বৃহস্পতিবার শরীয়তপুরের জেলা ও দায়রা জজ প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে গত ৮ জুলাই জেলা ও দায়রা জজের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মরিয়ম মুন মঞ্জুরী মাসুদকে তিন দিনের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন।
বৃহস্পতিবার মাসুদ আদালতে হাজির হলে আদালত তার জামিন আবেদন বাতিল করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
আসামি মাসুদের পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট কামরুজ্জামান নজরুল বলেন, ‘গত ৮ জুলাই আদালতের কাছে আসামির পক্ষে জামিনের আবেদন করি। মাসুদের স্ত্রী ও শিশু সন্তান অসুস্থ হওয়ার কারণে ৩ দিনের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছিলেন আদালত। আজ মাসুদের জামিন নামঞ্জুর করে দিয়েছে।’
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) মির্জা হযরত আলী বলেন, আদালত ৮ জুলাই তিন দিনের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়ে ১১ জুলাই শুনানির দিন ধার্য করেছিল। এদিন মাসুদের পক্ষে আইনজীবী জামিনের আবেদন করলে জেলা ও দায়রা জজ জামিন নামঞ্জুর করেছেন।
উল্লেখ্য, গত ২৯ জুন বিকালে জাজিরা পৌরসভার মেয়র ইউনুছ বেপারীর বিবাহিত পুত্র মাসুদ বেপারী তার দুঃসম্পর্কের আত্মীয় এক কলেজ পড়ুয়া মেয়েকে নিজ বাড়িতে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে মেয়েটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা কর হয়। নিজের বুদ্ধি আর সাহসিকতার জোরে মেয়েটি পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
বিষয়টি রাত ১০টার দিকে জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জানতে পেরে মাসুদ বেপারীকে ওই দিন রাত আড়াইটার দিকে আটক করে। ৩০ জুন ওই মেয়েটি ও তার বাবা জাজিরা থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। ১ জুলাই মাসুদকে আদালতের মাধ্যমে শরীয়তপুর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
৭ জুলাই ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মাসুদের জামিন প্রার্থনা করে তার আইনজীবী। আদালত মাসুদের জামিন নামঞ্জুর করে।
তবে পরেরদিন মেয়রপুত্র মাসুদের আইনজীবী কামরুজ্জামান নজরুল জেলা ও দায়রা জজ আদালতে পুণরায় জামিন আবেদন করলে তিন দিনের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পান তিনি।
তার এই জামিনের খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।