শীত
ইন্দোনেশিয়ার শীর্ষ ১০ দর্শনীয় স্থান: শীতের ছুটিতে সাধ্যের মধ্যে ভ্রমণ
ইন্দোনেশিয়াকে এশিয়ার সাগর পাড়ের স্বর্গ নাম দেওয়া হলে মোটেই বাড়িয়ে বলা হবে না। নিদেনপক্ষে রাজা আমপাত রিজেন্সি, বালি, জাভা, সুমাত্রা ঘুরে বেড়ানোর সময় এমনটাই অনুভব করেন প্রতিটি পর্যটক। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে অনেক কাঠখড় পোড়ানোর পরেও ধরা ছোঁয়ার বাইরেই থেকে যায় অভিজাত এই দর্শনীয় স্থানগুলো। তবে এই অবকাশ যাপনের সঙ্গে যে একদমই আপস করা যায় না তা কিন্তু নয়। জায়গা ভেদে প্রতিটি দেশেরই বিভিন্ন অঞ্চলে অর্থনৈতিক তারতম্য ঘটে। ইন্দোনেশিয়াও তার ব্যতিক্রম নয়। এমনকি জাকার্তার মতো ব্যয়বহুল শহরের কাছেই দারুণ কিছু জায়গা আছে হিসেবি পর্যটকদের জন্য। আজকের নিবন্ধে স্বল্প খরচে শীতের ছুটি কাটানোর মতো ইন্দোনেশিয়ার সেই অপূর্ব দ্বীপাঞ্চলগুলোকে একত্রিত করা হয়েছে।
স্বল্প খরচে ইন্দোনেশিয়ার ১০ মনোরম স্থানে কাটাতে পারেন শীতের ছুটি
গিলি দ্বীপপুঞ্জ
গিলি ট্রাওয়াঞ্জান, গিলি মেনো এবং গিলি এয়ার- ছোট্ট এই তিন দ্বীপ মিলে গিলি দ্বীপপুঞ্জ অবস্থিত ইন্দোনেশিয়ার লম্বকে। এই তিনটিই বিশ্বমানের ডাইভিং এবং স্নরকেলিংয়ের জন্য বিখ্যাত। দ্বীপগুলোর যে কোনো স্থান থেকে পানিতে নেমেই উপভোগ করা যায় পানির নিচের মন্ত্রমুগ্ধকর জগত।
বাংলাদেশ থেকে লম্বক পর্যন্ত আকাশপথে যাত্রায় মাথাপিছু সর্বনিম্ন বাজেট রাখতে হবে ৩৩৪ মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩৬ হাজার ৬৮৯ দশমিক ৯৭ টাকা (১ মার্কিন ডলার = ১০৯ দশমিক ৮৫ বাংলাদেশি টাকা)।
লম্বকে থাকার খরচ জনপ্রতি সাধারণত ১ লাখ ৪৬ হাজার ৭৫৫ ইন্দোনেশীয় রুপিয়া বা ১ হাজার ২৭ দশমিক ২১ টাকা (১ ইন্দোনেশীয় রুপিয়া = ০ দশমিক ০০৭ বাংলাদেশি টাকা)। একদিনের খাবারের জন্য বাজেট রাখতে হবে ৪৯ হাজার ৯৯৩ ইন্দোনেশীয় রুপিয়া যা ৩৪৯ দশমিক ৯৩ টাকার সমতুল্য।
সাধ্যের মধ্যে মালদ্বীপের বিকল্প হতে পারে এশিয়ার যেসব ট্যুরিস্ট স্পট
উবুদ
ইন্দোনেশিয়াতে বিশ্ব পরিব্রাজকদের জনপ্রিয় গন্তব্য বালিতে অবস্থিত এই উবুদ। শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত রয়্যাল প্যালেসে দর্শনার্থীরা বিনামূল্যেই পরিদর্শন করতে পারেন। রাস্তার ঠিক নিচেই রয়েছে মাঙ্কি ফরেস্ট। এছাড়া রয়েছে গোয়া গাজাহর উদ্দেশ্যে যাত্রা করা বেমো রাইড। বেদুলু গ্রামের ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হাতির গুহার মূল আকর্ষণ এর জটিল খোদাইগুলো।
উবুদে থাকার খরচ সাধারণত ২১ লাখ ৪২ হাজার ১৫১ ইন্দোনেশীয় রুপিয়া যা ১৪ হাজার ৯৯৩ দশমিক ৯৪ টাকার সমান। সাশ্রয়ী হোটেলগুলোর মধ্যে আগুং ত্রিস্না বাংলো এবং ইনাং ভিলা সেরা পছন্দ হতে পারে। উবুদে খাওয়া-দাওয়ার জন্য দৈনিক চার্জ প্রায় ১ লাখ ৮৯ হাজার ৯৫৯ ইন্দোনেশীয় রুপিয়া (১ হাজার ৩২৯ দশমিক ৬১ টাকা)।
ঢাকা থেকে উবুদের নিকটতম নুগুরা রাই বিমানবন্দর পর্যন্ত যেতে সবচেয়ে কম বিমান ভাড়া ২৫২ মার্কিন ডলার (২৭ হাজার ৬৮২ দশমিক ২৫ টাকা)।
‘অরোরা বোরিয়ালিস’ বা ‘উত্তরের আলো’ দেখার সেরা ১০টি দেশ
