শীত
চুয়াডাঙ্গায় আবারও জেঁকে বসেছে শীতের তীব্রতা
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গায় কয়েকদিন ধরেই তাপমাত্রার পারদ উঠানামা করছে। হঠাৎ করে একদিনের ব্যবসাধে ৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা কমে দাঁড়িয়ে ১০ ডিগ্রিতে।
এই আবহাওয়ার পরিবর্তনের ফলে আবারও জেঁকে বসেছে শীতের তীব্রতা। ফলে বিপাকে পড়তে হচ্ছে জেলার খেটে খাওয়া দিনমজুরদের।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) জেলায় ১০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৬৪ শতাংশ।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে
বৃহস্পতিবার জেলায় ১৫.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। যা ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে কমল ৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, ‘আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাপমাত্রা কমতে পারে। এরপর আবারও তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করবে।’
এর আগে, ৩১ জানুয়ারি ও ২ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯টায় ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। যা দিনে কিছুটা গরম অনুভূতি হতে দেখা যায়।
৩৬ দিন আগে
৪ দিনেও সূর্যের দেখা নেই লালমনিরহাটে, বিপাকে শ্রমজীবীরা
টানা চারদিন দিন ধরে সূর্যের দেখা নেই লালমনিরহাটে। বাতাসের সঙ্গে বৃষ্টি মতো ঝড়ছে শীতের শিশির। একই সঙ্গে ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে এ জেলা। এত বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী ও নিম্নআয়ের মানুষ।
এদিকে শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) লালমনিরহাটে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
লালমনিরহাটে কয়েক দিন ধরেই বেড়েছে শীতের দাপট। শীতের তীব্রতা থেকে রেহাই পেতে গ্রামের মানুষেরা খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। ঘন কুয়াশার কারণে সন্ধ্যার পর বেশি ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মাঘের শীতে কাঁপছে কুড়িগ্রাম, মিলছে না সহায়তা
সড়ক-মহাসড়কে সব ধরনের যানবাহন হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরে চলাচল করছে। ঠান্ডা বাতাসে ঘরে থাকা দায় হয়ে পড়েছে চরাঞ্চলের মানুষদের। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশা। অন্যদিকে, আলু, রসুন ও বোরো ধানের বীজতলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে কৃষকেরা।
রংপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজার বলেন, ‘শুক্রবার সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৪ শতাংশ। এছাড়া বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৩ কিলোমিটার।
৫০ দিন আগে
শীতে ঘরের শুষ্কতা দূর করতে হিউমিডিফায়ার: জনপ্রিয় ব্র্যান্ড, মডেল ও দাম
শীতকালে ঘরের অভ্যন্তরীণ বাতাসের গুণমান বৃদ্ধিতে উৎকৃষ্ট গৃহস্থালি ডিভাইস হিউমিডিফায়ার। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশেও ব্যাপক পরিসরে এসব ডিভাইসের ব্যবহার বেড়েছে। এই ডিভাইসগুলো চার দেয়ালের মাঝের শুষ্ক পরিবেশকে নিমেষেই আরামদায়ক করে তোলে। এতে শুষ্ক ত্বক ও শ্বাসকষ্টের আশঙ্কা থাকে না। এমনকি কম আর্দ্রতার কারণে কাঠের আসবাবপত্রের সমস্যাও দূর করতে পারে হিউমিডিফায়ার। আজকের নিবন্ধে বর্তমান বাজারে সেরা কিছু হিউমিডিফায়ারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরা হবে। চলুন, সঠিক ডিভাইসটি কেনার জন্য কোন কোনও বিষয়গুলো যাচাই করা উচিত- তা জেনে নেওয়া যাক।
হিউমিডিফায়ার কেনার সময় যে বিষয়গুলো দেখে নেওয়া উচিত
একটি মানসম্পন্ন হিউমিডিফায়ারের ন্যূনতম কিছু বিশেষত্ব থাকে, যা সামগ্রিকভাবে এর ব্যবহারের উপর প্রভাব ফেলে। ক্রয়ের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের যাওয়ার পূর্বে সেই বিষয়গুলো যাচাই করে দেখা উচিত। চলুন সেগুলোর বিশদ বিশ্লেষণ করা যাক।
ধরণ
নির্দিষ্ট পরিবেশের জন্য নির্ধারিত ফাংশনের হিউমিডিফায়ার তৈরি করা হয়। কুল মিস্ট মডেলগুলো কক্ষ-তাপমাত্রার আর্দ্রতা ছড়ায় বিধায় এগুলো উষ্ণ মৌসুমের জন্য ব্যবহার করা হয়। অপরদিকে, শীতকালে ব্যবহৃত ওয়ার্ম মিস্ট হিউমিডিফায়ার জলীয়বাষ্প নির্গত করে। এতে ব্যাকটেরিয়াসহ বিভিন্ন অ্যালার্জেন ধ্বংস হয় এবং হিম শীতল পরিবেশে আরামদায়ক উষ্ণতা বিরাজ করে।
আল্ট্রাসনিক হিউমিডিফায়ার উচ্চ-ফ্রিকোয়েন্সির মাধ্যমে সূক্ষ্ম মিস্ট তৈরি করে শব্দবিহীন অপারেশন নিশ্চিত করে। ইভাপোরেটিভ মডেলগুলো আর্দ্রতা ছড়ানোর জন্য ফ্যান এবং ল্যাম্প ফিল্টারের উপর নির্ভর করে। কম পাওয়ারের স্টিম ভ্যাপোরাইজার সাধারণত থেরাপি বা চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজে ব্যবহৃত হয়।
আরো পড়ুন: আইফোন চুরি প্রতিরোধে অ্যাপলের গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা
কভারেজ এলাকা এবং ধারণক্ষমতা
হিউমিডিফায়ারের কার্যকারিতা মূলত পুরো আবদ্ধ স্থানটিকে সঠিকভাবে মিস্ট ছড়াতে পারছে কিনা সেই ক্ষমতার উপর নির্ভর করে। ছোট রুমের জন্য ডিজাইন করা মডেলগুলো স্বাভাবিকভাবেই বড় লিভিং রুমের জন্য প্রযোজ্য হবে না। তাই ঘরের মাত্রা পরিমাপ করে তার সঙ্গে ডিভাইসের বাক্সের গায়ে লিপিবদ্ধ কভারেজ এলাকা মেলাতে হবে। এটি সাধারণত বর্গফুট বা বর্গমিটারে উল্লেখ থাকে।
