বুধবার রাত ১০টা থেকে প্রচণ্ড গতিতে আম্পান আঘাত হানে এ জেলায়। রাত বাড়ার সাথে সাথে ঝড়ের গতিবেগ ও বৃষ্টিপাত বাড়তে থাকে। প্রায় তিন ঘণ্টা চলা আম্পানের তাণ্ডবে চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর জেলা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, বোরো ধান, পানের বরজ, ভুট্টা খেত, আম ও কলাসহ উঠতি ফসলাদি বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। এর মধ্যে জেলায় আম ও কলার প্রায় ৪০ শতাংশ ক্ষতির মুখে পড়েছে। এখনও ক্ষতি নিরূপণের কাজ চলছে।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক সামাদুল হক জানান, জেলায় ঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৮২ কিলোমিটার। বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ১৪৮ মিলিমিটার।
বৃহস্পতিবার সকালে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো পরিদর্শন করে জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘কোনো হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও ক্ষতির পরিমাণ কম নয়। ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কাজ চলছে। তবে জেলা প্রশাসন পূর্বপ্রস্তুতি গ্রহণ করায় ক্ষতি অনেকটা কম হয়েছে।’