দুর্যোগে বিএনপিকে খুঁজে পাওয়া যায় না, তারা শীতের পাখি: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, দুর্যোগে মানুষের পাশে কখনও বিএনপিকে খুঁজে পাওয়া যায় না।
তিনি বলেন, তারা শীতের পাখির মতো ভোটের সময় আসে। চাঁদা তুলে মনোনয়ন-বাণিজ্য করে আবার চলে যায়।
সুতরাং তারা যদি আসে তাদেরকে বলতে হবে-মেহমান এসেছেন ঘরের মধ্যে যান, ভোট দিতে পারব না।
রোববার দুপুরে নীলফামারীর সৈয়দপুরে ফাইভ স্টার মাঠে এক অনুষ্ঠানে হাছান মাহমুদ এ কথা বলেন।
‘নীলফামারী জেলা ও রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলার আওয়ামী লীগ প্রতিনিধিদের মাধ্যমে জননেত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি ২০২৩’ আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন: ভারতীয় সাংবাদিকদের সফর দু’দেশের সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নেবে: তথ্যমন্ত্রী
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘উত্তরবঙ্গে বেশি শীত, সে কারণে আমাদের নেত্রীর নির্দেশে অন্য কাজ বাদ দিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে আমরা এখানে এসেছি। এখানে বিএনপিকে দেখা যায় নাই। মির্জা ফখরুল সাহেবরা এবারে উত্তরবঙ্গ, ঠাকুরগাঁওয়ে একটি কম্বলও বিতরণ করে নাই। করোনার সময়ও তাদের দেখা যায় নাই। পঞ্চগড়ে নৌকাডুবি হয়েছে, বিএনপিকে খুঁজে পাওয়া যায় নাই। আমরা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সেখানে গিয়ে সাহায্য-সহযোগিতা করেছি।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি হচ্ছে শীতের পাখি। শীতকালে যেমন সাইবেরিয়া ও হিমালয় থেকে পাখি আসে। ধান খায়, বিলের মধ্যে মাছ খায়, মোটাতাজা হয়ে আবার উড়ে চলে যায়। বিএনপিকেও সারা বছর দেখা যায় না, শুধু নির্বাচন আসলে দেখা যায়। নেতারা চাঁদা কালেকশন করেন, নমিনেশন-বাণিজ্য করেন আর মোটাতাজা হন। আর কিছু সমুদ্রের ওই পারে পাঠিয়ে দেন, তিনিও মোটাতাজা হন।’
এই হচ্ছে বিএনপি। সারা বছর খবর নাই।
ইতোমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে সারা দেশে ৩০ লাখের বেশি কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, দলের পক্ষ থেকেও বাংলাদেশের প্রতিটি উপজেলার নির্বাচনী এলাকায় হাজার হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।
উপস্থিত জনতা ও নেতাকর্মীদের উদ্দেশে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘নির্বাচন বেশি দূরে নাই। আজকে আমরা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এসেছি, নৌকা মার্কার পক্ষ থেকে এসেছি, শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে এসেছি। ভোট যখন আসবে দয়া করে মনে রাখবেন, এই আওয়ামী লীগ ত্রাণ দিয়েছে। এই আওয়ামী লীগ কম্বল দিয়েছে, এই আওয়ামী লীগ করোনার সময় টিকা দিয়েছে। এই আওয়ামী লীগ করোনার সময় খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছে। বিএনপিকে খুঁজে পাওয়া যায় নাই। তাই তারা (বিএনপি) ভোট চাইতে আসলে তাদের মেহমান বলে সম্বোধন করে বিদায় করে দিবেন।