একইসঙ্গে ট্যাঙ্কের পানি ধারণক্ষমতাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। এখানে যাচাইয়ের মূল দিক হচ্ছে অপারেশনের সময়কাল। ট্যাঙ্ক আকারে বড় হলে ঘন ঘন রিফিল করার দরকার পড়ে না। অন্যদিকে, ছোট ট্যাঙ্কগুলো বারবার পানি ভরার সঙ্গে সঙ্গে নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজন হয়। এগুলো সহজে বহনযোগ্য এবং যে কোনো স্থানে সহজেই রাখা যায়।
সহজে রক্ষণাবেক্ষণের সুবিধা
ডিভাইসটি দীর্ঘ মেয়াদে ব্যবহারের মাঝে কতটা পরিষ্কার বা প্রতিস্থাপন করতে হবে তা জানা জরুরি। নিয়মিত পরিচ্ছন্নতা ছাড়া এগুলো নিমেষেই ছাঁচ, ব্যাকটেরিয়া এবং খনিজের আশ্রয়কেন্দ্র হয়ে ওঠে। এটি এর যথাযথ কার্যকারিতার ক্ষেত্রে প্রতিকূলতা সৃষ্টি করে ঘরের বাতাসের গুণমানকে নষ্ট করে।
এর জন্য ভেতরের অংশ সহজে খুলে ফেলা যায় এবং ডিশওয়াশার পার্ট আছে এমন মডেলগুলো পছন্দ করা যেতে পারে। ফিল্টার ভালো হলে পর্যায়ক্রমিক প্রতিস্থাপনের পরেও ময়লা পরিষ্কারে সাহায্য করে। আল্ট্রাসনিক মডেলগুলোতে জমতে থাকা খনিজ পদার্থগুলো বারবার পরিষ্কারের প্রয়োজন হয়। মোট কথা তুলনামূলকভাবে কম রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে এমন ডিজাইনগুলো অনেক দিন স্থায়ী হয়।
আরো পড়ুন: শীতকালে গরম পানির গিজার: জনপ্রিয় ব্র্যান্ড, মডেল, ধরন ও দাম
শব্দের মাত্রা এবং শক্তির যথার্থ ব্যবহারযোগ্যতা যান্ত্রিক শব্দ প্রায়শই বিরক্তির উদ্রেক করে। এদিক থেকে আল্ট্রাসনিক মডেলগুলো সেরা হিউমিডিফায়ার, কেননা এগুলোর অপারেশনের কোনো শব্দ হয় না বললেই চলে। কিন্তু ইভাপোরেটিভ মডেলের কার্যকারিতা বেশি হলেও ফ্যান ঘূর্ণনে সৃষ্ট শব্দ যথেষ্ট লক্ষণীয়।
নিঃশব্দে দীর্ঘ সময় ধরে ডিভাইস চালানোর ক্ষেত্রে আমলে নিতে হয় শক্তির মাত্রা। কম বিদ্যুৎ খরচ করে পুরো ঘর কভার করতে পারবে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া আবশ্যক। এনার্জি সেভিং মোড থাকলে তা কেবল বিদ্যুৎ বিলই কমায় না বরং পরিবেশগত নেতিবাচক প্রভাবও হ্রাস করে।
অতিরিক্ত বৈশিষ্ট্য এবং খরচ
আধুনিক হিউমিডিফায়ারগুলোতে প্রায়শই উন্নত বৈশিষ্ট্য দেখা যায়। অতিরিক্ত মান সংযোজনের জন্য অধিকাংশ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান একের ভেতর অনেক কিছু রাখার চেষ্টা করেন। যেমন পরিবর্তনযোগ্য টাইমার, রিমোট কন্ট্রোল এবং অ্যাপভিত্তিক পরিচালনার জন্য স্মার্ট কানেক্টিভিটির সংযোগ।
খরচের ন্যায্যতা বিচারের জন্য এই উন্নত ফিচারগুলো উৎকৃষ্ট নির্ধারকের কাজ করবে। সেই সঙ্গে প্রতিস্থাপন ফিল্টার আছে কিনা ও অত্যাধুনিক ফিচার থাকলেও তা সহজে ব্যবহারযোগ্য কিনা- সেদিকেও খেয়াল রাখা উচিত।
আরো পড়ুন: শীতে রুম হিটার: জনপ্রিয় ব্র্যান্ড, মডেল, ধরন ও দাম
বর্তমানে বাজারের সেরা ১০টি হিউমিডিফায়ার
প্রযুক্তির উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে হিউমিডিফায়ারের ঐতিহ্যবাহী কাঠামো ও কার্যপ্রক্রিয়াতে আসছে নতুন নতুন সংযোজন।
তন্মধ্যে দেশের বাজারে চলমান ১০টি ভিন্ন ব্র্যান্ডের ডিভাইসের দাম ও প্রধান ফিচারগুলো নিম্নে দেওয়া হলো-
রিম্যাক্স আরটি-এ৭১০ অ্যারোমা ম্যাগ সিরিজ / দাম: ১৪০০ টাকা
ইউএসবি পোর্ট সংযুক্ত রিম্যাক্স-এর এই ম্যাগ মডেলটিতে আর্দ্রকরণের পাশাপাশি আছে অ্যারোমাথেরাপির সুবিধা। তেল যোগ করার পর সৃষ্ট মিস্ট সুগন্ধিযুক্ত। এর নকশা এমনভাবে করা যে সহজেই যে কোনো স্থানে মানিয়ে যায় এবং একই সঙ্গে সহজে বহনও করা যায়। তাছাড়া এটি বিভিন্ন ধরণের পাওয়ার সকেটের সঙ্গে স্থাপনের জন্য সামঞ্জস্যপূর্ণ। যারা অ্যারোমাথেরাপির ফিচারকে আলাদাভাবে গুরুত্ব দিচ্ছেন তাদের জন্য এটি দারুণ একটি বাজেট-বান্ধব সমাধান।
ওরিকো ডি২০-ডব্লিউএইচ / দাম: ১৬৯০ টাকা
২৬০ এমএল (মিলিলিটার) ট্যাঙ্কের এই ডিভাইসে রয়েছে ৫০ এমএল/এইচ (মিলিলিটার পার আওয়ার) এর মিস্ট ভলিউম নির্গত করার ক্ষমতা। এর ৯০ ডিগ্রি কোণে (উল্লম্ব ও আনুভূমিক বরাবর) মিস্ট ছড়ানোর প্রক্রিয়া ৩ দশমিক ৫ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। এর নেপথ্যে মূল চালিকা শক্তি হিসেবে রয়েছে ১০০০ এমএএইচ (মিলি-অ্যাম্পিয়ার-আওয়ার)-এর ব্যাটারি। আরজিবি (রেড-গ্রিন-ব্লু) লাইট মুডগুলো যোগ করে নান্দনিকতা। সেই সঙ্গে কমপ্যাক্ট ডিজাইনের হওয়ায় এটি বেডসাইড থেকে শুরু করে অফিস স্পেস পর্যন্ত সব পরিবেশের জন্য উপযুক্ত।
আরো পড়ুন: টপ লোড বনাম ফ্রন্ট লোড ওয়াশিং মেশিন: জেনে নিন সুবিধা ও অসুবিধা সমূহ
জো এইচএফ০৯ / দাম: ১৭৫০ টাকা
এতে একসঙ্গে ডিফিউজার এবং হিউমিডিফায়ার দুটি ডিভাইসের সমন্বয় ঘটানো হয়েছে। পোর্টেবল ডিভাইসটিতে রয়েছে ৩০০ এমএল ট্যাঙ্ক। একটি মুড দিয়ে অবিরাম প্রবাহ পরিচালনা করা হয়, আরেকটি মুড অল্প বিরতিতে মিস্ট ছড়ানোর প্রক্রিয়া চালু থাকে। আরজিবি লাইটিং বৈশিষ্ট্য শিথিলতা বাড়ায়, সঙ্গে ৩০ ডেসিবলের নিচে থাকা নয়েজ লেভেল প্রশান্তির পরিবেশ নিশ্চিত করে। ইউএসবি পোর্ট থাকায় এটি অনায়াসেই ছোট কক্ষ; এমনকি ডেস্কের উপর মানিয়ে যায়।
লর্ডউয়ে এ৮ / দাম: ১৯৯০ টাকা
দেখতে বেশ সাধারণ হলেও কার্যকারিতার দিক থেকে এটি অতুলনীয়। ১ হাজার ১৫০ এমএল ট্যাঙ্ক এবং ডাবল মিস্ট মোড এর বিরতিহীন মিস্ট তৈরির কাজ চালু রাখে। এতে থাকা আল্ট্রাসনিক প্রযুক্তি ৩০ ডেসিবল-এর নিচে কাজ করে বিধায় এটি গভীর রাতের পিনপত্তন নিরবতায় কোনো বিড়ম্বনা সৃষ্টি করে না। উপরন্তু, ৭টি রঙ-পরিবর্তনকারী লাইট পুরো পরিবেশে এক ভিন্ন অলঙ্করণ যোগ করে। নিরাপত্তার দিকটি নিশ্চিত করতে রয়েছে স্বয়ংক্রিয় শাট-অফ সুবিধা। ইউএসবি ডিভাইসটি যে কোনো জায়গায় সেট করার জন্য উপযোগী।
