গাইবান্ধার এনডিসি ফয়েজ উদ্দিন জানান, ইউএনবিতে নবজাতকের এই সংবাদটি প্রচারের পর জেলা প্রশাসক আব্দুল মতিনের নজরে আসে।
তিনি তাৎক্ষণিকভাবে জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার নাহিদুর রহমান ও এনডিসি ফয়েজ উদ্দিনকে ঘটনাস্থলে পাঠান। পরে ১৬ হাজার টাকা দিয়ে সাদুল্লাপুরের একটি বাড়ি থেকে নবজাতককে উদ্ধার করেন।
শনিবার রাতেই স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুজ্জামান রিংকুকে সাথে নিয়ে গাইবান্ধা সদর উপজেলার সোলাগাড়ি গ্রামে নবজাতকের বাবা শাজাহান ও মা আমেনা বেগমের কাছে যান।
তারা মায়ের কোলে নবজাতককে ফিরিয়ে দেন এবং জেলা প্রশাসক আব্দুল মতিনের আর্থিক সহযোগিতা হিসেবে শাড়ি, লুঙ্গি, চাল, ডাল, তেলসহ অন্যান্য সহযোগিতা তুলে দেন।
এর আগে, নবজাতকের বাবা শাজাহান জানান, স্থানীয় মাতৃসদনে অন্তঃসত্ত্বা আমেনাকে জানানো হয় যে পেটের সন্তান উল্টো অবস্থায় রয়েছে। সে কারণে তাকে সিজারিয়ান (অস্ত্রোপচার) করতে হবে। পরে প্রসব বেদনা হলে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক জাকির হোসেনের পরামর্শে ১৩ সেপ্টেম্বর আমেনাকে গাইবান্ধা শহরের যমুনা ক্লিনিকে নিয়ে আসেন শাজাহান। সেখানে সিজারিয়ানে আমেনার নবজাতকের জন্ম হয়।
আমেনার অবস্থার উন্নতি হলে ১৭ সেপ্টেম্বর তাকে ক্লিনিক থেকে রিলিজ করা হয়। বিল আসে ১৬ হাজার টাকা। কিন্তু এ টাকা পরিশোধ নিয়ে বেকায়দায় পড়েন শাজাহান-আমেনা দম্পতি। অবশেষে নবজাতককে সাদুল্লাপুরের এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে সেই টাকা দিয়ে তারা ক্লিনিকের বিল পরিশোধ করেন এবং বাড়ি ফেরেন খালি হাতে।
শাজাহান বলেন, তিনি অভাবে পড়ে নবজাতককে অন্যের হাতে তুলে দিয়েছেন।