গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ৩৮৩টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে ৭০ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর আগের দিন ৭৪৪টি নমুনা পরীক্ষা করে ১২৬ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছিল৷ এ সংখ্যা অন্যান্য সময়ের চেয়ে অনেক কম।
চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহে চট্টগ্রামে করোনায় মৃত্যু শূন্য হলেও গত ২৪ ঘণ্টায় একজনের মৃত্যু হয়েছে।
জানা যায়, ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের পাঁচটি ল্যাবে ৩৮৩ জনের নমুনা পরীক্ষার মধ্যে ফৌজদার হাটের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেসে (বিআইটিআইডি) ১৫৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৩ জন। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ইউনিভার্সিটি (সিভাসু) ল্যাবে ৪৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় চারজন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৯৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৮ জন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৩৭টি নমুনা পরীক্ষা করে ১৩ জন, শেভরণ ল্যাবে ৫১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২২ জন করোন রোগী শনাক্ত হয়।
সব মিলিয়ে শনিবার পর্যন্ত চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১৩ হাজার ৬৯৯ জনে।
রবিবার সকালে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে একজনের। এনিয়ে চট্টগ্রামে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ২২৮ জন। নতুন করে সুস্থ হয়েছে ৬৭ জন, মোট সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৯০০ জন।
এদিকে, চট্টগ্রামের হাসপাতাল ও করোনা আইসোলেশন সেন্টারগুলোতেও রোগী ভর্তি সংখ্যাও কমে এসেছে। হাসপাতাল ও আইসোলেশন সেন্টারগুলোতে শনিবার রাত পর্যন্ত ৮৬৬ শয্যার মধ্যে ৫১৪টি সিট খালি রয়েছে।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন অফিস সূত্র মতে, শনিবার রাত ৮টা পর্যন্ত জেনারেল হাসপাতালে ১৫০ শয্যার বিপরীতে বর্তমানে করোনা রোগী ভর্তি আছেন ৯০ জন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ২০০ শয্যার বিপরীতে ১৭৭ জন, বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেসে (বিআইটিআইটি) ৩২ শয্যার বিপরীতে রোগী ভর্তি আছেন সাতজন।
চট্টগ্রাম রেলওয়ে হাসপাতালে ১০০ শয্যার বিপরীতে রোগী ভর্তি আছেন মাত্র দুজন, হলিক্রিসেন্ট হাসপাতালে ১০০ শয্যার বিপরীতে আটজন, চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতালে ৫০ শয্যার বিপরীতে চারজন, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে ৩৪ শয্যার বিপরীতে ২৮ জন। বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল হাসপাতালে ১০০ শয্যার বিপরীতে চারজন ও করোনা আইসোলেশন সেন্টারে ১০০ শয্যার বিপরীতে ৩২ জন ভর্তি আছেন।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, ‘করোনায় আক্রান্ত হলেও অনেকে হাসপাতালে না এসে বাড়িতেই সুস্থ হয়ে যাচ্ছেন। তাই হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যাও কমছে। তবুও আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।’