বেসউস অ্যারোমাথেরাপি হিউমিডিফায়ার / দাম: ১৯৯৫ টাকা
কমপ্যাক্ট ডিজাইনের এই মডেলে অ্যারোমাথেরাপির সঙ্গে আর্দ্রতার মেলবন্ধন ঘটেছে। ৭৫ এমএল ধারণক্ষমতার ট্যাঙ্ক ২০ থেকে ৩৫ এমএল/এইচ আউটপুট দিতে পারে। স্বভাবতই এটি ছোট জায়গার জন্য সেরা। কাঠামোতে উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে পিসি+এবিএস, যা দীর্ঘ সময়ের জন্য টেকসই হয়। মাত্র ২০০ গ্রাম ওজনের এই ডিভাইস সহজে বহনযোগ্য। নয়েজ ফ্রি হওয়ায় ডেস্ক বা বেডসাইড টেবিলে রেখে নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে পড়া যায়।
আরো পড়ুন: স্মার্টফোনে ভূমিকম্প সতর্কতা চালু করবেন যেভাবে
জিসুলাইফ জেবি০৮ / দাম: ২২৯০ টাকা
পোর্টেবল এবং ইউএসবি-চালিত এই হিউমিডিফায়ারে সর্বপ্রথম দৃষ্টিগোচর হয় অগ্রভাগের ডাবল স্প্রে। এর প্রতিটি পোর্ট ৩৫ এমএল/এইচ মিস্ট ভলিউম সরবরাহ করে, যা সর্বোচ্চ ১০ বর্গ মিটার পর্যন্ত আবদ্ধ জায়গা কভার করতে পারে। ৩ হাজার ৬০০ এমএএইচ-এর ব্যাটারি ১০ ঘণ্টা পর্যন্ত রানটাইম প্রদান করে। শুষ্কতা দূরীকরণের জন্য এতে রয়েছে ডুয়েল পাওয়ার নিরাপত্তা ব্যবস্থা। আল্ট্রাসনিক পরমাণুকরণ ব্যবস্থা বেশ সূক্ষ্ম মিস্ট তৈরি করে। শব্দের মাত্রা সীমাবদ্ধ থাকে ৩৬ ডেসিবলের মধ্যে। এর সঙ্গে একটি ক্লিনিং ব্রাশও দেওয়া হয়। আরও আকর্ষণীয় ব্যাপার হচ্ছে- যন্ত্রাংশ প্রতিস্থাপনের জন্য এর ৬ মাসের ওয়ারেন্টি আছে।
এইচ-টু-ও ডিকিউ১১৬ / দাম: ২৩৫০ টাকা
মাত্র ১৮০ গ্রাম ওজনের এই ডিভাইসে রয়েছে ৬০ থেকে ৯০ এমএল/এইচ পর্যন্ত ডুয়েল মিস্ট মোড এবং একটি ২ হাজার এমএএইচ রিচার্জেবল ব্যাটারি। আলাদাভাবে এসি বিদ্যুৎ সংযোগ ছাড়াই এটি কাজ করে প্রায় ৬ ঘণ্টা পর্যন্ত। ট্যাঙ্ক ধারণক্ষমতা ৩০০ এমএল হওয়ায় এটি যে কোনো সংকীর্ণ স্থানে পর্যাপ্ত কভারেজ নিশ্চিত করে। অটো স্লিপ মুড ৩ বা ৬ ঘণ্টা পরে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অপারেশন বন্ধ করে দেয়। কম্পেক্ট ডিজাইনকে আবৃত করে রেখেছে টেকসই এবিএস উপাদান। যে কারণে একই সঙ্গে এটি সহজে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে স্থানান্তর করা যায়।
বিম্পেরিয়াল পোর্টেবল হিউমিডিফায়ার / দাম: ৩৮৯০ টাকা
আধুনিক বৈশিষ্ট্য ও শৈলীর এক দারুণ সংমিশ্রণ ঘটেছে বিম্পেরিয়ালের এই মডেলটিতে। উর্ধ্বগামী শীতল মিস্টের পাশাপাশি এটি দ্বিগুণ অনুপাতে বাতাস পরিশোধন করে। ৮৫০ এমএল ট্যাঙ্কের এই হিউমিডিফায়ার ছোট বেডরুম বা অফিসের জন্য উপযুক্ত। এর সর্বোচ্চ মিস্ট কভারেজ প্রতি ঘণ্টায় ২০০ ঘনমিটার। সবচেয়ে চিত্তকার্ষক ফিচার হচ্ছে- এই হালকা ও পোর্টেবল ডিভাইস ন্যূনতম রক্ষণাবেক্ষণ করে দীর্ঘদিন পর্যন্ত ব্যবহার করা যায়।
আরো পড়ুন: নারীর নিরাপত্তা ও ব্যক্তিগত সুরক্ষায় মোবাইল অ্যাপ
কিউম্যালন টু পোর্ট স্প্রে / দাম: ৪৭৯০ টাকা
বিপুল জায়গার জন্য ডিজাইনকৃত কিউম্যালন টু পোর্ট স্প্রে’র রয়েছে ৮ লিটারের বিশাল পানিরভান্ডার। এর রানটাইম প্রায় ২৪ ঘণ্টা এবং এই পুরোটা সময়ে ন্যানো আল্ট্রাসনিক প্রযুক্তির দৌলতে এটি অতি-সূক্ষ্ম মিস্ট সরবরাহ করতে পারে। এর অগ্রভাগের পোর্ট থেকে ৩৬০ ডিগ্রিতে মিস্ট ছড়িয়ে ঘরের সর্বত্র সমহারে মিস্ট ছড়ানো নিশ্চিত করা হয়। এই প্রক্রিয়া পরিচালিত হয় তিনটি সামঞ্জস্যপূর্ণ মিস্ট কন্ট্রোল সেটিংসের মাধ্যমে। শীর্ষ কভারটি অপসারণযোগ্য এবং ট্যাঙ্ক স্বচ্ছ হওয়ায় এর রিফিলিং এবং পরিষ্কার করা বেশ সহজ। পানির স্তর একটি নির্দিষ্ট মাত্রার নিচে নেমে এলে এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যায়। নয়েজ ফ্রি অপারেশনের জন্য এটি বেডরুম ও মিটিং রুমের জন্য উৎকৃষ্ট।
শাওমি স্মার্ট হিউমিডিফায়ার টু / দাম: ৬ হাজার ৯৯০ টাকা
উদ্ভাবনী প্রযুক্তির সংস্পর্শ দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশে হিউমিডিফায়ার ক্যাটাগরিতে শাওমির কোনো জুড়ি নেই। ট্যাঙ্কের ধারণক্ষমতা ৪ দশমিক ৫ লিটার হওয়ায় এই মডেল থেকে ৩২ ঘণ্টা একটানা অপারেশন পাওয়া যায়। এই উল্লেখযোগ্য সময়ে এর মিস্ট সরবরাহ ৩৫০ এমএল/এইচ মাত্রায় অব্যাহত থাকে। অতিবেগুনী পরিস্রাবণ ব্যবস্থার কল্যাণে মিস্ট আউটপুট পরিষ্কার থাকে। শাওমির নিজস্ব মি হোম অ্যাপের মাধ্যমে ডিভাইসের মিস্ট সেটিংস এবং টাইমারগুলোকে সহজেই নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এর স্বয়ংক্রিয় মুডটি অতিরিক্ত আর্দ্রতা প্রতিরোধ করে ঘরের আসবাবপত্র এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিক যন্ত্রাংশকে রক্ষা করে।
পরিশিষ্ট
উপরোক্ত ১০টি হিউমিডিফায়ারের যে কোনোটি শীতকালীন শুষ্কতা দূর করে ঘরকে স্বাস্থ্যকর করে তুলতে পারে। উন্নত বৈশিষ্ট্য এবং স্মার্ট কন্ট্রোলের জন্য শাওমি স্মার্ট হিউমিডিফায়ার টু নিঃসন্দেহে অতুলনীয়। বৃহৎ ক্ষমতা এবং কভারেজের জন্য একই সারিতে থাকবে কিউম্যালন ২ পোর্ট স্প্রে। জিসুলাইফ, এইচটুও, এবং ওরিকো’র মতো ছোট কাঠামো সহজে বহনের জন্য আদর্শ। নান্দনিকতার নিরিখে বিম্পেরিয়াল বা বেসিউস-এর মডেলগুলো বেছে নেওয়া যেতে পারে। আর সাশ্রয়ী খরচে উল্লেখযোগ্য কার্যকারিতার বিচারে লর্ডউয়ে, জো, এবং রিম্যাক্স-এর যথেষ্ট মান-সম্পন্ন।
