লাইটার জাহাজ
গভীর সমুদ্রে দুর্ঘটনা কবলিত লাইটার জাহাজ থেকে ১৪ নাবিক উদ্ধার
গভীর সমুদ্রে দুর্ঘটনা কবলিত লাইটারেজ জাহাজ থেকে ১৪ নাবিককে জীবিত উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড।
এ বিষয়ে কোস্টগার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার খন্দকার মুনিফ তকি বলেন, এম ভি ‘মাস্টার সুমন-২’ নামে একটি লাইটার জাহাজ চট্টগ্রাম থেকে ১ হাজার ১০০ টন কয়লা নিয়ে কুমিল্লার দাউদকান্দির উদ্দেশে রওয়ানা দেয়। একপর্যায়ে ইঞ্জিন রুমে পানি ঢুকে ইঞ্জিন বিকল হয়ে লাইটার জাহাজটি নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ে এবং সমুদ্রে ভাসতে থাকে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বালুবোঝাই বাল্কহেড ডুবি: ৫ নাবিক উদ্ধার
পরে বিকল হয়ে যাওয়া লাইটার জাহজটি সাঙ্গু গ্যাস ফিল্ড থেকে সাড়ে ৯ নটিক্যাল মাইল উত্তরে নোঙ্গর করে এবং মোবাইলে নাবিকরা উদ্ধারের জন্য সাহায্য চেয়ে প্রশাসনকে জানায়। পরে কোস্টগার্ড তাদের উদ্ধার করে।
কমান্ডার তকি বলেন, শনিবার বেলা ১১টার দিকে অভিযানে ১৪ জন নাবিককে গভীর সমুদ্রে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা ব্যবস্থা করা হয়।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগর থেকে ১৪ নাবিক উদ্ধার
৯৯৯ এ কল দিয়ে ডুবে যাওয়া জাহাজের ১১ নাবিক উদ্ধার
১ বছর আগে
পতেঙ্গায় বঙ্গোপসাগরে নোঙর করা লাইটার জাহাজে আগুন, আহত ৩
চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় সাগরে অবস্থায় করা মহুরি-২ নামে একটি লাইটার জাহাজে অগ্নিকাণ্ডে তিন শ্রমিক আগুনে পুড়ে দগ্ধ হয়েছেন।
শুক্রবার (২৬ মে) রাত ১১টার দিকে হালিশহরের পশ্চিমে পতেঙ্গায় (খেজুরতলা এলাকা) বঙ্গোপসাগরে নোঙর করা জাহাজটিতে হঠাৎ বিস্ফোরণ ঘটার পরপরই আগুন লেগে যায়। জাহাজটিতে থাকা পাঁচজনের মধ্যে তিনজন গুরুতর আহত হন। পরে প্রায় তিন ঘণ্টার চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয় বলে জানায় ফায়ার সার্ভিস।
জাহাজে আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দু’টি গাড়ি পতেঙ্গায় সাগর পাড়ে গেলেও জাহাজটি সাগরের মাঝখানে থাকায় ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে অনেক দেরি হয়। এর মধ্যে আগুনে পুড়ে জাহাজটি অনেকটা ছাই হয়ে যায়। পরে চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্ধারকারী জাহাজ কান্ডারি-৮ আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
আরও পড়ুন: মোংলায় সারবোঝাই লাইটার জাহাজডুবি
বিষয়টি নিশ্চিত করে কর্ণফুলী ইপিজেড (কেইপিজেড) ফায়ার স্টেশনের ফায়ার ফাইটার মো. নাহিদ হোসেন বলেন, খবর পেয়ে রাত ১১টা ২০ মিনিটে আমাদের দু’টি ইউনিট স্টেশন থেকে বের হয়। তবে জাহাজটি সাগরের মাঝখানে ছিল। তাই আমাদের যন্ত্রপাতি নিয়ে সেখানে যেতে দেরি হয়ে যায়।
ইপিজেড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্ত (ওসি) মো. আব্দুল করিম বলেন, জাহাজে আগুন লাগার ফলে আহত তিনজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে লাইটার জাহাজ শ্রমিকদের ধর্মঘট প্রত্যাহার
১ বছর আগে
মোংলায় সারবোঝাই লাইটার জাহাজডুবি