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী। প্রধান অতিথি ছিলেন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বিশেষ অতিথি ছিলেন ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম, ত্রাণ ও পুনর্বাসন প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা, কেন্দ্রীয় সদস্য হোসনে আরা লুৎফা। রংপুর বিভাগের সব জেলার আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের হাতে শীতবস্ত্র তুলে দেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: সরকারকে আবার ধাক্কা দিতে গেলে বিএনপির পা ভেঙে যাবে: তথ্যমন্ত্রী
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শিক্ষার্থীর মৃত্যু মানবাধিকারের লঙ্ঘন: তথ্যমন্ত্রী
সুনামগঞ্জে জেঁকে বসেছে শীত, কাবু হাওড়পাড়ের মানুষ
গত কয়েকদিন ধরে সুনামগঞ্জ জেঁকে বসা তীব্র শীতে জনজীবন বিপর্যস্থ হয়ে পরেছে। দিনের বেলায় কিছুটা সহনীয় হলেও, রাতের বেলা শীতের তীব্রতা বেড়ে যায়। ফলে শীতে কাবু সুনামগঞ্জের হাওড় পাড়ের মানুষ।
শীতের তীব্রতা থেকে রক্ষা পেতে অনেকেই খড়কুটোতে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে।
নিম্নআয়ের মানুষ ফুটপাতে দোকান থেকে শীত নিবারণের জন্য সোয়েটার, জ্যাকেট, মাফলার কিনছেন। এছাড়া অনেকেই পুরান শীতের কাপর পরেই শীত নিবারণের চেষ্টা করছে।
এদিকে শহরের হতদরিদ্ররা নানাভাবে সহায়তা পেলেও গ্রামের মানুষেরা শীতবস্ত্রের অভাবে ভীষণ কষ্টে আছে। এক কম্বলে চারজন ঘুমাচ্ছেন, এমন অবস্থাও আছে কোন কোন পরিবারে।
সুনামগঞ্জ শহরতলির সরদাবাজ গ্রামের দিনমজুর বিকাশ রঞ্জন দাস ও রেখা রানী দাসের পাঁচ ছেলে মেয়ে। জুনের ভয়াবহ বন্যায় গলা সমান পানি ছিল এই দম্পত্তির বসত ঘরে। বিছানাপত্র-থালাবাসন সবই ভেসে যায় ঢলে। একজনের রোজগারে চলা টানা-পোড়েনের সংসারে ছেলে মেয়ের পড়াশুনা খরচ যুগিয়ে কোনভাবে খেয়ে না খেয়ে বেঁচে আছে তারা।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা, শীতের তীব্রতায় কাঁপছে মানুষ
তিনদিন শীতের সঙ্গে লড়াই করে একেবারে অসহায় হয়ে পড়েছে এই পরিবারের সদস্যরা।
রেখা রানী দাস বলেন, এলাকার মেম্বারে দুই- তিন দিন আগে একখান (একটা) কম্বল দিছলা (দিয়েছিলেন), আরেকজনে (অন্য একজন) দিছলা (দিয়েছিলেন) আরেক কম্বল। এই দুই কম্বল দিয়াই চাইর (চার) পুয়া পুরি (ছেলে মেয়ে) আর আমরা দুইজন কোনভাবে ঘুমায়রাম।
তিনি বলেন, এক পুরি মামার বাড়িতে আছে। কয়েকদিন ধইরা তিন পুরি লইয়া এক কম্বল দিয়া আমিসহ চাইর জন ঘুমানি লাগের (ঘুমাতে হয়)। বাইচ্ছাইনতের (ছেলে মেয়ের) বাবায় পুয়ারে লইয়া আরেক কম্বল দিয়া ঘুমাইন। কেউরই (কারোরই) শীত কুলায় না (রক্ষা হয় না), কিতা করমু (কি করবো) উপায়তো নাই (কোন ব্যবস্থা নাই)। ঘরের ভাঙা বেড়াগুড়া দিয়াও শীত হামায় (ঢুকে), কেমনে শীত যাইতো।
বিকাশ ও রেখা রানীর মত বিপদাপন্ন অবস্থা হাওরপাড়ের গ্রামে গ্রামে। বিশেষ করে গেল জুনের বন্যায় ঢল যেসব এলাকা দিয়ে গেছে, এসব গ্রামের মানুষের বেহাল অবস্থা।
