদলে শোষণ করে নেয়। তাই সূর্যালোকের সংস্পর্শে এলে এগুলো চকচকে দেখাবে না।
সুক্ষ্ম হলেও এই কাপড় স্বচ্ছ নয় অর্থাৎ সূর্যালোক এতে প্রতিসরিত হয় না। বরং এটি রোদের আলোকে ঢেকে দিতে পারে।
উলের স্থির বিদ্যুৎ সংবেদনশীলতা নিরীক্ষা
শালের প্রান্ত দু’আঙ্গুলে ধরে আলতোভাবে ঘষে দেখতে হবে কাপড়ে থাকা উলের পশম দাঁড়িয়ে যাচ্ছে কি না। কৃত্রিম প্রক্রিয়ায় বানানো কাপড়ে ঘর্ষণের ফলে স্থির বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়। এতে করে উলের ফাইবারগুলো সংবেদনশীলতার কারণে সোজা দাঁড়িয়ে যায়।
হাই হিল কিভাবে পুরুষের পা থেকে নারীর পায়ে এলো?
কিন্তু আসল পশমিনা প্রাকৃতিক পশম দিয়ে তৈরি হওয়ায় ঘর্ষণ কোনো স্থির বিদ্যুতের সৃষ্টি করতে পারে না। তাই ঘর্ষণের জায়গায় উলের সূক্ষ্ম পশম না দাঁড়িয়ে যথাস্থানে অপরিবর্তিত অবস্থায় থাকে।
শিখা পরীক্ষা
অন্যান্য পদ্ধতিগুলো প্রয়োগের পরে সন্দেহ থাকলে তবেই এই পরীক্ষাটি ব্যবহার করা উচিত। অন্যথায় এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। খাঁটি পশমিনা শাল যাচাইয়ের জন্য একটি সর্বাপেক্ষা কার্যকর পদ্ধতি। তবে পরীক্ষাটি করার সময় সতর্ক থাকা জরুরি।
খুব সতর্কতার সঙ্গে শাল থেকে একটি ছোট সুতা টেনে বের করে আগুনে পোড়াতে হবে। প্রকৃত পশমিনা পোড়ার সময় চুল পোড়ার মতো গন্ধ ছড়াবে। ধীরে ধীরে পুড়ে সুক্ষ্ম সুতাটি গুঁড়া ছাইতে পরিণত হবে। অন্যদিকে সিন্থেটিক ফাইবারগুলো পোড়ালে সেগুলো ধীরে ধীরে গলে যাওয়া শুরু করবে। এ সময় গলতে থাকা অংশগুলো থেকে প্লাস্টিকের মতো গন্ধ বের হবে।
নতুন পোশাক কেনার আসক্তি কমানোর উপায়
শেষাংশ
পশমিনা শাল আসল না নকল তা চেনার জন্য স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যগুলোর দিকে খেয়াল দেওয়াই যথেষ্ট। কেননা সুক্ষ্ম নমনীয়তা, সূর্যালোক শুষে নেওয়া এবং স্থির বিদ্যুতের প্রতি অসংবেদনশীলতা উপাদানগত দিক থেকে একে অতুলনীয় করে তোলে। আর এই বিশেষত্বটিই ফুটে উঠে উপরোক্ত পদ্ধতিগুলোর মাধ্যমে কাপড় যাচাইয়ের সময়। মূলত প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ার বাইরে যেয়ে কৃত্রিমতা সংযোজনের ফলে কাপড়ে চাংথাঙ্গি ছাগলের পশমের স্বকীয়তা লোপ পায়। আর এই বিষয়টি যাচাই করার মাধ্যমে শালের উপাদান সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
১ মাস আগে
উদ্যোক্তাদের মিলনমেলা ফরিদপুরে হিম উৎসব, বাহারি পণ্যের সমাহার
শীত মানেই পিঠা-পুলির আয়োজন। আর এখন পিঠা-পুলি তৈরি বাড়ির রান্নাঘেরের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। ব্যবসায়িকভাবেও তৈরি করছে উদ্যোক্তারা। এরকম উদ্যোক্তাদের আয়োজনে পিঠা-পুলি নিয়ে ফরিদপুরে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী হিম উৎসব।
ফরিদপুর জেলা শহরের অম্বিকা মেমোরিয়াল প্রাঙ্গণে ‘ওয়ার্কহলিক ফরিদপুরিয়ান’ নামে একটি সংগঠনের উদ্যোগে এই হিম উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। শীতকালীন উৎসব হলেও নির্বাচনের কারণে এবারের উৎসবটি দেরিতে আয়োজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।
উৎসবে নিজেদের তৈরি পিঠা-পুলির পাশাপাশি আচার, পোশাক ও কুটির শিল্পের বাহারি পণ্য নিয়ে হাজির হয়েছেন উদ্যোক্তারা। ৩৫টি স্টলে হাতে তৈরি বাহারি পণ্যের সম্ভার দেখা যায়।
জেলার ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের একত্রিত করতে এই উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। জেলার নারী ও পুরুষ উদ্যোক্তাদের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে উৎসব। প্রথম দিনেই বেশ ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) তৃতীয়বারের মতো তিন দিনব্যাপী হিম উৎসবের উদ্বোধন করেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার। উদ্বোধন শেষে বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন তিনি।