বাগেরহাটের মোংলা বন্দরে একটি জাহাজের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ‘এমভি শাহজালাল এক্সপ্রেস’- নামে একটি লাইটার জাহাজ ডুবে গেছে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে পশুর চ্যানেলের হারবাড়িয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, এসময় জাহাজে থাকা আটজন স্টাফকে আশপাশের নৌযানের স্টাফ ও কোস্টগার্ড সদস্যরা উদ্ধার করেছে। সারবোঝাই লাইটার জাহাজটি ডুবে গেলেও পশুর চ্যানেল স্বাভাবিক রয়েছে ।তবে সার পানিতে মিশে যাওয়ায় জলজপ্রাণীর ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।
মোংলা বন্দরের হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন শাহীন মজিদ জানান, এমভি ভিটা অলিম্পিক নামে একটি বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজ ৩১ হাজার ৫৫৯ মেট্রিকটন সার নিয়ে ২১ জানুয়ারি বন্দরের হারবারিয়া এলাকায় ৯নম্বর অ্যাংকোরেজে নোঙর করে। মঙ্গলবার রাতে ওই বিদেশি জাহাজ থেকে এমভি শাহজালাল এক্সপ্রেস নামে লাইটার জাহাজটি প্রায় ৫০০ মেট্রিকটন সার নিয়ে যশোরের নওয়াপাড়ার দিকে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে অন্ধকার ও ঘনকুয়াশার কারণে ৮ নম্বর অ্যাংকোরেজে থাকা বিদেশি জাহাজ এমভি সুপ্রীম ভেলর’র ছিনে লাইটার জাহাজের ধাক্কা লাগে। এসময় সারবোঝাই লাইটার জাহাজটি ঘটনাস্থলে ডুবে যায়। ডুবে যাওয়া লাইটার জাহাজে থাকা আটজন স্টাফকে রাতেই উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
আরও পড়ুন: মোংলা বন্দরে বঙ্গবন্ধু রেলসেতু ও রূপপুরের মেশিনারি পণ্যবাহী ৩ জাহাজ
তিনি আরও জানান,ডুবে যাওয়া লাইটার জাহাজটিকে উদ্ধারের জন্য মালিক পক্ষকে জানানো হয়েছে। বন্দরের নিয়ম অনুযায়ী ১৫ দিনের মধ্যে মালিকপক্ষকে ডুবন্ত লাইটার জাহাজটি উত্তোলন করতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জাহাজ উত্তোলন করতে ব্যর্থ হলে বন্দর কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। বুধবার ডুবে যাওয়া লাইটার জাহাজটি মারকিং করার জন্য বন্দরের একটি টিম দুর্ঘটনাস্থলে রওনা হয়েছে। লাইটার জাহাজটি ডুবে গেলেও বন্দর চ্যানেল স্বাভাবিক রয়েছে। ওই চ্যানেল দিয়ে নির্বিঘ্নে নৌযান চলাচল করছে।
জাহাজ ডুবিতে সার পানিতে মিশে যাওয়ায় জলজপ্রাণীর ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: খুলনা-মোংলা রেললাইন প্রকল্প: মেয়াদ বাড়ছে ৬ মাস
১ বছর আগে
চট্টগ্রাম বন্দরে দেশজুড়ে নৌযান শ্রমিকদের ধর্মঘটে পণ্য খালাস বন্ধ
নৌযান শ্রমিকরা মধ্যরাত থেকে দেশব্যাপী ধর্মঘট শুরু করায় রবিবার চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পণ্য খালাস বন্ধ রয়েছে।
শনিবার দিবাগত রাত থেকে ডাকা ধর্মঘটের কারণে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে অপেক্ষমাণ বড় জাহাজ থেকে পণ্য খালাসে নিয়োজিত লাইটার জাহাজ, অয়েল ট্যাংকারসহ প্রায় সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। নৌযান শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদ এই ধর্মঘটের ডাক দেয়।
চট্টগ্রাম বন্দরসহ সব নৌবন্দরে লাইটার জাহাজ ও অন্যান্য নৌযান রাখার জন্য পোতাশ্রয় নির্মাণ, চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশালে পরীক্ষা কেন্দ্র, নৌ-আদালত স্থাপনসহ ১০ দফা দাবিতে সারাদেশে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু করেছে নৌযান শ্রমিকরা।