সুনামগঞ্জ সদর, দোয়ারাবাজার ও ছাতকের বেশিরভাগ এলাকাতেই এখন এমন বিপদ।
সুনামগঞ্জ শহরের বড়পাড়ার বাসিন্দা নুরুল আমিন ও পিয়ারা খানম বন্যার পরবর্তী সময়ে বসতঘরের ছাল ছাড়া কিছুই পান নি।
নুরুল আমিন ফুটপাতে বসে সামান্য লেবু বিক্রয় করে সংসার চালান। সরকারি সহায়তার কিছু টাকা দিয়ে তিনি একটি লেপ কিনেছিলেন।
পিয়ারা খানম বলেন, এক লেপ দিয়া (দিয়ে) কিলাখান (কেমনে) চাইর পুয়া-পুরিরে লইয়া ঘুমাইতাম কইন (বলেন) ভাই।
সুনামগঞ্জ শহরতলির কোরবাননগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল বরকত বলেন, শীতের তীব্রতায় বিপদে পড়েছেন দরিদ্র মানুষেরা। গেল বন্যায় সবকিছু হারানো এসব মানুষ একটি কম্বল নেবার জন্য বার আসছেন আমাদের অফিসে।
ইউনিয়নের সকল গ্রামে কম্বল বিতরণ করতে তিন হাজার কম্বল প্রয়োজন, আমরা পেয়েছি তিনশ। লুকিয়ে এসব কম্বল বিতরণ করতে হয়েছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শফীকুল ইসলাম বলেন, শতাব্দীর ভয়াবহ বন্যায় এবার বহু মানুষের বিছানাপত্র-ঘরবাড়ি নষ্ট হয়েছে। এই জেলায় অতিরিক্ত কম্বল বরাদ্দের জন্য তিনবার চিঠি পাঠানো হয়েছে। অতিরিক্ত কোন বরাদ্দ এখনো পাওয়া যায় নি। রুটিন বরাদ্দের ৪৫ হাজার ১০০ কম্বল ১২ উপজেলায় পাঠানো হয়েছে।
এরমধ্যে তাহিরপুরে তিন হাজার পাঁচশ, জামালগঞ্জে তিন হাজার, ধর্মপাশায় তিন হাজার, শাল্লায় দুই হাজার, দিরাইয়ে চার হাজার, শান্তিগঞ্জে চার হাজার, সুনামগঞ্জ সদরে পাঁচ হাজার, বিশ্বম্ভরপুরে দুই হাজার পাঁচশ, ছাতকে ছয় হাজার পাঁচশ, দোয়ারাবাজারে পাঁচ হাজার, মধ্যনগরে দুই হাজার এবং জেলা প্রশাসকের কার্যালয় হতে ছয়শ’ কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। সব উপজেলারই কম্বল বিতরণ শেষ প্রায়।
জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ৪৫ হাজার ১০০ শীতবস্ত্র পেয়েছি। সেগুলো উপজেলায় উপজেলায় বিতরণ করা হয়েছে। কিন্তু তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। ইতোমধ্যে চিঠি লিখেছি, বাস্তবতা বিবেচনা করে আরও শীতবস্ত্র পাঠানোর জন্য।পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেগুলো বিতরণ করা হবে।
এছাড়াও শীতার্ত মানুষের শীত নিবারণে যারা বিত্তবান আছেন তাদেরও এগিয়ে আসার আহ্বান করছি।
সুনামগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মুহিবুর রহমান মানিক বলেন, জুনের ভয়াবহ বন্যার ঢলের পানিতে অনেক বাড়িঘর নষ্ট হয়েছে। অনেকের ঘরের কাঁথা-বালিশ ভেসে গেছে, নষ্ট হয়েছে। মানুষ এখনো বসতঘর মেরামত করতে পারেনি। শীতের কনকনে বাতাস ঘরে ঢুকছে। কেতা-কম্বলও নেই।
তিনি আরও বলেন, এই অবস্থায় এই জেলার জন্য কম্বলের বিশেষ বরাদ্দ প্রয়োজন। এখনো পর্যন্ত যা পাওয়া গেছে। আমরা বিতরণ করেছি। কিছু মানুষের উপকার হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাসের মান উন্নত করতে পারেনি শীতকালীন বৃষ্টি
কুড়িগ্রামে বাড়তে শুরু করেছে শীতের প্রকোপ
শীতে বাড়তি যত্ন: ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর উপায়