এ সময় জেলা প্রশাসক বলেন, উদ্যোক্তাদের সব ধরনের সহযোগিতা করবে জেলা প্রশাসন। যারা এরই মধ্যে উদ্যোক্তা হয়েছেন তাদের ব্যবসা প্রসারে সহযোগিতা চাইলে আমরা সহযোগিতা করব। এছাড়া নতুন কেউ যদি উদ্যোক্তা হতে চান তাহলে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।
তরুণ প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, অনেকেই সামান্য বেতনের জন্য চাকরির পেছনে ছুটে। তারা যদি চাকরির পেছনে না ছুটে উদ্যোক্তা হয়, তাহলে তারা কিন্তু দ্রুতই একটা অবস্থানে যেতে পারে।
নারী উদ্যোক্তা উপমা দত্ত জানান, হিম উৎসবে জেলার নারী ও পুরুষ উদ্যোক্তারা তাদের নিজ হাতে তৈরি পণ্য নিয়ে মেলায় স্টল দিয়েছেন। সারা বছরই এই সব উদ্যোক্তারা অনলাইনে তাদের পণ্য বিক্রি করে থাকেন। এই উৎসবে সবাইকে একত্র করতেই এই উদ্যোগ।
এছাড়াও কবিতা আবৃত্তি, গান পরিবেশনসহ লোকজ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজনও রাখা হয়েছে এ উৎসবে।
আরও পড়ুন: নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য ডেলিভারি সার্ভিস নির্বাচনে ১০ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
১০ মাস আগে
চুয়াডাঙ্গায় আবারও শীত বেড়েছে, তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রি
চুয়াডাঙ্গায় আবারও শুরু হয়েছে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এছাড়া একই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়াতে।
আরও পড়ুন: মাঘের শীতে কাবু কুড়িগ্রামের মানুষ, তাপমাত্রা ৬.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস
সকাল থেকে সূর্যের দেখা মিললেও শৈত্যপ্রবাহের কারণে কমেনি শীতের দাপট।
শহরের মুরগি বিক্রেতা ইয়ারুল আলি বলেন, কয়েকদিন পর শুক্রবার সকালে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। গ্রাম থেকে খুব সকালে শহরে মুরগি বিক্রি করতে হয়। প্রচণ্ড ঠান্ডার কারণে লোকজনের দেখা মিলছে না।
দিনমজুরেরা বলেন, কনকনে শীত পড়ছে সঙ্গে বাতাসে আরও শীতের তিব্রতা বাড়িয়ে দিচ্ছে। ভোরে কৃষি কাজের জন্য মাঠে এসেছি। ঠান্ডায় হাত চলছে না।
এদিকে, শীতজনিত কারণে রোটাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে শিশু ডায়রিয়া রোগী সদর হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। এছাড়া নিউমোনিয়ার রোগীও বাড়ছে।
আরও পড়ুন: তীব্র শীতে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস
সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. ওয়াহিদ মাহমুদ রবিন জানিয়েছেন, প্রতিদিন শীতজনিত কারণে ৭০০-৮০০ রোগী বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান হক বলেন, শুক্রবার সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গা ও পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়াতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
তিনি আরও জানান, এছাড়া মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাছে। শনিবারও একই রকম আবহাওয়া থাকতে পারে। এরপর তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকবে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে তীব্র শীতে বোরোর বীজতলা নষ্টের আশঙ্কা
তিনি জানান, আগামী ১৫-১৬ তারিখের দিকে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
১০ মাস আগে