চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে চলাচলকারী শাটল ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ঘটনা বেড়েছে। সম্প্রতি এক সপ্তাহের ব্যবধানে পাথর নিক্ষেপের ঘটনায় আট শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এসব ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছে শিক্ষার্থীরা। রেলপথ ঘেঁষে গড়ে উঠা অসংখ্য বস্তি থেকে চলন্ত শাটলে টোকাইদের নিক্ষিপ্ত পাথরের আঘাতে প্রতিদিনই রক্তাক্ত হচ্ছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীরা।
এ অবস্থায় শনিবার রাত সাড়ে ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়গামী শাটলে পাথর ছুঁড়তে গেলে শিক্ষার্থীরা তিনজনকে হাতেনাতে আটক করে পুলিশে দিয়েছে।
চবি আইন বিভাগের শিক্ষার্থী মো.আরিফ বলেন, শাটল ক্যান্টনমেন্ট থামার একটু আগে শাটলে ঢিল ছুঁড়ে এক ছেলে। ঢিলটা একদম আমার মাথার পাশ দিয়ে চলে যায়। সঙ্গে সঙ্গে অসংখ্য ঢিল শাটলে পড়তে থাকে। আমরা ভয়ে সব জানালা নামিয়ে দেই। ক্যান্টনমেন্টে ট্রেন থামলে আমরা তিনজনকে ধরে ফেলি।
আরও পড়ুন: চবিতে শিক্ষার্থীকে মারধর: বিচারের দাবিতে মূল ফটকে তালা
জানা গেছে, নগরীর ঝাউতলা, ক্যান্টনমেন্ট ও ষোলশহর স্টেশনের পাশ ঘেঁষে গড়ে ওঠা বস্তি গত এক সপ্তাহ ধরে টানা পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এই অবস্থায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপদ ট্রেন যাত্রা নিশ্চিত করতে বগিতে বগিতে অভিযান চালিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল বডি।
শনিবার ক্যাম্পাসে থেকে ছেড়ে যাওয়া সকাল ৯টা ২০ মিনিটের ট্রেনে অভিযান পরিচালনা করা হয়। পুলিশের সহযোগিতায় অভিযানে নেতৃত্ব দেন সহকারী প্রক্টর ড. শহিদুল ইসলাম ও এহসানুল কবির পলাশ। এসময় বহিরাগতদের ট্রেন থেকে নামিয়ে দেন তারা।
অভিযান পরিচালনাকারী সহকারী প্রক্টর ড. শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘চলন্ত শাটল ট্রেনে বাইরে থেকে পাথর নিক্ষেপের ঘটনা বেড়েই চলেছে। প্রতিদিনই ঘটছে বাইরে থেকে পাথর নিক্ষেপের ঘটনা। এতে আমাদের ছাত্ররা রক্তাক্ত হচ্ছে। আমরা রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে কয়েক দফা এসব বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলেছি।
আরও পড়ুন: চবির দুই হলে তল্লাশি, দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার
তিনি বলেন, আমাদের অভিযান চলমান থাকবে। এসময় বহিরাগত কাউকে শাটল ট্রেনে উঠতে দেখলে তাদের নামিয়ে দিতেও শিক্ষার্থীদের নির্দেশ দেন তিনি। এছাড়া নিরাপদ ট্রেন যাত্রা নিশ্চিত করতে আমরা অভিযান পরিচালনা করেছি। বহিরাগতদের ট্রেনে উঠতে দেয়নি। যারা উঠেছে তাদের নামিয়ে দিয়েছি।
সহকারী প্রক্টর গোলাম কুদ্দুস লাভলু বলেন, শাটলে ঢিল ছোঁড়ার কারণে আমাদের অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এজন্য আমরা অভিযানও চালিয়েছি। রবিবার রাতের শাটলে ঢিল ছোঁড়ার সময় তিন জনকে মাদকসহ হাতেনাতে ধরে শিক্ষার্থীরা আমাদের কাছে নিয়ে এসেছে। এদের জিজ্ঞাসাবাদ করে অনেকের নাম পেয়েছি। পরবর্তীতে আরও তদন্তের জন্য এদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আশা করছি দ্রুতই এই সমস্যার সমাধান হবে।