আরও পড়ুন: ধ্বংস করা হচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দরের পচনশীল ৭৩ কনটেইনার পণ্য
বাংলাদেশ লাইটার ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সহ-সভাপতি মো. নবী আলম বলেন, ১৫ নভেম্বর ১০ দফা দাবি নিয়ে এই অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ঘোষণা দেয়া হয়। তাই মধ্যরাত থেকে বন্দরের বহির্নোঙরে রাখা বড় জাহাজ থেকে পণ্য খালাসের কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে সাধারণ শ্রমিকরা। একই সঙ্গে মাঝিরঘাট ও সদরঘাট এলাকার ১৮টি বেসরকারি ঘাটেও লাইটার জাহাজে করে পণ্য খালাসের কাজ বন্ধ রয়েছে।
নৌযান শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদ চট্টগ্রামের আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম বলেন, সর্বনিম্ন ২০ হাজার টাকা বেতন,কর্মরত অবস্থায় নিহত শ্রমিকের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ, ভারতীয় লাইনে প্রটোকলে ল্যান্ডিং পাস ইস্যুসহ ১০ দফা দাবিতে ধর্মঘট চলছে। লাইটার জাহাজ, ট্যাংকার, যাত্রীবাহী লঞ্চ এ কর্মবিরতির আওতায় রয়েছে।
শ্রমিকদের ১০ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- নৌযান শ্রমিকদের নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র ও সার্ভিস বুক প্রদানসহ শ্রমিকদের সর্বনিম্ন মজুরি ২০ হাজার টাকা নির্ধারণ, খাদ্য ভাতা ও সমুদ্র ভাতার সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কন্ট্রিবিউটরি প্রভিডেন্ট ফান্ড ও নাবিক কল্যাণ তহবিল গঠন করা, দুর্ঘটনা ও কর্মস্থলে মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ ১০ লাখ টাকা নির্ধারণ করা, চট্টগ্রাম থেকে পাইপ লাইনের মাধ্যমে জ্বালানি তেল সরবরাহে দেশের স্বার্থবিরোধী অপরিণামদর্শী প্রকল্প বাস্তবায়নে চলমান কার্যক্রম বন্ধ করা, বালুবাহী বাল্কহেড ও ড্রেজারের রাত্রিকালীন চলাচলের ওপরে ঢালাও নিষেধাজ্ঞা শিথিল, নৌপথে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও ডাকাতি বন্ধ, ভারতগামী শ্রমিকদের লান্ডিং পাস প্রদানসহ ভারতীয় সীমানায় সবধরনের হয়রানি বন্ধ করা, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য পরিবহন নীতিমালা শতভাগ কার্যকর করে সকল লাইটারিং জাহাজকে সিরিয়াল মোতাবেক চলাচলে বাধ্য করা, চরপাড়া ঘাটে ইজারা বাতিল ও নৌপরিবহন অধিদ্প্তরের সব ধরনের অনিয়ম-অব্যবস্থাপনা বন্ধ করা।
আরও পড়ুন: লাইটার জাহাজ শ্রমিকদের ধর্মঘট, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য পরিবহন বন্ধ
চট্টগ্রাম বন্দর রিজিওনাল শিপিং হাব-এ পরিণত হয়েছে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
২ বছর আগে
চট্টগ্রামে লাইটার জাহাজ শ্রমিকদের ধর্মঘট প্রত্যাহার
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপেক্ষর সঙ্গে অনুষ্ঠিত সভায় ফলপ্রসূ আলোচনার প্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম বন্দরে চলা লাইটার জাহাজ শ্রমিকদের ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে।
