মঙ্গলবার আবারও দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়।
গত দুদিন ধরে এখানে দিনভর সূর্যের দেখা মিলছে না। মঙ্গলবারও সূর্যের মুখ দেখা যায়নি।
ঘনকুয়াশার চাদরে আচ্ছন্ন হয়ে থাকছে চারপাশ। তীব্র শীতের কারণে প্রয়োজন ছাড়া লোকজন ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। তবে সংসারের প্রয়োজনে অনেকে কাজের সন্ধানে ছুটছেন শহরে।
শীতের হাত থেকে বাঁচতে মানুষ আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। শীতের দাপটে মানুষের পাশাপাশি পশুপাখি জীবজন্তুও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। শীতের ভয়াবহতায় এখানকার অসহায় হতদরিদ্র মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করছে। এক কথায় রুক্ষতা, তীক্ততা আর বিষাদের প্রতিমূর্তিতে পঞ্চগড়ে আবার ফিরে এসেছে শীতের তীব্রতা।
শীতজনিক রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হওয়া শিশু ও বৃদ্ধ রোগীদের সংখ্যা বাড়ছে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ হিসেবে তেঁতুলিয়া, পঞ্চগড় তথা উত্তরাঞ্চলের শীতকে জাতীয় দুর্যোগ ঘোষণা করে অসহায় শীতার্ত মানুষকে সরকারিভাবে সহযোগিতা করার জন্য দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
পঞ্চগড় জেলায় সরকারি বেসরকারিভাবে এ পর্যন্ত ৪৮ হাজারের মতো কম্বল ও সোয়েটার বিতরণ করা হয়েছে। জেলার শীতার্ত মানুষের সংখ্যার তুলনায় কম্বল বা শীতবস্ত্র বিতরণের সংখ্যা কম।