আরো পড়ুন: মোবাইল ফোন বিস্ফোরণ: কারণ ও বাঁচার উপায়
৭৬ দিন আগে
যশোরে জেঁকে বসেছে শীত, গরম কাপড়ের দোকানে ভিড়
যশোরাঞ্চলে জেঁকে বসেছে শীত। শীতের সঙ্গে বইছে মৃদু বাতাস। গত শনিবার থেকে শীতের তীব্রতা বাড়তে শুরু করেছে।
রাতে ও সকালে প্রচণ।ড ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। ঠান্ডা থেকে পরিত্রাণ পেতে গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে ভিড় জমাচ্ছেন ক্রেতারা।
যশোর শহরের মুজিব সড়কের ফুটপাতের দোকান, জেলা পরিষদের পুরোনো কাপড়ের মার্কেট, কালেক্টরেট মার্কেটে শীতের পোশাক বিক্রি শুরু হয়েছে। সম্প্রতি শহরের মুজিব সড়কের ফুটপাতের দোকান, জেলা পরিষদের পুরাতন কাপড়ের মার্কেটের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের প্রচুর ভিড় দেখা গেছে।শহরের ফুটপাত, জেলা পরিষদ পুরাতন কাপড়েরর মার্কেটে সকাল থেকে ক্রেতাদের উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে। তারা বিভিন্ন দোকান ঘুরে নিজেদের ও পরিবারের সদস্যদের জন্য পছন্দ মতো শীতের পোশাক কিনছেন।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দোকানে সাজিয়ে রাখা হয়েছে সোয়েটার, হুডি, জ্যাকেট, পায়জামা, ফুলহাতা গেঞ্জিসহ বিভিন্ন ধরনের পোশাক।
আরও পড়ুন: শীতে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা
সোয়েটার ২৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা, হুডি ২৫০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা, টুপিয়ালাগেঞ্জি ১৫০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকা, জ্যাকেট ৩০০ টাকা থেকে ৭০০ টাকা, জগাজ পায়জামা ১০০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা, ফুলহাতা গেঞ্জি ৬০ টাকা ১০০ টাকা দারে বিক্রি হচ্ছে।মুজিব সড়কের ফুটপাতের দোকানদার আরিফ হোসেন বলেন, বাচ্চাদের হুডি, পায়জামা ও ফুলহাতা গেঞ্জি বেশি বিক্রি হচ্ছে। বেশি শীত অনুভূত হওয়ার কারণে শীতের পোশাক বেচাকেনা শুরু হয়েছে। বিক্রিও খারাপ হচ্ছে না।
একই কথা জানান সিয়াম নামে আরেক দোকানদার। তিনি বলেন, গত শনিবার থেকে বেচাবিক্রি বেড়েছে।
ক্রেতাদের নজর কাড়তে বিভিন্ন ধরনের শীতের পোশাক সাজিয়ে রেখেছেন দোকানদাররা।জেলা পরিষদ মার্কেটে গিয়েও দেখা গেছে ক্রেতাদের বেশ ভিড় ছিল। এ মার্কেটের ব্যবসায়ী হারুন গাজী বলেন, এখন বেশি শীত অনুভূত হওয়ার কারণে বাচ্চাদের সোয়েটার, জ্যাকেট, হুডি বেশি বিক্রি হচ্ছে। বড়দের পোশাক তেমন বিক্রি হচ্ছে না।
অপর দোকানদার আরমান হোসেন বলেন, শীত একটু বেশি পড়ায় শীতের পোশাক বেচাকেনা শুরু হয়েছে। সামনের পৌষ মাসে বেশি শীত পড়তে পারে,ওই সময় বেচাকেনা আরও বাড়তে পারে। গত বছরের তুলনায় এবারে বেচাকেনা ভালো।বাজারে শীতের কাপড় কিনতে আসেন সায়েরা খাতুন নামে এক নারী। তিনি বলেন, ‘শীত বেশি পড়ছে। আমার মেয়ের জন্য শীতের পোশাক কিনতে এসেছি। মেয়ের জন্য একটি সোয়েটার ও টুপি কিনেছি।’শমসের আলী নামে এক ক্রেতা জানান, বাড়িতে ছোট্ট ছেলে মেয়ে ও নাতিপুতি আছে। তাদের জন্য শীতের পোশাক কিনেছেন।
পপি খাতুন ও আসমা বেগম নামে আরও দুই ক্রেতা জানান, তারা তাদের ছেলেমেয়েদের জন্য শীতের পোশাক কিনেছেন। তবে পুরোনো কাপড়ের দাম খুব বেশি না হলেও নতুন পোশাকের দাম গত বছরের তুলানায় বেশি।
আরও পড়ুন: শীতে বিপর্যস্ত মেহেরপুরবাসী, হাসপাতালে ভর্তি ১৩৫০ রোগী
৮৬ দিন আগে
শীতে কাহিল কুড়িগ্রামের মানুষ, ১২ ডিগ্রিতে তাপমাত্রা
তাপমাত্রা কমায় শীতের তীব্রতা বেড়ে কাহিল হয়ে পড়েছেন কুড়িগ্রামের মানুষ। শীতের দাপটে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল ৭টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা গতকাল ছিল ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অফিস জানায়, আকাশে ঘন মেঘ থাকায় আগামী ২৪ ঘণ্টা সূর্যের দেখা না মেলার সম্ভাবনা রয়েছে।
শীতের তীব্রতায় বিপাকে পড়েছে কৃষি শ্রমিক ও স্বল্প আয়ের খেটে খাওয়া মানুষজন। তীব্র ঠান্ডায় অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টাও করছেন। এদিকে দিনের বেলা তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও সন্ধ্যার পর থেকে তাপমাত্রা কমতে থাকে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত শীতের তীব্রতা বেশি অনুভূত হয়। শীতে সবচেয়ে বেশি কষ্টে পড়েছেন জেলার ১৬টি নদ-নদী তীরবর্তী চর ও দ্বীপ চরের দরিদ্র মানুষজন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে শীতের দাপটে জনজীবনে ভোগান্তি, শীতবস্ত্রের দাবি নিম্ন আয়ের মানুষের
কুড়িগ্রাম সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের ঘোড়ার গাড়ি চালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘কয়েকদিন থেকে খুব ঠান্ডা। আজ আরও বেশি ঠান্ডা। হাত পা বরফ হয়ে যায়। কাজ করতে খুব সমস্যা হচ্ছে।’
একই ইউনিয়নের ধরলার পাড় এলাকার সাইফুল বলেন, ‘বোরো বীজতলা তৈরির কাজ করছি। পানিতে হাত দেওয়া যায় না, এতো ঠান্ডা। তার পরেও হামারগুলার কাজ ছাড়া উপায় নাই।’
কুড়িগ্রাম আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, ‘গত দুই সপ্তাহ থেকে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ থেকে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস উঠা-নামা করছে। এ মাসের ১৫ তারিখের পর শৈত্যপ্রবাহ এ জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এছাড়াও আগামী ২৪ ঘণ্টা সূর্যের দেখা না মেলার সম্ভাবনাও রয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘন কুয়াশায় ঢেকেছে কুড়িগ্রামের জনপদ, তাপমাত্রা ১৫. ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস
