কমিশনারের ব্যক্তিগত সহকারী ইখতিয়ার উদ্দিন আরাফাত জানান, ফৌজদারহাটের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেসে (বিআইটিআইডি) শুক্রবার নমুনা দেয়ার পর শনিবার রাতে আসা প্রতিবেদনে বিভাগীয় কমিশনারের করোনাভাইরাস পজিটিভ আসে।
এ বি এম আজাদ চট্টগ্রাম বিভাগীয় করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
ইখতিয়ার উদ্দিন বলেন, ‘স্যারের সামান্য জ্বরসহ অন্যান্য উপসর্গ রয়েছে। বর্তমানে তিনি চট্টগ্রামের ডিসি হিলের বাংলোতে হোম আইসোলেশনে রয়েছেন। তিনি শারীরিকভাবে ভালো রয়েছেন।’
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে বিভাগীয় কমিশনারের স্ত্রী ও তার বড় ছেলেরও নমুনা পরীক্ষায় করোনাভাইরাস পজিটিভ আসে।
এদিকে চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ৫১ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১৭ হাজার ৮৫০ জন।
রবিবার সকালে সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রামের সরকারি ও বেসরকারি ৩টি ল্যাবে এবং কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা হয়।
এর মধ্যে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেসে (বিআইটিআইডি) ২৬১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে শনাক্ত হন সাতজন। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ১০৩টি নমুনা পরীক্ষায় আটজন করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। শেভরণ ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরিতে ৬১টি নমুনা পরীক্ষা করে ১০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এছাড়া কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের ল্যাবে ১৯৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২৬ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি জানান, গত ২৪ ঘণ্টার নমুনা পরীক্ষায় ৫১ জন নতুন শনাক্ত হয়েছেন। এইদিন নমুনা পরীক্ষা করা হয় ৬২৪টি। নতুন শনাক্তদের মধ্যে নগরে ২৩ জন এবং উপজেলায় ২৮ জন বলে জানান তিনি।