মৃতরা হলেন- শহরের আমলাপাড়া এলাকার মৃত মফিজ রহমানের ছেলে ও বিকেএসপির বাস্কেট বল খেলোয়াড় জিহাদুর রহমান সাজিদ (২০), থানাপাড়া এলাকার সাগর হোসেনের ছেলে ফাহিম হোসেন (২১) এবং একই এলাকার আরমান ইসলামের ছেলে পাভেল ইসলাম (২৩)।
এ ঘটনায় সাথে থাকা আরও তিন বন্ধু সুরুজ (২০), শান্তি (২২) ও আতিকুল (২৩) গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
নিহতদের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বন্ধু ফাহিমের জন্মদিন উপলক্ষে সাজিদ, পাভেল, সুরুজ, শান্তি ও আতিকুল বিকালে শহরের পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে একসাথে মিলিত হয়। এ সময় তারা স্পিড এনার্জি ড্রিংকয়ের সাথে অ্যালকোহল মিশিয়ে সেবন করেন। সেবনের কিছুক্ষণ পরে তাদের শরীরের ভেতর অস্থির লাগলে সবাই কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। এদের মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাজিদ, ফাহিম ও পাভেলের মৃত্যু হয়।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল (আরএমও) অফিসার ডা. তাপস কুমার সরকার বলেন, বিকালে ছয় বন্ধু একসাথে হাসপাতালে এসে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসককে তাদের অস্থির লাগার কথা জানান। প্রথমে ডিম খাওয়ার কথা বললেও পরে তারা চিকিৎসককে স্পিড ক্যানের সাথে অ্যালকোহল মিশিয়ে সেবনের বিষয়টি জানায়।
তিনি বলেন, ‘হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনজনের মৃত্যু হয়। সুরুজ নামে একজনকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। বাকি আরও দুইজনের অবস্থা আশংকাজনক। তাদেরকে জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।’
নিহত সাজিদের মামা পিয়াস বলেন, ‘শুনেছি শহরের কোর্ট স্টেশনের পেছনে অবস্থিত রাফি হোমিও হল থেকে ১০০ টাকায় তারা কাচের বোতলে অ্যালকোহল জাতীয় কিছু কিনেছিল।’
কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, অ্যালকোহল জাতীয় দ্রব্য তারা কোথায় পেল বা কে বিক্রি করল বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেয়া হয়েছে।