৯৪ দিন আগে
কুয়াশায় আচ্ছন্ন নওগাঁ, তাপমাত্রা বাড়লেও কমেনি শীত
ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে আছে নওগাঁর পথঘাট। কুয়াশার কারণে সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহনগুলো।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এর আগে গত শনিবার দেশে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল নওগাঁয় ৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল রবিবার জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত দুই দিনের তুলনায় আজ তাপমাত্রা বাড়লেও কুয়াশা আর হিমেল বাতাসে অব্যাহত রয়েছে শীতের তীব্রতা।
স্থানীয়রা জানায়, কয়েক দিন ধরেই সন্ধ্যার পর শীতের প্রকোপ বাড়ছে। রাত থেকে ভোর পর্যন্ত কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুতই কুয়াশা ভেদ করে দেখা মিলেছে সূর্যের। তবে সোমবার বেলা গড়ানোর পরও কুয়াশায় কাটছে না। বৃষ্টির মতো টপ টপ করে ঝরছে কুয়াশা। সেই সঙ্গে উত্তরের হিমেল বাতাস যোগ হওযায় শীতের তীব্রতা বাড়ছে। এতে দিনমজুর, কৃষি শ্রমিকসহ খেটে খাওয়া মানুষের দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বেলা ১২টা পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলেনি।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে ফুটপাতে জমে উঠেছে শীতের পোশাক বিক্রি
সদর উপজেলার ঠাংভাঙ্গা মোড়ে এলাকার আফছার আলী বলেন, ‘গত দুই দিন ধরে খুব ঠান্ডা পড়েছে। তবে সকাল ৯টা দিকে সূর্য উঠলেও আজকে সূর্যের দেখা নাই। বৃষ্টির মতো ঝির ঝির করে কুয়াশা পড়ছে। শুরুতেই যদি এত ঠান্ডা পড়ে তাহলে সামনের দিনে তো আরও বেশি ঠান্ডা হবে। এমনিতেই ঠান্ডায় কোনো কিছু করা যাচ্ছে না। হাত-পা নিস্তেজ হয়ে যায়।’
নওগাঁর বদলগাছী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, সোমবার সকাল ৯টায় জেলায় ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গেলো ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে এ জেলার তাপমাত্রা বেড়েছে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। উত্তর দিক থেকে বয়ে আসা হিমেল হাওয়া শীতের তাপমাত্রা আগামীতে বাড়তে পারে বলেও জানান তিনি।
নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্ববধায়ক জাহিদ নজরুল ইসলাম বলেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে শিশু ও বৃদ্ধরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
শীত বাড়ায় শিশু ও বয়স্কদের ঘরের বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। ঠান্ডা পানি ব্যবহার না করে গরম ভাইয়ের পানি ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছেন।
এদিকে নওগাঁ জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল আল জানান, ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়কে নওগাঁয় শীতার্ত মানুষের জন্য গরম কাপড় বরাদ্দ দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। কিন্তু শনিবার পর্যন্ত নওগাঁয় সরকারিভাবে কোনো গরম কাপড় বরাদ্দ দেওয়া হয়নি।
তিনি জানান, একটি বেসরকারি সংস্থা বিতরণের জন্য আজ পর্যন্ত ৪০০টি কম্বল জেলা প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করেছে।
এছাড়া তিনি জানান, গত বছর তিন ধাপে ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয় থেকে নওগাঁতে ৭৬ হাজার গরম কাপড় অসহায় ছিন্নমূল মানুষের মধ্যে বিতরণ করার জন্য সরকারিভাবে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এবছর এখন পর্যন্ত সরকারিভাবে অসহায় দরিদ্র মানুষের মধ্যে বিতরণের জন্য কোনো গরম কাপড় বরাদ্দ দেওয়া হয় নাই।
তিনি এ বছরের জন্য নওগাঁর দুস্থ অসহায় মানুষের শীত নিবারণে এক লাখ গরম কাপড়ের বরাদ্দ চেয়ে ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়ে আবেদন জানান এবং সেগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে সরবরাহ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরের শুরুতেই শীতে কাঁপছে নওগাঁ, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা
৯৬ দিন আগে
শীতে রুম হিটার: জনপ্রিয় ব্র্যান্ড, মডেল, ধরন ও দাম
শীতের প্রকোপ যত বাড়তে থাকে, বাসা-বাড়ির প্রতিটি ঘরের তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পেতে অস্বস্তিকর মাত্রায় পৌঁছে যেতে শুরু করে। বিশেষ করে ভোরবেলা এবং গভীর রাতে অতিরিক্ত গরম কাপড় ছাড়া থাকাটা মুশকিল হয়ে পড়ে। নানা প্রতিকূল আবহাওয়ায় পরম আশ্রয়ের জায়গাটি রীতিমতো হিমঘরে পরিণত হয়। এমন পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য একটু আরামপ্রদ উষ্ণতা অপরিহার্য হয়ে ওঠে। আর এখানেই আসে রুম হিটার, যা মাঘের শীতেও ঘরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা বজায় রাখতে পারে। চলুন, বর্তমান সময়ের কয়েকটি রুম হিটারের দাম ও ফিচারের পাশাপাশি জেনে নিই, গৃহস্থালি যন্ত্রটি কেনার সময় কোন বিষয়গুলো যাচাই করা উচিত।
রুম হিটার কেনার সময় যে বিষয়গুলোতে গুরুত্ব দেওয়া জরুরি
.
