সংশ্লিষ্টরা জানান, বিরূপ আবহাওয়ার কারণে সাগরে উত্তাল ঢেউয়ের তোড়ে শনিবার সকালে গম বোঝাই জাহাজ এমভি আখতার বানু-১ ও চিনি বোঝাই এমভি সিটি-১৪ নামে দুটি জাহাজ ডুবে যায়। এসময় একটি জাহাজের ১৩ নাবিক নিখোঁজ হয়। তাদের সন্ধানে অভিযান পরিচালনা করছে কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর সদস্যরা।
জানা যায়, শনিবার সকাল ৮টার দিকে বন্দরের বহির্নোঙ্গরের মাদার ভেসেল থেকে দুই হাজার টন আমদানিকৃত গম অনলোড করে ঢাকায় যাওয়ার পথে আবুল খায়ের গ্রুপের গমবাহী জাহাজ এমভি আখতার বানু-১ নামে লাইটার জাহাজটি সাগরের মাঝখানে ঢেউয়ের মধ্যে নিয়ন্ত্রণ রাখতে না পেরে উল্টে গিয়ে ডুবে যায়। এতে জাহাজটির ১৩ নাবিক নিখোঁজ রয়েছে। শনিবার রাত পর্যন্ত নিখোঁজ নাবিকদের সন্ধান পাওয়া যায়নি।
ডুবে যাওয়া এমভি আখতার বানু-১ জাহাজের শিপিং এজেন্ট ‘লিটমন্ড শিপিং’-এর অপারেশন ম্যানেজার জাহিদ হোসেন বলেন, চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত থেকে প্রায় ৪০ নটিক্যাল মাইল দূরে হাতিয়া এলাকায় আমাদের একটি জাহাজ ডুবে ১৩ নাবিক নিখোঁজ রয়েছে। জাহাজটিতে দুই হাজার টন আমদানিকৃত গম রয়েছে। জাহাজের সার্ভেয়ার ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত নাবিকদের খোঁজ মিলেনি।
কোস্টগার্ডের জনসংযোগ বিভাগ জানায়, সাগর উত্তাল ও প্রচণ্ড ঢেউ থাকায় উদ্ধারকারীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারেনি।
এদিকে একঘণ্টার ব্যবধানে চট্টগ্রাম বন্দর বহির্নোঙ্গর থেকে দুই হাজার টন অপরিশোধিত চিনি নিয়ে রওনা দেয়া অপর একটি লাইটার জাহাজ হাতিয়ার ভাসানচরের কাছে বঙ্গোপসাগরে ডুবে গেছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) সূত্র জানায়, সিটি গ্রুপের ওই জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দর থেকে দুই হাজার টন আমদানিকৃত চিনি নিয়ে নারায়ণগঞ্জের রূপসীর দিকে যাচ্ছিল।
বিআইডব্লিউটিএ এর উপ-পরিচালক মোহাম্মদ সেলিম জানান, সমুদ্র উত্তাল থাকায় জাহাজে পানি ঢুকে যায় এবং এতে জাহাজটি একদিকে হেলে পড়ে। ভোর পাঁচটার দিকে হাতিয়া চ্যানেলের প্রবেশের সময় ভাসানচরের কাছাকাছি এলে জাহাজটি ডুবে যেতে থাকে।
সে সময় ওই এলাকা দিয়ে যাওয়া অপর একটি লাইটার জাহাজ রূপসী-১ ডুবন্ত জাহাজটির কাছে যায় এবং সেটির ১২ জন ক্রুকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।