শীত এসে গেছে! যদিও শীতল বাতাস উৎসবের আমেজ নিয়ে আসে, তবে ঠাণ্ডায় ত্বক নিস্প্রাণ হয়ে যায়। কেউ কেউ অভিযোগ করেন শীতে তাদের ত্বকে কিছুটা কালো ছোঁপ পড়ে যায়।
তবে প্রত্যেকেই চায় সকল ঋতুতেই স্বাস্থ্যকর ও সুন্দর ত্বক পেতে। আর তাই শীতকালে ত্বকের বাড়তি যত্ন নেয়া প্রয়োজন।
শীতে অল্প কয়েকটি নিয়ম মেনে চললেই ত্বক উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত হয়ে উঠবে এবং তারুণ্য বজায় রাখা সম্ভব হবে।
১.সঠিকভাবে আপনার ত্বক পরিষ্কার করুন ও ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন
নারী-পুরুষ প্রত্যেকের জন্যই স্কিনকে পরিষ্কার করা নিঃসন্দেহে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ। তবে, শীতের আসার সঙ্গে সঙ্গে ত্বক অত্যধিক শুষ্ক হয়ে যায়, তাই সবার আগে দরকার একটি ভালো মানের ক্লিনজার ব্যবহার করা। এরপর শীতকালে উজ্জ্বল ত্বক পেতে ময়েশ্চারাইজিং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
ময়েশ্চারাইজার আপনার ত্বককে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও এটি ত্বকের প্রাকৃতিক তেল ধরে রাখে। শীতকালে আমাদের ত্বক শুকিয়ে যায়, কারণ বাতাসে আর্দ্রতা কম থাকে।
এই পরিস্থিতিতে আপনার ত্বককে ময়শ্চারাইজ করতে এবং বাড়তি ক্ষতি এড়াতে হাইড্রেটিং ক্লিনজার ব্যবহার করুন।
২. একটি ভারী ময়েশ্চারাইজার নির্বাচন করুন
ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে ত্বকের যত্নের পরিবর্তন বাধ্যতামূলক, কারণ আবহাওয়ার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের আর্দ্রতার মাত্রা পরিবর্তিত হয়। কারণ আমরা যে বাতাসে শ্বাস নিচ্ছি এবং ত্বক শ্বাস নিচ্ছে; তার আর্দ্রতা পরিবর্তিত হয়। তাই গ্রীষ্মের ঋতুটিতে আমরা হালকা জেলভিত্তিক ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করে থাকি, কিন্তু শীতকালে এমন একটি ময়েশ্চারাইজার বাছাই করা উচিৎ; যাতে ভিটামিন ই ও হায়ালুরোনিক অ্যাসিডের মতো উপাদানগুলো থাকে।
এছাড়া নারকেল তেল, ক্যাস্টর অয়েল, অলিভ অয়েল, বাটারমিল্ক ও শসার মতো প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার বেছে নিতে পারেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে এডেলউইসের পণ্যের সমাহার নিয়ে এলো দ্য বডি শপ
চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা, তীব্র শীতের কাঁপন
তীব্র শীতে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা। বৃহস্পতিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গা ও রাজশাহীতে। এই দুই জেলায় যৌথভাবে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের দেখা মিললেও মৃদু হিমেল বাতাসে ঠাণ্ডার মাত্রা কমেনি মোটেও। ফলে বিপর্যস্ত অবস্থায় রয়েছে এ এলাকার মানুষ। তীব্র শীত ও ঠাণ্ডা বাতাস মিলিয়ে ব্যাহত হচ্ছে চুয়াডাঙ্গার সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন এ এলাকার খেটে খাওয়া মানুষ। এলাকার বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে ও চায়ের দোকানে শীত নিবারণের চেষ্টায় খড়কুটো জ্বালিয়ে উত্তাপ নিতে দেখা গেছে নিম্ন আয়ের মানুষদের। তীব্র শীতে প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না। শীত থেকে বাঁচতে সরকারি বিভিন্ন সাহায্য সহযোগিতা চেয়েছেন এসব সাধারণ মানুষ।