অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং টেকসই উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে ইউনিয়ন পরিষদের স্থায়ী কমিটি ও কমিউনিটি ক্লিনিকের কমিটিগুলোকে কার্যকরী করা আবশ্যক।
ইউনিয়ন পরিষদ ও স্থানীয় পর্যায়ের বিভিন্ন সরকারি কমিটিগুলোর গুরুত্ব ও কার্যকারিতা বিষয়ক কর্মশালায় বক্তারা এই অভিমত প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় বাড়ির মালিককে হত্যা: ভাড়াটিয়ার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
খুলনা শহরে সিএসএস আভা সেন্টারে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের নবযাত্রা প্রকল্প আয়োজিত দিনব্যাপী কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা বিভাগের স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিচালক মো. শহিদুল ইসলাম। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন নবযাত্রা প্রকল্পের সিনিয়র অপারেশন আশিষ কুমার হালদার।
খুলনা ও সাতক্ষীরা জেলার স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক, দুই জেলার সিভিল সার্জন, পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপপরিচালক এবং খুলনা বিভাগের স্থানীয় সরকার বিভাগের সহকারী কমিশনার উক্ত কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।
এছাড়া দাকোপ, কয়রা, কালীগঞ্জ, ও শ্যামনগর উপজেলার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, চার উপজেলার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এবং উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা এবং নবযাত্রা প্রকল্প এলাকার ১৬ জন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।
কর্মশালার প্রধান অতিথি খুলনা বিভাগের স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিচালক মো. শহিদুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, নবযাত্রা প্রকল্প খুলনা ও সাতক্ষীরা জেলার চারটি উপজেলায় সফল এবং এখানে স্থানীয় কমিটিগুলো সক্রিয় করতে বিশেষ ভূমিকা রেখেছে।
ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে খুলনা ও সাতক্ষীরা জেলার চারটি উপজেলার অধীনে ৪০টি ইউনিয়নে ইউএসএআইডি’র নবযাত্রা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
নবযাত্রা প্রকল্পের মাধ্যমে ২০১৫ সাল থেকে ২০২২ সালের মধ্যে আট লাখ ৫৯ হাজার ৭০৪ মানুষকে সমন্বিতভাবে মাতৃ, শিশু স্বাস্থ্য ও পুষ্টি, জেন্ডার, কৃষি এবং বিকল্প জীবিকা, দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস এবং সুশাসন ও সামাজিক জবাবদিহিতার ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে।
কমিউনিটি পর্যায়ের কমিটিগুলি স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন স্তরে সেবা সম্পর্কিত কার্যক্রমের স্বচ্ছতা এবং উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে।
নবযাত্রা প্রকল্পের আওতায় তিন হাজার ৩১৯টি ওয়াটার পয়েন্ট থেকে এক লাখ ৪৮ হাজার মানুষের সুপেয় পানির ব্যবস্থা এবং ১৯ হাজার ৬৭৪টি স্যানিটেশন পয়েন্ট থেকে ৯৩ হাজার মানুষকে সেনিটেশন সুবিধা প্রদান করা হয়েছে। প্রকল্প এলাকায় উন্মুক্ত স্থানে মলত্যাগ উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে।
অন্যদিকে ৯৬০টি কার্যকরী ইপিআই সাইট থেকে ৬৫ হাজার শিশুকে গ্রোথ মনিটরিং প্রমোশন (জিএমপি) এবং ১২৩টি কমিউনিটি ক্লিনিকে নারী, গর্ভবতী মা এবং শিশুদের স্বাস্থ্য ও পুষ্টি সেবা দিয়েছে।
এছাড়া নবযাত্রা প্রকল্পের আওতায় উপকূলীয় অঞ্চলে ২০০টি সাইক্লোন শেল্টার কার্যকরী ও সক্রিয় করে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। এছাড়া স্থানীয় প্রান্তিক জনগণকে এক হাজার ৬০০টির বেশি সঞ্চয়ী গ্রুপ গঠন করে তাদের অর্থনৈতিক অর্ন্তভুক্তিকরণে ভূমিকা রেখেছে।
নবযাত্রা প্রকল্পের আওতায় স্থানীয় পর্যায়ে সরবরাহ করা সকল সেবা সরবরাহের তথ্যউপাত্ত জিআইএস ম্যাপিং এর মাধ্যমে সহজেই দেখা যাবে।
আরও পড়ুন: খুলনায় সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশ সদস্য নিহত