গ্রেপ্তার কমরুদ্দিন (৫০) উপজেলার রহিমপুর গ্রামের মৃত ইউনুস আলীর ছেলে। তিনি বিশ্বনাথ পুরান বাজার (শরীষপুর) এলাকায় ভাড়া বাসায় কবিরাজি ব্যবসা চালিয়ে আসছিলেন।
বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামিম মুসা জানান, বৃহস্পতিবার রাতে কবিরাজ কমরুদ্দিনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন তরুণীর মা। এ ঘটনায় রাতেই সিফা তদবিরালয় থেকে তালাবন্দী তরুণীকে উদ্ধার ও কবিরাজের স্ত্রী সুমি বেগমকে আটক করে পুলিশ। সেই সাথে মধ্যরাতে কমরুদ্দিনকে আটক করা হয়।
পরে তরুণীর মায়ের দায়ের করা অভিযোগ মামলা হিসেবে রেকর্ড করে কবিরাজ ও তার স্ত্রীকে এতে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
ওই তরুণীর মা বলেন, ‘প্রায় দেড় বছর আগে আমার রোগে আক্রান্ত বড় মেয়েকে কবিরাজ কমরুদ্দিনের কাছে নিয়ে যাই। চিকিৎসার প্রয়োজনে তিনি আমার মেয়েকে তার কাছে রেখে যেতে ও নগদ ১০ হাজার টাকা দিতে বলেন। আমি কথামতো টাকা পরিশোধ করে মেয়েকে তার কাছে রেখে আসি। পরবর্তীতে মেয়েকে আনার জন্যে গেলে তিনি ওকে ফিরিয়ে না দিয় হুমকি ও ভয়-ভীতি দেখান। তিনি প্রায় দেড় বছর ধরে আমার মেয়েকে সিফা তদবিরালয়ে তালাবন্দী করে আটকে রাখেন। আমি তার ভয়ে এত দিন কাউকে কিছু বলার সাহস পাইনি।’