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রকিবুল হাসান জানান, এ অঞ্চলে এখন মৃদু হিমেল বাতাসে বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে। আর আজ বৃহস্পতিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গা ও রাজশাহীতে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি।
আরও পড়ুন: সারাদেশে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা, আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
দিনাজপুরে জেঁকে বসতে শুরু করেছে শীত
দিনাজপুরে জেঁকে বসতে শুরু করেছে শীত
দিনাজপুরে জেঁকে বসতে শুরু করেছে শীত। সেই সঙ্গে উত্তরের হিমেল হাওয়ায় নিচে নামছে তাপমাত্রা। ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকছে পথ-ঘাট।
বুধবার দিনাজপুরে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
নভেম্বরের শুরু থেকে রাতে শীতের হালকা পোশাক ও দিনের বেলায় কিছুটা গরম আবহাওয়ায় ফ্যান চালাতে হয়েছে। মধ্য ডিসেম্বরে এসে বাড়তে শুরু করেছে শীত, হিমেল হাওয়ার প্রভাবে অনুভূত হচ্ছে শীতের তীব্রতা।
দিনাজপুরের আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে, তাপমাত্রা কমার সঙ্গে সঙ্গে এই সপ্তাহের মধ্যে বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। বৃষ্টির পর থাকতে পারে হালকা শৈত্য প্রবাহ, বাড়তে পারে কনকনে ঠাণ্ডা।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে শীতের আমেজে ঘরে ঘরে ‘কুমড়ো বড়ি’ তৈরির হিড়িক
বিএনপি শীতের পাখি: তথ্যমন্ত্রী
সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ, অশীতিপর বৃদ্ধা মায়ের ঠাঁই হলো গোয়াল ঘরে!
খুলনা যেন পিঠার নগরী!
রূপ বদলাতে শুরু করেছে খুলনা মহানগরীর। শীত পড়ার সঙ্গে সঙ্গে খুলনা মহানগরী পরিণত হয়েছে পিঠার নগরীতে। খুলনা নগরীর মোড়ে মোড়ে এখন পিঠার দোকান। পিঠা তৈরির হিড়িক পড়েছে যেন।
পিঠার দোকান গুলো ঘুরে দেখা গেছে পাকান, চিতই, পাটি, পুলি (ঝাল ও মিষ্টি), ভাপা, রসমালাই, জামাই, সেমাইসহ বিভিন্ন রকম পিঠা শোভা পাচ্ছে দোকানগুলোতে।
দুপুরের পর থেকেই পিঠা বানানো শুরু হয়। আর তা চলে রাত দশটা পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে পুনাক পিঠা মেলায় মুগ্ধ দর্শনার্থীরা
পঞ্চগড়ে শীতের আগাম আভাস, তেতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড
শরতেই শীতের দেখা মিলেছে পঞ্চগড়ে। হিমালয়ের কাছাকাছি হওয়ায় হেমন্তের আগেই পঞ্চগড়ে আগাম শীতের দেখা মিলেছে।
শুক্রবার ভোর থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত পুরো জেলা কুয়াশায় ঢাকা ছিল। এই দিনে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আরও পড়ুন: শীতকালে কেনো বেশি ঘুম পায়?