উষ্ণায়নের ক্ষমতা
মূল উদ্দেশ্য যেহেতু ঘর গরম করা, তাই প্রথমেই যন্ত্রটির ক্ষমতা কতটুকু, তা বোঝা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত প্রতি বর্গফুট গরম করার জন্য ন্যূনতম ১০ ওয়াট ক্ষমতার দরকার হয়। সে অনুযায়ী ছোট একটি ঘরের জন্য ন্যূনতম ৬০০ ওয়াট হিটারের প্রয়োজন হবে।আর বড় জায়গাগুলোর জন্য ২ হাজার ওয়াটের মডেলগুলো উপযুক্ত হবে। সুতরাং কিনতে যাওয়ার আগে ঘরের ক্ষেত্রফলটি ভালোভাবে মাপা জরুরি।জায়গার তুলনায় কম ক্ষমতার হিটার নিলে সঠিক মাত্রায় উষ্ণতা পাওয়া যাবে না,আবার অতিরিক্ত হয়ে গেলে বিদ্যুৎ অপচয় হবে।
নিরাপত্তা
বাজেট যেমনি হোক না কেন, এ ধরনের গৃহস্থালি যন্ত্র কেনার ক্ষেত্রে নিরাপত্তার ব্যাপারে কখনই আপস করা উচিত নয়। অত্যধিক তাপ সুরক্ষা, টিপ-ওভার সুইচ এবং অন্তর্নির্মিত থার্মাল ফিউজ থাকা হিটারগুলো যান্ত্রিক ত্রুটি বা আগুন লাগার ঝুঁকি হ্রাস করে। অ্যান্টি-ফায়ার প্লাস্টিক বা অটো শাট-অফ মেকানিজম অতিরিক্ত নিরাপত্তার সংযোজনের মাধ্যমে নির্ভরযোগ্যতা বাড়ায়। এই ফিচারগুলোর মাধ্যমে যন্ত্রকে সার্বক্ষণিক সতর্ক নজরে রাখার বিড়ম্বনা থেকে মুক্তি মেলে।
আরো পড়ুন: নারীর নিরাপত্তা ও ব্যক্তিগত সুরক্ষায় মোবাইল অ্যাপ
বিদ্যুতের পূর্ণাঙ্গ ব্যবহারের কার্যকারিতা
সর্বোচ্চ মাত্রার উষ্ণতা দেওয়ার জন্য যন্ত্রটি কতটুকু বিদ্যুৎ শক্তি খরচ করছে, তা ভালো মানের হিটার বাছাইয়ের অত্যাবশ্যকীয় একটি নির্ধারক। এনার্জি-এফিশিয়েন্ট হিটারগুলো বিদ্যুৎ বিল সংরক্ষণ করে। থার্মোস্ট্যাট এবং ইকো-এনার্জি মোড সঠিকভাবে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে, যাতে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ শক্তি নষ্ট না হয়। সিরামিক হিটিং উপাদান ঘরের সর্বত্র সমানভাবে এবং দ্রুত তাপ বিতরণ করে, শক্তির অপচয় রোধ করে। এই বিষয়গুলোর প্রতি নজর রাখার ফলে একদিকে যেমন দীর্ঘ মেয়াদে বাজেট বাঁচানো যায়, অন্যদিকে পরিবেশকেও ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মুক্ত রাখা যায়।
পোর্টেবিলিটি এবং ডিজাইন
যাদের ঘন ঘন বাসা বদলের প্রয়োজন হয় তাদের জন্য তাৎপর্যবহুল একটি ব্যাপার হচ্ছে গৃহস্থালি যন্ত্রপাতির ওজন। কাঠামোগত দিক থেকে সহজে বহনযোগ্য হলে স্থানান্তর ও পুনরায় স্থাপনের কাজগুলো সহজ হয়ে যায়। বিশেষ করে ক্যারি-হ্যান্ডেল সমেত হাল্কা মডেলগুলো বহন করা সুবিধাজনক। লম্বা কমপ্যাক্ট ডিজাইনেরগুলো ঘরের মেঝেতে জায়গা বাঁচায়। কিছু হিটার দেয়ালেও সেট করা যায়। নান্দনিক ও সুবিধাজনক নকশা ব্যবহারযোগ্যতার পাশাপাশি ঘরের সৌন্দর্য্যও বাড়ায়।
শব্দের মাত্রা
হিটার নির্বাচনের সময় আরও একটি উল্লেখযোগ্য দিক হলো এর শব্দ। সিরামিক প্রযুক্তি বা সাইলেন্ট অপারেশন মুডের মডেলগুলো ঘরের মধ্যে শান্ত পরিবেশ বজায় রাখার জন্য যথেষ্ট উপযোগী। অবশ্য পুরাতন ডিজাইনের ফ্যান হিটারগুলোর আওয়াজ থেকে রেহাই পাওয়ার উপায় থাকে না। এদিক থেকে অত্যাধুনিক ডিজাইনগুলো অনেকটা এগিয়ে। একেবারে পিন-পিতম নিরবতা না দিতে পারলেও এগুলো প্রশান্তিদায়ক উষ্ণতা প্রদানে কোনো ঘাটতি রাখে না।
আরো পড়ুন: কীভাবে বুঝবেন ছবিটি এআই দিয়ে বানানো কিনা
স্থায়িত্ব এবং ওয়ারেন্টি
ঘন ঘন মেরামত বা প্রতিস্থাপনের ঝামেলা থেকে দূরে থাকতে অবশ্যই হিটারের ওয়ারেন্টি দেখে নেওয়া উচিত। পরপর কমপক্ষে দুটি শীত কাটানোর জন্য কাঠামোগত উপাদান হিসেবে অগ্নিরোধী প্লাস্টিক, সিরামিক উপাদান বা মজবুত ধাতব উপাদানগুলোর প্রতি অগ্রাধিকার দিতে হবে। অন্তত এক বছরের ওয়ারেন্টি থাকলে আকস্মিক যান্ত্রিক ত্রুটি রক্ষণাবেক্ষণের সুবিধা পাওয়া যায়। বিক্রয় পরবর্তী সার্ভিস ওয়ারেন্টি দীর্ঘ মেয়াদে খরচ বাঁচায় বিধায় কোম্পানির প্রতি গ্রাহকদের নির্ভরতা বাড়ে।
বর্তমানে বাজারের সেরা কয়েকটি রুম হিটার
.