শুক্রবার রাতে বন্দর ভবনে স্থানীয় সংসদ সদস্য, বন্দর চেয়ারম্যান, লাইটারেজ শ্রমিক ইউনিয়ন, লাইটারেজ শ্রমিক ফেডারেশন ও ঠিকাদার সমিতির নেতাদের যৌথ সভা শেষে শ্রমিক নেতারা ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।জানা যায়, পতেঙ্গা চরপাড়া ঘাটের ইজারা বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু ও লাইটারেজ শ্রমিকদের কাছ থেকে ঘাটে টাকা না নেয়ার আশ্বাসের প্রেক্ষিতে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেছেন লাইটার জাহাজ শ্রমিকরা।
বাংলাদেশ লাইটারেজ শ্রমিক ইউনিয়নের চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি শেখ মোহাম্মদ ঈছা মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বন্দর ভবনে অনুষ্ঠিত সভায় ফলপ্রসূ আলোচনার প্রেক্ষিতে ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে। ঘাট সম্পর্কিত লাইটার জাহাজ শ্রমিকদের যে দাবি ছিল তা বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া শুরুর আশ্বাস দেয়ায় কর্মবিরতি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয় নেতারা।
আরও পড়ুন: লাইটার জাহাজ শ্রমিকদের ধর্মঘট, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য পরিবহন বন্ধ
রাতে বন্দর ভবনে অনুষ্ঠিত সভায় লাইটারেজ শ্রমিক ইউনিয়ন, লাইটারেজ শ্রমিক ফেডারেশন ও ঠিকাদার সমিতির নেতৃবৃন্দ এছাড়াও স্থানীয় সাংসদ এম এ লতিফ ও বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহানসহ উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে চেয়ারম্যান ও পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) প্রত্যাহারসহ পাঁচ দফা দাবিতে শুক্রবার ভোর থেকে ধর্মঘটশুরু করে লাইটার শ্রমিকরা। ফলে দিনভর চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে বড় জাহাজ থেকে পণ্য খালাস, কর্ণফুলীর ১৬ ঘাটে পণ্য লোড-আনলোডসহ চট্টগ্রাম থেকে নদী পথে পণ্য পরিবহন বন্ধ থাকে।
বাংলাদেশ লাইটার শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ নবী আলম জানান, গতবছর পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত সংলগ্ন চরপাড়া এলাকায় বন্দর কর্তৃপক্ষ একটি ঘাট নির্মাণ করে। শ্রমিকরা সেই ঘাট ব্যবহার করে আসছিল। কিন্তু হঠাৎ করে বন্দর কর্তৃপক্ষ সেটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে ইজারা দেয়। তারা ঘাট ব্যবহারে দশ টাকা মাশুল নির্ধারণ করে। এ নিয়ে ইজারাদারের লোকজনের সঙ্গে শ্রমিকদের প্রায়ই অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে থাকে। গত ৩ নভেম্বর শ্রমিকদের বিরুদ্ধে হামলার ঘটনা ঘটে। কিন্তু পতেঙ্গা থানা পুলিশ মামলা না নিয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) নেয়। এ অবস্থায় শ্রমিকরা চরপাড়া ঘাট ত্যাগ করে আনোয়ারায় পারকি সমুদ্র সৈকত সংলগ্ন এলাকা থেকে লাইটারেজ জাহাজে ওঠানামা শুরু করেন। কিন্তু সম্প্রতি বন্দর কর্তৃপক্ষের ম্যাজিস্ট্রেট অভিযান চালিয়ে পারকি থেকে জাহাজে ওঠানামা বন্ধ করে দেন। এরপর শ্রমিকরা চাইনিজ ঘাট এলাকা থেকেও জাহাজে ওঠা নামার চেষ্টা করলে বন্দর কর্তৃপক্ষ সেখানেও অভিযান পরিচালনা করে। এরপর শ্রমিকদের লাগাতার ধর্মঘট শুরু করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম পৌঁছেছে ইউক্রেনের সাড়ে ৫২ হাজার টন গম
চট্টগ্রামে ডাম্পিং এ ফেলে দেয়া মিট অ্যান্ড বোন মিল পণ্য পাচার কালে ১০ ট্রাক জব্দ
২ বছর আগে