স্থানীয়রা জানান, গত কয়েকদিন ধরে দিনের বেলা বেশ গরম আবহাওয়া বিরাজ করছে। কিন্তু শেষ রাতের দিকে হালকা হালকা ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। কেউ কেউ কাঁথা কম্বল গায়ে নিচ্ছেন। মধ্যরাতের পর থেকে হালকা কুয়াশা পড়তে শুরু করে। সকাল ৮টা পর্যন্ত মাঠঘাট, ঘাসের ডগা, গাছপালা, ধানের পাতায় শিশির পড়ে মাকড়সার জালের সৃষ্টি হয়েছে। তীব্র গরম শেষে শীতের আগমনে এখানকার মানুষের মাঝে কিছুটা স্বস্তি এনেছে।
পথচারীরা জানান, পঞ্চগড়ে বর্তমানে যে আবহাওয়া চলছে এটি খুবই রোমাঞ্চকর। বর্তমান আবহাওয়া উপভোগ করার মত। এক কথায় অসাধারণ। দেশের আর অন্য কোনো জেলায় এমন আবহাওয়া দেখা যায় না।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে শীতার্তদের মাঝে জেলা প্রশাসকের কম্বল বিতরণ
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। শুক্রবার এ মৌসুমে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। বৃষ্টি হওয়ার পর কুয়াশার দেখা মিলেছে। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণেও আগাম কুয়াশা হতে পারে। তবে ধীরে ধীরে কুয়াশা ও শীতের পরিমাণ বাড়বে।
বাগেরহাটে শীতার্তদের মাঝে জেলা প্রশাসকের কম্বল বিতরণ
বাগেরহাট জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শীতের রাতে ছিন্নমূল, অসহায় ও হতদরিদ্র শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে শহরের শালতলা, মেইন রোড, সোনাতলা, দশানী, কাড়াপাড়া ও নাগেরবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় কম্বল বিতরণ করা হয়।
এ বছর শীতের শুরুতে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান এ কম্বল বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেন। কম্বল হাতে পেয়ে শীতার্ত নারী-পুরুষরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান জানান, শীতে যাতে কোন মানুষ কষ্ট না পায় এজন্য ছিন্নমূল, অসহায় ও দরিদ্র মানুষের হাতে কম্বল তুলে দেয়া হয়েছে। শীতে প্রকৃতপক্ষে যে সব মানুষ কষ্টে ছিলেন গভীর রাতে তাদেরকে খুঁজে কম্বল দেয়া হয়।
বাগেরহাট ও কচুয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আড়াই হাজার ছিন্নমূল, অসহায় ও দরিদ্র মানুষের হাতে কম্বল তুলে দেয়া হয় বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: মৌলভীবাজারে জেলা পরিষদের উদ্যোগে কম্বল ও মাস্ক বিতরণ
পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা বাড়লেও শীতের প্রকোপ কমেনি
উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে আছে চারদিক। সকাল থেকে সূর্যের দেখা মেলেনি। হালকা হিমেল হাওয়া বইছে। তাপমাত্রা বাড়লেও শীতের প্রকোপ কমেনি।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে শুক্রবার সকাল ৯টায় ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়ছে।
বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই দিন সকাল থেকেই হালকা কুয়াশার সঙ্গে আকাশ মেঘে ঢাকা ছিল। সন্ধ্যায় এক পশলা বৃষ্টি হয়েছে। এরপর রাত থেকে এখন পর্যন্ত ঘনকুয়াশায় ঢেকে পড়েছে চারপাশ।
আরও পড়ুন: আবারও দেশে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পঞ্চগড়ে
এদিকে, মেঘলা আকাশের পাশাপাশি টিপ টিপ কুয়াশা ঝড়ছে। তবে বৃহস্পতিবারে তুলনায় শুক্রবার তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও শীতের প্রকোপ কমেনি। ৩ থেকে ৫ নটিকেল মাইল বেগে বয়ে যাচ্ছে বাতাস।
অপরদিকে, শীতজনিত কারণে হাসপাতালগুলোতে বয়স্ক ও শিশু রোগীদের সংখ্যা বাড়ছে। জেলা প্রশাসন শীতবস্ত্র বিতরণ করলেও শীতার্তদের একটি বিরাট অংশ এখন পর্যন্ত শীতবস্ত্রের অভাবে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
আরও পড়ুন: টানা ৩ দিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পঞ্চগড়ে
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের সিনিয়র আবহাওয়া পর্যবেক্ষক জীতেন্দ্রনাথ রায় জানান, বৃষ্টির পর ঘনকুয়াশা হচ্ছে। আবারও শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। আকাশ পরিষ্কার হলে তাপমাত্রা আরও কমার আশঙ্কা রয়েছে। তবে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে ধীরে ধীরে তাপমাত্রা বাড়তে পারে।