ভিশন ইজি-হোয়াইট / ১ হাজার ৪৮৫ টাকা
বরাবরের মতো এবারও সাশ্রয়ী মূল্যের বিপরীতে চমৎকার সব ফিচার পাওয়া যাচ্ছে ভিশনে। মডেলটির দুই ধরণের (১ হাজার ওয়াট/২ হাজার ওয়াট) তাপমাত্রা সেটিং-এ তাপ বিতরণের জন্য রয়েছে পিটিসি হিটিং উপাদান। অপারেশন চলাকালীন নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রয়েছে টিপ-ওভার সুইচ, অতিরিক্ত হিটিং সুরক্ষা ও একটি ফিউজ। এর তাপমাত্রা কমবেশি করার নব এবং একাধিক এয়ার মোড (ফ্যান/লো/উচ্চ) যন্ত্রের উপর অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণ ও আরামদায়ক অনুভূতির সঞ্চার করে।
হাল্কা ওজন এবং ইন্টিগ্রেটেড হ্যান্ডেল হিটারটিকে সহজে বহন করার জন্য উপযোগী করে তুলেছে। ১২০ বর্গফুট জায়গার জন্য উপযুক্ত যন্ত্রটি সংকীর্ণ স্থানেও স্থাপনযোগ্য।
আরো পড়ুন: মোবাইল ফোন বিস্ফোরণ: কারণ ও বাঁচার উপায়
ভিগো কজি / ১ হাজার ৬৫০ টাকা
২ হাজার ওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন এই হিটারে রয়েছে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণকারী থার্মোস্ট্যাট ও তাপীয় ফিউজ। এগুলো অতিরিক্ত তাপ সরবরাহে সুরক্ষা মাত্রা নিশ্চিত করে। এক স্থান থেকে অন্যস্থানে সহজে স্থানান্তর এবং স্থাপনে সুবিধার জন্য রয়েছে সহায়ক ক্যারি হ্যান্ডেল। ব্যবহারযোগ্যতায় আলাদা মাত্রা যোগ করে এর পাওয়ার ইন্ডিকেটর লাইটটি। মাঝারি আকারের কক্ষগুলোর জন্য বেশ ভালো একটি পছন্দ এই হিটারটি।
নোভা এনএইচ-১২০১এ / ১ হাজার ৮৯৯ টাকা
টেকসই অ্যান্টি-ফায়ার প্লাস্টিক বডির এই হিটারটি নিরাপত্তার দিক থেকে যথেষ্ট নির্ভরতা প্রদান করে। কেননা ২ হাজার ওয়াট দ্বারা চালিত এই যন্ত্রে আছে তাপীয় ফিউজ ও অতিরিক্ত উত্তাপ সুরক্ষা। রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে ফ্যানের গতি কমবেশি করার সুবিধা এর প্রধান আকর্ষণ। উপরন্তু, এই সামঞ্জস্যতার নেপথ্যে সুদূরপ্রসারি নিয়ন্ত্রক হিসেবে রয়েছে থার্মোস্ট্যাট।
মডেলটিতে দেওয়া হচ্ছে ২ বছরের সার্ভিস ওয়ারেন্টি এবং ১ বছরের স্ট্যান্ডার্ড ওয়ারেন্টি।
আরো পড়ুন: টপ লোড বনাম ফ্রন্ট লোড ওয়াশিং মেশিন: জেনে নিন সুবিধা ও অসুবিধা সমূহ
ওয়াল্টন ডব্লিউআরএইচ-পিটিসি০০৭ / ২ হাজার ৬১ টাকা
ব্র্যান্ডের ঐতিহ্যবাহী সহজ ডিজাইনের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে ওয়াল্টনের এই হিটারটি বেশ জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। অতিরিক্ত তাপ সুরক্ষায় এতে অংশ নেয় পিটিসি হিটিং প্রযুক্তি, যা এর নিরবচ্ছিন্ন কার্যকারিতাকে অটুট রাখে। ৫০০/১ হাজার ওয়াট রেটিং ক্ষমতার সঙ্গে সামঞ্জস্যযোগ্য তাপ সেটিংয়ের জন্য যন্ত্রটি যেকোনো ছোট বা সংকীর্ণ জায়গার জন্য উপযুক্ত।
এলজি ব্লু ম্যাজিক কেপিটি-৬০২এম / ২ হাজার ৫০০ টাকা
নজরকাড়া ডিজাইন সমৃদ্ধ এই হিটারটিতে প্রথমেই চোখে পড়ে ডিজিটাল ডিসপ্লে। চিত্তাকর্ষক বেশভূষার সঙ্গে সিরামিক প্রযুক্তি দ্রুত এবং সামঞ্জস্যপূর্ণ হিটিং নিশ্চিত করে। অপসারণযোগ্য ডাস্ট ফিল্টারের পরিবর্তে পাওয়া যায় পরিস্কার বায়ু সঞ্চালন। এক্সট্রা হিটিং সেফ্টি এবং টিপ-ওভার সুইচ থাকায় সৌন্দর্য্যের সঙ্গে এর নির্ভরযোগ্যতাও বৃদ্ধি পেয়েছে। বিদ্যুৎ ক্ষমতার মাত্রা ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ ওয়াট পর্যন্ত ওঠা-নামা করতে পারে। এই পরিবর্তন প্রয়োজনীয়তার স্বাপেক্ষে হিটিং সেটিংসের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিচালিত হয়।
কনিয়ন বিই-৫০০এন / ২ হাজার ৬০০ টাকা
সাশ্রয়ী মূল্যে উচ্চমানের ক্ষমতা ও সার্বিক ফাংশন পাওয়ার ক্ষেত্রে কনিয়নের এই মডেলটিকে অনেকটা এগিয়ে রাখা যেতে পারে। এর নিরাপত্তার দিকটা দেখে থার্মাল কাট-আউট সুরক্ষা ব্যবস্থা এবং কুলিং মুড। এটি বছর জুড়ে যন্ত্রটিকে ব্যবহারযোগ্য করে তোলে। টেকসই গঠনের বডিতে হিটারটির সর্বোচ্চ ক্ষমতা ২ হাজার ওয়াট। কোম্পানির পক্ষ থেকে ১ বছরের সার্ভিস ওয়ারেন্টি এর নির্ভরযোগ্যতা আরও বাড়িয়ে দেয়।
আরো পড়ুন: রয়্যাল এনফিল্ড ৩৫০ সিসির নতুন চারটি মোটরবাইক মডেলের আকর্ষণীয় সব ফিচার
মিয়াকো পিটিসি-১০এম / ৩ হাজার ৮০ টাকা
৪০০ বর্গফুটের বৃহৎ এলাকার জন্য তৈরি হয়েছে মিয়াকোর এই হিটার। ১ দশমিক ৫ কিলোওয়াট উষ্ণতায়ন ক্ষমতা এবং ৯০-ডিগ্রি ঘূর্ণন ফাংশন আবদ্ধ কক্ষের সমস্ত জায়গা জুড়ে উষ্ণতা ছড়াতে সক্ষম। কার্যকর থার্মোস্ট্যাটের পাশাপাশি কমপ্যাক্ট বডি যত্ন সহকারে ব্যবহারের ভিত্তিতে দীর্ঘস্থায়িত্বের প্রতিশ্রুতি রাখে। মূল্য সহ পণ্যের যাবতীয় ফিচারগুলো পূর্ণতা পেয়েছে অতিরিক্ত সংযোজন হিসেবে ১ বছর সার্ভিস ওয়ারেন্টির মাধ্যমে।
শাওমি ডুহি ডেস্কটপ ইলেক্ট্রিক হিটার / ৩ হাজার ৮০ টাকা
প্রযুক্তি-বান্ধব পণ্যশ্রেণিতে শাওমির খ্যাতি রয়েছে দীর্ঘদিনের। এই ইলেক্ট্রিক হিটারটিও তার ব্যতিক্রম নয়। যন্ত্রটির প্রধান আকর্ষণ হচ্ছে অপারেটিংয়ের জন্য টাচ প্যানেল এবং ওয়াইড-এঙ্গেল ঘূর্ণন প্রক্রিয়া। স্মার্ট ফিচারগুলোতে আরও অন্তর্ভূক্ত রয়েছে দ্রুত উষ্ণতায়নের পিটিসি প্রযুক্তি।
কমপ্যাক্ট ডেস্কটপ গঠন ও ডিজাইন নিমেষেই এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় বহনে সহায়ক হয়। সাধারণ বৈশিষ্ট্যের মধ্যে রয়েছে টিপ-ওভারের অতিরিক্ত সুরক্ষা বেষ্টনী। ৬০০ ওয়াটের পাওয়ার রেটিং সম্পন্ন হিটারটি ছোট জায়গায় ব্যবহারের জন্য উত্তম।
আরো পড়ুন: আইফোন চুরি প্রতিরোধে অ্যাপলের গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা
ডানাজ ডিএএন-আরএইচ২৫০ইসি / ৩ হাজার ৯০০ টাকা
সিরামিক ফ্যান প্রযুক্তি এবং অটো-রোটেশনের মত প্রিমিয়াম সুবিধার বেশ কম পাওয়া রেটিং-এর মধ্যে দিচ্ছে ডানাজ। অবশ্য রেটিংটি ৭৫০ ওয়াট এবং ১ হাজার ৫০০ ওয়াটের দুটি হিটিং গ্রেডেশনে বিভক্ত। এটি সরাসরি অংশগ্রহণ করে থার্মোস্ট্যাটের তাপমাত্রা পরিচালনায়। অন্যান্য হিটারগুলোর সঙ্গে এর সুরক্ষা ক্যাটাগরির ভিন্নতা হলো এক্সট্রা হিটিং সেফ্টির পাশাপাশি এর আছে অ্যান্টি ওভারটার্নিং সুরক্ষা। সঙ্গে ১ বছরের সার্ভিস ওয়ারেন্টি মূল্যের পরিমিত ন্যায্যতা প্রদান করে।