লাইটার জাহাজ শ্রমিকদের ধর্মঘট, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য পরিবহন বন্ধ
চট্টগ্রামে লাইটার জাহাজ শ্রমিকরা পাঁচ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট শুরু করেছে।
ধর্মঘটের কারণে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে দেশের অন্যান্য স্থানে পণ্য পরিবহনও বন্ধ রয়েছে।
বৃহস্পতিবার নগরীর বাংলাবাজার এলাকায় ‘সর্বস্তরের নৌযান শ্রমিকদের’ ব্যানারে এক সমাবেশে লাইটার জাহাজের শ্রমিকরা কাজ বন্ধের ঘোষণা দেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম পৌঁছেছে ইউক্রেনের সাড়ে ৫২ হাজার টন গম
পাঁচ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যানকে প্রত্যাহার, লাইটার জাহাজের শ্রমিকদের ওঠা–নামায় ব্যবহৃত চরপাড়া ঘাটের ইজারা বাতিল, পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতার (ওসি) অপসারণ, সাঙ্গু নদের মুখ খনন করে লাইটার জাহাজের নিরাপদ পোতাশ্রয় করা।
লাইটারেজ শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন বলেন, ৩ নভেম্বর চরপাড়া ঘাটের কয়েকজন ইজারাদারের লোকজন ৮-৯ শ্রমিককে মারধর করলেও পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনার প্রতিবাদে শ্রমিকরা সব লাইটার জাহাজ পারকির চরে নিয়ে যায় এবং চীনা ঘাট ব্যবহার করে জাহাজ ওঠা-নামা শুরু করে কিন্তু কর্তৃপক্ষ ওই ঘাটটিও উচ্ছেদ করে।
জসিম উদ্দিন বলেন, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত চট্টগ্রাম থেকে নদীপথে পণ্য পরিবহন বন্ধ থাকবে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ডাম্পিং এ ফেলে দেয়া মিট অ্যান্ড বোন মিল পণ্য পাচার কালে ১০ ট্রাক জব্দ
চট্টগ্রামে র্যাবের ওপর হামলার ঘটনায় ৫ জনের কারাদণ্ড
২ বছর আগে
চট্টগ্রামে লাইটার জাহাজডুবি: নিখোঁজ ৮
চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় শনিবার ভোরে বালুবাহী জাহাজের ধাক্কায় একটি লাইটার জাহাজডুবির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পাঁচজনকে জীবিত উদ্ধার করা গেলেও এখন পর্যন্ত আরও আটজন নিখোঁজ রয়েছেন।
চট্টগ্রাম বন্দর সূত্র জানায়, ভোরে বন্দরের বহির্নোঙর এলাকায় বালুবাহী একটি জাহাজের ধাক্কায় লাইটার জাহাজ টিটু-১৪ ডুবে যায়। জাহাজটিতে মোট ১৩ জন নাবিক ছিলেন।
আরও পড়ুন: পশুর নদীতে কয়লাবাহী লাইটার জাহাজডুবি
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব ওমর ফারুক জানান, এই ঘটনায় কোস্টগার্ড সদস্যরা উদ্ধার কার্যক্রম চালাচ্ছে।
২ বছর আগে
হাতিয়ায় লাইটার জাহাজ ডুবি, ২ নাবিক নিখোঁজ, উদ্ধার ৪
চট্টগ্রাম বন্দর বহির্নোঙ্গর থেকে যাওয়ার পথে উপজেলা হাতিয়ার মেঘনা নদীতে লাভনী-৩ নামে মেরামতরত একটি জাহাজডুবির ঘটনা ঘটেছে।
৪ বছর আগে
চট্টগ্রামে জাহাজ ডুবি: ১৩ নাবিক এখনও নিখোঁজ
চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙ্গর থেকে পণ্য নিয়ে ঢাকায় যাওয়ার সময় দুর্ঘটনায় কবলিত লাইটার জাহাজের নিখোঁজ ১৩ নাবিক এখনও উদ্ধার হয়নি।
৪ বছর আগে
বঙ্গোপসাগরে কয়লাবাহী জাহাজ ডুবি, নিখোঁজ ১২
চট্টগ্রাম, ১২ সেপ্টেম্বর (ইউএনবি)- বঙ্গোপসাগরে সাঙ্গু গ্যাস ফিল্ডের কাছে এক হাজার ৫০ মেট্রিক টন কয়লাবাহী লাইটার জাহাজ ডুবে গেছে। বৃহস্পতিবার সকালে এ দুর্ঘটনায় জাহাজটির অন্তত ১২ জন ক্রু সদস্য নিখোঁজ রয়েছেন।
৫ বছর আগে