জেলা প্রশাসন জানায়, ১৬টি শর্ত মেনে চট্টগ্রামের চিড়িয়াখানা, ফয়’স লেক ও পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকতসহ সব বিনোদন কেন্দ্র সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দেয়ার হয়েছে।
করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে চলতি বছরের ১৮ মার্চ থেকে বিনোদন কেন্দ্রগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল।
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন জানান, করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে গঠিত ‘চট্টগ্রাম জেলা কমিটির’ এক সভায় বিনোদন কেন্দ্র খুলে দেয়ার এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। গত বুধবার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ কমিটির সর্বশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি বলেন, ‘১৬টি শর্তে বিনোদন কেন্দ্রগুলো খোলার অনুমতি দেয়া হয়েছে। করোনা সংক্রমণ ক্রমাগত কমতির দিকে থাকায় চিড়িয়াখানাসহ বিনোদন কেন্দ্রগুলোর ওপর থাকা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে যাচ্ছি। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই দর্শনার্থীদের বিনোদন কেন্দ্রে যেতে হবে।’
বাংলাদেশে চলতি বছরের ৮ মার্চ সর্বপ্রথম করোনা রোগী শনাক্তের ঘোষণা দেয়া হয়। পরে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় সরকার ১৬ মার্চ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে। কিন্তু ছুটি পেয়ে পরদিন ১৭ মার্চ বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে হুমড়ি খেয়ে পড়েন জনসাধারণ। এ বিষয়ে সমালোচনার ঝড় উঠলে ১৮ মার্চ চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) ও জেলা প্রশাসন যৌথ সিদ্ধান্তে বন্দর নগরীর পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত, সিআরবি শিরিষতলা, ডিসিহিল, চিড়িয়াখানা, ফয়’স লেক, কর্ণফুলী শিশুপার্ক, আগ্রাবাদ জাম্বুরি পার্ক ও চান্দগাঁও স্বাধীনতা কমপ্লেক্সসহ সব বিনোদনকেন্দ্র বন্ধ করে দেয়া হয়।
পাশাপাশি আনোয়ারার পারকি সৈকত, রাঙ্গুনিয়ার শেখ রাসেল এভিয়েরি পার্ক, সীতাকুণ্ড ও বাঁশখালীর ইকো পার্ক, মীরসরাইয়ের মহামায়া লেকসহ সব বিনোদন কেন্দ্রই লকডাউনের আওতায় আনা হয়।
শুধু বিনোদন কেন্দ্রগুলোই নয়, একে একে বন্ধ করা হয় নগরীর রেস্টুরেন্ট, আবাসিক হোটেল, ক্লাব এবং কমিউনিটি সেন্টারগুলোও। প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেশ ও জাতির স্বার্থে নিষেধাজ্ঞা মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়। সেসময় থেকে সামাজিক অনুষ্ঠানে লোকসমাগমে যে নিষেধাজ্ঞা ছিল তা এখন পর্যন্ত বলবৎ রয়েছে।