রোওয়া কেপিটি-০৯১৮জি / ৪ হাজার ৪৫৯ টাকা
১ হাজার ৮০০ ওয়াট হিটিং পাওয়ারের এই হিটারটির বিশেষ দিক হচ্ছে অসিলেটিং সিরামিক প্রযুক্তি। এটি থার্মোস্ট্যাটের সঙ্গে সমন্বয় করে তাপমাত্রার সঠিক নিয়ন্ত্রণ অব্যাহত রাখে। বড় কক্ষগুলোর জন্য উপযুক্ত এই যন্ত্র টিপ-ওভার সুইচ, অতিরিক্ত তাপ সুরক্ষা, এবং স্বয়ংক্রিয় শাট-অফ ব্যবস্থা সমৃদ্ধ। ওজন ২ দশমিক ৫ কেজি এবং ডিজাইন কমপ্যাক্ট হওয়ায় হিটারটিকে স্থানান্তর এবং পুনঃস্থাপন করা সহজ।
শেষাংশ
উপরোক্ত ১০টি রুম হিটারের যেকোনোটি পৌষ-মাঘের মৌসুমের প্রতিটি দিনকে আনন্দদায়ক এবং স্বাস্থ্যকর করে তুলতে সহায়ক হতে পারে। তন্মধ্যে স্বল্প বাজেটের জন্য দেখা যেতে পারে ভিশন ইজি-হোয়াইট এবং ভিগো কোজি মডেল দুটি। অপরদিকে, রোওয়া এবং ডানাজের মতো প্রিমিয়াম মডেলগুলোতে মিলবে ফ্যানের নিখূঁত ঘূর্ণন এবং সিরামিক হিটিংয়ের মতো উন্নত ফিচার। নোভা এবং এলজি ব্লু ম্যাজিক মিড-রেঞ্জার হিসেবে যথেষ্ট কার্যক্ষমতার অধিকারি এবং সেই সঙ্গে নির্ভরযোগ্য। আর প্রযুক্তিপ্রেমিদের জন্য রয়েছে চমকপ্রদ ডিজাইনের শাওমি ডুহি। সর্বপরি, ক্রয়ের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে যাওয়ার আগে কর্মক্ষমতা ও নিরাপত্তামূলক ফিচারগুলোতে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত।
আরো পড়ুন: শীতকালে গরম পানির গিজার: জনপ্রিয় ব্র্যান্ড, মডেল, ধরন ও দাম
৯৭ দিন আগে
ডিসেম্বরের শুরুতেই শীতে কাঁপছে নওগাঁ, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা
উত্তরের জেলা নওগাঁয় জেঁকে বসেছে শীত।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় নওগাঁর বদলগাছি উপজেলা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে ৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা চলতি বছরে এখন পর্যন্ত এই জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
স্থানীয়রা জানান, সন্ধ্যার পর তাপমাত্রা বাড়ছে। সেই সঙ্গে বয়ে যাচ্ছে হিমেল হাওয়া। আর এ হাওয়া শীতের তীব্রতা বাড়িয়ে দিচ্ছে কয়েকগুণ। সন্ধ্যার পর থেকেই গরম কাপড় পরে চলাফেরা করছে মানুষ। রাত থেকে ভোর পর্যন্ত কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকছে চারপাশ। তবে দ্রুতই কুয়াশা ভেদ করে দেখা মিলছে সূর্যের।এদিকে শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ছিন্নমূল মানুষ ও খেটে খাওয়া মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে।
সদর উপজেলার সামনে কুরবার আলী নামে এক রিকশাচালক বলেন, ‘দিন যখন তাপমাত্রা একটু বেশি থাকে থাকে তখন যাত্রী পাওয়া যায়। রিকশাও ভালোভাবে চালানো যায়। কিন্তু সন্ধ্যার পর কিংবা খুব সকালে যাত্রী তেমন পাওয়া যায় না। শীতের কারণে রিকশা ঠিকভাবে চালানোও যায় না। ফলে আয় উপার্জন কমে গেছে।’
নওগাঁর বদলগাছী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, শনিবার সকাল ৯টায় জেলায় ৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে, শুক্রবার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেই হিসেবে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে এ জেলার তাপমাত্রা কমেছে ২ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
উত্তর দিক থেকে বয়ে আসা হিমেল হাওয়ায় শীতের তাপমাত্রা আগামীতে আরও বাড়তে পারে বলেও জানান তিনি।
৯৮ দিন আগে
তাপমাত্রা কমেছে, শীতে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা
এখনও হেমন্তকাল শেষ হয়নি। এরই মধ্যে শীতে জবুথবু চুয়াডাঙ্গাবাসী। গত কয়েকদিন ধরে বিকাল হলেই তাপমাত্রা কমছে।
চুয়াডাঙ্গার আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাদের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ। যা চলতি মৌসুমের জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
রিকশাচালক ঝন্টু মিয়া বলেন, ‘এখনই হাত-পা মনে হচ্ছে বরফ হয়ে আসছে। সন্ধ্যার পর শীত বাড়ে। আর কয়েকদিন পর রিকশা চালানো কষ্টকর হয়ে যাবে।’
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে হঠাৎ ঘন কুয়াশা
চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যৈষ্ঠ পর্যবেক্ষক রকিবুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘গত ১৫ নভেম্বর থেকে চুয়াডাঙ্গা জেলায় তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। আজ এ জেলায় সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
১১৭ দিন আগে
পঞ্চগড়ে হঠাৎ ঘন কুয়াশা
দেশের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় উত্তরাঞ্চলে আগেই শীত পড়ে। এবার একটু দেরিতে হলেও পঞ্চগড়ে শীতের আমেজ শুরু হয়েছে। গত কদিন ধরেই ভোরের দিকে হালকা কুয়াশা থাকছে কিন্তু শনিবার হঠাৎ করেই জেলাজুড়ে ঘন কুয়াশা দেখা যায়।
হালকা বৃষ্টির মতো কুয়াশা ঝরছে। এ অবস্থা ছিল সকাল ৯টা পর্যন্ত। চারদিক ঘন কুয়াশার কারণে রাস্তাঘাট লোকজনের চলাচল ছিল তুলনামূলক কম। যানবাহন চলছিল হেডলাইট জ্বালিয়ে সাবধানে।
ভ্যান, অটোরিকশাসহ ছোট ছোট যানবাহনগুলো চলাচল করতে দেখা গেছে। যাত্রী না থাকায় কিছু কিছু গাড়িচালককে অলস বসে থাকতে দেখা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, শেষ বিকেলে হালকা কুয়াশা পড়ছে। গভীর রাতে বেশ ঠান্ডা অনুভুত হচ্ছে। কাঁথা কম্বল গায়ে দিতে হচ্ছে।
ভারতের কাছাকাছি হওয়ায় এ জেলায় আগেভাগেই শীত পড়ে। জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শীতের দাপট থাকে।
ভ্যানচালক চৈতু মোহাম্মদ (৭০) বলেন, ‘আইজ ঠান্ডা লাগেছে। কুয়াশায় কিছু দেখা যায় না। যাত্রীও পাই না, ভাড়া নাই বসে আছি।’
পথচারী সাইদুর রহমান বলেন, ‘হালকা কুয়াশা বৃষ্টি হচ্ছে। শরীরের উপরের কাপড় ভিজেছে। ঘন কুাশায় এক হাত দূরের কিছু দেখা যায় না। গাড়িগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে।’
১১৯ দিন আগে