তবে, গণপরিবহন বন্ধ থাকায় শিমুলিয়া ঘাট থেকে ঢাকা বা নারায়ণগঞ্জে যেতে ভোগান্তি পোহাতে হয় তাদের। অতিরিক্ত ভাড়া গুণে বিভিন্ন যানবাহন পাল্টে কর্মস্থলে ছুটেন তারা। অনেকে বেশি ভাড়ায় মিশুক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা করে গন্তব্যে রওনা দেন। কেউ আবার পিকআপ ভ্যান ভাড়া করেন।
মাওয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘সকাল থেকে শ্রমজীবী মানুষকে ফেরিতে নদী পার হতে দেখেছি। তিনটি ফেরিতে মানুষের চাপই ছিল বেশি।’
শিমুলিয়া ঘাটের অন্য পাশে কাঁঠালবাড়ি ঘাটে সেনাবাহিনী ও পুলিশ রয়েছে। তারা যাত্রীদের পরিচয় নিশ্চিত হয়ে ফেরিতে উঠতে দিচ্ছেন বলেন সিরাজুল জানান।
মাওয়া ট্রাফিক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘এক্সপ্রেসওয়েতে কোনো ছোট পরিবহন চলাচলের অনুমতি আমরা দেই না। তাই, ছোট বাহনে করে অনেক রাস্তা ঘুরে তারা ঢাকার বাবু বাজারের দিকে যান। সেখান থেকে পরিবহন পাল্টে গন্তব্যে রওনা দেন শ্রমজীবী মানুষরা।’
‘এ ঘাট দিয়ে দিনের বেলায় দুই-তিনটি ফেরি চললেও এখন রাতে চলে ছয়টি ফেরি। তবে, ফেরিগুলো সবই পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার করে।
যাত্রীবাহী কোনো বাস নেই,’ যোগ করেন তিনি।
বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের উপমহাব্যবস্থাপক (এজিএম) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘গত ২৪ ঘন্টায় প্রায় ৫০০ পণ্যবাহী ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান পারাপার করেছি। দিনের চেয়ে রাতেই ওসব গাড়ির চাপ বেশি থাকে। তাছাড়া, এখন শিমুলিয়া ঘাট থেকে কাঁঠালবাড়ি ঘাটের উদ্দেশে যাওয়ার পরিবহন তেমন নেই। এ পাশে ঘাট একেবারে ফাঁকা। দুই একটি জরুরি সেবার গাড়ি এলেই ফেরিতে তুলে দেয়া হচ্ছে।’